Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলাম কি কেবল শান্তির ধর্ম?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলাম কি কেবল শান্তির ধর্ম?

    ইসলাম কি কেবল শান্তির ধর্ম?
    লোকদের প্রায়ই বলতে শুনা যায় ইসলাম হল শান্তির ধর্ম, বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকা অবস্থারত মুসলিমদের মুখে এধরনে কথা বেশি শুণা যায়,পাশ্চত্যের লোকেরা মুসলিমদের সম্পর্কে বেশ নেতিবাচক ধারনা পোষণ করে,মুসলিম মানেই সন্ত্রাসী তাই পশ্চীমা দেশ গুলোতে মুসলিমরা অন্য অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গে কথা বলে,তখন তারা ইসলামকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে বলে,
    IsLAM IsARE LIGION OF PEACE
    ইসলাম হল শান্তির ধর্ম

    অমুসলিমরা তাদের দাবী খন্ডন করে বলে, তোমরা কি ভাবে বল ইসলাম শান্তির ধর্ম, অথচ কুরআনে তো,অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এবং তাদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তখন মুসলিমরা খুব অসুস্থিতে পরে যায়, তারা এমন একটা ভাব করে যেন তারা অন্যদেরকে ধোকা দিচ্ছে এবং দ্বীনের কিছু অংশ তারা গোপন করতে চাচ্ছে,আবার আপনি এমন কিছু মুসলিমকেও দেখবেন তারা এই বলে অমুসলিমদের সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেয়।তোমাদের কিতাবেও তো,যুদ্ধ বিগ্রহের কথা আছে শুধু আমাদের দোষ দিচ্ছ কেন?
    প্রিয় ভাই! আমাদের দ্বীনে এমন কিছু নেই যার কারণে আমাদের লজ্জিত হতে হয়, লোকুচুরি করতে হয় বরং আমাদের উচিত দ্বীনের ব্যাপারে স্পষ্ট জ্ঞান রাখা দ্বীনের হাকীকত ও বাস্তবতা গভীরভাবে অনুধাবন করা, এবং মুসলিম হওয়ার কারণে নিজেদেরকে গর্বিত ও সম্মানিত বোধকরা ও মানসিকতা গড়ে তুলা। তবেই আমরা সব ধরনের দ্বিধা সংশয় পিছনে ফেলে পুরো পৃথিবীর সামনে আত্মমর্যাদা বোধনিয়ে দাড়াঁতে পারব,আপনি যদি ইসলামকে সামগ্রীক দৃষ্টিকোন থেকে কোন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বিশেষায়িত মূল্যায়িত করতে চান তবে সে বৈশিষ্ট্যটি ইসলামের সামগ্রীক শিক্ষায় বিদ্ধমান থাকতে হবে। আর তা কোন কোরআনের আয়াত বা কোন হাদিসের সাথে সাংঘর্সিক হতে পারবেনা, তাই আপনি যদি এক বাক্যে পুরো ইসলামকে তুলে ধরতে চান তবে সে ক্ষেত্রে এভাবে বলা সঠিক হবে না যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম, কেননা ইসলাম অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক যুদ্ধের নির্দেশ প্রদান করে। তাই আমাদের যেটা বলতে হবে এবং যেটা মানুষের সামনে প্রচার করতে হবে তা হল,
    إِنَّ االْإِسلَامَ دِيْنُ الْحَقِّ والْعدْلِ.
    ISLAMIS THERELIGON OF TRUTH AND JUSTICE
    ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের ধর্ম। ইসলাম হক ও ইনসাফের ধর্ম।

    এই দুইটি বৈশিষ্ট্য ইসলামের সামগ্রীক শিক্ষাকে ধারণ করে ইসলামের প্রতিটি শিক্ষায় হক ও ইনসাফ বৃদ্ধমান রয়েছে, সব আয়াত সকল হাদিস এবং শরিয়ার সবগুলোর মূলনিতীর সঙ্গে এটা সংগতীপূর্ণ।আপনি কোরআনে এমন একটি আয়াতও পাবেন না, যেটা ভুল কোন নির্দেশ দিচ্ছে কিংবা সত্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে,আপনি এমন একটিও আয়াত পাবেন না, যেটি জুলুম করার নির্দেশ দিচ্ছে এবং ইনসাফের বিপক্ষে কথা বলছে এটি কখনো সম্ভব নয়,ইসলাম তার যাবতীয় নীতিমালা হুকুম আহকাম,হক ও ইনসাফের বিপরীতে প্রনয়ন করেছে, তাই ইসলামের যাবতীয় বিধিবিদান সত্য ও ন্যায়ের মাপকাঠিতে শতভাগ উত্তীর্ণ আল্লাহ তায়ালা বলেন

    اللّٰهُ الَّذِي أَنْزَلَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ وَالْمِيزَانَ.

    আল্লাহ তায়ালা সত্য সহকারে কিতাব নাজিল করেছেন এবং মিজান নাজিল করেছেন। (সূরা শুরা,৪২ঃ১৭)
    এখানে মিযান মানে ইনসাফ অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    لَقَدْأَرْسَلْنَارُسُلَنَابِالْبَيِّناتِ وَأَنْزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيزَانَ لِيَقُومَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ.
    "নিশ্চয় আমি আমার রাসুলগণকে প্রেরণ করেছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাঁদের সঙ্গে দিয়েছে কিতাব ও ন্যায়নীতি:যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। (সূরা হাদিদ,৫৭:২৫)

    এছাড়াও এই অর্থে আরো অনেক আয়াত আছে, সুতরাং বোঝাগেল ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের ধর্ম, হক ও ইনসাফের ধর্ম, ইসলামের সকল বিধিবিদান এই দুই বৈশিষ্ট্য ও মূল্যবোধের সঙ্গে পরিপূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ, কখনো কখনো কাফেরদের সঙ্গে সমঝোতা করা, তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ আচরণ করাও অনুচিৎ বলে গন্য হয়। অনেক জায়গায় এমন যেখানে তাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আচরণ করা নিয়মিত জুলুম ও অন্যায়ের পর্যায়ে পরে যায়,বরং তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাই সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হয়, অনুরূপভাবে এটি বলা ঠিক হবে না যে,ইসলাম ব্যক্তি স্বধীনতার ধর্ম যদি বলা হয় ইসলাম স্বাধীনতার ধর্ম তবে প্রশ্ন উঠবে কেন ইসলাম সমকামিতা ইত্যাদি অনুমোদন দেয় না? আমরা বলি স্বাধীনতা অনেক প্রকারের হতে পারে, যেই স্বাধীনতা হক ও ইনসাফের বিপরীত, ইসলাম সেই স্বধীনতায় বিশ্বাস করে না। ঢালাও ভাবে এই রূপ বলা যাবেনা, ইসলাম সাম্যের ধর্ম, যদি ঢালাও ভাবে বলা হয় ইসলাম সাম্যের ধর্ম তখন প্রশ্ন উঠবে তাহলে কেন নারী পুরুষের মাঝে প্রার্থক্য করে, কেন উভয়কে সব ক্ষেত্রে সমান চখে দেখেনা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি অধিকার ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে কেন উভয়ের মাঝে এত ব্যবধান রাখা হয়েছে। বরং আমরা বলি সাম্যে সব ক্ষেত্রে সঠিক নয়,আনেক ক্ষেত্রে সাম্যের কথা বলা সমতা রক্ষাকরা সুস্পষ্ট জুলুম,তো,এখন প্রশ্ন উঠবে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হক ও ইনসাফ কি কিভাবে বুঝতে পারব? এর উত্তর হবে আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে এবং পরিপূর্ণ ভাবে আল্লাহর দাসত্ব ও গোলামি করার মাধ্যেমে।
    সুতরাং ইসলাম হল আল্লাহর দাসত্ব করার ধর্ম, ইসলাম নিজের প্রভৃতির পূজা করার ধর্ম নয়। ইসলাম সম্পদশালীদের গোলামী করার ধর্ম নয়। ইসলাম মিডিয়া গোলামী করার ধর্মও নয়, যে মিডিয়া গনতন্ত্র অধিকাংশেষর

    মতবাদ বাস্তবায়নের ছদ্দবেশ ধারন করে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। আমরা যখন ইসলামকে তার প্রকৃত অর্থে অনুধাবন করতে পারব,এবং সঠিক ভাবে মানুষের সামনে পেষ করতে পারব তখন ইসলামের যে আয়াতেই আমাদের সামনে পেষ করা হোক না কেন? যে হাদিসেই আমাদের সামনে তুলে ধরা হোক না কেন? আমাদের আর সংশয় পড়তে হবে না ইসলামের কোন বিধান নিয়েও অসুস্থিতে বুগাত্তির প্রয়োজন হবে না এটা অন্তত একটি পরামর্শ। ইউরোপে অবস্থানরত মুসলিম ভাইদের জন্য যারা অমুসলিমদের সঙ্গে বসবাস করেন তাদেরকে এই বিষয়ে খুব স্পষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।
    তারা যখন অমুসলিমদের সামনে আলোচনা করবে তারা ইসলামকে পেষ করবে এই ভাবে,

    إِنَّ االْإِسلَامَ دِيْنُ الْحَقِّ والْعدْلِ.
    ISLAMIS THERELIGON OF TRUTH AND JUSTICE
    ইসলাম সত্য ও ন্যায়ের ধর্ম।ইসলাম হক ও ইনসাফের ধর্ম।

    আল্লাহ তায়ালা মানুষের প্রকৃতিতে সত্য ও ন্যায়ের প্রতি হক ও ইনসাফের প্রতি সহজাত আকর্ষণীয় সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
    এটি মানব স্বভাবে অবিচ্ছেদ্য অংশ কেউ যদি হক ও ইনসাফকে কবুল করে নেয়,তাহলে তো খুব ভালো কথা, তাকে আমরা স্বাগত জানাব আর কেউ যদি এই দুটিকে প্রত্যাখ্যান করে তাহলে বুঝতে হবে তার স্বাভাব প্রকৃতিতে সমস্যা আছে।সে প্রভৃতের অনুসারী তাই সে হেদায়েত পাবেনা আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়সাল্লাম কে বলেন,

    إِنَّكَ لَاتَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ.
    হে নবী! আপনি যাকে ভালোবাসেন, তাকে ইচ্ছা করলেই আপনি হেদায়াত দিতে পারবেন না।(সূরা কাসাস,২৮:৫৬)

    আর এই চিন্তাটি ইসলামের সঙ্গে মোটেও সংঙ্গতীপূর্ণ নয় যে, কোন যুগে বিশেষ কোন দাবি বা শ্লোগান উঠবে আর আমরা ইসলামকে সে দাবির সঙ্গে খাব খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব, যারা এসব দাবি ও শ্লোগান তোলে তারা হক ও ইনসাফের সাথে সাংঘর্সিক কথা বার্তা বলে, আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো শান্তি সাম্যে ও স্বাধীনতার শ্লোগান দেলেও তারা ওয়াট পলিসিতে এসবের ধারও ধারেনা।
    পরিশেষে বলব ওহীনির্ভর বিশুদ্ধ ইসলাম ছাড়া আর কোন মতবাদ আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে শান্তি সম্যেহ ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি, ভবিষ্যতেও পারবেনা।
    সুতরাং ইসলামই মানবতার চূড়াঁন্ত সমাধান।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,
Working...
X