সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহিমাহুল্লাহু বলেন,
ولا تزال في هذا العصر المتنور الواعي المثقف أديان تعبث بعقول الناس وتسخرهم كالحمير والبقر، وتزين لأتباعها قتل مئات من البشر لأجل بقرة ذبحت في عيد الأضحى، أو شجرة مقدسة عُضدت في قرية من القرى. وهنالك أديان بغير اسم الأديان لا تقل في نفوذها وسلطانها ولا تقل في جورها وعدوانها وعبثها بعقول أتباعها وفي عجائبها عن الأديان القديمة، وهي النظم السياسية والنظريات الاقتصادية التي يؤمن بها الناس كدين ورسالة، كالجنسية والوطنية، الديموقراطية والاشتراكية والدكتاتورية والشيوعية. –ماذا خسر العالم بانحطاط المسلمين (ص: 233)
“শিক্ষা-সংস্কৃতির অগ্রগতি এবং আধুনিকতা ও প্রগতির এ যুগেও এমন অনেক ধর্মের দেখা মেলে যেসব ধর্ম মানুষের আকল-বুদ্ধি নিয়ে তামাশা করে এবং তাদেরকে গাধা-গরুর মতো বশ করে। যেসব ধর্ম শুধু কুরবানী ঈদে একটি গরু জবাইয়ের কারণে কিংবা কোনো গ্রামে একটি পবিত্র বৃক্ষ কর্তনের দায়ে তার অনুসারীদেরকে শত শত মানুষকে হত্যার বৈধতা দিয়ে দেয়। এছাড়াও বর্তমানে এমন কিছু ধর্ম আছে যা ধর্ম নামে প্রসিদ্ধ না হলেও কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার দিক দিয়ে ধর্মের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় এবং জুলুম-অত্যাচার, অনুসারীদের আকল-বুদ্ধি নিয়ে খেলা করা ও আশ্চর্যজনক বিষয়াদির বিবেচনায়ও প্রাচীন ধর্মগুলো থেকে ব্যতিক্রম নয়। সেগুলো এমন কিছু রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক দর্শন মানুষ ধর্মের মতোই যেগুলো বিশ্বাস করে, যেমন জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, সাম্যবাদ ইত্যাদি।” -মা যা খাসিরুল আলামু বিনহিতাতিল মুসলিমিন, পৃ: ২৩৩
তাই আমাদের কাজ হল_ ‘আমাদের আগমণের উদ্দেশ্য মানুষকে সকল ধর্মের অবিচার থেকে উদ্ধার করে ইসলামের ইনসাফের ছায়াতলে নিসে আসা।’
যেমনঃ কাদেসিয়ার যুদ্ধের পূর্বে পারস্যের সেনাপতি রুস্তম মুসলিম বাহিনীর দূত রিবয়ী বিন আমের রাযিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করে তোমরা কেন এসেছো? তখন রিবয়ী বিন আমের বলেন,
الله ابتعثنا، والله جاء بنا لنخرج من شاء من عبادة العباد إلى عبادة الله، ومن ضيق الدنيا إلى سعتها، ومن جور الأديان إلى عدل الإسلام، تاريخ الطبري (3/ 520 ط. دار التراث)
“আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উত্থিত করেছেন, যেন আল্লাহ তাআলা যাদেরকে চান তাদেরকে সৃষ্টির গোলামি থেকে মুক্ত করে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের দিকে, দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে প্রশস্ততার দিকে এবং সকল ধর্মের অবিচার থেকে উদ্ধার করে ইসলামের ইনসাফের দিকে নিয়ে যান।” –তারীখে তাবারী: ৩/৫২০
হে আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে এই নতুন দ্বীনের ফেতনা থেকে হিফাজত করুন আমীন।