١٦ -* : مَن أَحَبَّ أنْ يَنْجُو مِنْ غَمَرَاتِ الموتِ وَأَهْوَالِ يومِ القيامَة؛ فليَكُن عَمَلُهُ في السِّرِّ أكثر منه في العَلانِيَة .
*-الإمام مالك بن أنس رحمه الله تعالى
16 - যে ব্যক্তি মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কেয়ামত দিনের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে চায় তার গোপন আমলের পরিমাণ যেন প্রকাশ্য আমলের চেয়ে বেশি হয়।
-ইমাম মালেক বিন আনাস রহ.
١٧ - سُئل الإمام ابن تيمية رحمه الله تعالى : هل الأفضل المجاورة بمكة أو بمسجد النبي صلى الله عليه وسلم أو بمسجد الأقصى؟ أو بثغر من الثغور لأجل الغزو ؟
فأجاب : المرابطة بالثغور أفضل من المجاورة في المساجد الثلاثة كما نص على ذلك أئمة الإسلام عامة ما أعلم في ذلك خلافًا بين العلماء*، والمرابطة في الثغور فرض على المسلمين، إما على الأعيان، وإما على الكفاية، وأما المجاورة فليست واجبة على المسلمين .
- مجموع الفتاوى : ٢٤/ ٢٧
17 - একবার শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ.কে জিজ্ঞেস করা হয়, মক্কায় বা মদিনায় কিংবা মসজিদে আকসায় অবস্থান করে এবাদতে মশগুল হওয়া উত্তম? না, যুদ্ধের ময়দানে সীমান্ত পাহারা দেয়ার উদ্দেশ্য সীমান্তে অবস্থান করা উত্তম? তিনি উত্তর দেন, সীমান্ত পাহারা দেয়ার উদ্দেশ্য সীমান্তে অবস্থান করা করা উক্ত তিন মসজিদে অবস্থান করে এবাদতে মশগুল হওয়া অপেক্ষা বহুগুণ উত্তম। সকল ওলামায়ে কেরামের স্পষ্ট অভিমত এটাই। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত আছে বলে আমার জানা নেই। কারণ, সীমান্তে অবস্থান করা মুসলমানদের ওপর ফরয। হয় ফরযে আইন, না হয় ফরযে কেফায়া। পক্ষান্তরে উক্ত মসজিদগুলোতে অবস্থান করে এবাদতে মশগুল হওয়া কোনো অবস্থাতেই মুসলমানদের উপর ফরয নয়।
-শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. মাজমুউল ফাতাওয়া : 24/27
١٨ - لَولَا أَنَّهُ سُبحَانَهُ يُدَاوِي عِبَادَهُ بِأدوِيَةِ المِحَنِ والابتِلاءِ لَطَغَوا وبَغَوا وعَتَوا ، واللهُ سُبحَانَهُ إذَا أرَادَ بِعَبدٍ خَيرًا* سَقَاهُ دَوَاءً مِنَ الابتِلاءِ والامتِحَانِ عَلى قَدرِ حَالِهِ ؛ يَستَفرِغُ بِهِ مِنَ الأدوَاءِ المُهلِكَةِ ، حَتَّى إذَا هَذَّبَهُ ونَقَّاهُ وصَفَّاهُ ؛ أهَّلَهُ لِأشرَفِ مَرَاتِبِ الدُّنيَا وهِيَ* عُبُودِيَّتُهُ ، وأرفَعِ ثَوَابِ الآخِرَةِ وهُوَ رُؤيَتُهُ وقُربُهُ .
-الإمام ابنُ القَيِّم رَحِمَهُ اللَّهُ تعالى
[ زَادُ المِعَادِ || ٤ / ١٩٥ ]
18 - আল্লাহ যদি তার বান্দাদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিপদ-আপদের ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা না করতেন তাহলে নিশ্চিত তারা চরম অবাধ্য ও সীমা লঙ্ঘনকারী হয়ে যেতো। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা যখন কোন বান্দার সাথে কল্যাণের ইচ্ছা করেন তখনই তাকে তার অবস্থানুপাতে*বিভিন্ন পরীক্ষা*ও বিপদ আপদের ঔষধ সেবন করান। এর মাধ্যমে তিনি* তাকে ধ্বংসাত্মক নানান ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ দান করেন। পরিশেষে যখন তাকে পরিশুদ্ধ ও পরিমার্জিত করে ফেলেন তখনই তাকে দুনিয়ার সর্বোচ্চ মর্যাদা তথা আল্লাহর 'প্রকৃত বান্দা' হওয়ার যোগ্য বানান এবং আখেরাতের সর্বোচ্চ প্রতিদান তথা আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য ও তার দীদার লাভের উপযুক্ত বানান।
-ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ.
যাদুল মা'আদ : 4/195
19 - বর্তমান পরিস্থতিতে জিহাদ ছাড়া দীনের অন্যান্য কাজগুলো হলো হাতির দাঁতের মতো৷ আকারে বড় ঠিকই। কিন্তু 'শো' ছাড়া ওটা দিয়ে কাজের কাজ (খাওয়া) কিছুই হয় না।
-শাইখুল হাদিস আবু ইমরান হাফি.
٢٠ - أعظم الناس بركة في ماله أكثرهم صدقة ، ففي الحديث قال صلى الله عليه وسلم : ما نقصت صدقت من مال .
*وفي الحديث القدسي : يابن آدم ! انفق انفق عليك .
20 - সেই ব্যক্তির সম্পদেই সবচেয়ে বেশি বরকত হয় যে সবচেয়ে বেশি দান-সদকা করে। হাদিসে এসেছে, দান-সদকার কারণে কখনও সম্পদ কমে না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি খরচ করো তাহলে আমিও তোমার ওপর খরচ করবো।
- শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরাহু
*
*-الإمام مالك بن أنس رحمه الله تعالى
16 - যে ব্যক্তি মৃত্যুর যন্ত্রণা ও কেয়ামত দিনের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে চায় তার গোপন আমলের পরিমাণ যেন প্রকাশ্য আমলের চেয়ে বেশি হয়।
-ইমাম মালেক বিন আনাস রহ.
١٧ - سُئل الإمام ابن تيمية رحمه الله تعالى : هل الأفضل المجاورة بمكة أو بمسجد النبي صلى الله عليه وسلم أو بمسجد الأقصى؟ أو بثغر من الثغور لأجل الغزو ؟
فأجاب : المرابطة بالثغور أفضل من المجاورة في المساجد الثلاثة كما نص على ذلك أئمة الإسلام عامة ما أعلم في ذلك خلافًا بين العلماء*، والمرابطة في الثغور فرض على المسلمين، إما على الأعيان، وإما على الكفاية، وأما المجاورة فليست واجبة على المسلمين .
- مجموع الفتاوى : ٢٤/ ٢٧
17 - একবার শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ.কে জিজ্ঞেস করা হয়, মক্কায় বা মদিনায় কিংবা মসজিদে আকসায় অবস্থান করে এবাদতে মশগুল হওয়া উত্তম? না, যুদ্ধের ময়দানে সীমান্ত পাহারা দেয়ার উদ্দেশ্য সীমান্তে অবস্থান করা উত্তম? তিনি উত্তর দেন, সীমান্ত পাহারা দেয়ার উদ্দেশ্য সীমান্তে অবস্থান করা করা উক্ত তিন মসজিদে অবস্থান করে এবাদতে মশগুল হওয়া অপেক্ষা বহুগুণ উত্তম। সকল ওলামায়ে কেরামের স্পষ্ট অভিমত এটাই। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত আছে বলে আমার জানা নেই। কারণ, সীমান্তে অবস্থান করা মুসলমানদের ওপর ফরয। হয় ফরযে আইন, না হয় ফরযে কেফায়া। পক্ষান্তরে উক্ত মসজিদগুলোতে অবস্থান করে এবাদতে মশগুল হওয়া কোনো অবস্থাতেই মুসলমানদের উপর ফরয নয়।
-শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. মাজমুউল ফাতাওয়া : 24/27
١٨ - لَولَا أَنَّهُ سُبحَانَهُ يُدَاوِي عِبَادَهُ بِأدوِيَةِ المِحَنِ والابتِلاءِ لَطَغَوا وبَغَوا وعَتَوا ، واللهُ سُبحَانَهُ إذَا أرَادَ بِعَبدٍ خَيرًا* سَقَاهُ دَوَاءً مِنَ الابتِلاءِ والامتِحَانِ عَلى قَدرِ حَالِهِ ؛ يَستَفرِغُ بِهِ مِنَ الأدوَاءِ المُهلِكَةِ ، حَتَّى إذَا هَذَّبَهُ ونَقَّاهُ وصَفَّاهُ ؛ أهَّلَهُ لِأشرَفِ مَرَاتِبِ الدُّنيَا وهِيَ* عُبُودِيَّتُهُ ، وأرفَعِ ثَوَابِ الآخِرَةِ وهُوَ رُؤيَتُهُ وقُربُهُ .
-الإمام ابنُ القَيِّم رَحِمَهُ اللَّهُ تعالى
[ زَادُ المِعَادِ || ٤ / ١٩٥ ]
18 - আল্লাহ যদি তার বান্দাদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিপদ-আপদের ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা না করতেন তাহলে নিশ্চিত তারা চরম অবাধ্য ও সীমা লঙ্ঘনকারী হয়ে যেতো। আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা যখন কোন বান্দার সাথে কল্যাণের ইচ্ছা করেন তখনই তাকে তার অবস্থানুপাতে*বিভিন্ন পরীক্ষা*ও বিপদ আপদের ঔষধ সেবন করান। এর মাধ্যমে তিনি* তাকে ধ্বংসাত্মক নানান ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ দান করেন। পরিশেষে যখন তাকে পরিশুদ্ধ ও পরিমার্জিত করে ফেলেন তখনই তাকে দুনিয়ার সর্বোচ্চ মর্যাদা তথা আল্লাহর 'প্রকৃত বান্দা' হওয়ার যোগ্য বানান এবং আখেরাতের সর্বোচ্চ প্রতিদান তথা আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য ও তার দীদার লাভের উপযুক্ত বানান।
-ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ.
যাদুল মা'আদ : 4/195
19 - বর্তমান পরিস্থতিতে জিহাদ ছাড়া দীনের অন্যান্য কাজগুলো হলো হাতির দাঁতের মতো৷ আকারে বড় ঠিকই। কিন্তু 'শো' ছাড়া ওটা দিয়ে কাজের কাজ (খাওয়া) কিছুই হয় না।
-শাইখুল হাদিস আবু ইমরান হাফি.
٢٠ - أعظم الناس بركة في ماله أكثرهم صدقة ، ففي الحديث قال صلى الله عليه وسلم : ما نقصت صدقت من مال .
*وفي الحديث القدسي : يابن آدم ! انفق انفق عليك .
20 - সেই ব্যক্তির সম্পদেই সবচেয়ে বেশি বরকত হয় যে সবচেয়ে বেশি দান-সদকা করে। হাদিসে এসেছে, দান-সদকার কারণে কখনও সম্পদ কমে না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি খরচ করো তাহলে আমিও তোমার ওপর খরচ করবো।
- শাইখ আব্দুল আজিজ আত তারিফী ফাক্কাল্লাহু আসরাহু
*