Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুফফার জাতিসংঘই ওদেরকে দাস বানিয়ে রেখেছে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুফফার জাতিসংঘই ওদেরকে দাস বানিয়ে রেখেছে


    | কুফফার জাতিসংঘই ওদেরকে দাস বানিয়ে রেখেছে |


    পৃথিবীর পরতে পরতে যখন আমাদের মা-বোনদের মানসম্মানকে ভূলুণ্ঠিত হতে দেখি, তখন নিজের অজান্তেই অন্তরটা হুহু করে কেঁদে ওঠে। কিন্তু নীরব দর্শকের মত চেয়ে দেখা ব্যতীত কিছুই করার থাকে না। কারণ আমাদের হাত-পা যে পেছন থেকে বাঁধা। আমাদের মন চাইলেও সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারি না। কারণ কুফফার জাতিসংঘের একদল পা চাটা গোলাম আমাদেরকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের ছোট ছোট ভাইবোনদের যখন টনকে টন বোমা ফেলে নির্বিচারে হত্যা করা হয়, তখন শুধু আমরা নীরব দর্শক হয়েই চেয়ে দেখি। কারণ কুফফার জাতিসংঘের এই অনুগত দাসরাই আমাদেরকে বহু সীমানায় বিভক্ত করে রেখেছে। আমরা চাইলেও এই সীমানা অতিক্রম করতে পারি না। এরা কেমন কুফফার জাতিসংঘের অনুগত দাস দেখুন। এরা মাজলুন মুসলিমদের নির্যাতিত হতে দেখেও চুপ করে বসে থাকে, কেবল তাদের কুফফার জাতিসংঘ নামক প্রভুদের খুশি করার জন্য। বিলাসিতায় মত্ত এই জালিম শাসকেরা কোনভাবেই নির্যাতিত মাজলুন মুসলিমদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে না। বরং তারা তাদের দুনিয়াবি আরাম-আয়েশ আর তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তিকে টিকিয়ে রাখার জন্য উম্মাতে মুহাম্মাদীকে গ্রেফতার করা, গুম করা, জেলে বন্দী করা এমনি হত্যা করাকেও সংগত মনে করে। এর অসংখ্য বাস্তব উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে। প্রকৃত কথা হচ্ছে এরা কুফফার জাতিসংঘের বেধে দেওয়া সীমানার মধ্য থেকে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। সহজ কথায় বলা যায় এরা হচ্ছে কুফফার জাতিসংঘের নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাস্তবায়নকারী প্রতিনিধি। কোনো মুসলিমের একথা বলার সুযোগ নেই যে এরা মুসলিমদের শাসক, বরং এরা হচ্ছে কুফফারদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী দালাল শাসক। এদের দৃষ্টান্ত কেমন দেখুন, কুফফার জাতিসংঘ এদেরকে যেদিকে হাঁটতে বলে এরা সবাই সেদিকেই হাঁটে। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে মুসলিমদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হলে এদের সবার একই বুলি, আর তা হচ্ছে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় না, বরং এটা ঐ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আসলে এদের জীবন জাতিসংঘ নামক কুফফার সংঘের চার বৃত্তের মাঝে আটকা পড়েছে। এরা চাইলেও মুসলিমদের উদ্ধার করতে পারবে না, বরং এরা শুধু চেয়ে দেখবে আর সুযোগ পেলে এরাও মুসলিম হত্যার মিশনে যুক্ত হতে থাকবে, যেমনটা এরা ইতপূর্বেই কুফফার জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও প্রমাণ দিতে থাকবে।

    তাই মাজলুম মুসলিমদের জন্য এখন এই সমস্ত দালাল শাসকদের দিকে না তাকিয়ে থেকে নিজেদের রাস্তা নিজেদেরই দেখা উচিত। নিজেদের হারানো গৌরব, মান-মর্যাদা ও অধিকার ফিরে পেতে নববী মানহাজে ফিরে আসা উচিত। প্রতিটি মুসলিমকে একটি কথা খুব ভালো করে মনে রাখা উচিত যে আজ যদি তাদের রক্ত চক্ষুকে দেখে আমরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বসে থাকি, তবে তারা আমাদের শুধু ভয় দেখাতেই থাকবে। পরিণামে আমরা কখনো মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবো না। তাই কোনো মুসলিমকে বসে থাকলে চলবে না, বরং আল্লাহ ও তার রাসুলের পথ অনুযায়ী ধাপে ধাপে সামনের দিকে আগ্রসর হয়ে নিজেদের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
Working...
X