বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহ তা'আলার জন্য, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। যিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনিই সেই মহান মালিক, যিনি কখনো তাঁর কোন বান্দার উপর বিন্দুমাত্র জুলুম ও অবিচার করেননা। এবং তিনিই সকল বিচারকদের বিচারক। আর তিনিই সর্বাধিক ইনসাফগার। কেউ নেই যে তাঁর ইনসাফের উপর প্রশ্ন তুলতে পারে। এবং তাঁর ব্যাপারে বিন্দুমাত্র জুলুমের অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে। বরং আল্লাহ, তিনি তো এমন এক সত্ত্বা, যিনি জুলুমকে সর্বাধিক অপছন্দ করেন। এবং যিনি জালেমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন ভয়াবহ আযাব।
সুতরাং, প্রিয় ভাই আমার! যে ব্যাক্তি বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করে এবং বলে সর্বাবস্থায় প্রশংসা কেবল আল্লাহর জন্যই; সে একথার মাধ্যমে মহান প্রতিপালক আল্লাহর ইনসাফের স্বীকারোক্তি দিলো। আর যে ব্যাক্তি বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করেনা এবং এমতাবস্থায় আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করেনা; এর দ্বারা সে কেমন জানি আল্লাহর ইনসাফগার হওয়াকেই অস্বীকার করলো। (নাউযুবিল্লাহি মিন জালিক)
সুতরাং, সম্মানিত ভাই আমার! আমি চাই মহান রবের পক্ষ হতে দেয়া এই মুসিবতের সময়ে আপনি যেনো তাঁদের অন্তর্ভুক্ত হন, যারা ধৈর্য্য অবলম্বন করে ও আল্লাহর প্রশংসা জারী রেখে আল্লাহর ইনসাফগার হওয়ার স্বীকারোক্তি দেয়। এবং সবর, শুকরিয়া ও প্রশংসার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর সেসব বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হন, যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা দৃঢ় প্রত্যয়ী বলেছেন এবং তাঁর ভলবাসার সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন।
আর অপরদিকে যারা সবর অবলম্বন করেনা, শুকরিয়া আদায় করেনা ও সর্বাবস্থায় আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করেনা, তাদের ব্যাপারে রয়েছে কঠিন সতর্কবার্তা।
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে বলেন-
وَالعَصرِ০
إِنَّ الإِنسانَ لَفي خُسرٍ০
إِلَّا الَّذينَ آمَنوا وَعَمِلُوا الصّالِحاتِ وَتَواصَوا بِالحَقِّ وَتَواصَوا بِالصَّبرِ০
{ সময়ের শপথ! সকল মানুষই ধ্বংসের মধ্যে নিপতিত! তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, নেক আমল করেছে এবং একে অপরকে হক ও ধৈর্য্যের উপদেশ দিয়েছে। {সূরা আসর: ১-৩}
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন-
فَاصبِر كَما صَبَرَ أُولُو العَزمِ مِنَ الرُّسُلِ...
{ হে নবী! আপনি দৃঢ় প্রত্যয়ী রাসূলগণের মত ধৈর্য্যধারণ করুন। {সূরা আহক্বফ: ৩৫}
অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা বলেন-
فَاصبِر صَبرًا جَميلًا
{হে নবী! আপনি সবরে জামিল তথা সুন্দরতম ধৈর্য্য অবলম্বন করুন। {সূরা মাআরিজ:৫}
এক হাদিসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -
مَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً خَيْرًا وَأَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ
{আল্লাহর পক্ষ হতে } মানুষকে যা কিছু দান করা হয়েছে, এর মধ্য হতে ধৈর্য্যের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রসস্থ কোন কিছু মানুষকে দান করা হয়নি। ( বুখারীঃ ১৩৮৪)
সুতরাং, হে ভাই আমার! জান্নাত আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। যার প্রথম সিঁড়ি ঈমান, যার দ্বিতীয় সিঁড়ি নেক আমল এবং যার তৃতীয় সিঁড়ি হক ও ধৈর্য্যের প্রতি আহবান।
আপনাদের উপর আল্লাহর অশেষ শান্তি ও রহম বর্ষিত হোক। আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন।
সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহ তা'আলার জন্য, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। যিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনিই সেই মহান মালিক, যিনি কখনো তাঁর কোন বান্দার উপর বিন্দুমাত্র জুলুম ও অবিচার করেননা। এবং তিনিই সকল বিচারকদের বিচারক। আর তিনিই সর্বাধিক ইনসাফগার। কেউ নেই যে তাঁর ইনসাফের উপর প্রশ্ন তুলতে পারে। এবং তাঁর ব্যাপারে বিন্দুমাত্র জুলুমের অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে। বরং আল্লাহ, তিনি তো এমন এক সত্ত্বা, যিনি জুলুমকে সর্বাধিক অপছন্দ করেন। এবং যিনি জালেমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন ভয়াবহ আযাব।
সুতরাং, প্রিয় ভাই আমার! যে ব্যাক্তি বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করে এবং বলে সর্বাবস্থায় প্রশংসা কেবল আল্লাহর জন্যই; সে একথার মাধ্যমে মহান প্রতিপালক আল্লাহর ইনসাফের স্বীকারোক্তি দিলো। আর যে ব্যাক্তি বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করেনা এবং এমতাবস্থায় আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করেনা; এর দ্বারা সে কেমন জানি আল্লাহর ইনসাফগার হওয়াকেই অস্বীকার করলো। (নাউযুবিল্লাহি মিন জালিক)
সুতরাং, সম্মানিত ভাই আমার! আমি চাই মহান রবের পক্ষ হতে দেয়া এই মুসিবতের সময়ে আপনি যেনো তাঁদের অন্তর্ভুক্ত হন, যারা ধৈর্য্য অবলম্বন করে ও আল্লাহর প্রশংসা জারী রেখে আল্লাহর ইনসাফগার হওয়ার স্বীকারোক্তি দেয়। এবং সবর, শুকরিয়া ও প্রশংসার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর সেসব বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হন, যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা দৃঢ় প্রত্যয়ী বলেছেন এবং তাঁর ভলবাসার সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন।
আর অপরদিকে যারা সবর অবলম্বন করেনা, শুকরিয়া আদায় করেনা ও সর্বাবস্থায় আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করেনা, তাদের ব্যাপারে রয়েছে কঠিন সতর্কবার্তা।
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে বলেন-
وَالعَصرِ০
إِنَّ الإِنسانَ لَفي خُسرٍ০
إِلَّا الَّذينَ آمَنوا وَعَمِلُوا الصّالِحاتِ وَتَواصَوا بِالحَقِّ وَتَواصَوا بِالصَّبرِ০
{ সময়ের শপথ! সকল মানুষই ধ্বংসের মধ্যে নিপতিত! তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, নেক আমল করেছে এবং একে অপরকে হক ও ধৈর্য্যের উপদেশ দিয়েছে। {সূরা আসর: ১-৩}
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন-
فَاصبِر كَما صَبَرَ أُولُو العَزمِ مِنَ الرُّسُلِ...
{ হে নবী! আপনি দৃঢ় প্রত্যয়ী রাসূলগণের মত ধৈর্য্যধারণ করুন। {সূরা আহক্বফ: ৩৫}
অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা বলেন-
فَاصبِر صَبرًا جَميلًا
{হে নবী! আপনি সবরে জামিল তথা সুন্দরতম ধৈর্য্য অবলম্বন করুন। {সূরা মাআরিজ:৫}
এক হাদিসে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -
مَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً خَيْرًا وَأَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ
{আল্লাহর পক্ষ হতে } মানুষকে যা কিছু দান করা হয়েছে, এর মধ্য হতে ধৈর্য্যের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রসস্থ কোন কিছু মানুষকে দান করা হয়নি। ( বুখারীঃ ১৩৮৪)
সুতরাং, হে ভাই আমার! জান্নাত আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। যার প্রথম সিঁড়ি ঈমান, যার দ্বিতীয় সিঁড়ি নেক আমল এবং যার তৃতীয় সিঁড়ি হক ও ধৈর্য্যের প্রতি আহবান।
আপনাদের উপর আল্লাহর অশেষ শান্তি ও রহম বর্ষিত হোক। আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন।