এরা চতুস্পদ জীব-জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট★ উইপোকার আগুনে ঝাঁপ! ★
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন উইপোকা কখন আগুনে ঝাঁপ দেয়?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! যখন তার পাখা গজায়। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় হলেই পাখা গজায়, আর অমনি সে অগ্নিস্ফুলিঙ্গে ঝাঁপিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায়।
প্রশ্নঃ- উইপোকা আগুনে ঝাঁপ দেয় কেন?
লাভ ক্ষতি তার জানা আছে কি?
উত্তরঃ- আগুনকে মহব্বত করে আগুনে ঝাঁপ দেয়।
লাল দেখে সুন্দর মনে করে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রশ্নঃ- লাভ কী?
উত্তরঃ- লালকে ভালবেসে লালে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
লাল যে তার জন্য কাল হবে হয়ত সে জানেনা।
অর্থাৎ আগুনকে ভালবেসে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আগুন যে কাল সাপের ন্যয় দংশন করবে হয়তো সে জানে না। জানবেই বা কিভাবে?
আল্লাহ তাআলা তো তাকে সেই যোগ্যতা দেইনি।
বিঃদ্রঃ- মানুষ রাত্রে আগুন জ্বালায় আলোর জন্য, অথবা পথিকের সুবিধার জন্য , বহু চেষ্টা করে পোকা গুলোকে আগুন থেকে ফিরানোর জন্য , কিন্তু ফিরানো রায় না। মহব্বতের কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে আগুনে পড়ে।
মুমিন, মুসলমান হয়ে আল্লাহর মহব্বতের দাবি করে আল্লাহর হুকুম মানিনা।
এরপর ও কি আমি ঈমানদার?
বা আল্লাহর মহব্বতের দাবিদার?
না মুনাফিক?
★
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন মশার মরণ কোন সময় হয়?
উত্তরঃ- পেট ভরে খাওয়া ই তার জন্য মরণের কারণ । অর্থাৎ ক্ষুধার্ত থাকাটাই জীবন , আর পেট ভরা ই তার জন্য মরণ।
প্রশ্নঃ- কাফের, মুশরিক ও বিশেষ করে আমাদের দেশের আওয়ামী মশাগুলোর তাদের পেট ভরেছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! কাফের, মুশরিক বিশেষ করে আমাদের দেশের আওয়ামী মশাগুলোর পেট ভরেছে।
প্রশ্নঃ- কিভাবে বুঝলেন যে তাদের পেট ভরেছে?
উত্তরঃ- মুসলমানদের উপর তাদের নির্যাতনের অবস্থা দেখে।
রেলের কালো বিড়াল "সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত" সে বলেছিল ৪০০০ কোটি টাকা কোন টাকাই নয়।
প্রশ্নঃ- এখন আমাদের জন্য করনীয় কি?
উত্তরঃ- এখন আমাদের জন্য করণীয় হচ্ছে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করা।
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলার বিধান কী?
উত্তরঃ- আল্লাহ তাআলার বিধান এই:-
التوبة আত-তাওবাহ
قَاتِلُوۡہُمۡ یُعَذِّبۡہُمُ اللّٰہُ بِاَیۡدِیۡکُمۡ وَ یُخۡزِہِمۡ وَ یَنۡصُرۡکُمۡ
عَلَیۡہِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে আযাব দেবেন এবং তাদেরকে অপদস্থ করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং মুমিন কওমের অন্তরসমূহকে চিন্তামুক্ত করবেন।
وَ یُذۡہِبۡ غَیۡظَ قُلُوۡبِہِمۡ ؕ وَ یَتُوۡبُ اللّٰہُ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ ؕ
وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۵﴾
আর তাদের অন্তরসমূহের ক্রোধ দূর করবেন এবং আল্লাহ যাকে চান তার তাওবা কবুল করেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন কাফের কত প্রকার ও কি কি ?
উত্তরঃ- কাফের সাত প্রকার:-
১) মুনাফিক
২) মুরতাদ
৩) মুশরিক
৪) কিতাবী
৫) দাহরিয়া
৬) মুআত্তিল/নাস্তিক
৭) যিন্দিক
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন কাফের সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের সাথে এমন আচরণ কেন করছে?
উত্তরঃ- ১) তাদের মরণ ঘনিয়ে আসছে, এজন্য তারা এগুলো করছে।
২) মুসলমান আল্লাহর হুকুম না মানার কারণে আল্লাহর পক্ষ হতে তাদের জন্য শাস্তি স্বরূপ ।
যাতে সে পূণরায় আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়।
প্রশ্নঃ- আল্লাহর দরবারে দুনিয়ার কোন মূল্য আছে কি?
উত্তরঃ- না! আল্লাহর দরবারে দুনিয়ার মূল্য নেই।
প্রশ্নঃ- কিভাবে বুঝলেন, আল্লাহর দরবারে দুনিয়ার কোন নেই?
উত্তরঃ- উক্ত হাদীস ٨- [عن أبي هريرة:] لو كانتِ الدُّنيا تعدِلُ عندَ اللهِ
جَناحَ بَعوضةٍ ما أعطى كافرًا منها شيئًا
যদি দুনিয়ার মূল্য আল্লাহর নিকট মসার ডানা বরাবর হত, তাহলে তিনি কোন কাফেরকে কোন জিনিস দিতেন না।
★ আল্লাহ তাআলা বলেন وَ لَا تَشۡتَرُوۡا بِعَہۡدِ اللّٰہِ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ اِنَّمَا عِنۡدَ اللّٰہِ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۹۵﴾
আর তোমরা স্বল্প মূল্যে আল্লাহর অঙ্গীকার বিক্রি করো না। আল্লাহর কাছে যা আছে, তোমাদের জন্যই তাই উত্তম, যদি তোমরা জানতে।
প্রশ্নঃ- তোমরা স্বল্প মূল্যে আল্লাহর অঙ্গীকার বিক্রি করো না। এর অর্থ কী?
উত্তরঃ- [১] এর অর্থ এই নয় যে, বড় লাভের বিনিময়ে তা বিক্রি করতে পারো। এখানে সামান্য মূল্য’ বলে দুনিয়ার মুনাফাকে বোঝানো হয়েছে। এগুলো পরিমাণে যত বেশীই হোক না কেন, আখেরাতের মুনাফার তুলনায় দুনিয়া ও দুনিয়ার সমস্ত ধন-সম্পদ সামান্যই বটে। [ইবন কাসীর]
প্রশ্নঃ- আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়া গ্রহণ করা কী?
উত্তরঃ- যে ব্যক্তি আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়া গ্রহণ করে, সে অত্যন্ত লোকসানের কারবার করে। কারণ, অনন্তকাল স্থায়ী উৎকৃষ্ট নেয়ামত ও ধন-সম্পদকে ক্ষণভঙ্গুর ও নিকৃষ্ট বস্তুর বিনিময়ে বিক্রয় করা কোন বুদ্ধিমান পছন্দ করতে পারে না।
**
★ ধ্বংসের আরেকটি মাধ্যমে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ★
আল্লাহ তাআলা বলেন
اِنَّ اللّٰہَ لَا یَسۡتَحۡیٖۤ اَنۡ یَّضۡرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوۡضَۃً فَمَا فَوۡقَہَا ؕ فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فَیَعۡلَمُوۡنَ اَنَّہُ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّہِمۡ ۚ وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَیَقُوۡلُوۡنَ مَا ذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُ بِہٰذَا مَثَلًا ۘ یُضِلُّ بِہٖ کَثِیۡرًا ۙ وَّ یَہۡدِیۡ بِہٖ کَثِیۡرًا ؕ وَ مَا یُضِلُّ بِہٖۤ اِلَّا الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾
নিশ্চয় আল্লাহ মশা কিংবা তার চেয়েও ছোট কিছুর উপমা দিতে লজ্জা করেন না। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা জানে, নিশ্চয় তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য।
আর যারা কুফরী করেছে তারা বলে, আল্লাহ এর মাধ্যমে উপমা দিয়ে কী চেয়েছেন?
তিনি এ দিয়ে অনেককে পথভ্রষ্ট করেন এবং এ দিয়ে অনেককে হিদায়াত দেন। আর এর মাধ্যমে কেবল ফাসিকদেরকেই পথভ্রষ্ট করেন। [১] কাতাদাহ বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে মাকড়সা ও মাছি উদাহরণ পেশ করার পর মুশরিকরা বলাবলি করল যে, মাকড়সা ও মাছি কি উল্লেখযোগ্য কিছু?
তখন আল্লাহ্ তা'আলা উক্ত আয়াত নাযিল করেন। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
প্রশ্নঃ- মশার উদাহরণ দেয়ার মধ্যে কোন যৌক্তিকতা আছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই আছে।
আবুল আলীয়া বলেন, মশার উদাহরণ দেয়ার মধ্যে যৌক্তিকতা হচ্ছে, এ সমস্ত কাফের মুশরিক ও মুনাফিকদের যখন আয়ু শেষ হয়ে যায় এবং সময় নিঃশেষ হয়ে যায় তখন তারা মশার মত প্রাণীতে পরিণত হয়।
কারণ, মশা পেট ভরলে মরে যায়, আর যতক্ষণ ক্ষুধা থাকে বেঁচে থাকে। অনুরূপভাবে এ সমস্ত কাফের-মুশরিক ও মুনাফিকরা যাদের জন্য উদাহরণ পেশ করা হয়েছে তারাও দুনিয়ার জীবিকা শেষ করার পর আল্লাহ্ শক্ত হাতে তাদের পাকড়াও করবেন এবং তাদের ধ্বংস করবেন। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
প্রশ্নঃ- ঈমানদাররা উক্ত উপমাকে কী হিসেবে দেখে?
উত্তরঃ- [২] অর্থাৎ ঈমানদাররা নিশ্চিত জানে যে, এ উপমা প্রদান করা হক্ব বা যথাযথ। অথবা এর অর্থ, তারা জানে যে, এটা আল্লাহ্র বাণী এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হক হিসেবে তাদের কাছে এসেছে। [তাবারী]
প্রশ্নঃ- তাদেরকে বিভ্রান্ত করার কারণ কী?
উত্তর ঃ-
[৩] অর্থাৎ তারা ফাসেক বা অবাধ্য হওয়াতেই তাদের শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ্ তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছেন। কেউ খারাপ পথে চলতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে সে পথে চলতে দেন।
**** 7:179
وَ لَقَدۡ ذَرَاۡنَا لِجَہَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ ۫ۖ لَہُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اٰذَانٌ لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ ﴿۱۷۹﴾
আর অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে। তাদের রয়েছে অন্তর, তা দ্বারা তারা বুঝে না; তাদের রয়েছে চোখ, তা দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের রয়েছে কান, তা দ্বারা তারা শুনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তারা অধিক পথভ্রষ্ট। তারাই হচ্ছে গাফেল।
প্রশ্নঃ- وَ لَقَدۡ ذَرَاۡنَا لِجَہَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ বিনা কারণেই কি আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন?
উত্তরঃ- [১] এর অর্থ এটা নয় যে, আমি বিনা কারণে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার জন্যই সৃষ্টি করেছিলাম এবং তাদেরকে সৃষ্টি করার সময় এ সংকল্প করেছিলাম যে, তাদেরকে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত করবো।
বরং এর সঠিক অর্থ হচ্ছে, আমি তো তাদেরকে হৃদয়, মস্তিষ্ক, কান, চোখ সবকিছুসহ সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু এ বেকুফরা এগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেনি এবং নিজেদের অসৎ কাজের বদৌলতে শেষ পর্যন্ত তারা জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হয়েছে।
সুতরাং তাদের আমলই তাদেরকে জাহান্নামের উপযুক্ত করেছে। তাদের জাহান্নাম দেয়া আল্লাহর ইনসাফের চাহিদা। সে হিসেবে তিনি যেহেতু আগে থেকেই জানেন যে, তারা জাহান্নামে যাবে,
সুতরাং তাদেরকে যেন তিনি জাহান্নামের আগুনে শাস্তি দেয়ার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। [ফাতহুল কাদীর ]
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করবেন কি? ۫ۖ لَہُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اٰذَانٌ لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ ﴿۱۷۹﴾
উত্তরঃ- [২] আয়াতে বলা হয়েছেঃ এরা কিছুই বোঝে না, কোন কিছু দেখেও না এবং শুনেও না। অথচ বাস্তবে এরা পাগল বা উম্মাদ নয় যে, কিছুই বুঝতে পারে না। অন্ধও নয় যে, কোন কিছু দেখবে না, কিংবা বধিরওঁ নয় যে, কোন কিছু শুনবে না। বরং প্রকৃতপক্ষে এরা পার্থিব বিষয়ে অধিকাংশ লোকের তুলনায় অধিক সতর্ক ও চতুর।
উদ্দেশ্য এই যে, তাদের যা বুঝা বা উপলব্ধি করা উচিত ছিল তারা তা করেনি, যা দেখা উচিত ছিল তা তারা দেখেনি, যা কিছু তাদের শুনা উচিত ছিল তা তারা শুনেনি। আর যা কিছু বুঝেছে, দেখেছে এবং শুনেছে, তা সবই ছিল সাধারণ জীবজন্তুর ' পর্যায়ের বুঝা, দেখা ও শুনা, যাতে গাধা-ঘোড়া, গরু-ছাগল সবই সমান।
এ জন্যই উল্লেখিত আয়াতের শেষাংশে এসব লোক সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ “এরা চতুস্পদ খাদ্য আর পেটই হলো তাদের চিন্তার সর্বোচ্চ স্তর।
অতঃপর বলা হয়েছেঃ “এরা চতুস্পদ জীব-জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট
প্রশ্ন ঃ-এরা চতুস্পদ জীব-জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট হওয়ার কারণ কী?
উত্তর ঃ-
" তার কারণ চতুস্পদ জীব-জানোয়ার শরীআতের বিধি-নিষেধের আওতাভুক্ত নয়- তাদের জন্য কোন সাজা-শাস্তি কিংবা দান-প্রতিদান নেই। তাদের লক্ষ্য যদি শুধুমাত্র জীবন ও শরীর-কাঠামোতে সীমিত থাকে তবেই যথেষ্ট। কিন্তু মানুষকে যে স্বীয় কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। সেজন্য তাদের সুফল কিংবা শাস্তি ভোগ করতে হবে। কাজেই এসব বিষয়কেই নিজেদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বলে সাব্যস্ত করে বসা জীবজন্তুর চেয়েও অধিক নির্বুদ্ধিতা। তাছাড়া জীব-জানোয়ার নিজের প্রভূ ও মালিকের সেবা যথার্থই সম্পাদন করে। পক্ষান্তরে অকৃতজ্ঞ না-ফরমান মানুষ স্বীয় মালিক, পালনকর্তার আনুগত্যে ক্রটি করতে থাকে। সে কারণে তারা চতুস্পদ জানোয়ার অপেক্ষা বেশী নির্বোধ ও গাফেল। কাজেই বলা হয়েছে "এরাই হলো প্রকৃত গাফেল।” [দেখুন, তাবারী; ইবন কাসীর]
প্রশ্নঃ- সম্মানিত উলামায়ে কেরাম! কাফেররা উইপোকার মতন জাহান্নামের আগুনে লাফিয়ে পড়ছে এর থেকে উত্তোলন ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব নয় কি?
*****
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا رَبَّنَاۤ اَرِنَا الَّذَیۡنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ
نَجۡعَلۡہُمَا تَحۡتَ اَقۡدَامِنَا لِیَکُوۡنَا مِنَ الۡاَسۡفَلِیۡنَ ﴿۲۹﴾
আর কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
প্রশ্নঃ- আপনাদের বিরুদ্ধে উক্ত আয়াত পেশ করবে কি?
উত্তর কী দিবেন প্রস্তুত করেছেন কি?
সকল উলামায়ে কেরাম মুজাহিদের কাতারে দাঁড়ানো আবশ্যক নয় কি?
সকল সাহাবী মুজাহিদ ছিলেন আমাদের সকলের জানা নয় কি?
শাহাদাতের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হওয়া উলামায়ে কেরামের শানের খেলাফ নয় কি?
হে আল্লাহ! তুমি মোমেনদেরকে বিজয় দান।
হে আল্লাহ! তুমি উলামায়ে হকদের কুরবানীকে কবুল কর।
হে আল্লাহ ! তুমি উলামায়ে ছূ'দের কে ধ্বংস করে দাও।
হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সহ সকল মুজাহিদদেরকে শাহাদতের শরবত পান করাও। আমীন।
***
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন উইপোকা কখন আগুনে ঝাঁপ দেয়?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! যখন তার পাখা গজায়। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় হলেই পাখা গজায়, আর অমনি সে অগ্নিস্ফুলিঙ্গে ঝাঁপিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায়।
প্রশ্নঃ- উইপোকা আগুনে ঝাঁপ দেয় কেন?
লাভ ক্ষতি তার জানা আছে কি?
উত্তরঃ- আগুনকে মহব্বত করে আগুনে ঝাঁপ দেয়।
লাল দেখে সুন্দর মনে করে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রশ্নঃ- লাভ কী?
উত্তরঃ- লালকে ভালবেসে লালে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
লাল যে তার জন্য কাল হবে হয়ত সে জানেনা।
অর্থাৎ আগুনকে ভালবেসে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আগুন যে কাল সাপের ন্যয় দংশন করবে হয়তো সে জানে না। জানবেই বা কিভাবে?
আল্লাহ তাআলা তো তাকে সেই যোগ্যতা দেইনি।
বিঃদ্রঃ- মানুষ রাত্রে আগুন জ্বালায় আলোর জন্য, অথবা পথিকের সুবিধার জন্য , বহু চেষ্টা করে পোকা গুলোকে আগুন থেকে ফিরানোর জন্য , কিন্তু ফিরানো রায় না। মহব্বতের কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে আগুনে পড়ে।
মুমিন, মুসলমান হয়ে আল্লাহর মহব্বতের দাবি করে আল্লাহর হুকুম মানিনা।
এরপর ও কি আমি ঈমানদার?
বা আল্লাহর মহব্বতের দাবিদার?
না মুনাফিক?
★
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন মশার মরণ কোন সময় হয়?
উত্তরঃ- পেট ভরে খাওয়া ই তার জন্য মরণের কারণ । অর্থাৎ ক্ষুধার্ত থাকাটাই জীবন , আর পেট ভরা ই তার জন্য মরণ।
প্রশ্নঃ- কাফের, মুশরিক ও বিশেষ করে আমাদের দেশের আওয়ামী মশাগুলোর তাদের পেট ভরেছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! কাফের, মুশরিক বিশেষ করে আমাদের দেশের আওয়ামী মশাগুলোর পেট ভরেছে।
প্রশ্নঃ- কিভাবে বুঝলেন যে তাদের পেট ভরেছে?
উত্তরঃ- মুসলমানদের উপর তাদের নির্যাতনের অবস্থা দেখে।
রেলের কালো বিড়াল "সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত" সে বলেছিল ৪০০০ কোটি টাকা কোন টাকাই নয়।
প্রশ্নঃ- এখন আমাদের জন্য করনীয় কি?
উত্তরঃ- এখন আমাদের জন্য করণীয় হচ্ছে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করা।
প্রশ্নঃ- আল্লাহ তাআলার বিধান কী?
উত্তরঃ- আল্লাহ তাআলার বিধান এই:-
التوبة আত-তাওবাহ
قَاتِلُوۡہُمۡ یُعَذِّبۡہُمُ اللّٰہُ بِاَیۡدِیۡکُمۡ وَ یُخۡزِہِمۡ وَ یَنۡصُرۡکُمۡ
عَلَیۡہِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে আযাব দেবেন এবং তাদেরকে অপদস্থ করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং মুমিন কওমের অন্তরসমূহকে চিন্তামুক্ত করবেন।
وَ یُذۡہِبۡ غَیۡظَ قُلُوۡبِہِمۡ ؕ وَ یَتُوۡبُ اللّٰہُ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ ؕ
وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۱۵﴾
আর তাদের অন্তরসমূহের ক্রোধ দূর করবেন এবং আল্লাহ যাকে চান তার তাওবা কবুল করেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন কাফের কত প্রকার ও কি কি ?
উত্তরঃ- কাফের সাত প্রকার:-
১) মুনাফিক
২) মুরতাদ
৩) মুশরিক
৪) কিতাবী
৫) দাহরিয়া
৬) মুআত্তিল/নাস্তিক
৭) যিন্দিক
প্রশ্নঃ- আপনি কি জানেন কাফের সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের সাথে এমন আচরণ কেন করছে?
উত্তরঃ- ১) তাদের মরণ ঘনিয়ে আসছে, এজন্য তারা এগুলো করছে।
২) মুসলমান আল্লাহর হুকুম না মানার কারণে আল্লাহর পক্ষ হতে তাদের জন্য শাস্তি স্বরূপ ।
যাতে সে পূণরায় আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়।
প্রশ্নঃ- আল্লাহর দরবারে দুনিয়ার কোন মূল্য আছে কি?
উত্তরঃ- না! আল্লাহর দরবারে দুনিয়ার মূল্য নেই।
প্রশ্নঃ- কিভাবে বুঝলেন, আল্লাহর দরবারে দুনিয়ার কোন নেই?
উত্তরঃ- উক্ত হাদীস ٨- [عن أبي هريرة:] لو كانتِ الدُّنيا تعدِلُ عندَ اللهِ
جَناحَ بَعوضةٍ ما أعطى كافرًا منها شيئًا
যদি দুনিয়ার মূল্য আল্লাহর নিকট মসার ডানা বরাবর হত, তাহলে তিনি কোন কাফেরকে কোন জিনিস দিতেন না।
★ আল্লাহ তাআলা বলেন وَ لَا تَشۡتَرُوۡا بِعَہۡدِ اللّٰہِ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ اِنَّمَا عِنۡدَ اللّٰہِ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۹۵﴾
আর তোমরা স্বল্প মূল্যে আল্লাহর অঙ্গীকার বিক্রি করো না। আল্লাহর কাছে যা আছে, তোমাদের জন্যই তাই উত্তম, যদি তোমরা জানতে।
প্রশ্নঃ- তোমরা স্বল্প মূল্যে আল্লাহর অঙ্গীকার বিক্রি করো না। এর অর্থ কী?
উত্তরঃ- [১] এর অর্থ এই নয় যে, বড় লাভের বিনিময়ে তা বিক্রি করতে পারো। এখানে সামান্য মূল্য’ বলে দুনিয়ার মুনাফাকে বোঝানো হয়েছে। এগুলো পরিমাণে যত বেশীই হোক না কেন, আখেরাতের মুনাফার তুলনায় দুনিয়া ও দুনিয়ার সমস্ত ধন-সম্পদ সামান্যই বটে। [ইবন কাসীর]
প্রশ্নঃ- আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়া গ্রহণ করা কী?
উত্তরঃ- যে ব্যক্তি আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়া গ্রহণ করে, সে অত্যন্ত লোকসানের কারবার করে। কারণ, অনন্তকাল স্থায়ী উৎকৃষ্ট নেয়ামত ও ধন-সম্পদকে ক্ষণভঙ্গুর ও নিকৃষ্ট বস্তুর বিনিময়ে বিক্রয় করা কোন বুদ্ধিমান পছন্দ করতে পারে না।
**
★ ধ্বংসের আরেকটি মাধ্যমে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ★
আল্লাহ তাআলা বলেন
اِنَّ اللّٰہَ لَا یَسۡتَحۡیٖۤ اَنۡ یَّضۡرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوۡضَۃً فَمَا فَوۡقَہَا ؕ فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فَیَعۡلَمُوۡنَ اَنَّہُ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّہِمۡ ۚ وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَیَقُوۡلُوۡنَ مَا ذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُ بِہٰذَا مَثَلًا ۘ یُضِلُّ بِہٖ کَثِیۡرًا ۙ وَّ یَہۡدِیۡ بِہٖ کَثِیۡرًا ؕ وَ مَا یُضِلُّ بِہٖۤ اِلَّا الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾
নিশ্চয় আল্লাহ মশা কিংবা তার চেয়েও ছোট কিছুর উপমা দিতে লজ্জা করেন না। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা জানে, নিশ্চয় তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য।
আর যারা কুফরী করেছে তারা বলে, আল্লাহ এর মাধ্যমে উপমা দিয়ে কী চেয়েছেন?
তিনি এ দিয়ে অনেককে পথভ্রষ্ট করেন এবং এ দিয়ে অনেককে হিদায়াত দেন। আর এর মাধ্যমে কেবল ফাসিকদেরকেই পথভ্রষ্ট করেন। [১] কাতাদাহ বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে মাকড়সা ও মাছি উদাহরণ পেশ করার পর মুশরিকরা বলাবলি করল যে, মাকড়সা ও মাছি কি উল্লেখযোগ্য কিছু?
তখন আল্লাহ্ তা'আলা উক্ত আয়াত নাযিল করেন। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
প্রশ্নঃ- মশার উদাহরণ দেয়ার মধ্যে কোন যৌক্তিকতা আছে কি?
উত্তরঃ- হ্যাঁ! অবশ্যই আছে।
আবুল আলীয়া বলেন, মশার উদাহরণ দেয়ার মধ্যে যৌক্তিকতা হচ্ছে, এ সমস্ত কাফের মুশরিক ও মুনাফিকদের যখন আয়ু শেষ হয়ে যায় এবং সময় নিঃশেষ হয়ে যায় তখন তারা মশার মত প্রাণীতে পরিণত হয়।
কারণ, মশা পেট ভরলে মরে যায়, আর যতক্ষণ ক্ষুধা থাকে বেঁচে থাকে। অনুরূপভাবে এ সমস্ত কাফের-মুশরিক ও মুনাফিকরা যাদের জন্য উদাহরণ পেশ করা হয়েছে তারাও দুনিয়ার জীবিকা শেষ করার পর আল্লাহ্ শক্ত হাতে তাদের পাকড়াও করবেন এবং তাদের ধ্বংস করবেন। [আত-তাফসীরুস সহীহ]
প্রশ্নঃ- ঈমানদাররা উক্ত উপমাকে কী হিসেবে দেখে?
উত্তরঃ- [২] অর্থাৎ ঈমানদাররা নিশ্চিত জানে যে, এ উপমা প্রদান করা হক্ব বা যথাযথ। অথবা এর অর্থ, তারা জানে যে, এটা আল্লাহ্র বাণী এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হক হিসেবে তাদের কাছে এসেছে। [তাবারী]
প্রশ্নঃ- তাদেরকে বিভ্রান্ত করার কারণ কী?
উত্তর ঃ-
[৩] অর্থাৎ তারা ফাসেক বা অবাধ্য হওয়াতেই তাদের শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ্ তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছেন। কেউ খারাপ পথে চলতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে সে পথে চলতে দেন।
**** 7:179
وَ لَقَدۡ ذَرَاۡنَا لِجَہَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ ۫ۖ لَہُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اٰذَانٌ لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ ﴿۱۷۹﴾
আর অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে। তাদের রয়েছে অন্তর, তা দ্বারা তারা বুঝে না; তাদের রয়েছে চোখ, তা দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের রয়েছে কান, তা দ্বারা তারা শুনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তারা অধিক পথভ্রষ্ট। তারাই হচ্ছে গাফেল।
প্রশ্নঃ- وَ لَقَدۡ ذَرَاۡنَا لِجَہَنَّمَ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ বিনা কারণেই কি আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন?
উত্তরঃ- [১] এর অর্থ এটা নয় যে, আমি বিনা কারণে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার জন্যই সৃষ্টি করেছিলাম এবং তাদেরকে সৃষ্টি করার সময় এ সংকল্প করেছিলাম যে, তাদেরকে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত করবো।
বরং এর সঠিক অর্থ হচ্ছে, আমি তো তাদেরকে হৃদয়, মস্তিষ্ক, কান, চোখ সবকিছুসহ সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু এ বেকুফরা এগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেনি এবং নিজেদের অসৎ কাজের বদৌলতে শেষ পর্যন্ত তারা জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হয়েছে।
সুতরাং তাদের আমলই তাদেরকে জাহান্নামের উপযুক্ত করেছে। তাদের জাহান্নাম দেয়া আল্লাহর ইনসাফের চাহিদা। সে হিসেবে তিনি যেহেতু আগে থেকেই জানেন যে, তারা জাহান্নামে যাবে,
সুতরাং তাদেরকে যেন তিনি জাহান্নামের আগুনে শাস্তি দেয়ার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। [ফাতহুল কাদীর ]
প্রশ্নঃ- উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করবেন কি? ۫ۖ لَہُمۡ قُلُوۡبٌ لَّا یَفۡقَہُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اَعۡیُنٌ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ بِہَا ۫ وَ لَہُمۡ اٰذَانٌ لَّا یَسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ کَالۡاَنۡعَامِ بَلۡ ہُمۡ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡغٰفِلُوۡنَ ﴿۱۷۹﴾
উত্তরঃ- [২] আয়াতে বলা হয়েছেঃ এরা কিছুই বোঝে না, কোন কিছু দেখেও না এবং শুনেও না। অথচ বাস্তবে এরা পাগল বা উম্মাদ নয় যে, কিছুই বুঝতে পারে না। অন্ধও নয় যে, কোন কিছু দেখবে না, কিংবা বধিরওঁ নয় যে, কোন কিছু শুনবে না। বরং প্রকৃতপক্ষে এরা পার্থিব বিষয়ে অধিকাংশ লোকের তুলনায় অধিক সতর্ক ও চতুর।
উদ্দেশ্য এই যে, তাদের যা বুঝা বা উপলব্ধি করা উচিত ছিল তারা তা করেনি, যা দেখা উচিত ছিল তা তারা দেখেনি, যা কিছু তাদের শুনা উচিত ছিল তা তারা শুনেনি। আর যা কিছু বুঝেছে, দেখেছে এবং শুনেছে, তা সবই ছিল সাধারণ জীবজন্তুর ' পর্যায়ের বুঝা, দেখা ও শুনা, যাতে গাধা-ঘোড়া, গরু-ছাগল সবই সমান।
এ জন্যই উল্লেখিত আয়াতের শেষাংশে এসব লোক সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ “এরা চতুস্পদ খাদ্য আর পেটই হলো তাদের চিন্তার সর্বোচ্চ স্তর।
অতঃপর বলা হয়েছেঃ “এরা চতুস্পদ জীব-জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট
প্রশ্ন ঃ-এরা চতুস্পদ জীব-জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট হওয়ার কারণ কী?
উত্তর ঃ-
" তার কারণ চতুস্পদ জীব-জানোয়ার শরীআতের বিধি-নিষেধের আওতাভুক্ত নয়- তাদের জন্য কোন সাজা-শাস্তি কিংবা দান-প্রতিদান নেই। তাদের লক্ষ্য যদি শুধুমাত্র জীবন ও শরীর-কাঠামোতে সীমিত থাকে তবেই যথেষ্ট। কিন্তু মানুষকে যে স্বীয় কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। সেজন্য তাদের সুফল কিংবা শাস্তি ভোগ করতে হবে। কাজেই এসব বিষয়কেই নিজেদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বলে সাব্যস্ত করে বসা জীবজন্তুর চেয়েও অধিক নির্বুদ্ধিতা। তাছাড়া জীব-জানোয়ার নিজের প্রভূ ও মালিকের সেবা যথার্থই সম্পাদন করে। পক্ষান্তরে অকৃতজ্ঞ না-ফরমান মানুষ স্বীয় মালিক, পালনকর্তার আনুগত্যে ক্রটি করতে থাকে। সে কারণে তারা চতুস্পদ জানোয়ার অপেক্ষা বেশী নির্বোধ ও গাফেল। কাজেই বলা হয়েছে "এরাই হলো প্রকৃত গাফেল।” [দেখুন, তাবারী; ইবন কাসীর]
প্রশ্নঃ- সম্মানিত উলামায়ে কেরাম! কাফেররা উইপোকার মতন জাহান্নামের আগুনে লাফিয়ে পড়ছে এর থেকে উত্তোলন ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব নয় কি?
*****
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا رَبَّنَاۤ اَرِنَا الَّذَیۡنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ
نَجۡعَلۡہُمَا تَحۡتَ اَقۡدَامِنَا لِیَکُوۡنَا مِنَ الۡاَسۡفَلِیۡنَ ﴿۲۹﴾
আর কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
প্রশ্নঃ- আপনাদের বিরুদ্ধে উক্ত আয়াত পেশ করবে কি?
উত্তর কী দিবেন প্রস্তুত করেছেন কি?
সকল উলামায়ে কেরাম মুজাহিদের কাতারে দাঁড়ানো আবশ্যক নয় কি?
সকল সাহাবী মুজাহিদ ছিলেন আমাদের সকলের জানা নয় কি?
শাহাদাতের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হওয়া উলামায়ে কেরামের শানের খেলাফ নয় কি?
হে আল্লাহ! তুমি মোমেনদেরকে বিজয় দান।
হে আল্লাহ! তুমি উলামায়ে হকদের কুরবানীকে কবুল কর।
হে আল্লাহ ! তুমি উলামায়ে ছূ'দের কে ধ্বংস করে দাও।
হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সহ সকল মুজাহিদদেরকে শাহাদতের শরবত পান করাও। আমীন।
***