সূরা আল ইমরান এর ১১০ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মাদীকে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ এবং কি কারণে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ তার কারণ সহ এই আয়াতে বর্ণনা করেছেন। এখন আমরা সেই কারণগুলো মুফাসসিরিনদের ব্যাখ্যার আলোকে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
السوال الاول:من اى وجه يقتضى الأمر المعروف والنهى عن المنكر والايمان بالله كون هذه الأمة خير الامم مع أن هذه الصفات الثلاث كانت حاصلة في ساءر الامم؟
- الجواب:قال القفال:تفضيلهم على الامم الذين من قبلهم انما حصل لاجل أنهم ياؤمرون بالمعروف وينهون عن المنكر باكد الوجوه وهو القتال لان الأمر بالمعروف قد يكون بالقلب وباللسان وباليد واقواها ما يكون بالقتال،لانه القاءمين النفس فى خطر القتل و اعرف المعروفات الدين الحق والايمان بالتوحيد والنبوة،وانكر المنكرات:الكفر بالله،
- উত্তর:কাফফাল রহঃ বলেন:পুর্ববর্তী উম্মতের উপর এই উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব এই জন্য অর্জন হয়েছে যে নিশ্চয় তারা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করে বিভিন্ন ভাবে (ইসলাম কে) শক্তিশালী করার মাধ্যমে, আর সেটা হলো কিতাল। কেননা সৎ কাজের আদেশ কখনো অন্তর যবান এবং হাত দ্বারা হয়ে থাকে এবং উহার সবচেয়ে শক্তিশালী (স্তর) হচ্ছে যেটা কিতালের মাধ্যমে হয়। কেননা কিতাল হচ্ছে নফসকে হত্যার ভয়ের মধ্যে নিক্ষেপ করা।সৎ কাজসমূহের মাঝে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হলো দ্বীনে হক, তাওহীদ এবং নবুওয়তের উপর ঈমান আনা।আর অসৎ কাজসমূহের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো আল্লাহর সাথে কুফর করা
(তাফসিরে কাবীর: খন্ড৮পৃষ্ঠা১৬৭)
- یہ درجہ اس امت میں اور امم سے دو وجہ سے زیادہ ہے اولا جہاد کا مشروع ہونا جس سے دفع کفر و دفع فساد مقصود ہے،ثانیا بوجہ عموم دعوت محمدیہ اس کا سب اقوام کے لئے عام ہونا جیسا للناس میں عام کا لفظ نکال دیا گیا ہے بخلاف شرائع سابقہ کے کہ بعض میں جہاد نہ تھا اور بعض میں بوجہ خصوص بعثت انبیاء سابقین کے سب اقوام کے لئے عام نہ تھا اور ظاہر ہے کہ زیادہ عمل سے زیادہ اجرت ہے،بلکہ صرف وجہ ثانی بھی کافی ہے،
এই মর্যাদা এই উম্মতের মাঝে অন্যান্য থেকে ২কারনে বেশি,(১)শরয়ী জিহাদ যার দ্বারা কুফর
ও ফাসাদকে দুর করা উদ্দেশ্য।(২) উম্মতে মোহাম্মদীয়ার দাওয়াত ব্যাপক হওয়া এই দাওয়াত সকল গোত্রের জন্য ব্যাপক হওয়া। যেমনللناسএর মধ্যে ব্যাপক ভাবে বলা হয়েছে।এর বিপরীতে পুর্ববর্তী শরীয়তের কথাগুলোর মাঝে জিহাদ ছিল না এবং কথাগুলোর মাঝে খাসভাবে নবীদের প্রেরণ করা হয়েছিল সকল গোত্রের জন্য ব্যাপক ছিল না। এবং কথা যে বেশি আমলের দ্বারা বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। বরং এই(উম্মতের শ্রেষ্ঠ হবার জন্য) শুধুমাত্র ২য় কারনটিই যথেষ্ট ছিল।
(বয়ানুল কুরআন:খন্ড১পৃষ্ঠা২৬৩,আলে ইমরান:১১০আয়াত)یہ امت ہر امت سے بہتر ہے اس دو صفت میں امر معروف یعنی جہاد اور ایمان یعنی توحید کی تقیید (تاکید)اسقدر اور دین میں نہیں،(ولتكن منكم امة الخ کی ما تحت)معلوم ہوا مسلمانوں میں فرض ہے ایک جماعت قائم رہے جہاد کرنے کو اور دین کو تقیید رکھنے کو تا خلاف دین کوئی نہ کرے
- এই উম্মত অন্য সমস্ত উম্মত হতে শ্রেষ্ঠ এই ২গুনের কারনে।امر معروف অর্থাৎ জিহাদ এবংایمانঅর্থাৎ তাওহীদের তাগিদ অন্য কোন ধর্মে নেই।ولتكن منكم الخএই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন: জানা গেল যে মুসলিমদের জন্য ফরজ হলো একটা দল প্রতিষ্ঠিত থাকবে জিহাদ করা ও দ্বীন কে শক্তিশালী করার জন্য।যাতে কেউ দ্বীনের বিরোধীতা না করে(শাহ্ আব্দুল কাদের রহঃ রচিত তাফসিরে মুজিহুল কুরআন ১০৩পৃষ্ঠা)
كنتم خير امة الخএই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফতীয়ে আযম মুফতী শফী রহঃ বলেন:
- এই আয়াতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার কারণ বর্ননা করা হয়েছে যে, সৃষ্টির প্রতি কল্যাণ পৌঁছানোর জন্য এদের অস্তিত্ব হয়, আর সবচেয়ে এবং চারিত্রিক কল্যাণ সাধনের পথে প্রচেষ্টা করা খোদাপ্রদত্ব দায়িত্ব এবং সবচেয়ে বেশি সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের পুর্নতা এই উম্মতের মাধ্যমে হয়েছে। যদিও সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের দায়িত্ব পুর্ববর্তী উম্মতের উপরও ছিল যার বিস্তারিত বিবরণ হাদীসের কিতাব সমূহে উল্লেখ আছে কিন্তু প্রথমত হলো পুর্ববর্তী অনেক ও অসৎ কাজের নিষেধ শুধু অন্তর এবং যবান দ্বারা হত।আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের (আদেশ নিষেধের)৩য় ধাপ হাতের দ্বারা সৎ কাজের আদেশ যার মধ্যে জিহাদের সকল প্রকার অন্তর্ভুক্ত। এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে ইসলামের বিধি বিধান বাস্তবায়ন ও তার একটি অংশ
আলোচনার সারকথা এটাই প্রমাণিত যে, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ আছে বলেই এই উম্মত শ্রেষ্ঠ উম্মাহ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।যা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত মুফাসসিরগন উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে দ্বীন বুঝা,মানা,ও দ্বীনের উপর চলার তাওফিক দান করুন এবং শহীদি সুধাপানে ধন্য করুন আমীন ইয়া রব্বাল আ'লামীন।