সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
হযরত ইকরামা (রাঃ) এর শাহাদাত
হযরত সাবেত বানানী (রাঃ) বলেন, হযরত ইকরামা ইবনে আবি জাহল (রাঃ) (ইয়ারমূকের) যুদ্ধের দিন শাহাদাতের আকাঙ্খায় সওয়ারী হইতে নামিয়া পায়দল চলিতে আরম্ভ করিলেন। হযরত খালেদ ইবনে ওলীদ (রাঃ) তাহাকে বলিলেন, হে ইকরামা, এমন করিও না, কারণ তোমার শহীদ হইয়া যাওয়া মুসলমানদের জন্য কঠিন জিনিস হইবে। হযরত ইকরামা (রাঃ) বলিলেন, হে খালেদ, আমাকে ছাড়িয়া দাও। কেননা তুমি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত থাকিয়া ইসলাম প্রচারের অনেক সুযোগ পাইয়াছ। আমি ও আমার পিতা আমরা উভয়ে লোকদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সর্বাপেক্ষা বিরোধী ছিলাম এবং তাহাকে সর্বাপেক্ষা অধিক কষ্ট দিতাম। এই বলিয়া ইকরামা (রাঃ) পায়দল অগ্রসর হইলেন এবং শহীদ হইয়া গেলেন। (কানয)
হযরত আবু ওসমান গাসসানী (রাঃ) এর পিতা বলেন, ইয়ারমূকের যুদ্ধের দিন হযরত ইকরামা ইবনে আবি জাহল (রাঃ) বলিলেন, আমি বহু ময়দানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছি, তবে কি আজ আমি তোমাদের নিকট পরাজিত হইয়া পলায়ন করিব? অত:পর তিনি উচ্চস্বরে বলিলেন, কে আছে মৃত্যুর উপর বাইআত গ্রহণ করিবে? সুতরাং তাহার চাচা হযরত হারেস ইবনে হেশাম (রাঃ) ও হযরত যেরার ইবনে আযওয়ার (রাঃ) চারশত মুসলমান সর্দার ও অশ্বারোহী সহ বাইআত হইলেন। তাহারা হযরত খালেদ (রাঃ) এর তাঁবুর সম্মুখে প্রচন্ডভাবে যুদ্ধ করিলেন এবং সকলেই অত্যাধিক পরিমাণে আহত হইলেন কিন্তু তাহাদের কেহই নিজ স্থান হইতে সরিলেন না, বরং দৃঢ়পদ থাকিলেন। তাহাদের মধ্য হইতে বিরাট অংশ শাহাদাত বরণ করিলেন। হযরত যেরার ইবনে আযওয়ার (রাঃ) ও শহীদ হইলেন। বিদায়াহ)হযরত সাইফ (রাঃ) এর রেওয়ায়াতেও অনুরুপ বর্ণিত হইয়াছে। তবে উহাতে এরুপ বর্ণিত হইয়াছে যে, সেই চারশত জন মুসলমানের মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক ব্যাতীত অধিকাংশই শহীদ হইয়াছেন। তন্মধ্যে হযরত যেরার ইবনে আযওয়ার (রাঃ) ও ছিলেন। সকালবেলা হযরত ইকরামা ইবনে আবি জাহল (রাঃ) ও তাহার ছেলে হযরত আমর (রাঃ) কে হযরত খালেদ (রাঃ) এর নিকট আনা হইল। তাহারা উভয়ে অত্যাধিক আহত ছিলেন। হযরত খালেদ (রাঃ) হযরত ইকরামা (রাঃ) এর মাথা আপন উরুর উপর ও হযরত আমর (রাঃ) এর মাথা আপন পায়ের গোছার উপর রাখিলেন। তিনি তাহাদের উভয়ের চেহারা পরিষ্কার করিয়া দিতেছিলেন এবং হলকের মধ্যে অল্প অল্প করিয়া পানি দিতেছিলেন আর বলিতেছিলেন, ইবনে হানযালা অর্থাৎ হযরত ওমর (রাঃ) বলিয়াছিলেন, আমরা শহীদ হইব না, তাহা সঠিক নহে। আমাদিগকে আল্লাহ তায়ালা শাহাদাত দান করিয়াছেন। (তাবারী)
হযরত ইকরামা (রাঃ) এর শাহাদাত
হযরত সাবেত বানানী (রাঃ) বলেন, হযরত ইকরামা ইবনে আবি জাহল (রাঃ) (ইয়ারমূকের) যুদ্ধের দিন শাহাদাতের আকাঙ্খায় সওয়ারী হইতে নামিয়া পায়দল চলিতে আরম্ভ করিলেন। হযরত খালেদ ইবনে ওলীদ (রাঃ) তাহাকে বলিলেন, হে ইকরামা, এমন করিও না, কারণ তোমার শহীদ হইয়া যাওয়া মুসলমানদের জন্য কঠিন জিনিস হইবে। হযরত ইকরামা (রাঃ) বলিলেন, হে খালেদ, আমাকে ছাড়িয়া দাও। কেননা তুমি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত থাকিয়া ইসলাম প্রচারের অনেক সুযোগ পাইয়াছ। আমি ও আমার পিতা আমরা উভয়ে লোকদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সর্বাপেক্ষা বিরোধী ছিলাম এবং তাহাকে সর্বাপেক্ষা অধিক কষ্ট দিতাম। এই বলিয়া ইকরামা (রাঃ) পায়দল অগ্রসর হইলেন এবং শহীদ হইয়া গেলেন। (কানয)
হযরত আবু ওসমান গাসসানী (রাঃ) এর পিতা বলেন, ইয়ারমূকের যুদ্ধের দিন হযরত ইকরামা ইবনে আবি জাহল (রাঃ) বলিলেন, আমি বহু ময়দানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছি, তবে কি আজ আমি তোমাদের নিকট পরাজিত হইয়া পলায়ন করিব? অত:পর তিনি উচ্চস্বরে বলিলেন, কে আছে মৃত্যুর উপর বাইআত গ্রহণ করিবে? সুতরাং তাহার চাচা হযরত হারেস ইবনে হেশাম (রাঃ) ও হযরত যেরার ইবনে আযওয়ার (রাঃ) চারশত মুসলমান সর্দার ও অশ্বারোহী সহ বাইআত হইলেন। তাহারা হযরত খালেদ (রাঃ) এর তাঁবুর সম্মুখে প্রচন্ডভাবে যুদ্ধ করিলেন এবং সকলেই অত্যাধিক পরিমাণে আহত হইলেন কিন্তু তাহাদের কেহই নিজ স্থান হইতে সরিলেন না, বরং দৃঢ়পদ থাকিলেন। তাহাদের মধ্য হইতে বিরাট অংশ শাহাদাত বরণ করিলেন। হযরত যেরার ইবনে আযওয়ার (রাঃ) ও শহীদ হইলেন। বিদায়াহ)হযরত সাইফ (রাঃ) এর রেওয়ায়াতেও অনুরুপ বর্ণিত হইয়াছে। তবে উহাতে এরুপ বর্ণিত হইয়াছে যে, সেই চারশত জন মুসলমানের মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক ব্যাতীত অধিকাংশই শহীদ হইয়াছেন। তন্মধ্যে হযরত যেরার ইবনে আযওয়ার (রাঃ) ও ছিলেন। সকালবেলা হযরত ইকরামা ইবনে আবি জাহল (রাঃ) ও তাহার ছেলে হযরত আমর (রাঃ) কে হযরত খালেদ (রাঃ) এর নিকট আনা হইল। তাহারা উভয়ে অত্যাধিক আহত ছিলেন। হযরত খালেদ (রাঃ) হযরত ইকরামা (রাঃ) এর মাথা আপন উরুর উপর ও হযরত আমর (রাঃ) এর মাথা আপন পায়ের গোছার উপর রাখিলেন। তিনি তাহাদের উভয়ের চেহারা পরিষ্কার করিয়া দিতেছিলেন এবং হলকের মধ্যে অল্প অল্প করিয়া পানি দিতেছিলেন আর বলিতেছিলেন, ইবনে হানযালা অর্থাৎ হযরত ওমর (রাঃ) বলিয়াছিলেন, আমরা শহীদ হইব না, তাহা সঠিক নহে। আমাদিগকে আল্লাহ তায়ালা শাহাদাত দান করিয়াছেন। (তাবারী)