যাকাত বিতরন আটটি বিভাগে সীমাবদ্ধ
" নিশ্চয় সদাকা হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়ােজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের
( ইসলাম এর জন্য অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য : (তা বণ্টন করা যায় )
দাস আযাদ বা মুক্ত করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে ।
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী প্রজ্ঞাময়।" [৯৩৬০]
আল্লাহর পথে “ফী সাবিলিল্লাহ” বলতে মুজাহিদীনদের বােঝায় । মালেকী ফকীহ আবু বকর বিন আল আরবী বর্ণনা করেছেন :
“মালিক বলেছেন:
* আল্লাহর পথ অনেক ধরনের রয়েছে কিন্তু এ নিয়ে কোন মতপার্থক্য নেই যে এখানে এই আয়াতের মধ্যে) 'আল্লাহর পথ 'বলতে লড়াইকে। জিহাদ) বােঝানাে হয়েছে। ইমাম আল নওয়াবী যাকাত ব্যয়ের ব্যাপারে বলতে গিয়ে আল মিনহাজে বর্ণনা করেছেনঃ
"আল্লাহর পথের সৈনিককে তার যাবতীয় খরচ দেয়া হয় এবং তার পরিবারের যাবতীয় খরচও দেয়া হয় সে যাওয়ার পর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত, এমনকি সে যদি দীর্ঘ সময়ও অনুপস্থিত থাকে।"
বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিমই মুজাহিদীনদের যাকাত দেয় না। তারা যদি নিজেদের শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত রাখতাে তাহলে তারা বুঝতাে যে এখনকার যুগে তাদের যাকাত দানের উত্তম পন্থা বা রাস্তা হলাে তা মুজাহিদীনিদের দেয়া। কারন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "পাঁচটি পরিস্থিতি ব্যাতীত সম্পদশালী ব্যক্তিদের যাকাত দেয়া যায় না। " রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তার মধ্যে একটি হলাে- "আল্লাহর পথে যােদ্ধা'। (আবু দাউদ। এখন যদি মুজাহিদীনরা ধনী হলেও তাদের যাকাত দেয়া যায়, তখন তাদের ব্যাপারে কি হবে যখন যাকাতের আটটি শ্রেণীর মধ্যে চারটিতেই মুজাহিদীনরা রয়েছে? - তারা দরিদ্র, তারা অভাবগ্রস্ত, তারা মুসাফির এবং একমাত্র তারাই আল্লাহর পথে রয়েছেন! সুতরাং আপনারা মুজাহিদীনদের যাকাত প্রদান করুন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করুন।আপনার মাল-সম্পদ দিয়ে জিহাদ করা একটি আয়াত ছাড়া প্রতিটি আয়াতেই স্বশরীরে জিহাদের আগে মাল সম্পদ দিয়ে জিহাদ করার কথা বলা হয়েছে। মাল সম্পদের মাধ্যমে জিহাদের গুরুত্বের দিক টা আমাদের দেখতে হবে কারন, এর উপরেই জিহাদ অনেকটা নির্ভরশীল। অন্যভাবে বলতে গেলে, মাল সম্পদ নেই তাে জিহাদ ও নেই এবং জিহাদের জন্য প্রচুর পরিমান মাল সম্পদ এর প্রয়ােজন। আল কুরতুবি তার তাফসীরে বলেছেনঃ "সাদাকাহ এর ক্ষেত্রে ব্যয় করা অর্থের পুরষ্কার দশ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, কিন্তু জিহাদের ক্ষেত্রে ব্যয় করা মাল সম্পদ ৭০০ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।" আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেনঃ" যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীর্ষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময় , সর্বজ্ঞ।।" [২০৪ ২৬১ সম্ভবত জিহাদের জন্য পশ্চিমা (ইউরােপ, আমেরিকা) মুসলমানরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে তাদের মাল সম্পদ জিহাদ এর জন্য খরচ করে , যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে মুজাহিদীনদের জন্য লােকবলের চেয়ে অর্থের বেশি প্রয়ােজন। যেমন-শেখ আব্দুল্লাহ আযযাম বলেছেনঃ " আল্লাহ'র সৈনিকদের জন্য জিহাদ জরুরি এবং জিহাদের জন্য মাল সম্পদ জরুরি।" মুজাহিদীনদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা: উপরন্তু, নিজের পকেটে থেকে আল্লাহর রাস্তায় মাল সম্পদ খরচ করার পাশাপাশি আপনারঅন্যকেও আল্লাহর রাস্তায় মাল সম্পদ খরচ করতে উৎসাহিত করা উচিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে অন্যকে একটি সৎকর্মের দিকে পরিচালিত করলাে, তারা তা করলে সে তাদের সমান পুরষ্কার পাবে।" মুজাহিদীনদের জন্য অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে আপনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর একটি সুন্নাতও পূরণ করছেন যা তিনি যুদ্ধে যাওয়ার আগে প্রায়শই করতেন।
" নিশ্চয় সদাকা হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়ােজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের
( ইসলাম এর জন্য অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য : (তা বণ্টন করা যায় )
দাস আযাদ বা মুক্ত করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে ।
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী প্রজ্ঞাময়।" [৯৩৬০]
আল্লাহর পথে “ফী সাবিলিল্লাহ” বলতে মুজাহিদীনদের বােঝায় । মালেকী ফকীহ আবু বকর বিন আল আরবী বর্ণনা করেছেন :
“মালিক বলেছেন:
* আল্লাহর পথ অনেক ধরনের রয়েছে কিন্তু এ নিয়ে কোন মতপার্থক্য নেই যে এখানে এই আয়াতের মধ্যে) 'আল্লাহর পথ 'বলতে লড়াইকে। জিহাদ) বােঝানাে হয়েছে। ইমাম আল নওয়াবী যাকাত ব্যয়ের ব্যাপারে বলতে গিয়ে আল মিনহাজে বর্ণনা করেছেনঃ
"আল্লাহর পথের সৈনিককে তার যাবতীয় খরচ দেয়া হয় এবং তার পরিবারের যাবতীয় খরচও দেয়া হয় সে যাওয়ার পর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত, এমনকি সে যদি দীর্ঘ সময়ও অনুপস্থিত থাকে।"
বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিমই মুজাহিদীনদের যাকাত দেয় না। তারা যদি নিজেদের শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত রাখতাে তাহলে তারা বুঝতাে যে এখনকার যুগে তাদের যাকাত দানের উত্তম পন্থা বা রাস্তা হলাে তা মুজাহিদীনিদের দেয়া। কারন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "পাঁচটি পরিস্থিতি ব্যাতীত সম্পদশালী ব্যক্তিদের যাকাত দেয়া যায় না। " রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তার মধ্যে একটি হলাে- "আল্লাহর পথে যােদ্ধা'। (আবু দাউদ। এখন যদি মুজাহিদীনরা ধনী হলেও তাদের যাকাত দেয়া যায়, তখন তাদের ব্যাপারে কি হবে যখন যাকাতের আটটি শ্রেণীর মধ্যে চারটিতেই মুজাহিদীনরা রয়েছে? - তারা দরিদ্র, তারা অভাবগ্রস্ত, তারা মুসাফির এবং একমাত্র তারাই আল্লাহর পথে রয়েছেন! সুতরাং আপনারা মুজাহিদীনদের যাকাত প্রদান করুন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করুন।আপনার মাল-সম্পদ দিয়ে জিহাদ করা একটি আয়াত ছাড়া প্রতিটি আয়াতেই স্বশরীরে জিহাদের আগে মাল সম্পদ দিয়ে জিহাদ করার কথা বলা হয়েছে। মাল সম্পদের মাধ্যমে জিহাদের গুরুত্বের দিক টা আমাদের দেখতে হবে কারন, এর উপরেই জিহাদ অনেকটা নির্ভরশীল। অন্যভাবে বলতে গেলে, মাল সম্পদ নেই তাে জিহাদ ও নেই এবং জিহাদের জন্য প্রচুর পরিমান মাল সম্পদ এর প্রয়ােজন। আল কুরতুবি তার তাফসীরে বলেছেনঃ "সাদাকাহ এর ক্ষেত্রে ব্যয় করা অর্থের পুরষ্কার দশ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, কিন্তু জিহাদের ক্ষেত্রে ব্যয় করা মাল সম্পদ ৭০০ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।" আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেনঃ" যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীর্ষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময় , সর্বজ্ঞ।।" [২০৪ ২৬১ সম্ভবত জিহাদের জন্য পশ্চিমা (ইউরােপ, আমেরিকা) মুসলমানরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে তাদের মাল সম্পদ জিহাদ এর জন্য খরচ করে , যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে মুজাহিদীনদের জন্য লােকবলের চেয়ে অর্থের বেশি প্রয়ােজন। যেমন-শেখ আব্দুল্লাহ আযযাম বলেছেনঃ " আল্লাহ'র সৈনিকদের জন্য জিহাদ জরুরি এবং জিহাদের জন্য মাল সম্পদ জরুরি।" মুজাহিদীনদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা: উপরন্তু, নিজের পকেটে থেকে আল্লাহর রাস্তায় মাল সম্পদ খরচ করার পাশাপাশি আপনারঅন্যকেও আল্লাহর রাস্তায় মাল সম্পদ খরচ করতে উৎসাহিত করা উচিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে অন্যকে একটি সৎকর্মের দিকে পরিচালিত করলাে, তারা তা করলে সে তাদের সমান পুরষ্কার পাবে।" মুজাহিদীনদের জন্য অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে আপনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর একটি সুন্নাতও পূরণ করছেন যা তিনি যুদ্ধে যাওয়ার আগে প্রায়শই করতেন।