Announcement

Collapse
No announcement yet.

"সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" ভাইস ভার্সায় গ্লোবাল জিহাদ!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" ভাইস ভার্সায় গ্লোবাল জিহাদ!

    আজ দুটি মাস হয়ে গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের।
    ন্যাটো কিংবা আমেরিকাকে আমরা ইউক্রেনকে অস্ত্র প্রদান এবং দর্শকের ভূমিকা পালন ছাড়া আর কিছুই করতে দেখিনি।

    অথচ সোভিয়েত ইউনিয়নের ধ্বংসস্তূপ থেকে রাশিয়ায় পুনরুত্থান ঘটিয়ে ইউক্রেন আক্রমণ এত সহজ ছিল না, কারণ এটা সরাসরি মার্কিন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ।

    আমেরিকা অবশ্যই যুদ্ধে অংশ নিত, এটা একদম নিশ্চিত, কিন্তু অংশ কিভাবে নেবে?

    তার গোড়া যে ঘুণে কেটে দিয়েছে! . এই ঘুণটাই হলো "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" ভাইস ভার্সায় গ্লোবাল জিহাদ!

    আমেরিকার যা আয় হতো তার সবই খরচ হয়ে যেতো আল কায়েদা ও তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে,

    ফলে পূর্ব ইউরোপে বিনিয়োগ করে রাশিয়াকে ঠেকানো কিংবা ইন্দোচীন এরিয়ায় বিনিয়োগ করে চীনের দিকে তাকানোর মত কোন সুযোগ তার হয়নি।

    . কারণ তখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত!
    প্রথম এগারো বছরের যুদ্ধের পর আমেরিকা বুঝতে পারলো আফগানিস্তান ও ইরাকে তার ফাঁদে পড়ার সুযোগে পূর্ব ইউরোপের পাশে এবং দূরপ্রাচ্যে চীন সাগরে তাকে কম্পিট করার মতো দুটি শক্তি জেগে উঠেছে।


    . দীর্ঘদিন পরে আমেরিকা যখন এটা বুঝতে পারে ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে!

    ২০১২ সালে হিলারি ক্লিনটন বললো, "আমরা এখন আমাদের অর্থ চীন সাগরে বিনিয়োগ করবো!"

    একই বছর আমেরিকায় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বারাক ওবামা তার এশিয়া সফর অফ করে দেয়।


    আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দা শুধু সে একাই ভোগ করেনি, তার ওপর নির্ভরশীল বহু রাষ্ট্রের ওপর তার প্রভাব পড়ে।


    . চীনকে ঠেকানোর চিন্তায় ২০১২ সালে হিলারি বাংলাদেশে এসে বঙ্গোপসাগরে তার ৭ম নৌবহর স্থাপন করতে চায়,

    কিন্তু চিন ভারতের বিরোধিতায় হয়নি


    . এরপরে আমেরিকা খুব দ্রুত তালিবান ও আল কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

    ইরাক থেকে দ্রুত সেনা সরিয়ে নিতে থাকে। কিন্তু প্যাঁচে পরে আফগান নিয়ে। তালিবানরা বললো, "কোথায় যাচ্ছ! ঘড়ি থাকবে তোমাদের হাতে আর সময় চলবে আমাদের হুকুমে!" এর মধ্যে উত্থান ঘটে আইএসের।

    এভাবেই ওবামার প্রশাসন পার হয়ে যায়।

    . ট্রাম্প এসে তালেবানকে পরাজিত করার নতুন চারদফা পলিসি হতে নেয়। বিমান হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সেও বুঝতে পারে এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি বের হওয়া যায় ততই কল্যাণ।

    . আমেরিকা বের হতে পারলেও সে যে নতুন করে আবার ইউক্রেন যুদ্ধে অপেনলি জড়াবে এই মনোবল ও চালিয়ে সামর্থ্য আর নেই।

    . আল কায়েদা খুব সহজে এর উদাহরণ দিয়েছিল, আমেরিকাকে সাপের গর্তে লুকিয়ে গোটা বিশ্বকে শাসন করছে।

    পৃথিবীর যেখানে যুদ্ধ হোক আমেরিকা অক্ষত থাকে।

    তার মেইন ল্যান্ডে পৌঁছা যায় না। এজন্য সাপের গর্ত তথা তার মেইন ভূখণ্ড থেকে তাকে টেনে এনে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধে জড়িয়ে ফেললে এক পর্যায়ে তার যুদ্ধ করার সক্ষমতা এবং বাইরের দেশগুলোতে আগ্রাসন চালানোর ক্ষমতা লুপ্ত হয়ে যাবে।

    আর একবার যদি আমেরিকার ক্ষমতা লুপ্ত হয়ে যায় তাহলে স্থানীয় তাগুতগুলোকে পরাজিত করে ইসলামী শরিয়াহ প্রতিষ্ঠিত সহজ হয়ে যাবে।

    কারণ স্থানীয় ত্বাগুতগুলোও আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল।

    অর্থাৎ কাশ্মীর কিংবা বাংলাদেশের জিহাদের সফলতাটাও আমেরিকার সক্ষমতার উপর নির্ভরশীল

    কারণ ভারত কিংবা বাংলাদেশের তাগুত rab-cttc কে প্রশিক্ষণ ও প্রচুর পরিমাণে অর্থের যোগান দিয়ে থাকে আমেরিকা ও ইউরোপ!

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন
Working...
X