Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৪৪ || ইসলাম ও গণতন্ত্র ।। মাওলানা আসেম ওমর রহিমাহুল্লাহ।। ঊনবিংশ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৪৪ || ইসলাম ও গণতন্ত্র ।। মাওলানা আসেম ওমর রহিমাহুল্লাহ।। ঊনবিংশ পর্ব

    আবাবিল প্রকাশন মিডিয়া পরিবেশিত
    ইসলাম ও গণতন্ত্র
    ।।মাওলানা আসেম ওমররহিমাহুল্লাহ।।
    এর থেকে– ঊনবিংশ পর্ব



    চতুর্থ অধ্যায়

    গণতন্ত্রে শরিক ব্যক্তি ও দলের হুকুম


    বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে মূল গণতন্ত্র এবং তৃতীয় অধ্যায়ে গণতাস্ত্রিক ব্যবস্থার একটি মৌলিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কুরআন উপেক্ষা করে ফয়সালাকারী গণতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থার কুফরি হওয়া বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে । এখন দেখা যাক, যে সব ব্যক্তি ও দল এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে জড়িত, শরীয়তের দৃষ্টিতে তাদের হুকুম কি?


    গণতন্ত্রের উপর আদ্যোপান্ত বিশ্বাসী ধর্মহীন রাজনীতিবিদ এবং সেনা অফিসারদের হুকুম


    প্রশ্ন হল, এ কথা যখন প্রমাণিত হয়েছে যে, গণতন্ত্র একটি ভিন্ন ও স্বতন্ত্র দ্বীন বা মতবাদ, যা বুনিয়াদীভাবেই ইসলামের সম্পূর্ণ বিপরীত ও বিরোধী । তো দেশের এই ধর্মহীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে জড়িত সে সব অফিসার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হুকুম কি হবে, যারা মুখে ইসলাম স্বীকার করার সাথে সাথে গণতন্ত্র নামক দ্বীন বা মতবাদের উপরও ঈমান রাখেনিজ মুখে তারা ওপেন ঘোষণাও করে এবং গণতন্ত্রের ধর্ম রক্ষা এবং শরীয়ত প্রবর্তনকে প্রতিহত করার জন্য নিজেদের পুরো রাষ্ট্রশক্তিও ব্যবহার করে । এদের মুখে এই কালেমা পড়া কি কোনো কাজে আসবে? তাদের ইসলামের সাথে অন্য দ্বীনকে পবিত্র মনে করা এবং তার প্রতি আনুগত্যের শপথ করা ইসলাম অস্বীকার ও কুফরিকে সম্মান করা নয় কি?

    উত্তর : যারা ইসলামের সাথে সাথে অন্য দ্বীনের উপরও ঈমান রাখে, শরীয়তে মুতাহহারা স্পষ্ট ও দ্ব্যার্থহীন ভাষায় এমন যে কোনো ব্যক্তিকেই কাফের বলে। এমন ব্যক্তিদের কালেমা পড়া তাদের কোনোই উপকারে আসবে না। কারণ যে ব্যক্তি এই কালেমা পড়ে এবং এরপরও দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীনের সমর্থক, সে যেনো নিজ মুখে পঠিত কালেমার অস্বীকার করছে বলা বাহুল্য, কোনো ব্যক্তি যদি মুখে ইসলাম এবং তার সমস্ত বিধি-বিধান স্বীকার করে, কিন্ত এমন কোনো গুনাহ করে, যা ইসলামের গণ্ডি থেকে খারেজ করেন না, এমন ব্যক্তিকে মুসলমানই মনে করা হবে । কিন্তু এখানকার অবস্থা একদম ভিন্ন, যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে ।




    প্রতিবাদ


    বিষয়টি হয়ত এখনো কারো কারো বুঝে আসেনি৷ তাদের কথা হল, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিচালকরা গণতন্ত্রকে ইসলামের প্রতিদ্বন্দী ও বিপরীত মনে করে না তাদের ঈমান কুরআনের উপরই গণতন্ত্রকে শুধু রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করছেসুতরাং এটা কুফরে আকবার নয়, কুফরে আসগার

    উত্তর: ঠিক আছে, আমরা আপনাদের দাবি মেনে নিলামএবার দেখা যাক, কুরআনের উপর এই শাসক শ্রেণীর ঈমান কোন মানেরআর এমন ঈমান সম্পর্কে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়তের ফয়সালা কি?

    গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ব্যাপারে এসব লোকদের বিশ্বাস হল, এই ব্যবস্থার অধীনে যেই আইন প্রণীত হবে, কেবল সেটাই দেশে বাস্তবায়নের উপযুক্ত এবং সমস্ত মানুষ এর অধীনেই জীবন যাপন করবেপ্রতিটি নাগরিকের জন্য আবশ্যক হল, এর আনুগত্য করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করাকেউ যদি এই আইন ব্যতীত অন্য (কুরআনের) আইনের রক্ষণাবেক্ষণ ও পক্ষপাতিত্ব করে, অথবা সে অনুযায়ী ফয়সালা করে বা করায়, অথবা নিজের বিষয়গুলো কুরআন অনুযায়ী চালানোর চেষ্টা করে, তবে গণতন্ত্রের এই ব্যবস্থা তাকে দেশদ্রোহী ঘোষণা করবেসেনা ও পুলিশী শক্তি প্রয়োগ করে তাকে শেষ করে দেয়া হবেআর এমন করা গণতান্ত্রিক শরীয়ত তথা গণতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থার আলোকে হালাল ও আইনসিদ্ধ নয় শুধু বরং ফরজও (ডিউটিও)যেই সেনা এবং পুলিশ এই 'কল্যাণকর্মে অংশগ্রহণ করবে, তাকে পুরস্কারে ভূষিত করা হবেভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবেআর যে ব্যক্তি এই সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তাকে শিক্ষার উপকরণে পরিণত করা হবে

    কেউ কুরআন পোড়ালে তাদের ক্রোধাগ্নি জ্বলে ওঠে না, কিন্তু কেউ গণতন্ত্রের পতাকা পোড়ালে এরা ভয়ঙ্কর হিংস্র হয়ে ওঠেকেউ যদি মুহসিনে ইনসানিয়াত, নিয়ে ঠাট্টা ও উপহাস করে, তখন তারা শান্তি ও নিরাপত্তার শিক্ষা শোনায়কিন্তু তাগুতি ব্যবস্থা গণতন্ত্রের বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যদি কেউ কটুক্তি করে, অবমাননা করে, তো গোটা শক্তি হামলে পড়েআল্লাহ প্রদত্ত আইনকে যদি কেউ হিংস্রতা ও পাশবিকতা বলার মত ধৃষ্টতা দেখায়, তারা সংসদেই বসে থাকেকিন্তু কেউ যদি এই গণতান্ত্রিক তাগুতি আইনের বিরুদ্ধে মুখ খোলে, তাকে শুধু সংসদ থেকেই নয় বরং পৃথিবী থেকেই বিদায় করে দেয়া হয়। সংসদের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য যদি আল্লাহর শরীয়তকে প্রত্যাখ্যান করে, তাদের জন্য কোনো শাস্তি নেই। কিন্তু কোনো মুসলমান যদি এই ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করে শরীয়ত প্রবর্তনের কথা বলে, তার পরিণত হয় জামেয়া এবং সোয়াতের মত

    মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সহযোগিতা করা, গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে কোনো অপরাধ নয়কিন্তু কালেমার ভিত্তিতে বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলে মুসলমানদের দুশমনের বিরুদ্ধে লড়াই করা সন্ত্রাসফিলিস্তিনের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের সহযোগিতার জন্য ফিলিস্তিনে সৈন্য প্রেরণ করা হলে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়আর কোনো মুজাহিদ যদি মজলুম ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য যায়, তার ঠিকানা হয় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠ৷

    খেলাফতের বিরুদ্ধে ইংরেজদের পক্ষ হতে লড়াই করা হালাল, আইন সম্মত। কিন্তু খেলাফত পুনর্জীবনের জন্য ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হারাম, বেআইনী

    মুসলমানদের গণহত্যাকারী আমেরিকানরা এখানে আসলে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এই ব্যবস্থার কর্মীদের ফরয (ডিউটি) হয়ে যায়। কিন্তু মুসলমান ভাইদের সাহায্যের জন্য রাসূলের বংশধর মক্কা-মদীনা থেকে এখানে আসলে, তাদের পর্দানশীন নারীরাও দানবীয় টার্গেটে পরিণত হয়

    কাশ্মীর আমাদের... কিন্তু মুসলমানদেরকে সেখানে গণহত্যা করা হচ্ছেএসব খুনিদের বিরুদ্ধে যদি কেউ এসব শাসকদের মর্জির খেলাফ জিহাদ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়কাশ্মীরের মুসলমান ভাইয়েরা যখন নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার, ভারতীয় হিন্দুরা কি করে নিরাপত্তা পেতে পারে...?

    এসব বিষয় প্রতিনিয়তই তারা বলে যাচ্ছে (তাদের বয়ান-বিবৃতি খুলে দেখুন) আর তাদের আমলও এর ব্যতিক্রম নয়এজন্য শরীয়ত তাদের অন্তর চিড়ে দেখার নির্দেশ দেয় না। শরীয়ত তাদের বাহ্যিক কথা ও কাজের উপরই নির্দেশ দিয়ে থাকে

    শাসক শ্রেণীর কুফরি তো সন্দেহ-সংশয়ের উর্ধ্বের বিষয়

    আরও একটা প্রশ্ন হল, যেই ধর্মহীন রাজনীতি এবং সেনা নেতৃত্বের ব্যাপারে আপনি এ কথা বলছেন যে, তারা কুরআনের উপর ঈমান রাখে ৷ তাদের অবস্থা এই যে, ক্ষমতা ও ঔদ্ধত্যের বলে তারা এই কুরআনের আইনের প্রবর্তন প্রতিহত করে যাচ্ছেআর এটা এক দুই বছর থেকে নয়... পুরো পঁচাত্তর বছর থেকে! সুতরাং আপনি যদি তাদের কুফরে জুহুদ (অস্বীকারের কুফরি) না বলেন, তাদের কুফরে ইনাদ (হঠকারিতার দরুন কুফরি) হওয়ার ব্যাপারে কি কোনো সন্দেহ রয়েছে?

    তাদের কথা ও কাজ এই বিষয়ই প্রমাণ করে যে কুরআন হাদীসের আইন, নিয়ম-নীতি, শরয়ী জীবনব্যবস্থা এবং শরীয়া প্রবর্তনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও শক্রতা রয়েছে। আর এই কুফরে ইনাদ তথা বিদ্বেষ ও হঠকারিতা বশত কুফরি 'মুখরিজ আনিল মিল্লাহ তথা এগুলো ইসলামের গণ্ডি থেকে খারেজ করে দেয় কারণ ইসলামের যে কোনো হুকুমের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করা, অপছন্দ করা, বিনা কারণে ইসলামের নির্দেশ পালন করতে টালবাহানা করা কিংবা এর বিরোধিতা করা কুফরিআর এখানে তো পাকা সত্তর দশক ধরে শরীয়ত প্রবর্তন করতে বাধা দিয়ে আসছেআর যদি কিছুটা শিথিলতা করাও হয় তবু শরীয়ত থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা অর্থাৎ শরীয়তের বিধি-বিধান বাস্তবায়নে বিলম্ব করা, টালবাহানা করা তো স্পষ্টআর এটাও কুফরে আকবারের এক প্রকার

    আর কুরআন ও ইসলামের সত্যতা বিশ্বাস করা ও স্বীকার করার যে বিষয়... এটা ইহুদীরাও করতকিন্তু বিদ্বেষ ও গোঁড়ামীবশত নিজেদের বিকৃত ধর্মের উপরই অটল থাকতবিকৃত ধর্মকে তারা ছাড়ত না। একই অবস্থা আমাদের উপর চেপে থাকা শাসক শ্রেণীরও৷ যদিও তারা জানে যে কুরআনের আইন হক এবং সত্য মুখে তারা এ কথা স্বীকার করেএমনকি ব্যক্তি জীবনে এর কিছু কিছু বিধানের উপর আমলও করে। কিন্তু এর মোকাবেলায় যখন গণতান্ত্রিক আইন আসে, কুরআনের আইন প্রত্যাখ্যান করতে এবং প্রতিহত করতে শক্তি প্রয়োগ করা হালাল ও বৈধ মনে করে। শরীয়তপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করাকে জিহাদ বলে কালেমাওয়ালা মুসলমানদের জান-মাল নিজেদের জন্য বৈধ করে নেয়কুরআনের আইন প্রবর্তনের দাবিদারকে বিদ্রোহী বলা হয়। অথচ বাস্তবতা হল তারা নিজেরাই ইসলামদ্রোহী

    এই শ্রেণীর সুরতহাল গভীরভাবে পূর্নবিবেচনার পর আপনারাই ইনসাফের সাথে ফয়সালা করুন যে, তাদের ইমান কুরআনের উপর নাকি তারা নিজ হাতে যা চয়ন করেছে তার উপর? এরা নিজেরা যা কিছু চয়ন করে তাই বাস্তবায়নযোগ্য, সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন এর আলোকেই আদালত চলেএরই জন্য সেনাবাহিনী, এরই জন্য পুলিশ বাহিনী, মিডিয়াও এর দাসত্বের দিকে জনগণকে আহ্বান করতে থাকেপরের বারও এই বুতখানার তাওয়াফ করা, এরই জন্য দৌড়ঝাপ, এরই প্রতিবেশি হওয়ার জন্য প্রাণন্তকর প্রচেষ্টা, যাতে (সংসদে) সেই ইলাহ, সেই মা'বুদ এবং সেই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে, আল্লাহর মোকাবেলায় যাকে পূজা করা হয়ে থাকে

    সুতরাং হে হক্কানী ওলামায়ে কেরাম! কোনো শাসক কুরআনের উপর ঈমান রাখার সাথে সাথে অন্য কোনো শরীয়তের উপরও ঈমান রাখে, নিজের জন্য অন্য কোনো জীবনব্যবস্থাও আবশ্যক মনে করে- চাই সেটা তাওরাত বা ইনজিলের শরীয়তই হোক না কেনো- মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়তে কি এর অনুমতি রয়েছে?

    কুরআনের উপর ঈমান রাখার দাবিদার হবে আর গণতন্ত্রের জীবনব্যবস্থা (অথবা অন্য কোনো জীবনব্যবস্থা) প্রবর্তন করার উপর অনড় থাকবে, আর এই দর্শন প্রচার করে বেড়াবে যে এই যুগে এই জীবনব্যবস্থা ছাড়া অন্য কোনো জীবনব্যবস্থা বাস্তবায়নযোগ্য নয় ৷ এই দর্শন যাদের বিশ্বাস... তাদের হুকুম কি?

    এমন সংসদ সদস্য, সেনা অফিসার এবং বিচারপতিদের হুকুম কি, যারা কুফর এবং ইসলামের মিশ্রিত আইনকে পবিত্র ঘোষণা করে? তার বাস্তবায়নকে নিজেদের মৌলিক দায়িত্ব এবং নিজেদের চেয়ারের বুনিয়াদী উদ্দেশ্য মনে করে।




    মোনাফেক ও মুনকিরের পার্থক্য লক্ষ্য রাখা


    মুসলিম দেশগুলোর দ্বীনদার শ্রেণী উপরে উল্লেখিত শ্রেণীর ব্যাপারে এ কথা বলে যে, এই শ্রেণী বেশির চেয়ে বেশি মোনাফেক। এর স্বপক্ষে তারা মদীনার মোনাফেকদের দৃষ্টান্ত টানেতারা বলে, রাসূলে কারীম নিজেও মোনাফেকদের সাথে কাফেরদের মত আচরণ করেননি

    আপনি যদি মদীনার মোনাফেকদের অবস্থা অধ্যায়ন করেন তো আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে, তাদের এই দাবিই ভ্রান্ত যে, শরীয়ত অস্বীকারকারী শাসক শ্রেণী মদীনার মোনাফেকদের মত মদীনার মোনাফেকরা প্রকাশ্যে কুরআনের কোনো হুকুম অথবা আইনকে অস্বীকার করেনিএমনকি জিহাদে না যাওয়ার জন্য বাহানা তো অবশ্যই বানাত, কিন্তু জিহাদ সম্পর্কে এমন বলত না যে, আমরা সশস্ত্র জিহাদের বৈধতার পক্ষে নইআমরা এর সমর্থন করি না। তারা এ কথাও বলেনি যে, আমরা আমাদের ফয়সালা কুরআনের পরিবর্তে অন্য কোনো আইন দিয়ে করবতারা প্রস্তারাঘাত ও বেত্রাঘাতের মত ইসলামী আইনকেও অস্বীকার করেনিতারা নামায সম্পর্কেও এ কথা বলেনি যে, নামায প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়, ইচ্ছা করলে পড়বে, ইচ্ছা করলে পড়বে না। অথবা বর্তমানের শাসক শ্রেণী, যারা আজ এই উম্মতের উপর চেপে বসে আছে, এগুলো প্রকাশ্যে বলেও বেড়ায় আবার এর উপর আমলও করেসুতরাং এভাবে যারা বলে থাকে, তারা মোনাফেক নয়, তারা মুনকিরে শরীয়ত, তারা শরীয়ত অস্বীকারকারীআর যদি নিজেদের এই ভ্রান্ত চিন্তাধারাকেই ইসলাম বলতে হঠকারিতা করে, তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে এরা মুলহিদ অথবা যিন্দিক বলা হবে




    আরও পড়ুন​
Working...
X