Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩৬ || “আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা” ।। মাহমুদ শীছ খাত্তাব || ত্রয়োদশ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩৬ || “আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা” ।। মাহমুদ শীছ খাত্তাব || ত্রয়োদশ পর্ব

    আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা
    ।।মাহমুদ শীছ খাত্তাব ||
    এর থেকেত্রয়োদশ পর্ব
    ===================
    উপসংহার


    জিহাদের বাস্তব আবেদন

    ১৩৮৯ হিজরীর ৮ই জমাদিউস্‌সানী, মুতাবিক ২১ শে আগস্ট ১৯৬৯, বৃহস্পতিবার ইসরাঈল পবিত্র আল-আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগ করে, যাতে প্রাচীন মিম্বর সহ ( Antique pulpit) মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব অংশ বিধ্বস্ত হয়। এই অমানবিক হামলা মুসলমান এবং আরবরা যে মসজিদকে অতি পবিত্র মনে করে, তার প্রতি ইসরাঈলের ঘৃণ্য ও পবিত্রতা নাশের একটি চরম দৃষ্টান্ত ।

    এটি অত্যন্ত অনুতাপের বিষয় যে, আল-আকসা মসজিদের এই অগ্নি সংযোগকে কেউই বিস্ময়ের ব্যাপার হিসেবে গ্রহণ করেনি। যেহেতু বিশ্ব য়াহূদী সম্প্রদায়, এমনকি তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব থেকেই এই আশা পোষণ করে আসছে যে, তারা আল-আকসা মসজিদকে পুরা ধ্বংস করে দিয়ে সেই স্থলে সলেমানের মন্দির স্থাপন করবে। তাদের এই ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র কয়েকটি এখানে উল্লেখ করছি।


    (ক) ১৯৪৮-এ ইসরাঈল রাষ্ট্রের জন্মের পূর্বেঃ য়াহূদী বিশ্বকোষে বলা হয়েছে-'য়াহূ দীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে জেরুজালেম অতিক্রম করবার জন্য, আরবদের জয় করবার জন্য এবং তাদের ফেলে আসা মন্দিরে পুনরায় উপাসনা শুরু ও সেখানে তাদের রাজত্ব কায়েম করার জন্য।[1]

    ব্রিটানিকা বিশ্বকোষে বলা হয়েছে-য়াহূ দীরা ভবিষ্যতে ইসরাঈলের বিস্তৃতি, য়াহূ দী রাষ্ট্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সলেমান বেদীর পুনঃনির্মাণের স্বপ্ন দেখছে।[2]

    প্যালেস্টাইন বৃটিশ অধিকারে থাকাকালে য়াহূ, দীরা তাদের আইনগত সম্পত্তি (Legal property) হিসেবে জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদের উপর অধিকার দাবী করেছিল। ১৯২৯ সালে য়াহূদী নেতা ক্লোজ (Klotz ) ঘোষণা করেন যে, আল-আকসা মসজিদ, যা সমস্ত পবিত্র স্থানসমূহের মধ্যে সেরা পবিত্র (Holy of the holies) হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, সেটি য়াহূদীদের সম্পত্তি ।

    য়াহূদী বৃটিশ মন্ত্রী লর্ড মিটি ( Lord Mitchit) বলেন, সলেমান মন্দির পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সেই শুভ দিন খুবই নিকটে এবং আমি আমার বাকী জীবন উৎসর্গ করবো উক্ত মন্দির সেইস্থানে নির্মাণ করবার জন্য, যেখানে আল-আকসা মসজিদ দাঁড়িয়ে আছে।

    (খ) ইসরাঈলের জন্মের পরে ইসরাঈলের জন্মলাভের পরে আল- আকসা মসজিদকে ধ্বংস করা ও সেই স্থলে সলেমান মন্দির প্রতিষ্ঠা করার ইসরাঈলী পরিকল্পনা অধিকতর স্পষ্ট হয়ে উঠে।

    ১৯৬৭ সালের ৬ই জুন তারিখে ইসরাঈল জেরুজালেমের প্রাচীন নগরী অধিকার করে। নগরী অধিকারের পরপরই প্রধান পুরোহিতের নেতৃত্বে ইসরাঈলী প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ বিলাপরত প্রাচীরের (Wailing wall) দিকে মার্চ করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যেখানে মোশে দায়ান ঘোষণা করেন, “মদীনার রাস্তা এখন আমাদের জন্য খোলা” (The road to El-Medina is now open)[3]

    একই দিনে তারা মসজিদের চার দেওয়ালের মাঝখানে অত্যন্ত নির্লজ্জ- ভাবে নাচ-গানের মাধ্যমে এর পবিত্রতা বিনষ্ট করে ( ইন্নালিল্লাহ...)

    ’৬৭ সালেই ইসরাঈল আল-আকসা মসজিদ সংলগ্ন প্রাচীন বিল্ডিংগুলো ভাঙতে শুরু করে এবং হিব্রু ধ্বংসাবশেষ সন্ধানে এর দেওয়ালসমূহের অভ্যন্তরে গর্ত খুঁড়তে থাকে। যাতে তারা সলেমান মন্দিরের নিদর্শন আবিষ্কারে সমর্থ হয়।

    জেরুজালেম অধিকার উপলক্ষে আয়োজিত এক ধর্মীয় সম্মেলনে ইসরাঈলী ধর্ম মন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ভূমি নতুন দখলের অধিকারবলে এবং দুইহাজার বৎসর পূর্বে আমাদের পূর্বপুরুষ- গণ কর্তৃক ক্রয় করার অধিকারবলে আইনত য়াহূদী সম্পত্তি

    সলেমান মন্দিরের পুনঃনির্মাণের জন্য ইসরাঈল সারা বিশ্বের য়াহূ দী ও য়াহূদীদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের নিকট থেকে চাঁদা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

    জেরুজালেমের মুসলিম বিষয়ক সুপ্রীম কাউন্সিলের নিকট ১৯৬৮ সালের ৩০ শে মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লিখিত এক চিঠিতে জনৈক আমেরিকান বলেন যে, সলেমানের মন্দির আসলে ফ্রীম্যাসনদের[4] কুটির (Masonic lodge) ছিল এবং সলেমান ছিলেন সেই কুটিরের গৃহকর্তা। হযরত ওমর (রা.) কর্তৃক নির্মিত আল-আকসা মসজিদ উক্ত স্থানে এবং সেই শিলাখণ্ডের উপরে প্রতিষ্ঠিত, যার উপরে হযরত ইবরাহিম (আ.) স্বীয় পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর নামে কুরবানী দিয়েছিলেন। সলেমান মন্দিরের পুনঃনির্মিত রূপ দেখতে চাই বিধায় একজন ফ্রীম্যাসন সদস্য এবং এর একটি গ্রুপের নেতা হিসেবে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী এর নির্মাণ ব্যয়ের জন্য চাঁদা সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিয়েছি এবং এ ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য হলো একশত মিলিয়ন ডলার চাঁদা সংগ্রহ করা।[5]

    বেন গুরিয়ান প্রায়ই বলে থাকেন, 'জেরুজালেম ছাড়া ইসরাঈলের যেমন কোন অর্থ হয় না, তেমনি সলেমান মন্দির ছাড়া জেরুজালেমের কোন অর্থ হয় না।

    আল-আকসা মসজিদে আগুন লাগাবার একমাস পূর্ব থেকেই ইসরাঈলী সংবাদ-পত্রগুলো এ ব্যাপারে পরিবেশ তৈরী করে ফেলে সংশ্লিষ্ট সকলকে উক্ত উদ্দেশ্য হাসিলে ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানায় ।

    উদাহরণ স্বরূপ 'লা মেরহাব' ( La Morhab) নামক একটি য়াহূ দী পত্রিকা 'জেরুজালেমের সলেমান মন্দির' এই শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে লেখা হয় যে, 'ইসরাঈলী কর্তৃপক্ষকে যে কোন মূল্যে (জেরুজালেম) মুসলমানদের সকল পবিত্র স্থানসমূহ দখল করতে হবে এবং সেগুলোকে সম্পূর্ণরূপে নিজ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

    আল-আকসা মসজিদে আগুন লাগানোর পর ইসরাঈলী কর্তৃপক্ষ ’৬৯- এর ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে হেবরন শহরে অবস্থিত হযরত ইবরাহীম (আ.)- এর মসজিদ দখল করে এবং আরবদের ও মুসলমানদের সকল প্রতিবাদ ও ঘৃণা সত্ত্বেও একে য়াহূদী পূজামন্দিরে (Synagogue) রূপান্তরিত করে এবং সংগে সংগে মুসলমানদের উপরে এখানে ইবাদত করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিঃসন্দেহে য়াহূ দীরা 'ইবরাহিম মসজিদের উপর চিরস্থায়ী দখল কায়েমের উদ্দেশ্যে সাময়িকভাবে সেখানে আবিস্কারমূলক পদক্ষেপ (Exploratory step ) করেছে মাত্র।"

    ১৯৭০ সালের ২২শে জুলাই পাদ্রী লিডিঞ্জারকে হেবরনের সামরিক গভর্নর-এর বাড়ী থেকে বের হতে দেখা গেল। তাকে একজন পাদ্রীর চাইতে বরং একজন আমেরিকান রাখাল বালক বলেই মনে হচ্ছিল ।

    কোমরে চামড়ার বেল্টে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক ঝুলানো এবং ডোরাকাটা স্পোর্টস জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় তিনি ছিলেন। তাঁর সংগে প্রসিদ্ধ বৃটিশ পত্রিকা 'দি গার্ডিয়ানের' সংবাদদাতা ছিলেন। দু'জনে হেবরনের একটি পাহাড়ের উপর দিয়ে চলছিলেন, যেখানে আরব মেয়রদের বাসস্থানগুলো অবস্থিত ছিল। এমন সময় পাদ্রী লিভিঞ্জার বললেন, "আমরা এখানে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে আমাদের বসত বাড়ী গড়ে তুলবো। আমরা প্রথমত এখানে আড়াই'শ য়াহূ দী পরিবারের বসবাসের ব্যবস্থা করবো এবং শেষ পর্যন্ত আড়াই হাজার বাসিন্দার বসবাসের সুযোগ করে দেব।”

    সংবাদদাতা জিজ্ঞেস করলেন, “তখন (স্থানীয়) আরবদের ব্যবস্থা কি হবে?"

    পাদ্রী উত্তর করলেন, "আমরা আরবদের পরাজিত করবো এবং বৃহত্তর হেবরনের গোড়া পত্তন করবো।”

    হেবরন ইসরাঈলের একটি অংশ, যা তেল-আবিবের চাইতেও আমাদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃত প্রস্তাবে একজন সম্পদশালী য়াহূদী তার বেতের ফ্যাক্টরী সুচারুরূপে পরিচালনার সম্ভাবনা যাচাই করার জন্য এখানে এসেছে।

    গার্ডিয়ান সংবাদদাতা তার পত্রিকায় লেখেন যে, য়াহূ দী বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্য হেবরনে আরব সম্পত্তিসমূহ হতে তাদেরকে বেদখল করার প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে।

    মেনাহিম যেগিন তাঁর এক বক্তৃতায় ঘোষণা দেন যে, ইসরাঈলী ক্যাবি- নেটের একজন সদস্য হিসেবে এখানে আমার এ কথা ঘোষণা দেওয়ার অধিকার রয়েছে যে, সরকারের নীতি কেবলমাত্র হেবরণকে ইসরাঈলের সংগে চিরস্থায়ী সংযুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে না। বরং ইসরাঈলের খোদা কেবলমাত্র আমাদেরকেই এককভাবে পূরা দেশ শাসন করার ক্ষমতা দান করেছেন এবং সে কারণেই সকল অধিকৃত ভূমি ইসরাঈলের সংগে সংযুক্ত হওয়া আশু জরুরী।

    জেরুজালেমের সুপ্রীম মুসলিম কাউন্সিল আল-আকসা মসজিদ সম্পর্কে য়াহূদী ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সর্বদা হুশিয়ার থাকেন, তারা (তৎকালীন) ইসরাঈলী প্রধান মন্ত্রী গোল্ডা মেয়ারের নিকট দাবী করেন এই মর্মে যে, আল- আকসা মসজিদের ভিতরে নিকট যে খনন কার্য চালানো হচ্ছে, তা এখনই বন্ধ করা হোক। তারা তাকে সতর্ক করে দেন যে, এই খনন কার্যের ফলে মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বসে পড়তে পারে।

    জেরুজালেমের আরব মুসলিম নেতারা এই মর্মে আশংকা প্রকাশ করেন যে, এই খনন কাৰ্যসমূহ, যা ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ ফুট গভীরে পৌঁছে গেছে— মসজিদের নিরাপত্তা দারুণভাবে বিঘ্নিত করবে যেমন ইতিপূর্বকার খননসমূহের ফলে মসজিদের অধিকাংশে দারুণ ক্ষতি হয়েছিল এখানে অগ্নি-সংযোগের আগে।

    মুসলিম নেতারা আরও বলেন, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, ইসরাঈলের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ সলেমান মন্দির উদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মসজিদের অভ্যন্তরেই একটি য়াহূ দী পূজা মন্দির স্থাপন করতে চান[6]

    এ ব্যাপারে সুপ্রীম মুসলিম কাউন্সিলের সকল প্রতিবাদ বিফলে গেছে। হায় এই নিশ্ছিদ্র তিমিরাবরণের কি অবসান ঘটবে না?

    ১৯৬৮ সালে কায়রো, মক্কা এবং আম্মানে ও ১৯৬৯ সালে মালয়ে- শিয়ার কুয়ালালামপুরে ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বহু সংখ্যক মুসলিম ওলামা ও রাজনীতিবিদ উক্ত সম্মেলনসমূহে যোগদান করেন। এই সকল সম্মেলনে উপস্থিত অনুপস্থিত সকলেই য়াহূ দীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার জন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহবান জানানোর ব্যাপারে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তারা আরও ঘোষণা করেন যে, জিহাদ ঘোষণার জন্য- পবিত্র কুরআনে নির্দেশিত কারণসমূহের সবগুলোই ইসরাঈলের দ্বারা পূর্ণ হয়েছে। যেমন, ইসলামী আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইসরাঈলের ব্যাপক আগ্রাসন, ইসলামের অধিকাংশ পবিত্র ভূমির অমর্যাদা, আরব (মুসলিম) ফিলিস্তিনীদেরকে তাদের আবাসভূমি থেকে বিতাড়ন এবং বয়স্ক ও শিশুদের অমানুষিক ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা
    অতএব জান ও মাল দিয়ে সর্বাত্মক জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য একটি ব্যাপক গণ-আন্দোলন (General mobilization) অবশ্য জরুরী হয়ে পড়েছে এবং যিনি যে এলাকারই হোন না কেন, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সাধ্যমত উক্ত দায়িত্ব পালন করা।[7]

    এর অর্থ এই যে, জিহাদ এমন একটি নির্দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে যার আর্থিক ও নৈতিক দায়িত্ব বহনে প্রতিটি মুসলিম নারী ও পুরুষ সমত হবেন। অন্যথায় তিনি ভণ্ডামীর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবেন এবং কঠিনতম শাস্তি সম্মুখীন হবেন।


    [1]. Hebrew encyclopaedia, London 1904.
    [2]. … Britanice, London 1960
    [3]. El-Medina El-Monawarah of Saudi Arabia.
    [4]. ফ্রীম্যাসনসারাবিশ্বেকার্যরতয়াহূদীদেরএকটিগুপ্তসংগঠনেরনাম-অনুবাদক
    [5]. চিঠিটিরপূর্ণবিবরণ Islamic Awaking, Kuwait No. 49, Issue 29th march. 1969 দেখুন
    [6]. See details in the Al-Ahram and Al-Jamhuria papers of Cairo in their issues of October 1, 1969.
    [7]. Resolutions and recommendations of the 4th . Congress for Islamic research. Cairo, year 1388 A. H.


    আরও পড়ুন​
    দ্বাদশ পর্ব
Working...
X