Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফিলিস্তিনের জিহাদে দাঈশের নিরবতা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফিলিস্তিনের জিহাদে দাঈশের নিরবতা

    ফিলিস্তিনের জিহাদে দাঈশের নিরবতা

    সালাহুদ্দিন আইয়ুবী রহ.–এর বরকতময় হাতে বিজিত স্বাধীন ফিলিস্তিন বিশেষ করে মাসজিদুল আকসা সেযুগের সুপার পাওয়ার ক্রুসেডারদের পর আবারো এযুগের সুপার পাওয়ার জায়োনিস্টদের দখলে।

    ফিলিস্তিনের বরকতময় ভূমিতে ইয়াহুদি কাফেররা উম্মাতে মুহাম্মাদি ﷺ–এর যুবতী নারীদের পবিত্র ইজ্জত ও মর্যাদা ওপর হাত তুলে তা বিনষ্ট করছে, যুবকদের কারারুদ্ধ ও শ/হীদ করছে, আলেম ও প্রবীণদের হ/ত্যা করছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে, সুন্দর শহরতলী ধ্বংসস্তূপে পরিণত করছে।

    লাখো ফিলিস্তিনিকে দেশত্যাগে বাধ্য করছে এবং তাদের বাড়িঘর ও জমিকে ইয়াহুদি রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে নিচ্ছে।

    অবশেষে জায়নবাদী ইয়াহুদিদের এ নৃশংসতা আইয়ুবির উত্তরসূরিদের আবারও ক্ষুব্ধ করেছে এবং তাদের তরবারি তুলে নিতে বাধ্য করেছে।

    যার ফলস্বরূপ ৭ ই অক্টোবর সারা বিশ্বের ইয়াহুদিবাদী দখলদারদের হৃদয়ে ফের আরেকবার ছুরি চালানো হয়েছে।

    হাজার হাজার ইয়াহুদি পৃথিবী ছেড়ে জাহান্নামে পারি জমিয়েছে। নতুন করে আবার সালাহুদ্দিন আইয়ুবী রহ.–এর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

    কিন্তু আজকের যুগে একদল যারা নিজেদেরকে খিলাফাতের দাবীদার ও উম্মাহর রক্ষক বলে দাবি করে তারা এই শুভ যুদ্ধের ব্যাপারে গাফেল! কিন্তু কেন?

    দাঈশ সেই দল যারা খেলাফত ও শরীয়তের নামে পৃথিবীর চারিদিকে রক্তের নদী প্রবাহিত করেছে এবং সারাজীবন আল আকসার মুক্তির স্লোগান দিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে।

    আজকে যখন আইয়ুবীর বাহিনী আবারো আল আকসার স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জান বাজি রেখেছে, তাঁরা বিশ্বের কঠিনতম কুফফারদের সাথে জিহাদে লিপ্ত হয়েছে, তখন এই ভুয়া খেলাফাতের ঠিকাদাররা কোন গর্তে লুকিয়েছে?

    কেন আজ দাঈশ ফিলিস্তিনিদের সাথে একত্র হয়ে ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করছে না?

    ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব বিশ্বের শাসকরা যেমন নীরব, ঈমান বা বিবেকবোধ যেমন তাদের বিচলিত করে না, তেমনি দাঈশ খাওয়ারিজরাও আরব শাসকদের মতো ফিলিস্তিন ইস্যুতে নীরব ও অন্ধ।

    দাঈশের নীরবতার কারণ:
    দাঈশ খাওয়ারিজ দলটি একইসাথে ইসরায়েলি ইয়াহুদি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি প্রকল্প

    ইয়াহুদি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, সাবেক মোসাদ প্রধান, কমান্ডার ও সিনিয়র নেতাদের দ্বারা দাউলা সমর্থিত।

    এ কারণে দাঈশের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা জারি করা হয় না। দাঈশ-খাওয়ারিজদের সমস্ত পরিকল্পনার নীলনকশা ইসরায়েল থেকে আসে।

    আর সেগুলো ইরাক, সিরিয়া, সোমালিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে প্রয়োগ হয়।

    যার ফলস্বরূপ হরহামেশাই মুসলমানদের রক্তপাত হয় এবং মসজিদগুলো শহীদ হয়। আর প্রকাশ্য গণহত্যা চালানো তো স্বাভাবিক বিষয়।

    আজ যেমন আমরা দেখছি গাজায় ইয়াহুদিবাদী দখলদারদের হাতে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা করা হচ্ছে—

    একইভাবে ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে দাঈশের দ্বারা নৃশংসতা চালানো হচ্ছে, সাধারণ মুসলিমদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে,

    তাদের সম্পত্তি লুট করা হচ্ছে, তাদের পুরুষদের শহীদ করা হচ্ছে, তাদের নারীদের কেড়ে নিয়ে নিজেদের দাসী বানাচ্ছে।

    দাঈশ এবং ইসরায়েলের ভূমিকা আর কর্মের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
    (ইসরাইল + আমেরিকা) = দাঈশ
    সংগৃহীত
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 10-25-2023, 07:22 PM.
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন
Working...
X