Announcement

Collapse
No announcement yet.

আলিম ও জনগনের মাঝ থেকে দূরত্ব কমিয়ে আনা উচিত

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আলিম ও জনগনের মাঝ থেকে দূরত্ব কমিয়ে আনা উচিত

    আলিম ও জনগনের মাঝ থেকে দূরত্ব কমিয়ে আনা উচিতঃ

    সম্মানিত ওলামাগন , মুহতারাম মুফতিয়ানে ইজাম , শ্রদ্ধেয় শাইখুল হাদিসগন এবং অন্যান্য আহলে ইলমগণ!

    আপনাদের নিকট আকুল আবেদন যে , যত উপরের পর্যায়ইই থাকেননা কেন প্রতিদিন ৩/৪ বার করে সাধারণ জনগণ আর যুবকদের কাছে গিয়ে গিয়ে সময় দেয়া।

    শ্রদ্ধেয় আহলে ইলমগন !
    সমাজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে চলে এসেছে , যুবকদের অবস্থা অতীতের যে কোন খারাপ সময়ের চাইতেও খারাপ অতিবাহিত হচ্ছে । সমাজ এতটা নিকৃষ্ট হয়ে গেছে তা আপনারা হয়তো বুঝেইই উঠতে পারবেননা যদি সরাসরি মাঠে এসে স্ব চোখে না দেখেন।

    সম্মানিত উলমায়ে কেরাম!
    আমরা আপনাদেরই ফসল , আমরা আপনাদের দোয়া ও পরামর্শের মুখাপেক্ষী । আমরা যুবকদের পেছনে মেহনত করতে ময়দানে নামলে কতটা বিভৎস অবস্থার সম্মুখীন হই , তা হয়তো ময়দানে অবস্থান ছাড়া অন্য কোন দাঈর জন্য কল্পনাও করা সম্ভব নয়।

    সম্মানিত ওলামাগন!
    পাপের অঙ্গারে যুবকদের হৃদয় জ্বলন আর দহন আমরা অনুভব করেছি , কিছু যুবকের পেছনে দুএকদিন মেহনতের পর দেখা যায় এই যুবকের কান্না থামানো যায়না , তপ্ত হৃদয়ের ব্যথা আমরা অনুভব করি, যুবকদের আরজি তখন আমরা শুনতে পাই , তারা অভিযোগের সুরেই বলেন মাহফিলে ওয়াজ করা ছাড়াও কী আমাদের অবিভাবকের আসনে সমাসীন উলামাগন কি আমাদের পেছনে সময় দিতে পারেনা।

    প্রিয় আহলে ইলমগন!
    যুবকদের ব্যথীত কথায় আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি , আমরা যুবকদেরকে কেন দূরে রাখলাম?

    একজন আলিমের কাছে একটি যুবক শরয়ী সমাধান নিতে যাবে অথচ যুবককে এতটুকু আশ্বস্ত আমরা কেন করতে পারলাম না যে , দিন হোক বা রাত , তুমি ইসলাম শিখতে / জানতে যখন আসবে এই শাইখুল হাদিস আর মুফতি সাহেবের দরজা তোমার জন্য উন্মুক্ত।

    আমরা এত এত আলেম এদেশে রয়েছি , প্রতিটি আলিম যদি প্রতিদিন ৩ ওয়াক্ত সলাতের শেষে মাত্র ১০ মিনিট করে আলোচনা করতাম , তাহলে কি আলিমদের সাথে জনগনের এই দূরত্ব থাকতো ?

    “ আমি এক জায়গায় সফরে গিয়েছিলাম । মসজিদের আমি বসে আছি , কোন কাজই করছিনা , তবুও এক যুবক বাহিরেইই দাড়িয়ে আছে ,, আমি দেখে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কিছু বলবেন? লেকটি দৌড়ে আসল , হাতে চুম্বন করলো এবং বসলো।
    বললাম কিছু বলবেন কী ? জওয়াবে যুবক বললো , হুজুর , আমার অনেক ইচ্ছে আমি নামাজ পড়বো , আমি যদি দুই পৃষ্ঠা করে কোরআন পড়তে পারতাম , ছোট বেলা পড়ি নাই , কিন্তু এখন যে/যারা পারে , তারা কেউ আমাকে একটু সাহস দেয়না আর বলেওনা। আমার তো অনেক বয়স হয়ে গেছে কাউকে বলতেও পারছিনা কিন্তু ভেতরে আগুন জ্বলে ব্যথায় , হুজুর আমি নামাজ পড়ি কিন্তু সুরা পারিনা আমার সবসময়ই আতঙ্ক থাকে, হয়তো কেউ নামাজে ভুল ধরে আমাকে লজ্জিত করবে ,,
    আজকে আসবের পরে আপনি যে , দ্বীন ইসলাম নিয়ে আলোচনা করেছেন আমার অনেক ফায়দা হলো। তাই আমি আপনাকে কিছু কথা বলি তাহলে কিছুটা হৃদয় হালকা হবে।
    তাকে সামনে বসিয়ে আমরা কিছু মুজাকারা করলাম , আমি নিজেই নিজেকে নাসিহা করলাম পাশাপাশি ওই ভাইটিও শুনলো । রাতে আমি যেই বাসায় খাবার খেলাম তাকে জিজ্ঞেস করলাম মসজিদের মুহতারাম ইমাম সাহেব কি কি করেন , স
    মাজের জনগনের প্রতি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন [ দ্বীনের শিক্ষার জন্য ] ,, জওয়াবে সেই লেকটি যা বললেন আমি রীতিমতো শিউরে উঠলাম ।

    “কেন আপনার ১২ বছরের ইমামতির স্থানের এক মুসল্লী আপনাকে সামনাসামনি ১২ বছর দেখার পরও আপনাকে তার মনের কথাগুলো বলার সাহস করেনি ,, কেন এক অচেনা অজানা লোক ২০ মিনিট দ্বীনি আলোচনা করার পরই এই ব্যক্তি তাকে এত কথা বলে ফেললো অকপটে ? কেন এতটা দূরত্ব ছিলো ? [ এসব প্রশ্ন যদি পরকালে রব করেন তাহলে আমরা কী জওয়াব দিবো ? ]

    সুতরাং যুবকদের বিপথগামী হওয়ার পেছনে আমাদের আলিম সমাজেরই অনেক গাফলতির রয়েছে।
    আমরা যেমন লেখালেখিতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক এগিয়ে ,, ওয়াজ - মাহফিলেও যেমন এগিয়ে , এখন মাঠে নেমে সরাসরি দাওয়াহর ময়দানে কাজ করার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসা আবশ্যক ।

    ওয়া মা আলাইনা- ইল্লাল - বালাগ
Working...
X