দাওয়াহ ও দোয়া
রব্বে কারীমের এই মোবারক পথে যে কেউ আসতে পারেনা। আবার চাইলেও আমরা যে কাউকে নিয়ে আসতে পারিনা। এমন অনেককে দেখেছি যাকে সহজে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি, অথচ তার এই পথে আসা অসম্ভব মনে করা হত। আবার এমন অনেককে আনতে পারেনি, যাদের আসাটা সময়ের ব্যপার মনে করতাম। এই পার্থক্য কেন তা জানিনা। আমার সংক্ষিপ্ত পথ চলায় সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভাইদের খেদমতে সেটাই পেশ করব। হয়ত কারো উপকারে আসতে পারে। আমার কাছে এর পিছনের সবচে' বড় কারণ মনে হয় "দোয়া"। আল্লাহর কত বান্দা জিহাদের পথে আসার জন্য চোখের পানি ফেলে দোয়া করতেছে, এই লোকগুলো সহজে চলে আসে আমাদের বিশেষ কোন মেহনত ছাড়াই। আবার আমরা দাঈরা যে মাদউর জন্য বেশি বেশি দোয়া করি সেও সহজে জিহাদের রাস্তায় উঠে আসে, কাফেলাবদ্ধ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যেখানে শুধু নিজের দাওয়াতী দক্ষতা আর হেকমতের উপর ভরসা করেছিলাম, সেখানে কাঙ্ক্ষিত যায়গায়ও ব্যর্থ হয়েছি বারবার। এই দৃশ্য নিজের কর্মফলেও দেখেছি, সাথিদের মাঝেও দেখেছি। তাই দাওয়াতের সাথে সাথে মাদউর জন্য দোয়ায় ব্যপক মনোযোগী হওয়া চাই। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এটাই করেছেন৷ হযরত ওমর রাঃ তো দোয়ারই ফসল৷
আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে হবে, ওখান থেকে লোক পাশ করিয়ে নিতে হবে৷ সব ক্যটাগরির লোক রাব্বে কারীমের কাছে আছে। তাহলে আমি কেন সেখানে চাইব না??
আজকে কেন যেন দাওয়াত রূহ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। অনেক ভাই বলছেন দাওয়াত দিচ্ছি কাজ হচ্ছে না৷ যখন জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কি মাদউর জন্য দোয়া করেন? উত্তর ভাল আসেনা।
সম্মানিত দাঈ ভাইদের আমি অনুরোধ করব আমরা মাদউর জন্য দাওয়াতের মেহনত যা করব তারচেয়ে বেশি দোয়ার মেহনত করব। আজকে সাথি ভাইদের কাছে বিভিন্ন ক্যটাগরির লোক চাইলে বলা হয় নাই, কোথায় পাব... ইত্যাদি। একটু বুকে হাত দিয়ে বলুনতো ভাই কতদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে, এই জন্য কতদিন চোখের পানি ঝরেছে। আমার নিজের হালত অন্যরা না জানুক, আমিতো জানি। যার সাহায্য ছাড়া আমরা চলতেই পারব না, তার কাছেই যদি কোন সাহায্য না চাই তাহলে তরাক্কি আসবে কি করে!!! আমরা ছোটবড় সবকিছু উপর থেকে চেয়ে নিব, সেখান থেকে পাশ করিয়ে নিব। তাহলে দেখা যাবে সব আসানের সাথে হয়ে যাচ্ছে। তানজিমের কাজকে এগিয়ে নিতে, সাথি তৈরি করতে আমাদের অভিজ্ঞ ভাইদের অভিজ্ঞতা গুলো কাজে লাগাব। অতএব আমি বলব, আমরা যদি যোগ্য সাথি তৈরি করতে চাই তাহলে;
- মাদউর জন্য বেশি বেশি দোয়া করব।
- মাদউর সাথে আলোচনা করার আগে কোন নেক আমল করে নিব। যেমন- ২ রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা বা রোজাসহ আলোচনা করা।
- নতুন নতুন যোগ্য মাদউর জন্য বেশি বেশি চোখের পানি ফেলব।
মোটকথা দোয়া সহ দাওয়াত হওয়া চাই৷ বরং দাওয়াতের চাইতে দোয়া বেশি হওয়া উচিত। কেননা 'দোয়া' হল 'দাওয়াতের রূহ'।
যিনি বলেছেন যতার্থই বলেছেনঃ "দ্বীন কায়েমের জন্য ২ ফোটা পানির প্রয়োজন। এক-সাদা পানি (চোখের পানি), দুই- লাল পানি(রক্ত)।"
আল্লাহ তা'লা আমাদেরকে তার দ্বীনের জন্য কবুল করে নিক।
اللهم انصر الاسلام والمسلمين ، خاصة المجاهدين في كل مكان.
রব্বে কারীমের এই মোবারক পথে যে কেউ আসতে পারেনা। আবার চাইলেও আমরা যে কাউকে নিয়ে আসতে পারিনা। এমন অনেককে দেখেছি যাকে সহজে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসতে পেরেছি, অথচ তার এই পথে আসা অসম্ভব মনে করা হত। আবার এমন অনেককে আনতে পারেনি, যাদের আসাটা সময়ের ব্যপার মনে করতাম। এই পার্থক্য কেন তা জানিনা। আমার সংক্ষিপ্ত পথ চলায় সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভাইদের খেদমতে সেটাই পেশ করব। হয়ত কারো উপকারে আসতে পারে। আমার কাছে এর পিছনের সবচে' বড় কারণ মনে হয় "দোয়া"। আল্লাহর কত বান্দা জিহাদের পথে আসার জন্য চোখের পানি ফেলে দোয়া করতেছে, এই লোকগুলো সহজে চলে আসে আমাদের বিশেষ কোন মেহনত ছাড়াই। আবার আমরা দাঈরা যে মাদউর জন্য বেশি বেশি দোয়া করি সেও সহজে জিহাদের রাস্তায় উঠে আসে, কাফেলাবদ্ধ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যেখানে শুধু নিজের দাওয়াতী দক্ষতা আর হেকমতের উপর ভরসা করেছিলাম, সেখানে কাঙ্ক্ষিত যায়গায়ও ব্যর্থ হয়েছি বারবার। এই দৃশ্য নিজের কর্মফলেও দেখেছি, সাথিদের মাঝেও দেখেছি। তাই দাওয়াতের সাথে সাথে মাদউর জন্য দোয়ায় ব্যপক মনোযোগী হওয়া চাই। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এটাই করেছেন৷ হযরত ওমর রাঃ তো দোয়ারই ফসল৷
আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে হবে, ওখান থেকে লোক পাশ করিয়ে নিতে হবে৷ সব ক্যটাগরির লোক রাব্বে কারীমের কাছে আছে। তাহলে আমি কেন সেখানে চাইব না??
আজকে কেন যেন দাওয়াত রূহ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। অনেক ভাই বলছেন দাওয়াত দিচ্ছি কাজ হচ্ছে না৷ যখন জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কি মাদউর জন্য দোয়া করেন? উত্তর ভাল আসেনা।
সম্মানিত দাঈ ভাইদের আমি অনুরোধ করব আমরা মাদউর জন্য দাওয়াতের মেহনত যা করব তারচেয়ে বেশি দোয়ার মেহনত করব। আজকে সাথি ভাইদের কাছে বিভিন্ন ক্যটাগরির লোক চাইলে বলা হয় নাই, কোথায় পাব... ইত্যাদি। একটু বুকে হাত দিয়ে বলুনতো ভাই কতদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে, এই জন্য কতদিন চোখের পানি ঝরেছে। আমার নিজের হালত অন্যরা না জানুক, আমিতো জানি। যার সাহায্য ছাড়া আমরা চলতেই পারব না, তার কাছেই যদি কোন সাহায্য না চাই তাহলে তরাক্কি আসবে কি করে!!! আমরা ছোটবড় সবকিছু উপর থেকে চেয়ে নিব, সেখান থেকে পাশ করিয়ে নিব। তাহলে দেখা যাবে সব আসানের সাথে হয়ে যাচ্ছে। তানজিমের কাজকে এগিয়ে নিতে, সাথি তৈরি করতে আমাদের অভিজ্ঞ ভাইদের অভিজ্ঞতা গুলো কাজে লাগাব। অতএব আমি বলব, আমরা যদি যোগ্য সাথি তৈরি করতে চাই তাহলে;
- মাদউর জন্য বেশি বেশি দোয়া করব।
- মাদউর সাথে আলোচনা করার আগে কোন নেক আমল করে নিব। যেমন- ২ রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা বা রোজাসহ আলোচনা করা।
- নতুন নতুন যোগ্য মাদউর জন্য বেশি বেশি চোখের পানি ফেলব।
মোটকথা দোয়া সহ দাওয়াত হওয়া চাই৷ বরং দাওয়াতের চাইতে দোয়া বেশি হওয়া উচিত। কেননা 'দোয়া' হল 'দাওয়াতের রূহ'।
যিনি বলেছেন যতার্থই বলেছেনঃ "দ্বীন কায়েমের জন্য ২ ফোটা পানির প্রয়োজন। এক-সাদা পানি (চোখের পানি), দুই- লাল পানি(রক্ত)।"
আল্লাহ তা'লা আমাদেরকে তার দ্বীনের জন্য কবুল করে নিক।
اللهم انصر الاسلام والمسلمين ، خاصة المجاهدين في كل مكان.