Announcement

Collapse
No announcement yet.

সংস্কার কমিশন না কি ট্রান্সজেন্ডার বাস্তবায়নের যষ্ঠি!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সংস্কার কমিশন না কি ট্রান্সজেন্ডার বাস্তবায়নের যষ্ঠি!

    সংস্কার কমিশন না কি ট্রান্সজেন্ডার বাস্তবায়নের যষ্ঠি!


    অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সংবিধানে ও বিভিন্ন নীতিমালায় এলজিবিটি অন্তর্ভুক্তিকরণের পাঁয়তারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। নিচে এই অপচেষ্টাগুলো তুলে ধরা হলো।


    ১. সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন
    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদে বৈষম্যের অননুমোদিত কারণগুলোর তালিকায় ‘নারীপুরুষভেদ’এর স্থলে অসংজ্ঞায়িত ‘লিঙ্গ’ শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে। এই ‘লিঙ্গ’ শব্দটি অসংজ্ঞায়িত থাকার সুযোগে একে ‘লিঙ্গ পরিচয়’ বা ‘জেন্ডার আইডেন্টিটি’ হিসাবে ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে এলজিবিটিকিউ+ তথা সমকামী অধিকারকে সংবিধানিক বৈধতা দানের পথ উন্মুক্ত হবে।​
    [সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, ১ম খণ্ড, পৃ: ৪৮ ও ১ম খণ্ড, পৃ: ৭৭]


    ২. জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন-
    জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ‘বৈচিত্র ও অন্তর্ভুক্তিকরণ’ (Diversity and Inclusion) বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে বৈচিত্র্য অসংজ্ঞায়িত থাকায় লিঙ্গ বৈচিত্র্যের নামে এলজিবিটিকিউ+ অন্তর্ভুক্তিকরণের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ‘পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী’ কারা এটা সুনির্দিষ্ট না করায় এখানেও এলজিবিটিকিউ+ অন্তর্ভুক্তিকরণের সম্ভাবনা রয়েছে, কেননা এই পরিভাষাগুলো এলজিবিটিকিউ+দের জন্য সচরাচর ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
    [​জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, পৃষ্ঠা ৩৫]


    . গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন
    গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদেনে গণমাধ্যমের সব পর্যায়ে (‘নারী-পুরুষ’ বা ‘নারী-পুরুষ-হিজড়া’ এর পরিবর্তে) ‘সব জেন্ডার’-এর অংগ্রহণ নিশ্চিত করার সুশারিশ করা হয়েছে। এভাবে ট্রান্সজেন্ডার তথা এলজিবিটিকিউ+ এর অন্তর্ভুক্তির পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে।
    [গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, পৃঃ ১২১,১৫৬, ১৫৭।]


    ৪.পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনঃ
    পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ‘নারী ও শিশুবান্ধব পুলিশিং’ এর পরিবর্তে ‘জেন্ডার ও শিশুবান্ধব পুলিশিং’ এর সুপারিশ করা হয়েছে। এ‌ই প্রতিবেদনে লিঙ্গ (Sex) ও জেন্ডার (Gender) সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কোথাও লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কোথাও জেন্ডার সংবেদনশীলতার কথা বলা হয়েছে। ‘জেন্ডার সমতা’ এবং ‘জেন্ডার সংবেদনশীলতা’র নামে ভবিষ্যতে এলজিবিটিকিউ+ এর অন্তর্ভুক্তির পথ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

    ১০ নম্বর সংস্কার প্রস্তাবে ‘ক্ষেত্র’ হিসেবে “নারী, শিশু ও জেন্ডার সচেতনতা” উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে ‘নারী’ উল্লেখ থাকার পরও ‘জেন্ডার’ শব্দটিকে আলাদাভাবে যুক্ত করা এলজিবিটিকিউ+ এর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে আরো সুস্পষ্ট করে তুলেছে।
    [পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, পৃষ্ঠা ৯২​​,৯৪,১০৭]


    . নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন:
    নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সংবিধানের ২৮ ও ২৯ নং অনুচ্ছেদে ‘নারীপুরুষভেদ’ এর পরিবর্তে ‘লিঙ্গ পরিচয়’ (যার ইংরেজি হচ্ছে Gender Identity) অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে, যা প্রকৃতপক্ষে সংবিধানে এলজিবিটিকিউ+ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ বলেই প্রতীয়মান হয়।

    নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীর অন্তর্ভুক্তির চেয়ে জেন্ডারের অন্তর্ভুক্তির প্রতিই বেশি যত্নশীল বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রতিবেদনে অন্ততঃ ৬০+ বার জেন্ডার শব্দটি এসেছে। ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’র চেয়ে ‘জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা’ নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেশি বলে মনে হয়েছে। যার মাধ্যমে নারীর আড়ালে এলজিবিটি-র অন্তর্ভুক্তি সম্ভব এমন কোন সুপারিশ বাদ রাখা হয়নি, যেমন: ‘জেন্ডার বিশেষজ্ঞ’, ‘জেন্ডার সংবেদনশীল কর্মক্ষেত্র’, ‘জেন্ডার-সংবেদনশীল-প্রশিক্ষণ’ ইত্যাদি।

    কোন কোন ক্ষেত্রে ‘নারী-পুরুষ’ এর পরিবর্তে ‘সকল লিঙ্গ’ পরিভাষার ব্যবহার এলজিবিটি অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কমিশনের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকেই স্পষ্টতর করে তুলেছে।
    [নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, পৃষ্ঠা:​৩৩,৩৪,১০০,১০২,২৩৪,১৬২]



    কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ - কারা সেই ‘প্রান্তিক’, ‘সুবিধা-বঞ্চিত’, ‘পিছিয়ে পড়া’ জনগোষ্ঠী?

    ​জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহের (SDGs)মূলমন্ত্র হচ্ছেঃ “Leave no one behind” যার অর্থ দাঁড়ায় “কাউকে পেছনে না ফেলে”। এই শ্লোগানটির বাংলায় প্রচলিত রূপ হচ্ছে “কাউকে বাদ দিয়ে নয়”।

    বাহ্যিকভাবে সুন্দর এই শ্লোগানের অন্তরালে যে কথাটি লুকায়িত আছে সেটাকে এভাবে বলা যায় “LGBT বাদ দিয়ে নয়”।
    জাতিসংঘের মতে LGBT একটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী।

    ২০১৫ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব বান কি-মুন বলেনঃ
    ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে যা একটিমাত্র নির্দেশনামূলক নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি: কাউকে বাদ দিয়ে নয়। আমরা কেবল তখনই এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে পারব যদি আমরা যৌন অভিমুখিতা (sexual orientation) বা লিঙ্গ পরিচয় (gender identity) নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে পৌঁছাই… LGBT ব্যক্তিদের প্রান্তিককরণ এবং বর্জনের সমাপ্তি একটি মানবাধিকারমূলক অগ্রাধিকার – এবং একটি উন্নয়ন আবশ্যকতা।[1]

    ২০১৫ সালে UNDP প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক এক ভাষণে বলেনঃ
    নারী সমকামী, পুরুষ সমকামী, উভকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং আন্তঃলিঙ্গের মানুষের অন্তর্ভুক্তি টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা’ এবং ‘সকলের জন্য মানবাধিকার’-এর মূল বিষয়।[2]

    UNDP-র এক রিপোর্টে বলা হয়ঃ
    LGBTI সম্প্রদায়ের মানুষগণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে। তাই, যদি দেশগুলিকে ২০১৫-পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (SDGs) অর্জন করতে হয় যার একটি মূল বৈশিষ্ট্য হল ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ –এই নীতি ও প্রতিশ্রুতি, তাহলে LGBTI সম্প্রদায়ের মানুষের চাহিদা এবং মানবাধিকারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য।[3]

    নিচের চার্টটা মনে রাখলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের অনেক উহ্য বিষয় আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে।
    যা তারা বাইরে বলে বা লিখে
    তারা যা বলতে বা লিখতে চায়
    কাউকে বাদ দিয়ে নয়
    LGBT বাদ দিয়ে নয়
    প্রান্তিক জনগোষ্ঠী
    LGBT
    সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী
    LGBT
    .
    সূত্রঃ
    [1] United Nations Human Rights Office. (2015, October). UN chief on LGBT rights: Leave no one behind. OHCHR. https://www.ohchr.org/en/stories/201...-no-one-behind . Accessed 29 May 2025.
    [2],[3]
    United Nations Development Programme (UNDP), Leave No One Behind: Advancing Social, Economic, Cultural and Political Inclusion of LGBTI People in Asia and the Pacific – Summary (Bangkok: UNDP, 2015), https://www.undp.org/sites/g/files/z...one-behind.pdf. Accessed 29 May 2025.

    কালেক্টেড

    ​হে আমাদের রব, এ ভয়ানক ফিতনা থেকে মুসলিম উম্মাহ ও মুসলিম বিশ্বকে হিফাজত করুন ।
    এবং এ ভয়ানক ফিতনাকে প্রতিহত করার সাহস, শক্তি, বুদ্ধিবৃত্তিক ইলম দান করুন -আমীন
    Last edited by Rakibul Hassan; 22 hours ago.


  • #2
    হে আল্লাহ, মুসলিম উম্মাহকে এই ফিতনাহ থেকে হেফাযত করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X