Announcement

Collapse
No announcement yet.

দুটি বিজয় যেখানে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) স্বপ্নে অগ্রিম সুসংবাদ দিয়েছিলেন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দুটি বিজয় যেখানে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) স্বপ্নে অগ্রিম সুসংবাদ দিয়েছিলেন

    ১/ ৯২ হিজরি (৭১১ খ্রিষ্টাব্দ)। সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদের নেতৃত্বে একদল মুজাহিদ বাহিনী ছুটে চলেছেন স্পেনের দিকে। তারা সংখ্যায় ছিলেন স্বল্প। কিন্তু বুকে ছিল অদম্য সাহস আর আত্ববিশ্বাস। দুনিয়ার কোনো পরাশক্তি বা অপশক্তি যাদেরকে দমাতে পারে না।

    তারা সমুদ্রপথে যাত্রা করছিলেন। পথিমধ্যে তারিক বিন যিয়াদ ঘুমিয়ে পড়েন। অতঃপর স্বপ্নে দেখলেন, রাসুলে কারিম(ﷺ) খোলাফায়ে রাশিদিন ও একদল সাহাবি নিয়ে তির-তলোয়ারে সজ্জিত হয়ে সমুদ্রের উপর দিয়ে এই দিকেই আসছেন। নবি(ﷺ) যখন তারিক বিন যিয়াদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন তখন তাকে লক্ষ্য করে বললেন— “তারিক, এগিয়ে যাও।“ এ কথা বলেই নবি(ﷺ) ও তাঁর সাথীগণ সাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনে প্রবেশ করেন।

    জেগে উঠলেন তারিক বিন যিয়াদ। খুলে গেল দুচোখ। তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা থেকে যেন স্বর্গীয় জ্যোতি ঠিকরে পড়ছে। আজ তিনি আনন্দে আত্মহারা। কারণ, বিজয়ের অগ্রিম সুসংবাদ যে পেয়েই গেছেন। সঙ্গে থাকা মুজাহিদ বাহিনীকেও তা শুনালেন। সুসংবাদ শুনে তাদের শক্তি, সাহস ও আত্ববিশ্বাস এতোই বেড়ে গেল যে, তাদের সামনে সুউচ্চ হিমালয়-পর্বতও মাথা নোয়াতে বাধ্য। অবশেষে মহান আল্লাহর সাহায্যে ঠিকই তারা স্পেনে ইসলামের বিজয় কেতন উড়ালেন।

    ২/ ৫৬৫ হিজরি সনে (১১৬৯ খ্রিষ্টাব্দে) ক্রসেডাররা দিমইয়াত অবরোধ করে ফেলে। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত ও সংঘাতের পর একটা সময় তারা অবরোধ উঠাতে বাধ্য হয়। যে রাতে খ্রিষ্টান বাহিনী অবরোধ সরায় সে রাতে মানসুরা দুর্গের আবু দারদা মসজিদের ইমাম নবি(ﷺ) কে রাতে স্বপ্নে দেখলেন। নবীজি(ﷺ) স্বপ্নযোগে তাকে বললেন, “নুরুদ্দিনকে ( সুলতান নুরুদ্দিন জিনকিকে ) আমার সালাম বলো এবং তাকে সুসংবাদ জানিয়ে দিয়ো যে, ফিরিঙ্গিরা দিমইয়াত থেকে চলে গেছে।" (ইমাম বলেন) আমি বললাম— আল্লাহর রাসূল, সংবাদ প্রদানের সময় আমি প্রমাণস্বরূপ কী নিদর্শন পেশ করব? নবীজি(ﷺ) উত্তর দিলেন, হারিম দুর্গ বিজয়ের দিন সে যে সিজদা করেছিল, তা প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করবে। সিজদায় সে বলেছিল— "হে আল্লাহ, কুকুর মাহমুদ কে! আপনি আপনার দ্বীনকে সাহায্য করুন।"

    নুরুদ্দিন যখন আবু দারদা মসজিদে ফজর নামাজ আদায় করতে উপস্থিত হলেন, তখন ইমাম সাহেব তাকে সুসংবাদ জানালেন এবং নিদর্শন সম্পর্কেও অবগত করলেন। স্বপ্নের বৃত্তান্ত বর্ণনা করতে গিয়ে যখন ‘কুকুর মাহমুদ কে !’— কথাটির প্রসঙ্গ এলো, তখন ইমাম সাহেব তা উচ্চারণ করতে বিব্রতবোধ করছিলেন। নুরুদ্দিন জিনকি তাকে বললেন— বলুন, আল্লাহর রাসূল(ﷺ) আপনাকে যা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন তা বলুন। এরপর ইমাম সাহেব বাকি বৃত্তান্তও উল্লেখ করলেন। নুরুদ্দিন বললেন, আপনি সত্য বলেছেন। এরপর সুলতান নুরুদ্দিন জিনকি আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।


  • #2
    এখন কি কেউ আমাদের মধ্যে কোন বিজয়ের স্বপ্ন দেখে! আল্লাহর রাসুলের সম্মতির বিজয়-বিপ্লব।মুসলমানদের সেই দিনগুলো! সময়ে আমাদের কাছে রূপ কথা হয়ে গেছে। বোন আফিয়া । ইরাক-সিরিয়া-গাজায় শিশু-বৃদ্ধ, মা-মেয়ে, ভাই-বোন।অপমান। নির্যাতন। যায়নিষ্টদের অস্ত্রের আঘাত। আমরা মুসলমানরা। আমাদের গায়রত। কাফেরদের ফেলা বোমা গুলো আল্লাহর অনুমতি ক্রমেই আপন ধর্মের আচরণ করে। বিস্ফোরিত হয়। ফুলের মত শিশুদের ছোট ছোট শরীর গুলো দেয়ালে চেপ্টে যায়। লটকে থাকে ওয়ালে।

    আমরা আমাদের ধর্ম
    ইসলাম পালন করলে হয়ত কাফেরদের ফেলা বোমা গুলো আল্লাহর কাছে আপন ধর্ম ত্যাগের অনুমতি প্রার্থনা করার একটা অজুহাত খুঁজে পেত।

    সত্যিই গাফফার আল্লাহ অনেক ক্ষমাশীল। ধৈর্যশীল। রহমান এবং রাহিম।
    একজন নিরপরাধ মুসলমানের রক্ত ঝরা আল্লাহর কাছে সারা দুনিয়া ধ্বংস হইয়ে যাবার চাইতে বেশি গুরুত্ব রাখে।

    অথচ কালকের দিনটার ব্যাপারে আমরা আজাবে আক্রান্ত না হয়ে পার করে দেবার ব্যাপারে আল্লাহর উপরই ভরসা করি। যদি ও তার ওয়াদা সত্য বলি। তার সক্ষমতাকে আমাদের (মুসলমান দাবিদারদের) এ আচরণ চ্যালেঞ্জ করে।আমার মত হিপোক্র্যাটদের ছাড় দেবার ব্যাপারে তার উপর আমরা আশাবাদী ।
    আল্লাহ আমাদের (আপাত মানুষের) গায়রাত জাগিয়ে তুলুক। আল্লাহ আমাদের মুসলমান হিসেবে কবুল করুক।আল্লাহ আমাদের মুসলমান না বানিয়ে দুনিয়া থেকে না নিক।
    ইরাক-সিরিয়া-গাজা
    -​আফগানিস্তান - আফ্রিকা -ফিলিপাইন -ভারত -আন্দালুসিয়া-চিনের মজলুম মুসলমানের অসহায় আর্তনাদ ,রক্ত ঋণ আর চোখের পানির জবাব- অস্ত্রের ভাষায় না দেয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তি নাই। আমাদের হাড্ডি হাড্ডি মাটির সাথে মিশে যেতে পারে কিন্তু আল্লাহ হক- আল্লাহর ওয়াদা হক।
    দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তাআলা আবারও মুসলিম উম্মাহকে সেই বিজয়ের ধারায় ফিরিয়ে দিন, আমিন

      Comment

      Working...
      X