Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৪৪ || ইসলাম ও গণতন্ত্র ।। মাওলানা আসেম ওমর রহিমাহুল্লাহ।। নবম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৪৪ || ইসলাম ও গণতন্ত্র ।। মাওলানা আসেম ওমর রহিমাহুল্লাহ।। নবম পর্ব

    আবাবিল প্রকাশন মিডিয়া পরিবেশিত
    ইসলাম ও গণতন্ত্র
    ।।মাওলানা আসেম ওমররহিমাহুল্লাহ।।
    এর থেকে– নবম পর্ব



    গণতন্ত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতাও নেই

    এই ভ্রান্ত ব্যবস্থা তৈরিকারীরা মানুষদেরকে বিরাট এক ধোঁকা এও দিয়েছে যে, গণতন্ত্রে ইসলামের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। গণতন্ত্র ইসলামের কোনো নির্দেশের বিরুদ্ধে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে না। প্রতিটি মুসলমান নামায, রোযা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত ইবাদত করতে পারে। প্রতিটি মুসলমানেরই এই অনুমতি রয়েছে। আর এই স্বাধীনতাকে ইসলামী স্বাধীনতা মনে করে অনেকে হিন্দুস্তানকেও দারুল হরব মানে না। তারা বলেন, হিন্দুস্তানে মুসলমানদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। এটি শয়তানী ধোঁকা। শব্দের হেরফের করে এক্ষেত্রেও ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করা হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন হল, ইসলাম এখন নাউযুবিল্লাহ এতই তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে যে, তাকে কুফরি জীবনব্যবস্থা থেকে স্বাধীনতা ভিক্ষা করে বেঁচে থাকতে হবে? আর আমাদেরকে এও দেখতে হবে যে, এই গণতন্ত্র সত্যি সত্যি মুসলমানদেরকে নামায রোযা ইত্যাদির সেই স্বাধীনতা দিয়েছে কি না যা আল্লাহ তায়ালার তার বিশ্বাসীদেরকে দান করেছেন? এই ব্যবস্থার অধীনে সেই আকিদার সাথে নামায আদায় করা হয় কি না, যেই আকিদা লালন করা আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য আবশ্যক করেছেন?


    গণতন্ত্রে নামাযের স্বাধীনতা নেই

    আমাদেরকে নামায ‘কায়েম' করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুধু রুকু-সিজদা করার নামই নামায নয়। বরং নামাযের ফরযিয়াতের আকিদা রাখা, নামায আদায়ের জন্য ‘নিযামে সালাত’ বা নামায ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যারা নামায পড়বে না তাদেরকে বাধ্য করা, যারা নামায ত্যাগ করার প্রতি অটল থাকে অথবা এর পক্ষে শক্তি সঞ্চয় করে, তাদের সাথে কিতাল করা ফরয মনে করা- এসবই নামায কায়েম করার অন্তর্ভুক্ত এবং জরুরি। অথচ গণতন্ত্রে এর কোনো প্রকার অনুমতি নেই। শুধু এতটুকু সুযোগ রয়েছে যে, কেউ ইচ্ছা করলে পড়বে। আর যারা পড়বে না, রাষ্ট্র কিংবা কোনো মুসলমান তাকে কিছু বলতে পারবে না। সুতরাং গণতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থায় নামাযের ফরযের স্বাধীনতা নেই, বরং নামাযের মুবাহ (বৈধ হওয়া) হওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র একজন মুসলমানকে এই আকিদা লালন করতে বাধ্য করে যে, নামায ফরয নয় বরং মুবাহ। যার ইচ্ছা হবে পড়বে, আর যার ইচ্ছা হবে না সে পড়বে না। অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রেও এই একই কথা। আর ফরযকে মুবাহ মনে করার আকিদা কেমন? ওলামায়ে কেরামের নিকট এর হুকুম জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে।


    গণতন্ত্রের অবদান: কাদিয়ানীদেরকে কাফের ঘোষণা

    যারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আকিদা ও বিশ্বাস লালন করেন, তাদের একটা দলিল এটাও যে, আমরা এই জীবনব্যবস্থায় শরিক হয়ে কাদিয়ানীদেরকে কাফের ঘোষণা করিয়েছি। এমনিভাবে এক সময় ইসলামী শরীয়তও বাস্তবায়ন করব। কাদিয়ানীদেরকে কাফের ঘোষণা করাকে ধর্মীয় রাজনীতি শক্তির অনেক বড় অবদান মনে করা হয় এবং এটাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার দলিল হিসেবে পেশ করা হয়। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের নিয়ত ভালো ছিল। কাদিয়ানী ফিতনার মূলৎপাটন করাই ছিল এদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু গণতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থার ধূর্ত ও চতুর কর্মীরা এখানেও ওলামায়ে কেরামকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং কাদিয়ানীদেরকে বাঁচানোর জন্য তাদের শয়তানী মস্তিস্ক পুরোপুরিই কাজে লাগিয়েছে।

    এ ক্ষেত্রে এই প্রশ্নও আসে যে, ইসলামের আলোকে কাদিয়ানীরা আদি কাফের (কাফেরে আসলি) নাকি মুরতাদ না যিন্দিক?

    হযরত ওলামায়ে কেরাম জানেন, ইসলামের এই পরিভাষাত্রয় ভিন্ন ভিন্ন মর্মের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর এগুলোর বিধানও ভিন্ন ভিন্ন।

    কাদিয়ানীরা কখনোই আদি কাফের নয়। কারণ তারা পূর্ব থেকেই নিজেদেরকে মুসলমান বলত। আবার মুরতাদও নয়। মুরতাদ এজন্য নয় যে, তারা কুফরিতে লিপ্ত থাকার পরও নিজেদেরকে কাফের বলত না। বরং ভ্রান্ত চিন্তাধারা লালন করা সত্বেও নিজেদেরকে মুসলমান প্রমাণ করতে অনমনীয় ও একগুঁয়ে ছিল। বিধায় তাদের উপর কেবল যিন্দিকের সংজ্ঞাই প্রযোজ্য হয়।

    এখন প্রশ্ন হল, শরীয়তে যিন্দিকের হুকুম কি? সমস্ত আহলে ইলমের নিকট এর হুকুম হল, গ্রেফতারীর পূর্বে তাওবা করলে তার তাওবা গৃহীত হবে। গ্রেফতারীর পর তাওবা করলে তা গৃহীত হবে না। গ্রেফতারীর পর তাকে হত্যা করা হবে। কিন্তু আমাদের দেশে কাদিয়ানীদেরকে কাফের ঘোষণা করে তাদেরকে যিম্মীদের মান দেয়া হয়েছে। তাদের জান-মালের জন্য রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ শরয়ী হুকুম ছিল, প্রথমে তাদের আকিদা থেকে তাওবা করার নির্দেশ দেয়া। তাওবা করে খাঁটি মুসলমান হয়ে গেলে তো ঠিক ছিল। অন্যথায় তাদেরকে হত্যা করা। তাদেরকে কাদিয়ানী হিসেবে বাকি রাখা এবং রাষ্ট্রীয় ও আইনী নিরাপত্তা প্রদান করার অর্থ তাদের ইলহাদের উপর রাজি থাকা এবং দলীয়ভাবে তাদের নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য রাষ্ট্রকে নির্দেশ করা। অথচ এ বিষয়ের উপর উম্মতের ইজমা রয়েছে যে, রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যিন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যারা বেয়াদবী করবে, তারা ওয়াজিবুল কতল। তাদেরকে হত্যা করা ওয়াজিব। ইসলামী রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়াও যদি কোনো ব্যক্তি এদেরকে হত্যা করে, তবে এর জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হবে না।

    এবার একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন, যাদের ব্যাপারে শরীয়তের এই নির্দেশ ছিল যে, তাদের জান-মাল মুসলমানদের জন্য মুবাহ, কোনো মুসলমান রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়াও যদি তাদেরকে হত্যা করে, তাদের ধন-সম্পদ লুষ্ঠন করে, এ কারণে সে শরীয়তের দৃষ্টিতে অপরাধী হবে না। এখন এই শ্রেণীর জান-মালকে সম্মানিত ঘোষণা করে রাষ্ট্রের উপর তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। অথচ এখনো তারা পূর্ববৎ যিন্দিক এবং মুলহিদই রয়েছে। তাদের ইবাদতখানা পূর্বের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ধর্মপ্রচার পূর্বের তুলনায় আরও প্রকাশ্যে হচ্ছে। এবার আপনারাই ভাবুন, কাদিয়ানীদের জন্য মন্দ হয়েছে নাকি ভালো হয়েছে? আপনারা এমন একটা দলকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যারা কোনো অবস্থাতেই দেশে থাকার অনুমতি পেতে পারে না। এরা আদি কাফের থেকেও নিকৃষ্ট। কারণ আদি কাফেররা যিম্মি হয়ে মুসলিম দেশে থাকতে পারে। কিন্ত যিন্দিক ও মুরতাদরা তা থাকতে পারে না। আশ্চর্যের বিষয় হল এরা শুধু দেশে আছে তাই নয়, বরং এরা অন্য সবার মত রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত রয়েছে।

    যদি এ কথা বলা হয় যে, কাদিয়ানীরা আগে মুরতাদ ছিল, আর এখন তাদের সন্তানেরা আদি কাফেরের হুকুমে। তাদের এই ধারণাও ভুল। কাদিয়ানীরা না আগে মুরতাদ ছিল, না এখন আদি কাফের। শরীয়তের দৃষ্টিতে তারা আগেও যিন্দিক ছিল, এখনও যিন্দিক রয়েছে।
    স্মরণ করা যেতে পারে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রেমে পাগলপারা মুজাহিদরা যখন লাহোরে কাদিয়ানীদের কেন্দ্রে আক্রমণ করে, তখন কতিপয় মানুষ এ কথা বলে আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছিল যে, কাদিয়ানীদেরকে যেহেতু কাফের ঘোষণা করা হয়েছে, সুতরাং তারা এখন যিম্মি। এমনকি কতিপয় ইলমের বোঝা বহনকারী এ কথা পর্যন্ত বলেন যে, কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাদিয়ানীদের সাথে দাঁড়াবেন, তাদের সাথে থাকবেন। (আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। ‘নকলে কুফর কুফর নাবাশাদ'-কুফরি কথা-উদ্বৃতি কুফরি হবে না)। অথচ আহলে ইলমগণ জানেন যে, কাদিয়ানীরা যিন্দিক। আর যিন্দিকরা যিম্মি হতে পারে না। সুতরাং যেই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে এত বড় অপবাদ আরোপ করেছে যে- খাতামুন নাবিয়্যিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের দিন মালউন ও অভিশপ্তদের সাথে থাকবেন, যারা খতমে নবুওয়াতের আকিদাকে রক্তাক্ত করেছে, যেই ফেরকা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট দুশমন। যারা এমন মারাত্মক কথা বলেছেন, তাদের তাওবা করা উচিত। অন্যথায় কাদিয়ানীদেরকে ভালোবাসার অপরাধে তাদের সাথেই হাশর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।



    গণতান্ত্রিক সংবিধান ও ইসলাম

    গণতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থা মানুষকে এই অধিকার দেয় যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিজেদের জন্য যেই জীবনব্যবস্থা ও সংবিধান পছন্দ করবে, তারা তা গ্রহণ করতে পারবে। এই অধিকার তাদের রয়েছে। তারা যা ইচ্ছা হালাল করবে, যা ইচ্ছা হারাম করবে। যেই দেশ মানুষের এই অধিকার মেনে নিবে, সেটাই আইনী রাষ্ট্র। কোনো রাষ্ট্র যদি মানুষের এই অধিকার মেনে না নেয়, এমন রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক আইনী সাংবিধানিক রাষ্ট্র বলার অধিকার রাখে না।

    সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে কাউকে সমকক্ষ সাব্যস্ত করা সর্বসম্মতক্রমে কুফরি। অথচ এই ব্যবস্থায় আল্লাহর সাথে শুধু সমকক্ষই সাব্যস্তকরা হয় না, বরং আল্লাহর থেকে এই অধিকার -নাউযুবিল্লাহ- পার্লামেন্টকে দেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা সংবিধানে তার সমকক্ষ সাব্যস্ত করাকে স্পষ্ট অপরাধ ঘোষণা করেছেন। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

    وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا

    আর তিনি (আল্লাহ তায়ালা) তার হুকুমে (আইনে) কাউকে শরিক করেন না। [সূরা কাহাফ : ২৬]

    ইমাম বাগবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

    ইবনে আমের এবং ইয়াকুব রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর আরেক কিরাত وَلَا تُشْرِ كُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًاএর কথা বলেছেন। যার অর্থ, তোমরা আল্লাহর হুকুমে (আইনে) অন্য কাউকে শরিক কর না।[1]

    কারণ এই আইন প্রণয়নের অধিকার কেবল একজনেরই, যিনি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন । বিশ্বজগতের মহান বাদশা তার সত্য গ্রন্থে ঘোষণা করেছেন-

    أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ

    জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ (আইন প্রণয়ন) তারই ।[সূরা আ'রাফ ৫৪]

    এই আয়াতের তাফসীরে হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত মুফাসসির ও ফকীহ, ইমাম আবু লাইস সমরকন্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

    أَلَا كلمة التنبيه. يعني : اعلموا أن الخلقلله تعالي. وهو الذي خلق الأشياء كلها وأمره نافذ في خلقه

    আয়াতের أَلَا শব্দটি সতর্কতাজ্ঞাপনের জন্য ৷ এর উদ্দেশ্য হল, জেনে রেখো, সৃষ্টিজীব (সৃষ্টি করা) আল্লাহ তায়ালার জন্য নির্দিষ্ট। তিনিই সেই মহান সত্ত্বা, যিনি পৃথিবী এবং সমস্ত বস্তু সৃষ্টি করেছেন। আর তার হুকুম ও আইনই এখানে বাস্তবায়িত হবে। [2]

    ইমাম নিশাপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

    আয়াতটি এ কথার দলিল যে, কারো উপর কোনো বিষয় আবশ্যক করা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও অধিকার নেই। [তাফসীরে নিসাবুরী, দ্বিতীয় খন্ড]

    ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমাতুল্লাহি আলাইহিও তার তাফসীরে এ কথাই বলেছেন। [তাফসীরে রাষী দ্রষ্টব্য]

    আয়াতটি এ কথাই বলছে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মা'বুদ নেই। আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা৷ আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র আইন ও সংবিধান প্রণেতা। সুতরাং কেউ যদি এর যে কোনো একটা গুণ ও বৈশিষ্ট্য অন্য কারো জন্য সাব্যস্ত করে, এর অর্থ হবে সে তার মুখে পাঠ করা কালেমাকে অস্বীকার করছে।

    কোনো ব্যক্তি যদি মাজারে গিয়ে কবরস্থ্‌ ব্যক্তির নিকট কিছু চায় এবং এ কথা বলে যে, হে পীর! আমাকে সন্তান দিন। অথবা কোনো ব্যক্তি যদি তার সন্তানকে পীরের দিকে সমন্ধযুক্ত করে বলে, আমার এই সন্তানকে অমুক পীর দিয়েছে। আপনি সাথে সাথে তাকে মুশরিক বলবেন। কিন্তু কেউ যদি এ কথা বলে যে, অমুকে আইন প্রণয়নের অধিকার রাখে, অথবা যদি এ কথা বলে যে, সংবিধান তৈরি করা পার্লামেন্টের কাজ... আপানি তাকে মুশরিক বলবেন না। কারণ যে ব্যক্তি এ কাজ করছে, সে ক্ষমতাশালী, সরকারের লোক। অথচ আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে সৃষ্টির মত আইন প্রণয়নকেও তাঁর বিশেষ গুণ বলেছেন।

    মনে রাখবেন, আইন তৈরি করা একমাত্র আল্লাহরই অধিকার। পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে নিজের পক্ষ থেকে আইন তৈরি করার এবং কোনো জিনিসের জায়েয-নাজায়েয ও বৈধ বা অবৈধ হওয়ার হুকুম লাগাতে পারে।

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

    من زعم أن الله جعل للعباد شئا من الأمر فقد كفر بما أنزل الله على أنبيائه. لقوله : (أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ)

    আর যে ব্যক্তি এই ধারনা করেছে যে, আল্লাহ তায়ালা তার ‘আল-আমর'(সংবিধান ও আইন প্রণয়ন) এর সিফাত (গুণ)হতে বান্দার জন্য কিছু অধিকার দিয়েছে, নিঃসন্দেহে সে কুফরিকরল, ওই সমস্ত বিষয়ের যা আল্লাহ তায়ালার তার নবীগণেরউপর নাজিল করেছেন। আল্লাহ তায়ালার বাণী أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ تَبَارَكَ اللهُ رَبُّ الْعالمين এর আলোকে।[3]

    যেই গুণ কেবল আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট, তা আল্লাহর থেকে নিয়ে মানুষকে দেয়া কিংবা মানুষকে তার সমান সাব্যস্ত করা কি আল্লাহকে অস্বীকার করা নয়? আল্লাহকে এর চেয়ে বেশি অস্বীকার আর কি হতে পারে!

    আল্লামা সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন –

    বিশ্বজগতের প্রতিপালক নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে জায়েয নাজায়েয ও বৈধ-অবৈধের ফয়সালা ও সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার দেননি৷ এমনকি কোনো নবীকেও আল্লাহ তায়ালা এই অনুমতি দেননি যে, তিনি আল্লাহর হুকুম ছাড়াই নিজের পক্ষ হতে কোনো বিষয় হালাল বা হারামের ঘোষনা দিবেন। তাহলে একজন সাধারণ মানুষের জন্য এটা কি করে জায়েয হতে পারে যে, সে আল্লাহর বিপরীত নিজের পক্ষ হতে আইন প্রণয়ন করবে এবং এতে এমন বিষয়কে জায়েয ও বৈধ ঘোষণা করবে যাকে আহাকামূল হাকিমীন কিয়ামত পর্যন্তের জন্য চিরস্থায়ী আইনে (কুরআন) নাজায়েয এবং অবৈধ বলেছেন। অথবা এমন কোনো বিষয়কে নাজায়েয ও অবৈধ ঘোষণা করে পালন করতে বাধ্য করবে,আল্লাহ তায়ালা যা জায়েয এবং বৈধ বলে তা করার নির্দেশ দিয়েছেন।'

    আরব বিশ্বের বিখ্যাত আলেম শায়েখ সফরুল হাওয়ালি 'শরহু আকিদাতুত তাহাবিয়াহ’য় أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ এর ব্যাখ্যায় বলেন-

    وفي هذه الا ية دليل على انه لايجوز لاحد غيرالله تبارك وتعا لى ان يشرع للناس باي حال من الاحوال.فالشرع المتبع انما هو شرع الله ودينه. لان الله تعالي هو الذي خلق الخلق. فكيف يكون له الخلق ويكون لغيره الامر والنهي؟

    এই আয়াতে এ কথার দলিল রয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কারো কোনো অবস্থাতেই মানুষের জন্য আইন প্রণয়ন করা জায়েয নেই। সুতরাং যেই শরীয়তের আনুগত্য করা উচিত, সেটা হবে আল্লাহ তায়ালার শরীয়ত এবং তার দ্বীন। কারণ আল্লাহ তায়ালাই মাখলুককে সৃষ্টি করেছেন। বিধায় এটা কি করে হতে পারে যে, খালেক ও স্রষ্টা হওয়া তো তার জন্যই নির্দিষ্ট, আর আমর ও নাহির (তথা কি করতে হবে, কি করা যাবে না, অথবা আইন তৈরি করা) অধিকার থাকবে অন্যের কাছে?[4]

    বিষয়টি একটি উদাহরণের মাধ্যমে সহজে এভাবে বুঝাতে পারেন যে, কোনো ব্যক্তি গাড়ি তৈরি করেছে, গাড়িটি চালানোর পদ্ধতি তো সেই বলবে। এই এই কাজ করতে হবে..., এই এই কাজ করা যাবে না...। গাড়ি চালানোর জন্য এক্সলেরেটার চাপ দিতে হবে এবং থামানোর জন্য ব্রেক ধরতে হবে...। যেই ড্রাইভার গাড়ির আবিস্কারকের কথা না শুনে নিজের ইচ্ছা মত কাজ করবে, তার সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? যেখানে ব্রেক করার কথা সেখানে সে এক্সলেরেটার চাপ দিল। গাড়ি সম্মুখে চালানোর সময় রিভার্স গিয়ার লাগাল। গাড়ি ডানে ঘুরানের প্রয়োজন, স্টিয়ারিং বামে ঘুড়ালো...। বলার অপেক্ষা রাখে না এমন ড্রাইভার নিজে তো মরবেই, সাধারণ মানুষকেও মারবে। এজন্য এমন অনাড়ি ড্রাইভারকে শক্তি প্রয়োগ করে গাড়ি থেকে তুলে বাইরে নিক্ষেপ করতে হবে।

    এমনিভাবে আল্লাহ তায়ালা যখন বিশ্বজগতের স্রষ্টা, তো এই পৃথিবী চালানোর জন্য তার বলে দেয়া পদ্ধতিই চলবে। যাকে জীবনব্যবস্থা, জীবন যাপন পদ্ধতি বা জীবনবিধান বলা হয়। তার জীবনবিধান ব্যাতীত অন্য কোনো জীবন বিধান চালু করা হলে ধ্বংস অনিবার্য৷ এই জন্য আল্লাহ তায়ালা এমন অনাড়িদেরকে ড্রাইভিং সিট (মানুষের নেতৃত্ব) থেকে তুলে দূরে নিক্ষেপ করার জন্য এই উম্মতের উপর জিহাদ ফরজ করেছেন, আর বলেছেন, এই জিহাদ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত।

    وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ

    আর আল্লাহ যদি মানুষের কতককে কতকের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে অবশ্যই যমীন ফাসাদপূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ বিশ্ববাসীর উপর অনুগ্হশীল। [সূরা বাকারা : ২৫১]

    আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে এই পৃথিবী চালানোর পদ্ধতি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাদের দায়িত্ব হল, তারা এসব অনাড়িদেরকে কিতালের ক্ষমতার মাধ্যমে তুলে নিক্ষেপ করবে। যাতে বিশ্বমানবতা ধ্বংস হওয়া থেকে বেঁচে যায়।

    শায়েখ সফরুল হাওয়ালি এরপর বলেন-

    هذا ما فعله الناس في الجاهلية الأولي وفي كل جاهلية في كل زمان ومكان. يؤمنون بأن الله له الخلق. لكن يجعلون لغيره الأمر.فيشرعون يسنون القوانين ويحلون مايشائون. ويحرمون ما يشائون. وهذا من الشرك الأكبر الذي لا يغفر الله تبارك وتعالي. وهو حقيقة الطاغوت الذي أمر الله تبارك وتعالي أن يكفر به. ولايكون الانسان مؤمنا الا اذا كفر بالطاغوت الذي يشر من دون الله تعالي...

    প্রাচীন জাহেলিয়াতের যুগে এমনকি যুগে যুগে প্রতিটি অঞ্চলের জাহেলিয়াতের সময় মানুষ এমন করত যে, স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহকে তো ঠিকই বিশ্বাস করত কিন্তু জীবন বিধান প্রণয়নের অধিকার অন্য কারও জন্য সাব্যস্ত করত। তারা সংবিধান তৈরি করত, আইন প্রণয়ন করত। ইচ্ছামত হালাল হারাম নির্ধারণ করত...। এমন কাজ করা শিরকে আকবার, জঘণ্য শিরক। এই গুনাহ আল্লাহ তায়ালা কখনোই ক্ষমা করবেন না। আর মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না এই তাগুতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করবে, যারা আল্লাহর আইনের মোকাবেলায় আইন প্রণয়ন করে, সংবিধান তৈরি করে শরীয়তের খেলাফ আইন প্রণয়নকারী নিজেকে ইলাহ এবং মা’বুদে পরিণত করে।[5]

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

    أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُم مِّنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَن بِهِ اللَّهُ

    তাদের জন্য কি এমন কিছু শরিক আছে, যারা তাদের জন্য দ্বীনের বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? [সূরা আশশুরা : ২১]

    এই আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

    হে নবী! তারা সেই দ্বীনের পায়রুবি করে না, যেই দ্বীন আপনাকে আল্লাহ তায়ালা দান করেছেন। বরং তারা সেই দ্বীন (সংবিধান- লেখক) বিশ্বাস করে এবং মানে, যা এর শয়তানরা (বিশেষজ্ঞরা) তাদেরকে দিয়েছে। চাই সেই শয়তান মানুষের মধ্য হতে হোক অথবা জিনদের মধ্য হতে হোক। যেমন তাদের শয়তানরা তাদের বাহিরা, সায়িবা, ওসিলা এবং হাম ইত্যাদি হারাম করে দিয়েছে। আর মৃতজন্তু বক্ষণ করা, রক্ত পান করা এবং জুয়া ইত্যাদী হালাল করে দিয়েছে । (আর এরা নিজেদের কৃত এই হালাল ও হারামকে মানে।)

    কাজি সানাউল্লাহ পানিপথি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাফসীরে মাযহারীতে বলেন-

    قال ابن عباس رضي الله عنهما : شرعوا دينا غير دين الاسلام

    হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, তারা ইসলামী জীবনব্যবস্থার বিপরীতে আরেকটা জীবনব্যবস্থা তৈরি করে নিয়েছে ।

    এরপর বলেন-

    أيقبلون ما شرع الله أم يقبلون ماشرع لهم شركائهم

    তারা কি সেই আইন গ্রহণ করবে যা আল্লাহ বানিয়েছেন, নাকি সেই আইন গ্রহণ করবে যা তার শরিকরা তাদের জন্য প্রণয়ন করেছে?

    এর থেকে বোঝা যায় যে, যে ব্যক্তিই এই অধিকারকে গায়রুল্লাহর সাথে নির্দিষ্ট করবে, সে তাকে ইলাহ হিসেবে স্বীকার করে নেবে। যেমন ইমাম নাসাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার তাফসীর مدرك التنزيل و حقائق التاويل এ বলেন-

    أيقبلون ما شرع الله من الدين أم لهم الهة


    তারা কি সেই দ্বীন (জীবনব্যবস্থা) কবুল করে যা আল্লাহ তায়ালা বানিয়েছেন, নাকি তাদের অন্য আরও মা'বুদ ও উপাসক রয়েছে...?

    ইমাম নাসাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এ কথা বলছেন যে, এরা যদি আল্লাহর নাযিলকৃত জীবনব্যবস্থা (শরীয়ত প্রবর্তন) কবুল না করে, যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে এসেছেন, তবে নিশ্চিত তারা এই জীবনব্যবস্থা ছাড়া অন্য জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অথচ জীবনব্যবস্থা, সংবিধান বা আইন প্রণয়নের গুণ (সিফাত) কেবল মাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। এভাবে তো এরা আল্লাহর সাথে অন্যদেরকে মা'বুদ বানানেওয়ালা হয়ে যাবে।

    ইমাম আবু লাইস সমরকান্দি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

    مَالَهُمْ شُرَكَاءُ يعني : ألهم الهة دوني

    আমি ছাড়া তাদের কি অন্য আরো মা'বুদও রয়েছে ।[6]

    ইমাম নিশাপুরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

    أفيقبلون ما شرع الله لهم من الدين أم لهم الهة

    তারা কি আল্লাহর তৈরিকৃত সংবিধান গ্রহণ করবে না কি তাদের আরও কোনো মা'বুদ রয়েছে (যারা তাদের জন্য সংবিধান তৈরি করবে)? (তাফসীরুন নিশাপুরী)

    বোঝা গেল, এই সিফাত ও গুণে যাকে আল্লাহর শরিক বানানো হবে, সে তার

    ‘মা'বুদ'। আর কারও সাথে বান্দার এই সম্পর্ক হল ‘ইবাদত'। কারণ মা'বুদ ও ইলাহী তাকেই বলা হয়, যার ইবাদত করা হয় । সুতরাং আইন প্রণেতা গণতান্ত্রিক আইনী রাষ্ট্র, পার্লামেন্ট এবং পার্লামেন্ট মেম্বাররা (সংসদ সদস্যরা) মূলত ‘মা'বুদ' ও উপাসক, আল্লাহর বিপরীতে যাদের ইবাদত করা হয়।

    উপরে উল্লিখিত আয়াত সম্পর্কে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

    উদ্দেশ্য হল, কোনো মানুষের জন্য কোনো বস্তুকে হারাম বলার অধিকার নেই। তবে হ্যাঁ, শরীয়ত যেটাকে হারাম বলেছে, কেবল সেটাকেই হারাম বলতে পারবে।[7]


    [1] تفسير معالم التنزيل المعروف تفسير البغوي : الجزء 5.للمام محي السنة أبي محمد الحسن بن مسعود البغوي (المتوفي 516ه)
    [2]-تفسير بحر العلوم : الجزء2.للشيخ أبو الليث السمر قندي
    [3]جامع البيان في تاويل القران النعروف تفسير طبري :الجزء12 . تفسيرسورة:الأعرف: 45 "للأمام محمد بن جرير.أبي جعفر الطبري.وتفسيرالقران العظيم المعرف تفسير ابن كثير: الجز3.تفسير سورة الاعراف 54. للامام أبي الفداء اسماعل بن القريشي الدمشقي
    [4] شرح العيدة الطحاوية : الجزء الاول باب الشفا عة لسفر بن عبد الرحمن الحوالي
    [5]شرح العيدة الطحاوية : الجزء الاول باب الشفا عة لسفر بن عبد الرحمن الحوالي
    [6]- তাফসীরে বাহরুল উলূম, ইমাম আবু লাইস সমরকান্দি
    [7]-کتب ورسائل وفتاوی ابن تیمیہ،جلد20،ص8۔35




    আরও পড়ুন​

  • #2
    গণতন্ত্রে নামাযের স্বাধীনতা নেই

    আমাদেরকে নামায ‘কায়েম' করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুধু রুকু-সিজদা করার নামই নামায নয়। বরং নামাযের ফরযিয়াতের আকিদা রাখা, নামায আদায়ের জন্য ‘নিযামে সালাত’ বা নামায ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যারা নামায পড়বে না তাদেরকে বাধ্য করা, যারা নামায ত্যাগ করার প্রতি অটল থাকে অথবা এর পক্ষে শক্তি সঞ্চয় করে, তাদের সাথে কিতাল করা ফরয মনে করা- এসবই নামায কায়েম করার অন্তর্ভুক্ত এবং জরুরি। অথচ গণতন্ত্রে এর কোনো প্রকার অনুমতি নেই। শুধু এতটুকু সুযোগ রয়েছে যে, কেউ ইচ্ছা করলে পড়বে।

    হায় আমরা যদি বুঝতাম!
    নামাজ নিয়ে এত আলোচনা কিন্তু আমীরে মুহতারাম রাহিমাহুল্লাহ'র মত দূরদর্শিতার সাথে এত দরদ নিয়ে বুঝানোর মত আহলে ইলম উম্মাহ'র জন্য খুবই প্রয়োজন!

    tahsin muhammad ভাই! আল্লাহ আপনার পাঠচক্রকে কবুল করুন, আমাদেরকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো ধারাবাহিকতার সাথে পড়ে যাওয়ার তাওফিক দিন।

    আপনার কাছে ভাই! আরেকটা আবেদন জানিয়ে রাখলাম!
    "শাইখ মুহতারাম আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ'র 'কারা জান্নাতি কুমারিদের ভালোবাসে' নামক অনুপ্রেরণামূলক কিতাবটিও আপনার সিরিজে রাখবেন ইনশাআল্লাহ।

    Comment

    Working...
    X