Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুরআন খানী,খতম তারাবীহর হাদিয়া

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুরআন খানী,খতম তারাবীহর হাদিয়া

    আসসালামুয়ালাইকুম! জরুরী কিছু প্রশ্ন ছিল। নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে ফতোয়া জানতে চাচ্ছি!

    প্রশ্ন ১- সমাজে প্রচলিত সমন্বিত কুরআন খতমের পরে হাদিয়ার নামে যা দেয়া হয় তা গ্রহণ করার হুকুম কি? এ উপলক্ষে যত টাকা ইতিপূর্বে গ্রহণ করা হয়েছে এগুলো থেকে দায় মুক্ত হতে কি করতে হবে?

    প্রশ্ন ২- খতম ছাড়া বিদআতি মিলাদের পরে হাদিয়ার নামে যা দেয়া হয় এটা গ্রহণ করার হুকুম কি? তাওবা করতে চাইলে করনীয় কি?

    প্রশ্ন ৩- খতম তারাবীহর শেষে, এলাকার সবার থেকে চাদা তুলে হাদিয়া, ঈদ ,বা অন্য কিছু বলে যে হদিয়া হাফেয সাহেবকে দেয়া হয়, তা নেয়া যায়িয হবে কি? যায়িয না হলে যা আগে নিয়েছে তা থেকে দায় মুক্ত উপায় কি?


    - হাদিয়ার নামে এসব টাকা কি দান-সাদাকা বা জিহাদে দেয়া যাবে? এ থেকে দায়মুক্তির কোন সুযোগ আছে কি?
    Starts
    06-10-2022
    Ends
    06-10-2022

  • #2
    আমরা জেনে থাকি যে হারাম লেনদেন দুই ধরনের হয়ে থাকে ১) উক্ত লেনদেনটি সুদি লেনদেনের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ হবে বা হবে না। সুতরাং যেই লেনদেনটি সুদি লেনদেনের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ হয়ে থাকে তাকে ফুকাহায়ে কেরাম গন সুদি লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত করে সুদি লেনদেনের আওতাভুক্ত নিয়ে আসেন কিন্তু যেই লেনদেনটি সুদি লেনদেনের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ নয় তার বিধান হুবহু সুদি লেনদেনের মত হবে না পক্ষান্তরে আমরা দেখতে পাই যে এসকল পদ্ধতিতে হাদিয়া গ্রহন করা সুদি লেনদেনের সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ নয় তাই সুদের টাকাটা বক্ষন করা যেমন হারাম হয়ে যায় এই টাকাটা বক্ষন করা তেমন হারাম হবে না। তবে এখানে খারাপি এসেছে অন্য কোন কোন কারনে সুতরাং যেই কারণে এখানে খারাপি এসেছে ঐ কারণটি শুধু এখানে নাজায়েজ হবে ।তবে বিদাআত করলে তো তার গুনাহ আরো ভয়াবহ হবে । এবং আমরা দেখতে পাই যে কোরবানীর গোস্ত কেউ যদি দান করতে চায় তাহলে গোস্ত বন্টন করে প্রত্যেকের অংশ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে দান করতে হয় সকলের গোস্ত একত্রে থাকা কালীন দান করা যায় না । কারণ এখানে সকলের সন্তুষ্টি পাওয়া যায় না। যদি পাওয়া যেত তাহলে এ ভাবে চাঁদা তোলার প্রয়োজন হত না হয়ত সে সামাজিক লজ্জা থেকে বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে দিচ্ছে তাই এখানে তার সন্তুষ্টি পাওয়া যাচ্ছে না তাই এই টাকা গ্রহন করা যাবে না বরং এই টাকা গ্রহন করলে বন্দি বা অত্যন্ত গরীবদেকে দান করে দিতে হবে । তবে এ ক্ষেত্রে যাদেরকে টাকাটা দেওয়া যাবে তাদেরকে টাকাটা দেওয়া খেলাফে কিয়াস তাই এটি তার স্বস্থানে সীমাবদ্ধ থাকবে অন্য কোথাও টাকাটা দান করা যাবে না । তাই জিহাদ বা অন্য কোন খাতে দেওয়া বৈধ হবে না ।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      এ বিষয়ে জানার জন্য গ্রহণযোগ্য কোন ইফতা বিভাগে গেলেও সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ
      ফোরামের সিনিয়র মেম্বার আদনান মারুফ ভাই এবং ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের এ বিষয়ে কয়েকটি পোস্ট দেখে নিতে পারেন।
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment

      Working...
      X