“আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা
।।মাহমুদ শীছ খাত্তাব ||
এর থেকে– পঞ্চদশ পর্ব
===================
।।মাহমুদ শীছ খাত্তাব ||
এর থেকে– পঞ্চদশ পর্ব
===================
আরব ও মুসলিম জনশক্তিকে দু'ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে :
(ক) যারা ইসরাঈলের নিকট প্রতিবেশী। এই এলাকার সকল অস্ত্র বহনে সক্ষম লোকদেরকে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে অথবা শত্রুর লক্ষ্য হতে পারে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানসমূহের রক্ষী হিসেবে থাকতে হবে অথবা 'ফিদাঈন' উদ্ধারকারী সংগঠনে (Fedayiin Redeemers Organi- zation) যোগদান করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকবে এবং সে তা প্রতিপালনে যথাসাধ্য চেষ্টিত থাকবে।
(খ) যারা ইসরাঈলের প্রতিবেশী নয়। তাদের মধ্যে অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যক্তিগণ সরাসরি নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যোগদান করবে অথবা ঐ সমস্ত জেলার স্থায়ী সেনা ইউনিটে যোগদান করবে, যে সব এলাকা থেকে সরাসরি দুশমনের বিরুদ্ধে হামলা করা সম্ভব হয়। যেমন, জর্ডান, সিরিয়া বা মিসর।
অস্ত্রবহনে সক্ষম আরব ও মুসলিম জনসাধারণের প্রশিক্ষণ, সংগঠন ও তাদেরকে প্রয়োজনীয় অস্ত্রসহ যুদ্ধে যোগান দেওয়ার জন্য আবশ্যক উচ্চতর গুণসম্পন্ন সামরিক কম্যান্ডের।
এই কমাণ্ডকে দুই ধরনের সমর্থনের উপর নির্ভর করতে হবে- (১) নৈতিক সমর্থন ও (২) বস্তুগত সমর্থন ।
নৈতিক সমর্থন অত্যন্ত ফলদায়ক যা সৈন্যদের মধ্যে অর্থ ও জীবনের যে কোন মূল্যের বিনিময়ে জয়লাভ না করা পর্যন্ত যুদ্ধে নিয়োজিত থাকার মত কঠিন মনোবল সৃষ্টি করে।
৬৩৪ খৃস্টাব্দে মুতাবিক ১৩ হিজরী সনে মুসলিম ও রোমান সেনা- বাহিনীর মধ্যে ঐতিহাসিক ইয়ারমুকের চুড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হবার পূর্ব-মুহূর্তে একজন সৈনিক প্রধান সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)-কে উদ্দেশ্য করে বললো, “রোমক বাহিনী কি বিরাট সে তুলনায় মুসলিম বাহিনী কতই না ক্ষুদ্র।” প্রত্যুত্তরে খালিদ (রা.) সাথে সাথেই বললেন, “রোমক বাহিনী কতই না ক্ষুদ্র, মুসলিম বাহিনী তার তুলনায় কি বিরাট। কেননা জয়লাভের ফলে সৈন্যসংখ্যা বাড়ে এবং পরাজয়ের ফলে কমে যায়। "
খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) এর দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছিলেন? তিনি সৈন্য- বল ও অস্ত্রবলকে অধিক গুরুত্ব দেন নি। বরং গুরুত্ব দিয়েছিলেন বিশেষ করে সেনাবাহিনীর ও সাধারণভাবে জনগণের নৈতিক শক্তিকে।
নেপোলিয়ান বলতেন, “নৈতিক শক্তির সাথে বস্তুগত সামর্থ্যের তুলনার হার হলো ৩ : ১।" অর্থাৎ একটি সেনাবাহিনীর নৈতিক শক্তির মূল্যমান হলো শতকরা ৭৫ ও বাকী ২৫ হলো বস্তুগত শক্তি সামর্থ্যের।
বড় বড় সামরিক নেতৃবৃন্দ ও সামরিক দর্শনের ব্যাখ্যাকারকগণ নেপো- লিয়ানের উক্ত মতকে স্বীকার করে নিয়েছেন।
জেনারেল ফাউলার (Fowler) নামক জনৈক আধুনিক বিশেষজ্ঞ নেপো- লিয়ানের উক্ত মতের বিরোধিতা করেছেন। তিনি তার Arms and History নামক বইয়ে লেখেন যে, যুদ্ধের সময় নৈতিক ও বস্তুগত শক্তিসামর্থ্যের আপেক্ষিক গুরুত্ব সমান সমান। তিনি নীতিগতভাবে (in principle) নেপোলিয়ানের মতকে সমর্থন করেছেন কিন্তু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের বিস্তারিত আলোচনায় (in... details ) যেয়ে উক্ত মতের সংগে বৈপরীত্য ও প্রকাশ করেছেন।[1]
নৈতিক শক্তি (morale) একটি মতবাদের ( doctrine or dogma ) সংগে সংগে তুলনীয় (synonymous )। কোন সেনাবাহিনী বা কোন জনতার পক্ষে জয়লাভ সম্ভব নয় একটি মতবাদ ছাড়া থাকে সে বিশ্বাস করে এবং তা রক্ষার জন্য জীবন ও সম্পদ কুরবানী করে।
একই জাতিভুক্ত জনগণের মধ্যে এবং একই সেনাবাহিনীর সৈনিকদের মধ্যে মন ও হাদয়ের ঐক্য প্রতিষ্ঠার মূল উৎস হলো মতবাদগত ঐক্য। এই ঐক্যবোধ সকল ব্যক্তি ও গ্রুপের মধ্যে এবং জনস্বার্থের সেবায় সকলকে পারস্পরিক সহযোগিতার সাথে পরিচালিত করে ।
মতবাদের বিভিন্নতা একটি সেনাবাহিনী বা একটি জাতিকে পারস্পরিক সহযোগিতা থেকে বিরত রাখে। বরং তা একটি সৈন্যদলকে সশস্ত্র বাদকদলে এবং একটি জাতিকে দ্বন্দ্বমুখর জনগোষ্ঠিতে পরিণত করে। আরবদের মতবাদ হলো ইসলাম, যা তাদেরকে যুগ যুগ ধরে বিজয়ের পথে পরিচালিত করে আসছে--যখন তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে তখন ইসলাম তাদেরকে পুরাপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে।
ইসলাম আরবদের অন্তঃকরণসমূহকে আত্মসংযম, নিয়মপ্রীতি এবং সত্যের জন্য শাহাদত বরণের গভীর আগ্রহে ভরপুর করে দিয়েছে। ইসলাম শাহাদতলাভকে আরবদেরকে শ্রেষ্ঠতম বিজয় হিসেবে দেখতে শিখিয়েছে এবং তাদেরকে আত্মমর্যাদাও দিয়েছে এই গভীর বিশ্বাস যে, পৃথিবীতে তাদের কিছু করণীয় আছে।
ইবনে খালদুন আরবদের জন্য একটি মতবাদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে- ছিলেন। তিনি তার 'আল-মুকাদ্দিমা' (Introductin) গ্রন্থে লেখেন যে, 'আরবরা কখনোই সার্বভৌম ক্ষমতা লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ না একটি গভীর ধর্ম বিশ্বাসকে তারা বরণ করতে পারবে, যা নবুওয়াত অথবা কোন মহান উত্তরাধিকার দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে।[2]
ইসলাম থাকলে আরবরা থাকবে। ইসলাম না থাকলে আরবরা ধ্বংস হবে।[3] আরবদের ব্যাপারে যা সত্য, বিশ্বের সকল অঞ্চলের মুসলিমদের জন্য তা সত্য।
আরব এবং মুসলিমগণ য়াহূদীদের সংগে লড়াই করছে। য়াহূ দীরা তাদের মতবাদের সংগে সকলে গভীরভাবে সম্পৃক্ত যা য়াহূ দী ধর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত।
য়াহূদী সেনাবাহিনীতে বহুসংখ্যক পুরোহিত রয়েছে, যারা প্রধান সাম- রিক পুরোহিতের অধীনে পরিচালিত। এই পুরোহিতগণ অন্যান্য সৈন্যদের চেয়ে আলাদা কর্তৃত্ব ভোগ করে।
বাইবেলের উপরে সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশ্নোত্তর পরিচালিত হয়। তাতে বিজয়ী সৈনিকদেরকে সম্মানিত করা হয় এবং মূল্যবান পুরস্কার দেওয়া হয়। সকল স্তরের য়াহূ, দী অফিসারগণ ক্রন্দনরত দেওয়ালের' (wailing wall) পাশে গিয়ে তাদের নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ পালন করে। যেখানে ইসরাঈলী ছত্রীসেনারা (parachute unit) একহাতে বন্দুক অপর হাতে বাইবেল নিয়ে আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে।[4]
১৯৭০ সালের ২৬শে ডিসেম্বর যখন চারবার্গ (Cherbourg ) বন্দর থেকে ছয়টি সামরিক মোটরবোট চুরি যায় এবং পরে তা নিরাপদে হাইফা বন্দরে ফিরে আসে তখন মোশেদায়ান বলেছিলেন যে, মোটর বোটগুলো বিনাসৈন্য পাহারায় পরিচালিত হয়েছে এবং সাগরের মাঝে থেকেই পুনরায় জ্বালানী নিতে সক্ষম হয়েছে এবং নিরাপদে ফিরে এসেছে। এটা এজন্যে নয় যে, তাদের প্রত্যেকটিতে চারটি করে মোটর ছিল। বরং কেবল মাত্র এইজন্যেই সম্ভব হয়েছে যে, স্বর্গীয় আত্মাসমূহ দ্বারা এ গুলো পরিচালিত হয়েছিল। পবিত্র বাইবেলে এ কথাই বলা হয়েছে যে, যখন পৃথিবী - সংঘাতে ভরে যাবে, তখন খোদায়ী আত্মা পানির উপরে ভেসে বেড়াবে।[5]
এটা জানা কথা যে, কোন মতবাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায় না বা তাকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না অন্য একটি মতবাদ ছাড়া এবং একটি বিশ্বাসকে অপর একটি বিশ্বাস ছাড়া।
উপরের আলোচনা আরব ও মুসলিম সেনাবাহিনীর জন্য কেবলমাত্র ধর্মীয় নেতৃত্বের গুরুত্বের প্রতিই ইংগিত করে।
দ্বিতীয় সমর্থন, যার উপরে আরব ও মুসলিম সামরিক কমান্ডগুলো নির্ভর করে, সেটি হলো অর্থ (Money), অর্থ যুদ্ধের জন্য নায় সদৃশ্য । অর্থ ছাড়া যুদ্ধ পুরোপুরি ব্যর্থ হতে বাধ্য।
যোদ্ধাদের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ, অস্ত্র-শস্ত্র, সাজ-সরঞ্জাম, খাদ্য সরবরাহ, মেডিকেল যান ও অন্যান্য যানবাহন এবং নেতৃত্ব। অর্থ থাকলে এগুলির ব্যবস্থা করা সম্ভব কিন্তু অর্থ না থাকেলে এ সবের কিছুই যথাযথভাবে করা সম্ভব নয়।
সাধারণ যোদ্ধাদের জন্য যা প্রয়োজন হয়, নিয়মিত বাহিনী ও গেরিলা যোদ্ধাদের জন্য তাই-ই প্রয়োজন হয়ে থাকে।
যোদ্ধাদের উচ্চ নৈতিকশক্তি যুদ্ধজয়ের একটি প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু এই শক্তি বজায় থাকতে পারে না, যদি না তারা বুঝতে পারে যে, তাদের পরিবার স্বচ্ছল অবস্থায় আছে।
সৈনিকদেরকে যে বেতন দেওয়া হয়, তা পর্যাপ্ত হওয়া উচিত, যাতে তাদের পরিবারবর্গ ভালভাবে জীবন যাপন করতে পারে। কেননা এটা আশা করা কখনোই যুক্তিযুক্ত নয় যে, একজন সৈনিক যুদ্ধের ঝুঁকি ও কষ্ট বরণ করে নেবে অথচ তার চিন্তা-ভাবনা থাকবে যুদ্ধের ময়দান থেকে বহু দূরে স্বীয় পরিবারের কাছে। বিশেষ করে যদি সে তার পরিবারের একমাত্র রোযগারী ব্যক্তি হয়--যার অভাবে পরিবার উপোস থাকবে।
প্রত্যেক সৈনিকের জন্য নির্ধারিত আর্থিক আয় নিশ্চিত করতে হবে। পবিত্র যুদ্ধ বা জিহাদ পরিচালনার জন্য দান বা চাঁদার উপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল হলে চলবে না, যা কখনো উল্লেখযোগ্য হারে আবার কখনো অল্পমাত্রায় সংগৃহীত হয়। এমনকি কখনো এর প্রয়োজনীয় সংগ্রহের অভাবে যুদ্ধ বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
প্যালেস্টাইনকে কলোনী বানানোর জন্য চাঁদা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ১৮৯৭ সালে প্রথম ব্যাসল সম্মেলনেই। সে মতে সম্মেলন শেষ হওয়ার সাথে সাথে কতকগুলো প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় কেবল চাঁদা সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই। ১৮৯৮ সালে 'য়াহূদী ব্যাংক' প্রতিষ্ঠিত হয় কলোনীসমূহের জন্য। ১৯০১ সালে গঠিত হয় 'জাতীয় য়াহূ দী ফাণ্ড'।
য়াহূ দী নন-য়াহূ দী সকলেই বিশ্বব্যাপী চাঁদা সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন এবং সকল প্রকারের মাধ্যম এইজন্য ব্যবহার করা হ'তে থাকে।
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের একজনমাত্র য়াহূ দীও উক্ত ফাণ্ডে প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে বাধ্য। যার যে চাঁদা ধরা হয়, তার চাইতে সে কমাতেও পারে না এবং তা থেকে বিরত থাকতেও পারে না। যে চাঁদা তার উপরে ধার্য করা হয়, তা তার মাসিক আয়ের অনুপাতেই ধরা হয়, যাতে তার উপরে সাধ্যাতীত বোঝা না হয়ে পড়ে।
তহবিল সংগ্রহের যে নির্দিষ্ট পথ-পন্থা রয়েছে তাতে য়াহূদীরা তাদের জন্য একটা নির্দিষ্ট বাজেট তৈরী করতে পারে যা সংকটকালে বা অজানা কোন দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় না।
এমনিভাবে আরব রাষ্ট্রসমূহের সরকার ও জনগণ এবং অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সরকার ও জনগণ সকলে মিলে ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালানো উচিত। আরবদের উচিত একটি ‘প্যালেস্টাইন ফাণ্ড' প্রতিষ্ঠা করা, যার শাখা প্রতিটি মুসলিম দেশে থাকবে। যার একমাত্র উদ্দেশ্য হবে যোদ্ধাদের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু সরবরাহ, তাদের বেতন প্রদান, তাদের পরিবার পোষণ এবং শহীদ যোদ্ধাদের পরিবার- সমূহকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দান ।
এইসব তহবিলে অর্থ সংগ্রহ হবে সুনির্দিষ্ট চাঁদা সংগ্রহ এবং আয়ের এক-দশমাংশ (One-tenth) (ওশর) গ্রহণের মাধ্যমে। যেহেতু আল্লাহ, স্বীয় পাক কালামে তাঁর রাস্তায় নিজ নিজ আয় থেকে ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আমি অতি আশাবাদী হ'তে চাই না। তবে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে, আরব এবং মুসলমানদের মধ্যে বহু গুণী ব্যক্তি রয়েছেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় তাদের সব কিছু বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। তথাপি কল্পিত অংকের অর্থসংগ্রহের পথে যেসব প্রতিবন্ধক খাড়া হয়, তার কারণ হলো, বহুসংখ্যক তহবিল সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান থাকার ফলে এমন আগ্রহী দাতা আছেন, যারা বুঝতেই পারেন না যে, কোথায় টাকাটা দিতে হবে।
প্রত্যেক জেলা, নগরী, শহর ও গ্রামে নিয়োজিত 'প্যালেস্টাইন তহবিলের আদায়কারিগণ অবশ্যই নিজ নিজ এলাকায় সাধুতা ও আনুগত্যের জন্য প্রসিদ্ধ হবেন। যারা প্রত্যেক চাঁদাদাতাকে পৃথক পৃথক রশিদ দেবেন যা প্যালেস্টাইনী যোদ্ধাদের জন্য চাঁদার প্লাবন ডেকে আনবে।
যারা ধর্মের সেবায় নিয়োজিত, তারা এ ব্যাপারে বড় সাহায্যকারী হতে পারেন। প্যালেস্টাইনী যোদ্ধাদের সেবায় ও প্যালেস্টাইন স্বার্থের পক্ষে খিদমত আনজাম দিয়ে তারা বিশ্বের সম্মুখে প্রমাণ করে দিতে পারেন যে, তারা যা বক্তৃতা করেন তা কেবল শূন্যগর্ভ কথার ফুলঝুরি নয়।
[1]. বিস্তারিতদেখুন – The Arab Militar Unity, p. 129-30
[2]. বিস্তারিতদেখুন – `Introduction’ by Ibn Khaldun. Beirut 1967. P. 266-1.
[3]. বিস্তারিতদেখুন – `Arab Military Union’ p. 134-35.
[4]. The British newspaper : `The Guardian’ quoting the `Al-Jamhouria’ paper of Cairo, dated 31.3.1969.
[5]. The `Al-Jamhouriah’, dated 16.1.1970.
আরও পড়ুন
চতুর্দশ পর্ব -------------------------------------------------------------------------------------------- শেষ পর্ব