وَ لَقَدۡ بَعَثۡنَا فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ رَّسُوۡلًا اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ وَ اجۡتَنِبُوا الطَّاغُوۡتَ
আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে।
(সূরা নাহল:৩৬)
সালাফদের চোখে,আল্লাহর আইন দিয়ে শাসন না কারী কে?
১)শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেছেনঃ " এ কারণে যে কিনা বিচার করে
কোরআনের হুকুম ছাড়া তারা তাগুত।"
( কিতাবুল আক্বাঈদ পৃঃ৫৫, মাজমু' আল ফাতাওয়া- ২৮ খন্ড, পৃঃ২০১)
“যদি কেউ কোন হারাম বস্তুকে - যা হারাম হবার ব্যাপারে ইজমা আছে- এটাকে হালাল সাব্যস্ত কিংবা হালাল বস্তুকে - যা হালাল হবার ব্যাপারে ইজমা আছে- সেটাকে হারাম সাব্যস্ত করে তবে ফাক্বীহগণের ইজমা অনুসারে সে কাফের।”
[মাজমু' আল-ফাতাওয়া, ৩/২৬৭]
২)ইবনুল কাইয়ুম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আল্লাহ তা'আলা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, যে কেউ মুহাম্মদ এর শরী'আহ ব্যতীত অন্য কিছু দিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করে এবং এর মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করে সে ত্বাগুত। ত্বাগুত হচ্ছে ঐ সমস্ত মা'বুদ, লিডার, মুরব্বি যাদের আনুগত্য এবং অনুসরণ করতে গিয়ে সীমালংঘন করা হয়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পরিবর্তে যাদের কাছে বিচার ফয়সালা চাওয়া হয় অথবা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করা হয় অথবা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন দলিল প্রমাণ ছাড়াই যাদের আনুগত্য করা হয়। এরাই হচ্ছে পৃথিবীর বড় বড় ত্বাগুত। তুমি যদি এই সমস্ত ত্বাগুত এবং মানুষের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য কর, তাহলে বেশির ভাগ মানুষকে দেখবে আল্লাহর ইবাদতের পরিবর্তে ত্বাগুতের ইবাদত করে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে বিচার ফয়সালা চাওয়ার পরিবর্তে ত্বাগুতের কাছে বিচার ফয়সালা নিয়ে যায় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের পরিবর্তে ত্বাগুতের আনুগত্য করে। (ইলাম আল-মুওয়াক্কিন)
৩)ইমাম মোহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব (রহি) বলেন, তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে
পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
ক] শয়তানঃ গায়রুল্লাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান। মহান আল্লাহ বলেন, " হে বনী আদম, আমি কি তোমাদের (এ মর্মে) নির্দেশ দেইনি, তোমরা শয়তানের গোলামী করো না, কেননা সে হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন"। (সূরা ইয়াসিনঃ৬০)
খ] শাসকঃ আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক। মহান আল্লাহ বলেন, " এদের কি এমন কোনো শরীক আছে যারা এদের জন্যে এমন কোনো জীবনবিধান প্রণয়ন করে নিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ তায়ালা দান করেননি"। (সূরা শূরাঃ২১)
গ] বিচারকঃ আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফয়সালা করে।
মহান আল্লাহ বলেন, " যারা আল্লাহর নাযিল করা আইন অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করে
না, তারাই (হচ্ছে) কাফের"। (সূরা মায়েদা : ৪৪)
ঘ] গনক, জ্যোতিশিঃ আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে। মহান আল্লাহ বলেন, " গায়েবের চাবিগুলো সব তাঁর হাতেই নিবদ্ধ রয়েছে, সেই (অদৃশ্য) খবর তো তিনি ছাড়া আর কারোই জানা নেই, জলে স্থলে (যেখানে) যা কিছু আছে তা শুধু তিনিই জানেন, (গাছের) একটি পাতা (কোথাও) ঝরে না, যার (খবর) তিনি জানেন না”। (সূরা আনয়ামঃ৫৯)
ঙ] পীর-ফকীর, দরবেশ, প্রবৃত্তি, বাপদাদার অন্ধ অনুসরণঃ আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয়।
মহান আল্লাহ বলেন, " ( হে নবী,) তুমি কি সে ব্যক্তির (অবস্থা) দেখোনি যে তার কামনা বাসনাকে নিজের মাবুদ বানিয়ে নিয়েছে, তুমি কি তার (মতো ব্যক্তির) ওপর অভিভাবক হতে পারো? তুমি কি সত্যিই মনে করো, তাদের অধিকাংশ লোক (তোমার কথা) শুনে কিংবা (এর মর্ম) বুঝে, (আসলে) ওরা হচ্ছে পশুর মতো, বরং (কোনো কোনো ক্ষেত্রে) তারা (আরো) বেশি বিভ্রান্ত"। (সূরা ফোরকানঃ ৪৩-৪৪)
৪)ইমাম ইবনে হাযাম (রহ.) বলেছেন- যে বিষয়ে কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীস নেই, এমন বিষয়েও যদি কেউ তাওরাত কিংবা ইঞ্জিল দ্বারা বিচার করে, তবে সে একজন কাফের-মুশরেক, ইসলামে তার জন্য কোন জায়গা নেই। আর এ ব্যাপারে ফাক্কীহগণের ইজমা আছে।” (ইহকাম আল-আহকাম ফি উসুল আল-আহকাম, ৫/১৫৩)
যদি কোনো ব্যক্তি শারীয়াহর কিছু অংশ বাদ দেয়, কিংবা সম্পূর্ণ শারীয়াহ বাস্তবায়ন না করে, তবে একে কুফরে আকবার বলা হয়।
৫)আর একারণেই ইবন কাসীর (রহ.) তার আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাবের, ত্রয়োদশ খন্ড, ১১৮-১১৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, চেঙ্গিস খান এবং তাতারীদের আল ইয়াসেক (তাতারদের আইন) কিতাব সম্পর্কে লিখেছেন,এরকম যেই করবে সে মুসলিমদের ইজমা অনুযায়ী কাফের ।” (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খন্ড ১৩, পৃঃ ১১৮-১১৯)
সুতরাং প্রকৃত সালাফি, অবশ্যই মানবরচিত আইনে শাসন কারীকে তাকফির করবে।
নিশ্চয়ই হক্ব প্রতিষ্ঠিত হবে,আজ অথবা কাল
আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে।
(সূরা নাহল:৩৬)
সালাফদের চোখে,আল্লাহর আইন দিয়ে শাসন না কারী কে?
১)শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেছেনঃ " এ কারণে যে কিনা বিচার করে
কোরআনের হুকুম ছাড়া তারা তাগুত।"
( কিতাবুল আক্বাঈদ পৃঃ৫৫, মাজমু' আল ফাতাওয়া- ২৮ খন্ড, পৃঃ২০১)
“যদি কেউ কোন হারাম বস্তুকে - যা হারাম হবার ব্যাপারে ইজমা আছে- এটাকে হালাল সাব্যস্ত কিংবা হালাল বস্তুকে - যা হালাল হবার ব্যাপারে ইজমা আছে- সেটাকে হারাম সাব্যস্ত করে তবে ফাক্বীহগণের ইজমা অনুসারে সে কাফের।”
[মাজমু' আল-ফাতাওয়া, ৩/২৬৭]
২)ইবনুল কাইয়ুম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আল্লাহ তা'আলা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, যে কেউ মুহাম্মদ এর শরী'আহ ব্যতীত অন্য কিছু দিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করে এবং এর মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করে সে ত্বাগুত। ত্বাগুত হচ্ছে ঐ সমস্ত মা'বুদ, লিডার, মুরব্বি যাদের আনুগত্য এবং অনুসরণ করতে গিয়ে সীমালংঘন করা হয়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পরিবর্তে যাদের কাছে বিচার ফয়সালা চাওয়া হয় অথবা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করা হয় অথবা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন দলিল প্রমাণ ছাড়াই যাদের আনুগত্য করা হয়। এরাই হচ্ছে পৃথিবীর বড় বড় ত্বাগুত। তুমি যদি এই সমস্ত ত্বাগুত এবং মানুষের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য কর, তাহলে বেশির ভাগ মানুষকে দেখবে আল্লাহর ইবাদতের পরিবর্তে ত্বাগুতের ইবাদত করে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে বিচার ফয়সালা চাওয়ার পরিবর্তে ত্বাগুতের কাছে বিচার ফয়সালা নিয়ে যায় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের পরিবর্তে ত্বাগুতের আনুগত্য করে। (ইলাম আল-মুওয়াক্কিন)
৩)ইমাম মোহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব (রহি) বলেন, তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে
পাঁচ ধরণের তাগুত নেতৃত্বের আসনে রয়েছেঃ
ক] শয়তানঃ গায়রুল্লাহর ইবাদতের দিকে আহবানকারী শয়তান। মহান আল্লাহ বলেন, " হে বনী আদম, আমি কি তোমাদের (এ মর্মে) নির্দেশ দেইনি, তোমরা শয়তানের গোলামী করো না, কেননা সে হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন"। (সূরা ইয়াসিনঃ৬০)
খ] শাসকঃ আল্লাহর আইন পরিবর্তনকারী জালেম শাসক। মহান আল্লাহ বলেন, " এদের কি এমন কোনো শরীক আছে যারা এদের জন্যে এমন কোনো জীবনবিধান প্রণয়ন করে নিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ তায়ালা দান করেননি"। (সূরা শূরাঃ২১)
গ] বিচারকঃ আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত বিধান ছাড়া যে বিচার-ফয়সালা করে।
মহান আল্লাহ বলেন, " যারা আল্লাহর নাযিল করা আইন অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করে
না, তারাই (হচ্ছে) কাফের"। (সূরা মায়েদা : ৪৪)
ঘ] গনক, জ্যোতিশিঃ আল্লাহ ব্যতীত যে ব্যক্তি এলমে গায়েব জানে বলে দাবী করে। মহান আল্লাহ বলেন, " গায়েবের চাবিগুলো সব তাঁর হাতেই নিবদ্ধ রয়েছে, সেই (অদৃশ্য) খবর তো তিনি ছাড়া আর কারোই জানা নেই, জলে স্থলে (যেখানে) যা কিছু আছে তা শুধু তিনিই জানেন, (গাছের) একটি পাতা (কোথাও) ঝরে না, যার (খবর) তিনি জানেন না”। (সূরা আনয়ামঃ৫৯)
ঙ] পীর-ফকীর, দরবেশ, প্রবৃত্তি, বাপদাদার অন্ধ অনুসরণঃ আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয়।
মহান আল্লাহ বলেন, " ( হে নবী,) তুমি কি সে ব্যক্তির (অবস্থা) দেখোনি যে তার কামনা বাসনাকে নিজের মাবুদ বানিয়ে নিয়েছে, তুমি কি তার (মতো ব্যক্তির) ওপর অভিভাবক হতে পারো? তুমি কি সত্যিই মনে করো, তাদের অধিকাংশ লোক (তোমার কথা) শুনে কিংবা (এর মর্ম) বুঝে, (আসলে) ওরা হচ্ছে পশুর মতো, বরং (কোনো কোনো ক্ষেত্রে) তারা (আরো) বেশি বিভ্রান্ত"। (সূরা ফোরকানঃ ৪৩-৪৪)
৪)ইমাম ইবনে হাযাম (রহ.) বলেছেন- যে বিষয়ে কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীস নেই, এমন বিষয়েও যদি কেউ তাওরাত কিংবা ইঞ্জিল দ্বারা বিচার করে, তবে সে একজন কাফের-মুশরেক, ইসলামে তার জন্য কোন জায়গা নেই। আর এ ব্যাপারে ফাক্কীহগণের ইজমা আছে।” (ইহকাম আল-আহকাম ফি উসুল আল-আহকাম, ৫/১৫৩)
যদি কোনো ব্যক্তি শারীয়াহর কিছু অংশ বাদ দেয়, কিংবা সম্পূর্ণ শারীয়াহ বাস্তবায়ন না করে, তবে একে কুফরে আকবার বলা হয়।
৫)আর একারণেই ইবন কাসীর (রহ.) তার আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাবের, ত্রয়োদশ খন্ড, ১১৮-১১৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, চেঙ্গিস খান এবং তাতারীদের আল ইয়াসেক (তাতারদের আইন) কিতাব সম্পর্কে লিখেছেন,এরকম যেই করবে সে মুসলিমদের ইজমা অনুযায়ী কাফের ।” (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খন্ড ১৩, পৃঃ ১১৮-১১৯)
সুতরাং প্রকৃত সালাফি, অবশ্যই মানবরচিত আইনে শাসন কারীকে তাকফির করবে।
নিশ্চয়ই হক্ব প্রতিষ্ঠিত হবে,আজ অথবা কাল