Announcement

Collapse
No announcement yet.

★ আমি কি ঈমানদার না দাবিদার★ (4)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ★ আমি কি ঈমানদার না দাবিদার★ (4)

    ★ আমি কি ঈমানদার না দাবিদার?★(৪)

    প্রশ্ন ঃ- আমি কি ঈমানদার না দাবিদার?
    وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی

    الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ﴿۳﴾

    আর যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের ব্যাপারে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দু’টি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি অথবা তোমাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে। এটা অধিকতর নিকটবর্তী যে, তোমরা যুলম করবে না।

    [১] এ আয়াতে ইয়াতীম মেয়েদের বৈবাহিক জীবনের যাবতীয় অধিকার সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সাধারণ আইন-কানুনের মত তা শুধু প্রশাসনের উপর ন্যস্ত করার পরিবর্তে জনসাধারণের মধ্যে আল্লাহ-ভীতির অনুভূতি জাগ্রত করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, যদি ইনসাফ করতে পারবে না বলে মনে কর, তাহলে ইয়াতীম মেয়েদেরকে বিয়ে করবে না; বরং সে ক্ষেত্রে অন্য মেয়েদেরকেই বিয়ে করে নেবে। এ কথা বলার সাথে সাথে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে ইয়াতীম ছেলে-মেয়েদের কোন প্রকার অধিকার ক্ষুন্ন না হয় সে ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    [২] জাহেলিয়াত যুগে ইয়াতীম মেয়েদের অধিকার চরমভাবে ক্ষুন্ন করা হত। যদি কোন অভিভাবকের অধিনে কোন ইয়াতীম মেয়ে থাকত আর তারা যদি সুন্দরী হত এবং তাদের কিছু সম্পদ-সম্পত্তিও থাকত, তাহলে তাদের অভিভাবকরা নামমাত্র মাহ্‌র দিয়ে তাদেরকে বিয়ে করে নিত অথবা তাদের সন্তানদের সাথে বিয়ে দিয়ে সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চক্রান্ত করত। এসব অসহায় মেয়েদের পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থার কথা তারা চিন্তাও করত না।
    আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ঠিক এ ধরণের একটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। ‘জনৈক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে একটি ইয়াতীম মেয়ে ছিল। সে ব্যক্তির একটি বাগান ছিল, যার মধ্যে উক্ত ইয়াতীম বালিকাটিরও অংশ ছিল। সে ব্যক্তি উক্ত মেয়েটিকে বিয়ে করে নিল এবং নিজের পক্ষ থেকে ‘দেন-মাহ্‌র’ আদায় তো করলই না, বরং বাগানে মেয়েটির যে অংশ ছিল তাও সে আত্মসাৎ করে নিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়’। [বুখারীঃ ৪৫৭৩]

    অন্য বর্ণনায় এসেছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তখনকার দিনে কারও কাছে কোন ইয়াতীম থাকলে এবং তার সম্পদ ও সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করলে সে তাকে বিয়ে করতে চাইত। তবে তাকে অন্যদের সমান মাহ্‌র দিতে চাইত না। তাই তাদের মাহ্‌র পূর্ণ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের না দিয়ে বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে কোন প্রকার ক্রটি করার ইচ্ছা থাকলে তাদের বাদ দিয়ে অন্যান্য মহিলাদের বিয়ে করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [বুখারীঃ ৪৫৭৪]
    তবে এর অর্থ এই নয় যে, অন্যান্য নারীদের বেলায় ইনসাফ বিধান করা লাগবে না। বরং অন্যান্য নারীদের বেলায়ও তা করতে হবে। [আত-তাফসীরুস সহীহ]

    প্রশ্ন ঃ- একাধিক বিবাহ করা যাবে কি?
    উত্তর ঃ- বহু-বিবাহ প্রথাটি ইসলামপূর্ব যুগেও দুনিয়ার প্রায় সকল ধর্মমতেই বৈধ বলে বিবেচিত হত। আরব, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইরান, মিশর, ব্যাবিলন প্রভৃতি দেশেই এই প্রথার প্রচলন ছিল। বহু-বিবাহের প্রয়োজনীয়তার কথা বর্তমান যুগেও স্বীকৃত।

    প্রশ্ন ঃ- একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীদের অনুমতি নিতে হবে কি?
    উত্তর ঃ- না। নিতে হবে না।

    প্রশ্ন ঃ- স্ত্রীদের থেকে অনুমতি নিতে হবে না কেন?
    উত্তর ঃ-
    ১) কুরআনের আয়াত ব্যপক হওয়ার কারনে।
    ২) প্রয়োজন পুরুষদের মহিলাদের না।

    প্রশ্ন ঃ- এক স্ত্রীর মাধ্যমে চাহিদা পূরণ না হলে করণীয় কি?
    উত্তর ঃ- এ সকল লোকদেরকে বিবাহর জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।

    প্রশ্ন ঃ- কুরআন অনুযায়ী সমাজ গড়বে না কুরআন পরিবর্তন করবে? উত্তর ঃ- বাস্তবে যে মুমিন, সে কুরআন অনুযায়ী নিজেও গড়বে এবং সমাজ ও গড়াবে।

    বর্তমান যুগে ইউরোপের এক শ্রেণীর চিন্তাবিদ বহু-বিবাহ রহিত করার জন্য তাদের অনুসারীদেরকে উদ্ভুদ্ধ করে আসছেন বটে, কিন্তু তাতে কোন সুফল হয়নি। বরং তাতে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফল রক্ষিতার রূপে প্রকাশ পেয়েছে। অবশেষে প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক ব্যবস্থারই বিজয় হয়েছে। তাই আজকে ইউরোপের দূরদর্শী চিন্তাশীল ব্যাক্তিরা বহু-বিবাহ পুনঃপ্রচলন করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করছেন।

    প্রশ্ন ঃ- একই সাথে কয়জন স্ত্রী রাখা বৈধ?
    উত্তর ঃ- একই সাথে চারজন স্ত্রী রাখা বৈধ।

    প্রশ্ন ঃ- একই সাথে চারের অধিক স্ত্রী রাখা অবৈধ কেন?
    উত্তর ঃ- ইসলাম একই সময়ে চারের অধিক স্ত্রী রাখাকে হারাম ঘোষণা করেছে। ইসলাম এ ক্ষেত্রে ইনসাফ কায়েমের জন্য বিশেষ তাকিদ দিয়েছে এবং ইনসাফের পরিবর্তে যুলুম করা হলে তার জন্য শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে।

    আলোচ্য আয়াতে একাধিক অর্থাৎ চারজন স্ত্রী গ্রহণ করার সুযোগ অবশ্য দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে এই চার পর্যন্ত কথাটি আরোপ করে তার উর্ধ্ব সংখ্যক কোন স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে না বরং তা হবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ -তাও ব্যক্ত করে দিয়েছে।

    প্রশ্ন ঃ- ইসলাম এর পূর্বে চারের অধিক স্ত্রী রাখতো কি?
    উত্তর ঃ- ইসলাম পূর্ব যুগে কারও কারও দশটি পর্যন্ত স্ত্রী থাকত। ইসলাম এটাকে চারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে।

    কায়েস ইবন হারেস বলেন, ‘আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন আমার স্ত্রী সংখ্যা ছিল আট।
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসলে তিনি আমাকে বললেন, ‘এর মধ্য থেকে চারটি গ্রহণ করে নাও’। [ইবন মাজাহ: ১৯৫২, ১৯৫৩]

    প্রশ্ন ঃ- একাধিক বিবাহ কয়টি পর্যন্ত বৈধ কোন সময় ?
    উত্তর ঃ- পবিত্র কুরআনে চারজন স্ত্রীর কথা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সাথে সাথে এও বলে দেয়া হয়েছে যে, যদি তোমরা তাদের মধ্যে সমতার বিধান তথা ন্যায় বিচার করতে না পার, তাহলে এক স্ত্রীর উপরই নির্ভর কর। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, একাধিক বিয়ে ঠিক তখনই বৈধ হতে পারে, যখন শরী’আত মোতাবেক সবার সাথে সমান আচরণ করা হবে; তাদের সবার অধিকার সমভাবে সংরক্ষণ করা হবে। এ ব্যাপারে অপারগ হলে এক স্ত্রীর উপরই নির্ভর করতে হবে এবং এটাই ইসলামের নির্দেশ। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক স্ত্রীর বেলায় সবার সাথে পরিপূর্ণ সমতার ব্যবহার করার ব্যাপারে বিশেষ তাকিদ দিয়েছেন এবং যারা এর খেলাফ করবে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তির খবর দিয়েছেন। নিজের ব্যবহারিক জীবনেও তিনি এ ব্যাপারে সর্বোত্তম আদর্শ স্থাপন করে দেখিয়েছেন। এমনকি তিনি এমন বিষয়েও সমতাপূর্ণ আদর্শ স্থাপন করেছেন যে ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন ছিল না।

    প্রশ্ন ঃ- একাধিক স্ত্রী হলে তাদের মাঝে সমতা রক্ষা করতে হবে কি? উত্তর ঃ- হ্যাঁ!
    তাদের মাঝে সমতা রক্ষা করতে হবে।

    প্রশ্ন ঃ- যদি একাধিক স্ত্রীর মাঝে সমতা রক্ষা না করে তাহলে কোন সমস্যা হবে কি?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ! তার শরীরের এক পার্শ্ব অবশ হয়ে থাকবে।

    এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ ‘যে ব্যক্তির দুই স্ত্রী রয়েছে, সে যদি এদের মধ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমতা ও ইনসাফ করতে না পারে, তবে কিয়ামতের ময়দানে সে এমনভাবে উঠবে যে, তার শরীরের এক পার্শ্ব অবশ হয়ে থাকবে’। [আবু দাউদঃ ২১৩৩, তিরমিযীঃ ১১৪১, ইবন মাজাহঃ ১৯৬৯, আহমাদঃ ২/৪৭১]

    প্রশ্ন ঃ- কোন এক স্ত্রীর প্রতি যদি আন্তরিক আকর্ষণ বেশী হয় তাহলে কোন সমস্যা হবে কি?
    উত্তর ঃ- এ সূরার ১২৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, কোন এক স্ত্রীর প্রতি যদি তোমার আন্তরিক আকর্ষণ বেশী হয়ে যায়, তবে সেটা তোমার সাধ্যায়ত্ব ব্যাপার নয় বটে, কিন্তু এ ক্ষেত্রেও অন্যজনের প্রতি পরিপূর্ণ উপেক্ষা প্রদর্শন করা জায়েয হবে না।

    প্রশ্ন ঃ- যদি স্ত্রীদের মাঝে ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করতে না পারার আশংকা থাকে তাহলে কি করবে?
    উত্তর ঃ- সূরা আন-নিসার এ আয়াতে ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করতে না পারার আশংকার ক্ষেত্রে এক বিয়েতেই তৃপ্ত থাকার নির্দেশ রয়েছে।

    প্রশ্ন ঃ- এক স্ত্রীর উপর সিমাবন্ধ কোন সময় থাকতে হবে?
    উত্তর ঃ- [৫] এতে দু’টি শব্দ রয়েছে। একটি (اَدْنٰى) এটি (دُنُوٌّ) ধাতু থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ হয় নিকটতর। দ্বিতীয় শব্দটি হচ্ছেঃ (لَاتَعُوْلُوْا) যা (عال) শব্দ হতে উৎপন্ন, অর্থ ঝুঁকে পড়া। এখানে শব্দটি অসংগতভাবে ঝুঁকে পড়া এবং দাম্পত্য জীবনে নির্যাতনের পথ অবলম্বন করা অর্থে ব্যবহৃত করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, এ আয়াতে তোমাদের যা বলা হল যে, সমতা বজায় রাখতে না পারার আশংকা থাকলে এক স্ত্রী নিয়েই সংসারযাত্রা নির্বাহ কর কিংবা শরীআতসম্মত ক্রীতদাসী নিয়ে সংসার কর; -এটা এমন এক পথ যা অবলম্বন করলে তোমরা যুলুম থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। বাড়াবাড়ি বা সীমালংঘনের সম্ভাবনাও দূর হবে। (تَعُوْلُوْا) শব্দের দ্বিতীয় আরেকটি অর্থ হতে পারে মিসকীন হয়ে যাওয়া। এর সপক্ষে সূরা আত-তাওবার ২৮ নং আয়াতে (عَيْلَةً) শব্দটি এসেছে। সেখানে শব্দটির অর্থ করা হয়েছে দারিদ্রতা। ইমাম শাফে’য়ী বলেন, এর অর্থ, যাতে তোমাদের পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি না পায়। [ফাতহুল কাদীর]

    প্রশ্ন ঃ- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়টি বিবাহ করেছেন?
    উত্তর ঃ- ১১ টি বিবাহ?

    প্রশ্ন ঃ- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১১ টি বিবাহ কেন করেছেন?
    উত্তর ঃ-
    ১) প্রয়োজন হওয়ার কারণে করেছেন।
    ২) আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা জন্য।
    ৩) গুনাহ মুক্ত সুন্দর জীবন যাপনের জন্য।

    প্রশ্ন ঃ- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বহু বিবাহের কিছু ফজিলত বলবেন কি?
    উত্তর ঃ- হ্যাঁ!
    1)
    ★★
    ১) খাদিজা বিনতু খুওয়াইলিদ বনু আসাদ বিধবা ২৫–৪০ প্রথম বিয়ে এবং নবুয়াত প্রাপ্তির আগে একমাত্র বিয়ে ৫৯৫ ৬১৯ তিনি তাঁর সাথে ২৫ বছর ছিলেন। ৬১৯ সালে খাদিজার মৃত্যুর পর,[৩] মুহাম্মাদ তার জীবনের অবশিষ্ট বছরগুলিতে অন্যান্য বিবাহ গুলো সংঘঠিত হয়।

    বিঃদ্রঃ-
    যারা বলে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী লোভী ছিলেন, তাদের কথা মিথ্যা, বানোয়াট।
    কারন-
    ১) খাদিজা রাঃ বিধবা ছিলেন, কুমারী ছিলেন না। নারী লোভী হলে তিনি একজন বিধবা দিয়ে যৌবনের ২৫টি বৎসর কাটিয়ে দিতেন না। ২) যদি তিনি নারী লোভী হতেন, তাহলে যৌবনকালে তার জন্য কুমারী নারীর অভাব ছিল না।
    ৩) অন্যান্য বিবাহ গুলো হয়েছে খাদিজা রাঃ মৃত্যুর পর, জিবদ্ধশাই নয়। ইত্যাদি
    এসকল অবস্থাগুলোই স্পষ্ট যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী লোভী ছিলেন না।

    2)
    ★★ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে

    ৩) আয়েশা বিনতু আবু বকর বনু তাইম কুমারী ৯ (মতান্তর: বিয়ের সময় আয়েশার বয়স) মুহাম্মাদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আবু বকর তার মেয়েকে বিয়ে দেন। ৬২২ মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর

    ৪) হাফসা বিনতে উমর বনু আদি বিধবা উমরের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে তার মেয়েকে ৬২৪–৬২৫ মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর


    3)
    ★★ সাহায্যের জন্য,

    ২) সাওদা বিনতে জামআ বনু আব্দু শাম্‌স বিধবা ৬৫ বৃদ্ধ, গরিব এবং বিধবা; আবিসিনিয়া হিজরতের পর ৬১৯-এর পরপর মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর

    ৬) উম্মে সালামা হিন্দ বিনতু আবি উমাইয়া বনু উমাইয়া উহুদ যুদ্ধে বিধবা হন প্রায় ৬৫ সাহায্যের জন্য, ৪ জনের জননী ছিলেন ৬২৬ মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর

    ১০) রামালাহ বিনতে আবি সুফিয়ান বনু উমাইয়া আবু সুফিয়ানের কন্যা। প্রথম উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া'র বোন। তালাকপ্রাপ্ত, তার স্বামী আবিসিনিয়ায় খ্রিস্টান হয়ে যায়। সাহায্য ৬২৯ মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর

    4)
    ★★ মা মালাকাত আইমানুকুম-এর আওতায়

    ৯) জুওয়াইরিয়া বিনতে আল-হারিস বনু মুস্তালিক বিধবা; মা মালাকাত আইমানুকুম-এর আওতায়। ৬২৭–৬২৮ মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর

    ১১) সাফিয়া বিনতে হুওয়াই বনু নাদির বিধবা; মা মালাকাত আইমানুকুম-এর আওতায়। ৬২৯ মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর


    5)

    ★★ আরবদের প্রথা ছিল পালক পুত্র নিজ পুত্রের মত, পালক পুত্র নয় এ প্রথা রহিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা স্বয়ং রাসূলের সাথে তার বিবাহ পড়িয়ে দিলেন।

    ৮) জয়নব বিনতে জাহশ তালাকপ্রাপ্ত এবং বিধবা ৬২৫–৬২৭ মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর
    (উইকিপিডিয়া) 33:37

    وَ اِذۡ تَقُوۡلُ لِلَّذِیۡۤ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِ وَ اَنۡعَمۡتَ عَلَیۡہِ اَمۡسِکۡ عَلَیۡکَ زَوۡجَکَ وَ اتَّقِ اللّٰہَ وَ تُخۡفِیۡ فِیۡ نَفۡسِکَ مَا اللّٰہُ مُبۡدِیۡہِ وَ تَخۡشَی النَّاسَ ۚ وَ اللّٰہُ اَحَقُّ اَنۡ تَخۡشٰہُ ؕ فَلَمَّا قَضٰی زَیۡدٌ مِّنۡہَا وَطَرًا زَوَّجۡنٰکَہَا لِکَیۡ لَا یَکُوۡنَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ حَرَجٌ فِیۡۤ اَزۡوَاجِ اَدۡعِیَآئِہِمۡ اِذَا قَضَوۡا مِنۡہُنَّ وَطَرًا ؕ وَ کَانَ اَمۡرُ اللّٰہِ مَفۡعُوۡلًا ﴿۳۷﴾
    আর স্মরণ কর, আল্লাহ যার উপর নিআমত দিয়েছিলেন এবং তুমিও যার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলে, তুমি যখন তাকে বলেছিলে ‘তোমার স্ত্রীকে নিজের কাছে রেখে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর’। আর তুমি অন্তরে যা গোপন রাখছ আল্লাহ তা প্রকাশকারী এবং তুমি মানুষকে ভয় করছ অথচ আল্লাহই অধিকতর হকদার যে, তুমি তাকে ভয় করবে; অতঃপর যায়েদ যখন তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, যাতে পালক পুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে; যখন তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে বিবাহসম্পর্ক ছিন্ন করে।* আর আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়ে থাকে।*

    فَلَمَّا قَضَىٰ زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا এর আভিধানিক অর্থ হল: তার (স্ত্রীর) ব্যাপারে যায়েদের প্রয়োজন যখন শেষ হল। ভাবার্থ হল: বিয়ের প্রয়োজনীয়তা শেষে যায়েদ যখন তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিল। যায়েদ ইবন হারিসা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাস ছিলেন; আল্লাহ ইসলামের পথে হিদায়াত দানে তার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মুক্ত করে পালক পুত্র ঘোষণা দিয়ে তার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলেন। যায়েদ বিয়ে করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফুফাতো বোন যয়নব বিন্‌ত জাহশকে। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় যায়েদ যয়নবকে তালাক দেন। পরে আল্লাহর নির্দেশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যয়নবকে বিয়ে করেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা পালক পুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে বিয়ে করার ব্যাপারে সামাজিক নিষেধাজ্ঞা দূরীভূত করেন।

    প্রশ্ন ঃ- জয়নব বিনতে জাহশ রাঃ বিবাহ কিভাবে হয়েছে কিছু বলবেন কি?
    উত্তর ঃ- আসমানে হয়েছে স্বয়ং আল্লাহ নিজেই সম্পন্ন করেদেন।
    [৪] অর্থাৎ আপনার সাথে তার বিয়ে স্বয়ং আমরা সম্পন্ন করে দিয়েছি। এর ফলে একথা বোঝা যায় যে, এ বিয়ে স্বয়ং আল্লাহ নিজেই সম্পন্ন করে দেয়ার মাধ্যমে বিয়ে-শাদীর সাধারণভাবে প্রচলিত শর্তাবলীর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে এ বিয়ের প্রতি বিশেষ মর্যাদা আরোপ করেছেন। [তাবারী; বাগভী]

    এগুলো জানার পর ও নানাধরনের মন্তব্য করলাম
    এরপর ও কি আমি/আমরা ঈমানদার না দাবিদার?

    প্রশ্ন ঃ- বহু বিবাহে কোন ফায়দা আছে কি?
    উত্তর ঃ- অনেক ফায়দা রয়েছে।
    ১) শারীরিক প্রয়োজন মিটানো।
    ২) গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সুন্দর ব্যবস্তা।
    ৩) আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা।
    ৪) পতিতাবৃত্তি ও পাপাচারের পথ বন্ধের সহযোগিতা করা।

    এগুলো স্পষ্ট হওয়ার পর ও বিবাহিত পুরুষের নিকট নিজের মেয়ে বা বোনকে বিবাহ দিতে অপছন্দ, ঘৃণা বা অস্বীকার করলাম
    এরপর ও কি আমি/আমরা ঈমানদার না দাবিদার?

    বিধবা, অসহায়, এতিম, গরীবদের বিবাহর মাধ্যমে সহযোগিতা না করে সামর্থ্য থাকার পরও এভাবেই থাকলাম বা গুনাহের দিকে ধাবিত হলাম এরপর ও কি আমি/ আমরা ঈমানদার না দাবিদার?

    চলবে ইনশাআল্লাহ .....
Working...
X