ধর্ম নয়, ক্ষমতা হলো দাঙ্গার অদৃশ্য ইঞ্জিন, “পরিকল্পিত দাঙ্গা” বনাম বাংলাদেশের সেক্যুলার-এলিটদের ইসলামবিরোধিতা পর্ব - ৩
কিন্তু সে/ক্যু/লাররা কিছু না বুঝেই ধর্মের নাম বলবে! এটা কীভাবে একটি “বয়ানগত সুবিধা” তৈরি করে
এখানে এই অভিযোগটা শুধু মতাদর্শিক নয়। এটা বিশ্লেষণগত ব্যর্থতা নিয়েও। “ধর্মের কারণে হয়” এটা বললে তাদের জন্য তিনটি সুবিধা তৈরি হয়ঃ
> মূল প্ল্যানার আড়াল থাকেঃ কারা সংগঠিত করল, কারা মদদ দিল, কারা নীরব থাকল এসব প্রশ্ন অস্বস্তিকর। “ধর্ম” বললেই মূল প্ল্যানার ঝাপসা হয়ে যায়।
> রাষ্ট্র-আচরণ আড়াল থাকেঃ পুলিশ–প্রশাসনের শৈথিল্য/পক্ষপাত/দেরি এসবের দায় নির্দিষ্ট করতে গেলে ক্ষমতার কেন্দ্র স্পর্শ করতে হয়। “ধর্ম” বললে তা লাগে না।
> রাজনৈতিক দায় এড়ানো যায়ঃ কোনো দলে বা কোনো গোষ্ঠীতে দায় দেখাতে গেলে স্বার্থের এই মারামারি বের হয়ে যাবে। আর “ধর্ম” বলে দিলে দায় ছড়িয়ে থাকে, শিরোনামও সহজ হয়।
ফলে টিভি-টকশো/মিডিয়া, এনজিও-ঘরানা, দলীয় বুদ্ধিবৃত্তিক বলয় এর এরা বেশিরভাগ সময় একই শর্টকাটে এসে বলে “ধর্মই” সমস্যা। অথচ সমস্যা ধর্ম নয়, সমস্যা হলো ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতার হিসাব কষা।