গণতন্ত্র আর ইসলামী শুরা কি এক?
ইসলামি গণতন্ত্র - আধুনিক সময়ের বহুল প্রচলিত একটি ভ্রান্তি।মুসলিম উম্মাহর আনেক দল আজ মানবরচিত গণতন্ত্রের আর্দশ দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার গোলক ধাঁধায় ঘরপাক খাচ্ছে।এধরণের দলের মধো বিশেষভাবে আরবের ইখওয়ানুল মুসলিমীন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের জামায়াতে ইসলামি-র নাম উল্লেখযোগ্য।একসময় ইখওয়ান জামায়াত প্রচার করতো গন্তবো পৌছানোর জন্য তারা সাময়িকভাবে গণতন্ত্রেকে ব্যবহার করছে। কিন্তু আজ গণতন্ত্রই তাদের গন্তব্যে পরিনত হয়েছে। আর একারনে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ভাবে গণতন্ত্র নামক মানবরচিত কুফরি ও শিরক পূর্ণ আদর্শকে ইসলামী প্রমান করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।গণতন্ত্রকে ইসলামি প্রমাণে বেশ কিছু যুক্তি ব্যবহার করা হয়।তার মধো সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত যুক্তি হল- গণতন্ত্র আর ইসলামে যে শুরার বিধান আছে,এ দুটো মূলত একই।শুরাই গণতন্ত্র। গণতন্ত্রই শুরা।কিন্তু আসলে কি তাদের এ দাবি সত্য? গণতন্ত্র আর শুরা কি এক?
আসুন আরবের প্রখ্যাত আলিম শায়খ আব্দুল আযিয আত- তারিফি-র কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর শুনা যাক।শুরা ( পরার্মশ) সম্পর্কিত আলোচনা ইসলামের মৌলিক নীতিগুলির মধো শুরার ধারণা রয়েছে এমনকি শুরা নামে কুরআনের একটি সুরাও আছে কিন্তু ইসলামী শরিয়াহতে যে শুরার উল্লেখ রয়েছে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে শুরা প্রচলিত রয়েছে তার মধো পার্থক্য কী?
যদি আপনি ইসলামী শুরার ধারনাটি দেখেন,তাহলে আপনি দেখবেন যে এটি গণতান্ত্রিক ধারণার বিপরীত।গণতন্ত্রের বিভিন্নরুপ আছে,কিছু স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত,অন্য গুলো সমতার সাথে সম্পর্কিত,এররকম আরও কিছু এ কারণে আপনি দেখবেন যে গণতন্ত্র ব্যক্তি জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয।
যদি আমরা একটি নির্দিষ্ট দেশে পাশ্চাত্য গণতন্ত্র প্রয়োগ করতে চাই তাহলে এর অর্থ হল, যে কেউ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যিনা-য় লিপ্ত হবার অধিকার পাবেন সমকামীতা,লিঙ্গ পরিবর্তন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অথবা কেউ আত্নহত্যা ও করতে পারে যতক্ষণ না তিনি কারো ক্ষতির কারণ হচ্ছেন।এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা যেখানে গণতন্ত্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না। গণতন্ত্র একটি সামাজিক ব্যবস্থা,কিন্তু তা ব্যক্তিকে পরিচালনা করে না।
সুতরাং পাশ্চাত্যের এই গণতন্ত্র ব্যক্তির জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয় অন্যদিকে শুরার ব্যাপরটা হল শরিয়াহ অনেক বিষয়ের ফয়সালা দিয়ে দিয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়কে নির্দিষ্ট জায়গায় স্থাপন করেছে তারপর সেই টেবিলে নির্দিষ্ট কিছু জায়গা খালি করে দিয়েছে,এবং বলছে,এগুলো তোমাদের ব্যাপারে যা তোমরা তোমাদের মধো শুরা দ্বারা নির্ধারিত করবে।শরীয়াহ টেবিলের কোন এক জায়গায় একটি কাপ এবং অন্যত্র আরেকটি কাপ স্থাপন করে দিয়েছে এগুলো শরীয়াহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।এগুলো ইসলামের স্তম্ভ যার উপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে ;কেউ এগুলো অপসারণ করতে পারবে না শরীয়াহ যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে,সেগুলো ছাড়া অন্য যা কিছু আছে,এগুলো আমরা একে অপরের সাথে (শুরা)পরার্মশ করে নির্ধারণ করতে পারি।একারণে আল্লাহ এ ব্যাপারে আদেশ দিয়েছেন: আর কাজে -কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করা। অত:পর যখন সংকল্প করবে (আলে ইমরান-৩:১৫৯) এবং একারণেই আল্লাহ তায়ালা অন্য একটি আয়াতে বলেছেন:আল্লাহও তাঁর রসুল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন কোন ক্ষমতা নেই(আল-আহযাব ৩৩:৩৬) আল্লাহর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোন অপছন্দ বা শুরা (পরার্মশ)র সুযোগ নেই:যে সব বিষয় আল্লাহ তায়ালার বিধান হিসাবে বর্ণিত হয়নি সেগুলো মানুষের সাধারণ বিষয়াবলীর অন্তর্ভক্ত যেসব বিষয় আল্লাহ তায়ালার বিধান হিসেবে বর্ণিত হয়নি,সেগুলো মানুষের সাধারণ বিষয়াবলীর অন্তর্ভক্ত এগুলো আইনের বিভিন্ন ধারা গুলোর সাথে সম্পর্কিত যেমন:সামাজিক,পৌরনীতি,ট্রাফিক আইন এছাড়াও, ভ্রমণ,ভিসা, পার্পোট ইত্যাদি সম্পর্কিত,এইগুলো আইনের ঐ সকল ধারা যার ব্যাপারে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে এছাড়াও, অর্থনীতি, অনুদান,বৃত্তি ইত্যাদিও এর সাথে সম্পর্কিত এ ছাড়াও,আর্থিক বিষয়গুলির ব্যাপারে কিছু শাস্তি এর সাথে সম্পর্কিত এসব গুলোই মানুষের মধো শুরার মাধ্যেমে হবে যদি না তা শরীয়াতের কোন মুলনীতিকে ধ্বংস বা বাধাগ্রস্থ করে।
তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্তে সত্যকে তোমরা গোপন করো না (২:৪২)
ইসলামি গণতন্ত্র - আধুনিক সময়ের বহুল প্রচলিত একটি ভ্রান্তি।মুসলিম উম্মাহর আনেক দল আজ মানবরচিত গণতন্ত্রের আর্দশ দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার গোলক ধাঁধায় ঘরপাক খাচ্ছে।এধরণের দলের মধো বিশেষভাবে আরবের ইখওয়ানুল মুসলিমীন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের জামায়াতে ইসলামি-র নাম উল্লেখযোগ্য।একসময় ইখওয়ান জামায়াত প্রচার করতো গন্তবো পৌছানোর জন্য তারা সাময়িকভাবে গণতন্ত্রেকে ব্যবহার করছে। কিন্তু আজ গণতন্ত্রই তাদের গন্তব্যে পরিনত হয়েছে। আর একারনে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ভাবে গণতন্ত্র নামক মানবরচিত কুফরি ও শিরক পূর্ণ আদর্শকে ইসলামী প্রমান করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।গণতন্ত্রকে ইসলামি প্রমাণে বেশ কিছু যুক্তি ব্যবহার করা হয়।তার মধো সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত যুক্তি হল- গণতন্ত্র আর ইসলামে যে শুরার বিধান আছে,এ দুটো মূলত একই।শুরাই গণতন্ত্র। গণতন্ত্রই শুরা।কিন্তু আসলে কি তাদের এ দাবি সত্য? গণতন্ত্র আর শুরা কি এক?
আসুন আরবের প্রখ্যাত আলিম শায়খ আব্দুল আযিয আত- তারিফি-র কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর শুনা যাক।শুরা ( পরার্মশ) সম্পর্কিত আলোচনা ইসলামের মৌলিক নীতিগুলির মধো শুরার ধারণা রয়েছে এমনকি শুরা নামে কুরআনের একটি সুরাও আছে কিন্তু ইসলামী শরিয়াহতে যে শুরার উল্লেখ রয়েছে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে শুরা প্রচলিত রয়েছে তার মধো পার্থক্য কী?
যদি আপনি ইসলামী শুরার ধারনাটি দেখেন,তাহলে আপনি দেখবেন যে এটি গণতান্ত্রিক ধারণার বিপরীত।গণতন্ত্রের বিভিন্নরুপ আছে,কিছু স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত,অন্য গুলো সমতার সাথে সম্পর্কিত,এররকম আরও কিছু এ কারণে আপনি দেখবেন যে গণতন্ত্র ব্যক্তি জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয।
যদি আমরা একটি নির্দিষ্ট দেশে পাশ্চাত্য গণতন্ত্র প্রয়োগ করতে চাই তাহলে এর অর্থ হল, যে কেউ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যিনা-য় লিপ্ত হবার অধিকার পাবেন সমকামীতা,লিঙ্গ পরিবর্তন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও অথবা কেউ আত্নহত্যা ও করতে পারে যতক্ষণ না তিনি কারো ক্ষতির কারণ হচ্ছেন।এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা যেখানে গণতন্ত্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না। গণতন্ত্র একটি সামাজিক ব্যবস্থা,কিন্তু তা ব্যক্তিকে পরিচালনা করে না।
সুতরাং পাশ্চাত্যের এই গণতন্ত্র ব্যক্তির জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয় অন্যদিকে শুরার ব্যাপরটা হল শরিয়াহ অনেক বিষয়ের ফয়সালা দিয়ে দিয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয়কে নির্দিষ্ট জায়গায় স্থাপন করেছে তারপর সেই টেবিলে নির্দিষ্ট কিছু জায়গা খালি করে দিয়েছে,এবং বলছে,এগুলো তোমাদের ব্যাপারে যা তোমরা তোমাদের মধো শুরা দ্বারা নির্ধারিত করবে।শরীয়াহ টেবিলের কোন এক জায়গায় একটি কাপ এবং অন্যত্র আরেকটি কাপ স্থাপন করে দিয়েছে এগুলো শরীয়াহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।এগুলো ইসলামের স্তম্ভ যার উপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে ;কেউ এগুলো অপসারণ করতে পারবে না শরীয়াহ যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে,সেগুলো ছাড়া অন্য যা কিছু আছে,এগুলো আমরা একে অপরের সাথে (শুরা)পরার্মশ করে নির্ধারণ করতে পারি।একারণে আল্লাহ এ ব্যাপারে আদেশ দিয়েছেন: আর কাজে -কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করা। অত:পর যখন সংকল্প করবে (আলে ইমরান-৩:১৫৯) এবং একারণেই আল্লাহ তায়ালা অন্য একটি আয়াতে বলেছেন:আল্লাহও তাঁর রসুল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন কোন ক্ষমতা নেই(আল-আহযাব ৩৩:৩৬) আল্লাহর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোন অপছন্দ বা শুরা (পরার্মশ)র সুযোগ নেই:যে সব বিষয় আল্লাহ তায়ালার বিধান হিসাবে বর্ণিত হয়নি সেগুলো মানুষের সাধারণ বিষয়াবলীর অন্তর্ভক্ত যেসব বিষয় আল্লাহ তায়ালার বিধান হিসেবে বর্ণিত হয়নি,সেগুলো মানুষের সাধারণ বিষয়াবলীর অন্তর্ভক্ত এগুলো আইনের বিভিন্ন ধারা গুলোর সাথে সম্পর্কিত যেমন:সামাজিক,পৌরনীতি,ট্রাফিক আইন এছাড়াও, ভ্রমণ,ভিসা, পার্পোট ইত্যাদি সম্পর্কিত,এইগুলো আইনের ঐ সকল ধারা যার ব্যাপারে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে এছাড়াও, অর্থনীতি, অনুদান,বৃত্তি ইত্যাদিও এর সাথে সম্পর্কিত এ ছাড়াও,আর্থিক বিষয়গুলির ব্যাপারে কিছু শাস্তি এর সাথে সম্পর্কিত এসব গুলোই মানুষের মধো শুরার মাধ্যেমে হবে যদি না তা শরীয়াতের কোন মুলনীতিকে ধ্বংস বা বাধাগ্রস্থ করে।
তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্তে সত্যকে তোমরা গোপন করো না (২:৪২)