বাংলাদেশে শিবিরে অবস্থানরত দুই লাখ রোহিঙ্গার সপরিবারে উধাও
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শিবির থেকে রোহিঙ্গারা সপরিবারে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এসব রোহিঙ্গা মধ্যে অনেকেই মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী শিবিরগুলো থেকে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গার খোঁজ মিলছে না। এক বছরের মধ্যে শিবিরের এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গার সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। প্রায় প্রতিদিনই ভারত থেকে সীমান্ত গলিয়ে রোহিঙ্গার দল ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। এসব রোহিঙ্গার গন্তব্য হচ্ছে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির। এরই মধ্যে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ভারত থেকে কক্সবাজারে ট্রানজিট ক্যাম্পে এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ রোহিঙ্গা শিবির তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম গতকাল সন্ধ্যায় বলে, ‘শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বেশ কিছু রোহিঙ্গার খোঁজ মিলছে না। এ রকম নিখোঁজ রোহিঙ্গার কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র এক লাখ ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা পরিবার বর্তমানে রেশন নিচ্ছে বলে জেনেছি।’
রোহিঙ্গাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) সূত্রে জানা গেছে, শিবিরগুলোতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আওতায় আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা রয়েছে ১১ লাখ ১৮ হাজার। অথচ বর্তমানে শিবিরে রোহিঙ্গার হদিস মিলছে ৯ লাখ ১৫ হাজার। আরো দুই লাখ রোহিঙ্গার হদিস না মেলায় সর্বত্র উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, নানা কারণে রোহিঙ্গারা দলে দলে শিবির ছেড়েছে। এমন কিছু রোহিঙ্গা আছে যারা শহর বন্দরে গার্মেন্ট বা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে স্থায়ী বসবাসের আশা নিয়ে শিবির ছাড়ছে। ।
এমনকি এ মাসে কাঁচা মাছ সরবরাহে ব্যবহৃত ড্রামের ভেতরে অবস্থান নিয়ে সড়ক পথে পালানোর সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের আলাদা অভিযানে ১০ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। এসব রোহিঙ্গাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরভিত্তিক একশ্রেণির রোহিঙ্গা দালালের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর জন্য রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। গত মাসের প্রথম সাপ্তাহে বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ চরাঞ্চল থেকে ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করে উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে হস্তান্তর করেছে। এসব রোহিঙ্গার দেওয়া তথ্যে উঠে এসেছে তারা দালালের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে শিবির ত্যাগ করেছিল। ।
কুতুপালং রেজিস্টার্ড শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা রশিদ আহমদ রোহিঙ্গাদের শিবির থেকে উদাও হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কিছু কিছু রোহিঙ্গা আছে যারা এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শিবির থেকে রোহিঙ্গারা সপরিবারে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এসব রোহিঙ্গা মধ্যে অনেকেই মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী শিবিরগুলো থেকে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গার খোঁজ মিলছে না। এক বছরের মধ্যে শিবিরের এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গার সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। প্রায় প্রতিদিনই ভারত থেকে সীমান্ত গলিয়ে রোহিঙ্গার দল ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। এসব রোহিঙ্গার গন্তব্য হচ্ছে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির। এরই মধ্যে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ভারত থেকে কক্সবাজারে ট্রানজিট ক্যাম্পে এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ রোহিঙ্গা শিবির তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম গতকাল সন্ধ্যায় বলে, ‘শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বেশ কিছু রোহিঙ্গার খোঁজ মিলছে না। এ রকম নিখোঁজ রোহিঙ্গার কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র এক লাখ ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা পরিবার বর্তমানে রেশন নিচ্ছে বলে জেনেছি।’
রোহিঙ্গাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) সূত্রে জানা গেছে, শিবিরগুলোতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আওতায় আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা রয়েছে ১১ লাখ ১৮ হাজার। অথচ বর্তমানে শিবিরে রোহিঙ্গার হদিস মিলছে ৯ লাখ ১৫ হাজার। আরো দুই লাখ রোহিঙ্গার হদিস না মেলায় সর্বত্র উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, নানা কারণে রোহিঙ্গারা দলে দলে শিবির ছেড়েছে। এমন কিছু রোহিঙ্গা আছে যারা শহর বন্দরে গার্মেন্ট বা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে স্থায়ী বসবাসের আশা নিয়ে শিবির ছাড়ছে। ।
এমনকি এ মাসে কাঁচা মাছ সরবরাহে ব্যবহৃত ড্রামের ভেতরে অবস্থান নিয়ে সড়ক পথে পালানোর সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের আলাদা অভিযানে ১০ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। এসব রোহিঙ্গাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রোহিঙ্গা শিবিরভিত্তিক একশ্রেণির রোহিঙ্গা দালালের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর জন্য রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। গত মাসের প্রথম সাপ্তাহে বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ চরাঞ্চল থেকে ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করে উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে হস্তান্তর করেছে। এসব রোহিঙ্গার দেওয়া তথ্যে উঠে এসেছে তারা দালালের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে শিবির ত্যাগ করেছিল। ।
কুতুপালং রেজিস্টার্ড শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা রশিদ আহমদ রোহিঙ্গাদের শিবির থেকে উদাও হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কিছু কিছু রোহিঙ্গা আছে যারা এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি।