আগের পর্বে আমরা টাইম লগ নিয়ে আলোচনা করেছি। এ পর্বে আমরা আরেকটি চমৎকার টপিক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, তা হলো- ব্যাচিং। এটি কি? সহজ কথায় বললে, এক ক্যাটাগরির সবগুলো কাজ গুছিয়ে এক সময়ে করা।
মোটামুটি দুইভাবে ব্যাচিং করা যায়-
১। ডেইলি ব্যাচিং:
আগের পর্বে আপনি যে আপনার ২৪ ঘণ্টার টাইম লগটি তৈরি করেছিলেন, সেটিতে আরেকবার চোখ বুলান। একটু সময় নিয়ে খুঁজে খুঁজে বের করুন, কোন কোন কাজগুলো এক ক্যাটাগরির। একই ক্যাটাগরির কাজগুলোকে একই রঙ দিয়ে হাইলাইট করুন, অথবা আরেকটি কাগজ নিয়ে সেখানে কাজগুলো ক্যাটাগরি ওয়াইজ সাজিয়ে ফেলুন।
এই একই ক্যাটাগরির কাজগুলো একেক সময়ে না করে একসাথে করে ফেলাই ‘ডেইলি ব্যাচিং’। এভাবে প্রতিদিনকার কী কী ক্যাজ আমরা ব্যাচিং করে সমাধা করতে পারি?
১। ফোন কলঃ আপনার যদি অনেকগুলো কল করা লাগে এবং অনেকের কল রিসিভ করা লাগে, তাহলে সেগুলোর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন, অন্যদেরকেও সেই সময়েই কল দিতে বলুন।
২। ই-মেইল, ওয়াটস এপ, ভাইবার, মেসেঞ্জারঃ এখানে যদি প্রতিদিন আপনাকে অনেকগুলো মেসেজের রিপ্লাই দিতে হয়, তাহলে একেকসময় একেকজনের রিপ্লাই না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বসে সবগুলো মেসেজের রিপ্লাই একবারে দিয়ে ফেলুন। অনেক সময় বাচবে।
৩। সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কিংঃ ফেইসবুক, টুইটার এসব ব্যবহার করলে এখানেও তেমন, সারাদিন কারণে অকারণে একটু পর পর না ঢুকে কাজগুলো জমিয়ে রেখে একটা সময়ে একসাথে করে ফেলুন।
৪। ব্লগিংঃ যারা ব্লগে লিখেন, তারা একসময় বসে ব্লগের ছবি ডাউনলোড করা, কয়েকটি লেখা একসময় লিখে ফেলতে পারেন।
৫। রান্নাবান্নাঃ রান্নাঘরে একেক সময় একেক কাজে না ঢুকে একবারে অনেকগুলো রান্নার কাজ শেষ করে ফেলুন, রান্নাঘরে রান্না চড়িয়ে দিয়ে ধোয়া, মোছা, অন্য কোন কাটাকুটির কাজ থাকলে ঐ সময়েই সেরে ফেলুন।
৬। আর্টিকেল পড়াঃ অনেক সময় দরকারি ব্রাউজিং করতে গিয়ে কিছু আর্টিকেল আমাদের ভালো লেগে যায়, কিংবা আমরা একটা বিষয়ে অনেকগুলো ভালো আর্টিকেল খুঁজে পাই, সেগুলো তখনই অন্য কাজের মধ্যে পড়া শুরু না করে মোবাইলে ক্রোম ইউজাররা ‘Add to Homescreen’ দিয়ে সেইভ করে রাখতে পারেন (এই কাজটা আমি খুব করি), যেন চোখের সামনেই থাকে, অন্য কোন ফ্রি সময়ে এমনকি কোথাও যাওয়া- আসার পথে গাড়িতে বা বাসে বসেও পড়ে ফেলতে পারবেন।অথবা লেখাগুলো বুকমার্ক হিসেবে সেইভ করে রাখতে পারেন, কিংবা ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন, পরে একসময় বসে সবগুলো পড়ে ফেলবেন।
২। উইকলি ব্যাচিং:
এটি হচ্ছে, সাপ্তাহিক কাজগুলো একসাথে জমিয়ে করে ফেলার উপায়। এই সপ্তাহে আপনাকে কী কী কাজ করতে হবে, তা লিখে সেগুলো থেকে ব্যাচিং করে ফেলুন। অথবা কিছু কাজ আছে যেগুলো প্রতিদিন একটু একটু করে করার চেয়ে জমিয়ে রেখে সপ্তাহে একদিনে করে ফেলাই সহজ। শনি, রবি, সোম, মঙ্গল … এভাবে করে পুরো সপ্তাহের কোন দিন কী করবেন, তার একটি প্ল্যান তৈরি করে ফেলুন। এইসব প্ল্যানিং এর জন্য ‘গুগল কীপ’ বেস্ট, মোবাইল কিংবা পিসি সব জায়গায় এটা ইউজ করা যায়। অথবা প্লে স্টোরে অনেক রকম ডেইলি, উইকলি প্ল্যানার এপ পাওয়া যায়, সেগুলোও ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
উইকলি ব্যাচিং এ কী কী কাজ ইনক্লুড করা যেতে পারে?
১। কাপড় ধোয়াঃ প্রতিদিনের ময়লা কাপড়গুলো প্রতিদিন একটা একটা করে না ধুয়ে পুরো সপ্তাহেরটা জমিয়ে এক দিনে সব কাপড় ধুয়ে ফেলুন।
২। কেনা-কাটাঃ মাছ-মাংস, তরি-তরকারি এক সাথে এক সপ্তাহের বাজার করে ফ্রিজে স্টোর করে রাখতে পারেন। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ এরকম জিনিসগুলো পুরো মাসের বাজারও একবারে করে ফেলতে পারেন। আবার ঘরের বিভিন্ন টুকটাক কেনাকাটা যখন যেটা মনে পড়ে, একটা লিস্টে টুকে রাখুন, অনেকগুলো হয়ে গেলে একসাথে শপিংয়ে গিয়ে সব কিনে ফেলতে পারেন।
৩। রান্নাবান্নাঃ কর্মজীবি মায়েদের জন্য এটা বেশি কাজের। সপ্তাহের যেদিন হাতে একটু বেশি সময় থাকবে, সেদিন একসাথে কয়েক পদের রান্না করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
৪। বই পড়াঃ অনেকেই প্রতিদিন একটু একটু করে বই পড়তে পছন্দ করেন না, সময়ও হয়না। তাই সপ্তাহে কোন একটা দিন পড়ার জন্য রিজার্ভ রাখতে পারেন, যেদিন এক সময়ে বসেই এক সপ্তাহের পড়া পড়ে ফেলতে পারবেন।
৫। বেড়াতে যাওয়াঃ কয়েক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া, রোগী দেখতে যাওয়া ইত্যাদির কথা থাকলে কোন একটা ছুটির দিনে সম্ভবপর জায়গাগুলো একই দিনে ঘুরে আসা।
আচ্ছা, এভাবে ব্যাচিং করে কী লাভ?
➤ ব্যাচিং আপনার সময় বাচায়। কোন এক ধরণের কাজ শুরু করতে, কাজের প্রিপারশন নিতেও অনেকটা সময় লেগে যায়। কিন্তু ব্যাচিং করে অনেকগুলো কাজ করলে এক প্রিপারশনেই অনেকগুলো কাজ করা যাচ্ছে, সময় অনেকখানি কমে যাচ্ছে।
➤ একই সময় এক ধরণের কাজ করলে আপনি সবটুকু মনযোদ দিতে পারেন, বার বার টপিক বদলানোর ঝক্কি নেই। এতে কাজ ‘ফোকাসড’ থাকে।
➤ গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘মাল্টিটাস্কিং’ এর চেয়ে ‘ব্যাচিং’ অনেক বেশি ইফেক্টিভ। একই সাথে অনেকগুলো কাজ করতে গেলে ফোকাসিং এর অভাবে কাজগুলোর কোয়ালিটি নষ্ট হয়, আর বার বার ইন্টেরাপশনের জন্য সময়ও নষ্ট হয় বেশি। অপরদিকে ‘ব্যাচিং’ ঠিক উলটো, একসাথে সমধর্মী অনেকগুলো কাজ পরপর করায় কাজের ফোকাসিং লেভেল, কোয়ালিটি ভালো হয়, সময়ও বাচে।
এই হলো ‘ব্যাচিং’ এর আদ্যোপান্ত, নিজের রুটিনেও এটি এপ্লাই করে দেখুন, আমি নিজেই অনেক উপকার পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। সাহাবায়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ রা. এর একটি উক্তি বলে শেষ করি, যেটি আমিসহ অনেকেরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে:
“সেই দিনের কথা ভেবে আমার সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ হয়- যেদিনের সূর্য ডুবে গেলো, আমার হায়াত কমে গেলো, অথচ আমার ভালো আমলের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে বাড়লো না।”
(সংগৃহিত)
আল্লাহ মূল লেখককে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন
মোটামুটি দুইভাবে ব্যাচিং করা যায়-
১। ডেইলি ব্যাচিং:
আগের পর্বে আপনি যে আপনার ২৪ ঘণ্টার টাইম লগটি তৈরি করেছিলেন, সেটিতে আরেকবার চোখ বুলান। একটু সময় নিয়ে খুঁজে খুঁজে বের করুন, কোন কোন কাজগুলো এক ক্যাটাগরির। একই ক্যাটাগরির কাজগুলোকে একই রঙ দিয়ে হাইলাইট করুন, অথবা আরেকটি কাগজ নিয়ে সেখানে কাজগুলো ক্যাটাগরি ওয়াইজ সাজিয়ে ফেলুন।
এই একই ক্যাটাগরির কাজগুলো একেক সময়ে না করে একসাথে করে ফেলাই ‘ডেইলি ব্যাচিং’। এভাবে প্রতিদিনকার কী কী ক্যাজ আমরা ব্যাচিং করে সমাধা করতে পারি?
১। ফোন কলঃ আপনার যদি অনেকগুলো কল করা লাগে এবং অনেকের কল রিসিভ করা লাগে, তাহলে সেগুলোর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন, অন্যদেরকেও সেই সময়েই কল দিতে বলুন।
২। ই-মেইল, ওয়াটস এপ, ভাইবার, মেসেঞ্জারঃ এখানে যদি প্রতিদিন আপনাকে অনেকগুলো মেসেজের রিপ্লাই দিতে হয়, তাহলে একেকসময় একেকজনের রিপ্লাই না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বসে সবগুলো মেসেজের রিপ্লাই একবারে দিয়ে ফেলুন। অনেক সময় বাচবে।
৩। সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কিংঃ ফেইসবুক, টুইটার এসব ব্যবহার করলে এখানেও তেমন, সারাদিন কারণে অকারণে একটু পর পর না ঢুকে কাজগুলো জমিয়ে রেখে একটা সময়ে একসাথে করে ফেলুন।
৪। ব্লগিংঃ যারা ব্লগে লিখেন, তারা একসময় বসে ব্লগের ছবি ডাউনলোড করা, কয়েকটি লেখা একসময় লিখে ফেলতে পারেন।
৫। রান্নাবান্নাঃ রান্নাঘরে একেক সময় একেক কাজে না ঢুকে একবারে অনেকগুলো রান্নার কাজ শেষ করে ফেলুন, রান্নাঘরে রান্না চড়িয়ে দিয়ে ধোয়া, মোছা, অন্য কোন কাটাকুটির কাজ থাকলে ঐ সময়েই সেরে ফেলুন।
৬। আর্টিকেল পড়াঃ অনেক সময় দরকারি ব্রাউজিং করতে গিয়ে কিছু আর্টিকেল আমাদের ভালো লেগে যায়, কিংবা আমরা একটা বিষয়ে অনেকগুলো ভালো আর্টিকেল খুঁজে পাই, সেগুলো তখনই অন্য কাজের মধ্যে পড়া শুরু না করে মোবাইলে ক্রোম ইউজাররা ‘Add to Homescreen’ দিয়ে সেইভ করে রাখতে পারেন (এই কাজটা আমি খুব করি), যেন চোখের সামনেই থাকে, অন্য কোন ফ্রি সময়ে এমনকি কোথাও যাওয়া- আসার পথে গাড়িতে বা বাসে বসেও পড়ে ফেলতে পারবেন।অথবা লেখাগুলো বুকমার্ক হিসেবে সেইভ করে রাখতে পারেন, কিংবা ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারেন, পরে একসময় বসে সবগুলো পড়ে ফেলবেন।
২। উইকলি ব্যাচিং:
এটি হচ্ছে, সাপ্তাহিক কাজগুলো একসাথে জমিয়ে করে ফেলার উপায়। এই সপ্তাহে আপনাকে কী কী কাজ করতে হবে, তা লিখে সেগুলো থেকে ব্যাচিং করে ফেলুন। অথবা কিছু কাজ আছে যেগুলো প্রতিদিন একটু একটু করে করার চেয়ে জমিয়ে রেখে সপ্তাহে একদিনে করে ফেলাই সহজ। শনি, রবি, সোম, মঙ্গল … এভাবে করে পুরো সপ্তাহের কোন দিন কী করবেন, তার একটি প্ল্যান তৈরি করে ফেলুন। এইসব প্ল্যানিং এর জন্য ‘গুগল কীপ’ বেস্ট, মোবাইল কিংবা পিসি সব জায়গায় এটা ইউজ করা যায়। অথবা প্লে স্টোরে অনেক রকম ডেইলি, উইকলি প্ল্যানার এপ পাওয়া যায়, সেগুলোও ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
উইকলি ব্যাচিং এ কী কী কাজ ইনক্লুড করা যেতে পারে?
১। কাপড় ধোয়াঃ প্রতিদিনের ময়লা কাপড়গুলো প্রতিদিন একটা একটা করে না ধুয়ে পুরো সপ্তাহেরটা জমিয়ে এক দিনে সব কাপড় ধুয়ে ফেলুন।
২। কেনা-কাটাঃ মাছ-মাংস, তরি-তরকারি এক সাথে এক সপ্তাহের বাজার করে ফ্রিজে স্টোর করে রাখতে পারেন। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ এরকম জিনিসগুলো পুরো মাসের বাজারও একবারে করে ফেলতে পারেন। আবার ঘরের বিভিন্ন টুকটাক কেনাকাটা যখন যেটা মনে পড়ে, একটা লিস্টে টুকে রাখুন, অনেকগুলো হয়ে গেলে একসাথে শপিংয়ে গিয়ে সব কিনে ফেলতে পারেন।
৩। রান্নাবান্নাঃ কর্মজীবি মায়েদের জন্য এটা বেশি কাজের। সপ্তাহের যেদিন হাতে একটু বেশি সময় থাকবে, সেদিন একসাথে কয়েক পদের রান্না করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
৪। বই পড়াঃ অনেকেই প্রতিদিন একটু একটু করে বই পড়তে পছন্দ করেন না, সময়ও হয়না। তাই সপ্তাহে কোন একটা দিন পড়ার জন্য রিজার্ভ রাখতে পারেন, যেদিন এক সময়ে বসেই এক সপ্তাহের পড়া পড়ে ফেলতে পারবেন।
৫। বেড়াতে যাওয়াঃ কয়েক জায়গায় বেড়াতে যাওয়া, রোগী দেখতে যাওয়া ইত্যাদির কথা থাকলে কোন একটা ছুটির দিনে সম্ভবপর জায়গাগুলো একই দিনে ঘুরে আসা।
আচ্ছা, এভাবে ব্যাচিং করে কী লাভ?
➤ ব্যাচিং আপনার সময় বাচায়। কোন এক ধরণের কাজ শুরু করতে, কাজের প্রিপারশন নিতেও অনেকটা সময় লেগে যায়। কিন্তু ব্যাচিং করে অনেকগুলো কাজ করলে এক প্রিপারশনেই অনেকগুলো কাজ করা যাচ্ছে, সময় অনেকখানি কমে যাচ্ছে।
➤ একই সময় এক ধরণের কাজ করলে আপনি সবটুকু মনযোদ দিতে পারেন, বার বার টপিক বদলানোর ঝক্কি নেই। এতে কাজ ‘ফোকাসড’ থাকে।
➤ গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘মাল্টিটাস্কিং’ এর চেয়ে ‘ব্যাচিং’ অনেক বেশি ইফেক্টিভ। একই সাথে অনেকগুলো কাজ করতে গেলে ফোকাসিং এর অভাবে কাজগুলোর কোয়ালিটি নষ্ট হয়, আর বার বার ইন্টেরাপশনের জন্য সময়ও নষ্ট হয় বেশি। অপরদিকে ‘ব্যাচিং’ ঠিক উলটো, একসাথে সমধর্মী অনেকগুলো কাজ পরপর করায় কাজের ফোকাসিং লেভেল, কোয়ালিটি ভালো হয়, সময়ও বাচে।
এই হলো ‘ব্যাচিং’ এর আদ্যোপান্ত, নিজের রুটিনেও এটি এপ্লাই করে দেখুন, আমি নিজেই অনেক উপকার পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। সাহাবায়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ রা. এর একটি উক্তি বলে শেষ করি, যেটি আমিসহ অনেকেরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে:
“সেই দিনের কথা ভেবে আমার সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ হয়- যেদিনের সূর্য ডুবে গেলো, আমার হায়াত কমে গেলো, অথচ আমার ভালো আমলের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে বাড়লো না।”
(সংগৃহিত)
আল্লাহ মূল লেখককে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন