★আমি কি ঈমানদার না দাবিদার?★ (3)
প্রশ্ন ঃ- আপনি কি ঈমানদার না দাবিদার?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! আমি ঈমানদার।
প্রশ্ন ঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ফিকির করেছেন কি?
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۳۲﴾
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী। উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- আপনার এলাকাতে ১০০% ৪০-৪৫ মেয়ে/ছেলেদের বিয়ের প্রয়োজন আপনি তাদের ব্যাপারে চেষ্টা ফিকির করেছেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- এত পরিমাণ অবিবাহিত কিভাবে বুঝিয়ে বলবেন কি?
উত্তর ঃ-
১) বিয়ের উপযুক্ত ছেলে মেয়ে।
২) পূর্বে বিবাহ হয়েছিল কিন্তু তালাক হয়ে গেছে।
৩) বিধবা স্ত্রী তার বিবাহর প্রয়োজন।
৪) স্ত্রী মৃত্যুবরণ করা স্বামী তার বিবাহর প্রয়োজন।
বিঃদ্রঃ-
এখন হিসাব করুন !
আপনার এলাকায় এ ধরনের ছেলে মেয়ে কতজন?
১০০% ৪০-৪৫ মেয়ে/ ছেলে
বরং একাধিক লোকদের সাথে আলোচনা হয়েছে ,
এরা বলেছে এভাবে হিসাব করলে আরো বেশি হবে।
এখন আপনি আপনার এলাকার জরিপ নিন।
প্রশ্ন ঃ- আপনি মসজিদের খতীব উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা মুসল্লিদের স্পষ্ট করে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া আপনার দায়িত্ব নয় কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- উক্ত দায়িত্ব আপনি পালন করতেছেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- উক্ত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে তা আপনার স্বরণ আছে কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে পারবেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- আল্লাহর দরবারে জবাবদিহির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- উক্ত আয়াতে বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা আছে কি? উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- যদি আপনি সময়সীমা নির্ধারণ করেন উক্ত আয়াতে ব্যপকতা এসেছে আপনি এর উত্তর দিবেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে কি?
উত্তর ঃ- না। বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে না।
প্রশ্ন ঃ- বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা না যাওয়ার কারণ কি?
উত্তর ঃ- কুরআন ও হাদীস এ ব্যাপারে কোন সময়সীমা নির্ধারণ করেনি।
প্রশ্ন ঃ- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের শর্ত করা যাবে কি?
উত্তর ঃ- না। 18 বৎসরের শর্ত করা যাবেনা।
প্রশ্ন ঃ- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের শর্ত করলে তার হুকুম কি? উত্তর ঃ- সে কুরআন এর হুকুম পরিবর্তনকারী । আল্লাহ তাআলার অবাধ্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর দুশমন।
প্রশ্ন ঃ - যে কুরআন এর হুকুম পরিবর্তন করে ও আল্লাহ তাআলার অবাধ্য তার হুকুম কি ।
উত্তর ঃ- সে তাগূত।
প্রশ্ন ঃ- আপনি কি জানেন আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ কত বৎসর বয়সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! ছয় বৎসর বয়সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
((প্রশ্ন ঃ- তথাকথিত বঙ্গবন্ধু , বঙ্গমাতা সাথে তার কত সালে হয়েছিল? উত্তর ঃ- ১৯৩৮ সালে।
প্রশ্ন ঃ- বিয়ের সময় বঙ্গমাতার বয়স কত ছিল?
উত্তর ঃ- ৮ বৎসর । অর্থাৎ ৮ বৎসর বয়সে তথাকথিত বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতাকে বিয়ে করেন ।
প্রশ্ন ঃ- আপনি কি উক্ত বিবাহকে অবৈধ বলবেন?
উত্তর ঃ- না। কারন তারা আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। "উইকিপিডিয়া" ))
প্রশ্ন ঃ- ছয় বৎসর বয়স প্রাপ্ত বয়স না অপ্রাপ্ত বয়স ?
উত্তর ঃ- অপ্রাপ্ত বয়স।
প্রশ্ন ঃ- অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ শাদি বৈধ না অবৈধ?
উত্তর ঃ- অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ শাদি বৈধ।
প্রশ্ন ঃ- অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ শাদি বৈধ কেন?
উত্তর ঃ- কুরআন ও হাদীস নিষেধ করেননি, বরং কুরআন ও হাদীস ব্যপকতা বর্ণণা রয়েছে।
প্রশ্ন ঃ- কুরআন ও হাদীসের হুকুমের উপর শর্ত আরোপ করা যাবে কি?
উত্তর ঃ-
★ রাসুল সাঃ আম্মাজান আয়েশা রাঃ বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল মাএ ছয় বৎসর।
* 18 বৎসরের শর্তযুক্ত করে রাসুল সাঃ কে দূষি সাব্যস্ত করলাম/ বা যারা দুষি সাব্যস্ত করেছে তাদের সমর্থন করলাম ,
এরপর ও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার?
ক) যথা:- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের পূর্বে বিবাহর জন্য বাধা সৃষ্টি করলাম/ যারা বাধাসৃষ্টি করেছে তাদের সহযোগীতা করলাম ,
এর মাধ্যমে কুরআনের হুকুম পরিবর্তন করলাম,
কুরআনের হুকুম পরিবর্তনের মাধ্যমে বিধান দাতাদের অন্তর্ভুক্ত হলাম, অর্থাৎ আল্লাহর আসনে বসলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
প্রশ্ন ঃ- أيامي শব্দটির অর্থ কি?
উত্তর ঃ- أيامى শব্দটি أيّم এর বহুবচন। অর্থ প্রত্যেকটি এমন নর ও নারী, যার বিয়ে বর্তমান নেই; একেবারেই বিয়ে না করার কারণে হোক কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের মৃত্যু অথবা তালাকের কারণে হোক।
[দেখুন-বাগভী]
প্রশ্ন ঃ- ( أيامى ) এমন নর ও নারীদের বিয়ে সম্পাদনের জন্য তাদের অভিভাবকদেরকে আদেশ করা হয়েছে। বিয়ে করার প্রতি উৎসাহ দিয়ে বিভিন্ন হাদীসেও নির্দেশ এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘যাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল এমন মহিলাদের পুনরায় বিয়ে দিতে হলে তার সরাসরি স্পষ্টভাষায় মতামত না নিয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না। আর যাদের বিয়ে ইতিপূর্বে হয়নি, তাদের বিয়েতেও অনুমতি নিতে হবে। সাহাবাগণ বললেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল, তার অনুমতি কিভাবে নিবে? তিনি জবাব দিলেনঃ চুপ থাকা। [বুখারীঃ ৫১৩৬, মুসলিমঃ ১৪১৯]
প্রশ্ন হল আপনি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছেন কি?
প্রশ্ন ঃ- ইসলামে বৈরাগ্যপণা আছে কি?
উত্তর ঃ- ইসলামে বৈরাগ্যপণা নেই হাদীসে বর্ণিত আছে আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ের নির্দেশ দিতেন, বৈরাগ্যপনা (অবিবাহিত থাকা) থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করতেন এবং বলতেনঃ ‘যারা স্বামীকে ভালবাসবে এবং বেশি সন্তান জন্ম দেয় এমন মেয়েদের তোমরা বিয়ে কর। কেননা, আমি কেয়ামতের দিন নবীদের কাছে বেশী সংখ্যা দেখাতে পারব।’ [ইবনে হিব্বানঃ ৪০২৮, মুসনাদে আহমাদঃ ৩/১৫৮, ২৪৫]
★ বাল্যবিবাহর নামে বিবাহ বন্দ করে অধিক সন্তান জন্ম দানে বাঁধ সেধে উক্ত হাদীসের বিরোধিতা করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
[২] অর্থাৎ নারীদেরকে বিয়েতে বাধা না দেয়ার জন্য অভিভাবকদের জন্য অপরিহার্য। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামও বলেছেনঃ ‘তোমাদের কাছে যদি কেউ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, তবে তার চরিত্র পছন্দনীয় হলে অবশ্যই বিয়ে সম্পাদন করে দাও। এরূপ না করলে দেশে বিপুল পরিমাণে অনর্থ দেখা দেবে।’ [তিরমিযীঃ ১০৮৪, ১০৮৫]
★ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত হাদীস অনুসারে ছেলে পক্ষ, মেয়ে পক্ষ বিয়ে ঠিক করল,
আমি ক্ষমতায় বসে উক্ত হাদীসের বিরোধিতা করে তাদের জন্য জেল জরিমানা ইত্যাদির ব্যবস্থা করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
★ ক্ষমতাশীলদের অধিনে চাকরি করে তাদের হুকুমে গ্রেফতার করে জেলে পাঠালাম বা জরিমানা আদায় করলাম
অথবা এধরনের কোন খারাপ চিন্তা ফিকির করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
★ ক্ষমতাশীল বা তাদের হুকুম বাস্তবায়ন কারীদের সহযোগিতা/ সমর্থন করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের অপেক্ষায়...
ইনশাআল্লাহ
চলবে....
প্রশ্ন ঃ- আপনি কি ঈমানদার না দাবিদার?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! আমি ঈমানদার।
প্রশ্ন ঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ফিকির করেছেন কি?
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۳۲﴾
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী। উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- আপনার এলাকাতে ১০০% ৪০-৪৫ মেয়ে/ছেলেদের বিয়ের প্রয়োজন আপনি তাদের ব্যাপারে চেষ্টা ফিকির করেছেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- এত পরিমাণ অবিবাহিত কিভাবে বুঝিয়ে বলবেন কি?
উত্তর ঃ-
১) বিয়ের উপযুক্ত ছেলে মেয়ে।
২) পূর্বে বিবাহ হয়েছিল কিন্তু তালাক হয়ে গেছে।
৩) বিধবা স্ত্রী তার বিবাহর প্রয়োজন।
৪) স্ত্রী মৃত্যুবরণ করা স্বামী তার বিবাহর প্রয়োজন।
বিঃদ্রঃ-
এখন হিসাব করুন !
আপনার এলাকায় এ ধরনের ছেলে মেয়ে কতজন?
১০০% ৪০-৪৫ মেয়ে/ ছেলে
বরং একাধিক লোকদের সাথে আলোচনা হয়েছে ,
এরা বলেছে এভাবে হিসাব করলে আরো বেশি হবে।
এখন আপনি আপনার এলাকার জরিপ নিন।
প্রশ্ন ঃ- আপনি মসজিদের খতীব উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা মুসল্লিদের স্পষ্ট করে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া আপনার দায়িত্ব নয় কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- উক্ত দায়িত্ব আপনি পালন করতেছেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- উক্ত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে তা আপনার স্বরণ আছে কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে পারবেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- আল্লাহর দরবারে জবাবদিহির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- উক্ত আয়াতে বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা আছে কি? উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- যদি আপনি সময়সীমা নির্ধারণ করেন উক্ত আয়াতে ব্যপকতা এসেছে আপনি এর উত্তর দিবেন কি?
উত্তর ঃ-
প্রশ্ন ঃ- বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে কি?
উত্তর ঃ- না। বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা যাবে না।
প্রশ্ন ঃ- বিয়ের বয়সের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা না যাওয়ার কারণ কি?
উত্তর ঃ- কুরআন ও হাদীস এ ব্যাপারে কোন সময়সীমা নির্ধারণ করেনি।
প্রশ্ন ঃ- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের শর্ত করা যাবে কি?
উত্তর ঃ- না। 18 বৎসরের শর্ত করা যাবেনা।
প্রশ্ন ঃ- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের শর্ত করলে তার হুকুম কি? উত্তর ঃ- সে কুরআন এর হুকুম পরিবর্তনকারী । আল্লাহ তাআলার অবাধ্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর দুশমন।
প্রশ্ন ঃ - যে কুরআন এর হুকুম পরিবর্তন করে ও আল্লাহ তাআলার অবাধ্য তার হুকুম কি ।
উত্তর ঃ- সে তাগূত।
প্রশ্ন ঃ- আপনি কি জানেন আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ কত বৎসর বয়সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ?
উত্তর ঃ- হ্যাঁ! ছয় বৎসর বয়সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
((প্রশ্ন ঃ- তথাকথিত বঙ্গবন্ধু , বঙ্গমাতা সাথে তার কত সালে হয়েছিল? উত্তর ঃ- ১৯৩৮ সালে।
প্রশ্ন ঃ- বিয়ের সময় বঙ্গমাতার বয়স কত ছিল?
উত্তর ঃ- ৮ বৎসর । অর্থাৎ ৮ বৎসর বয়সে তথাকথিত বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতাকে বিয়ে করেন ।
প্রশ্ন ঃ- আপনি কি উক্ত বিবাহকে অবৈধ বলবেন?
উত্তর ঃ- না। কারন তারা আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। "উইকিপিডিয়া" ))
প্রশ্ন ঃ- ছয় বৎসর বয়স প্রাপ্ত বয়স না অপ্রাপ্ত বয়স ?
উত্তর ঃ- অপ্রাপ্ত বয়স।
প্রশ্ন ঃ- অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ শাদি বৈধ না অবৈধ?
উত্তর ঃ- অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ শাদি বৈধ।
প্রশ্ন ঃ- অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ শাদি বৈধ কেন?
উত্তর ঃ- কুরআন ও হাদীস নিষেধ করেননি, বরং কুরআন ও হাদীস ব্যপকতা বর্ণণা রয়েছে।
প্রশ্ন ঃ- কুরআন ও হাদীসের হুকুমের উপর শর্ত আরোপ করা যাবে কি?
উত্তর ঃ-
★ রাসুল সাঃ আম্মাজান আয়েশা রাঃ বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল মাএ ছয় বৎসর।
* 18 বৎসরের শর্তযুক্ত করে রাসুল সাঃ কে দূষি সাব্যস্ত করলাম/ বা যারা দুষি সাব্যস্ত করেছে তাদের সমর্থন করলাম ,
এরপর ও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার?
ক) যথা:- বাল্যবিবাহর নামে 18 বৎসরের পূর্বে বিবাহর জন্য বাধা সৃষ্টি করলাম/ যারা বাধাসৃষ্টি করেছে তাদের সহযোগীতা করলাম ,
এর মাধ্যমে কুরআনের হুকুম পরিবর্তন করলাম,
কুরআনের হুকুম পরিবর্তনের মাধ্যমে বিধান দাতাদের অন্তর্ভুক্ত হলাম, অর্থাৎ আল্লাহর আসনে বসলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
প্রশ্ন ঃ- أيامي শব্দটির অর্থ কি?
উত্তর ঃ- أيامى শব্দটি أيّم এর বহুবচন। অর্থ প্রত্যেকটি এমন নর ও নারী, যার বিয়ে বর্তমান নেই; একেবারেই বিয়ে না করার কারণে হোক কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের মৃত্যু অথবা তালাকের কারণে হোক।
[দেখুন-বাগভী]
প্রশ্ন ঃ- ( أيامى ) এমন নর ও নারীদের বিয়ে সম্পাদনের জন্য তাদের অভিভাবকদেরকে আদেশ করা হয়েছে। বিয়ে করার প্রতি উৎসাহ দিয়ে বিভিন্ন হাদীসেও নির্দেশ এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘যাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল এমন মহিলাদের পুনরায় বিয়ে দিতে হলে তার সরাসরি স্পষ্টভাষায় মতামত না নিয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না। আর যাদের বিয়ে ইতিপূর্বে হয়নি, তাদের বিয়েতেও অনুমতি নিতে হবে। সাহাবাগণ বললেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল, তার অনুমতি কিভাবে নিবে? তিনি জবাব দিলেনঃ চুপ থাকা। [বুখারীঃ ৫১৩৬, মুসলিমঃ ১৪১৯]
প্রশ্ন হল আপনি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছেন কি?
প্রশ্ন ঃ- ইসলামে বৈরাগ্যপণা আছে কি?
উত্তর ঃ- ইসলামে বৈরাগ্যপণা নেই হাদীসে বর্ণিত আছে আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ের নির্দেশ দিতেন, বৈরাগ্যপনা (অবিবাহিত থাকা) থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করতেন এবং বলতেনঃ ‘যারা স্বামীকে ভালবাসবে এবং বেশি সন্তান জন্ম দেয় এমন মেয়েদের তোমরা বিয়ে কর। কেননা, আমি কেয়ামতের দিন নবীদের কাছে বেশী সংখ্যা দেখাতে পারব।’ [ইবনে হিব্বানঃ ৪০২৮, মুসনাদে আহমাদঃ ৩/১৫৮, ২৪৫]
★ বাল্যবিবাহর নামে বিবাহ বন্দ করে অধিক সন্তান জন্ম দানে বাঁধ সেধে উক্ত হাদীসের বিরোধিতা করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
[২] অর্থাৎ নারীদেরকে বিয়েতে বাধা না দেয়ার জন্য অভিভাবকদের জন্য অপরিহার্য। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামও বলেছেনঃ ‘তোমাদের কাছে যদি কেউ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, তবে তার চরিত্র পছন্দনীয় হলে অবশ্যই বিয়ে সম্পাদন করে দাও। এরূপ না করলে দেশে বিপুল পরিমাণে অনর্থ দেখা দেবে।’ [তিরমিযীঃ ১০৮৪, ১০৮৫]
★ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত হাদীস অনুসারে ছেলে পক্ষ, মেয়ে পক্ষ বিয়ে ঠিক করল,
আমি ক্ষমতায় বসে উক্ত হাদীসের বিরোধিতা করে তাদের জন্য জেল জরিমানা ইত্যাদির ব্যবস্থা করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
★ ক্ষমতাশীলদের অধিনে চাকরি করে তাদের হুকুমে গ্রেফতার করে জেলে পাঠালাম বা জরিমানা আদায় করলাম
অথবা এধরনের কোন খারাপ চিন্তা ফিকির করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
★ ক্ষমতাশীল বা তাদের হুকুম বাস্তবায়ন কারীদের সহযোগিতা/ সমর্থন করলাম
এরপরও কি আমি ঈমানদার/ দাবিদার ?
উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের অপেক্ষায়...
ইনশাআল্লাহ
চলবে....