সিআইএ-এর নির্দেশে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারিত হয় ‘তালিবানের নারী নির্যাতনের’ বানোয়াট সংবাদ
বর্তমান বিশ্বে সংবাদ মাধ্যমগুলো একচেটিয়াভাবে ঐসব সংবাদই প্রচার করছে যা পশ্চিমারা চায়। আর ক্রুসেডারদের এমন প্রচারোনা আফগান যুদ্ধেও দখলদার শক্তির পক্ষে বড় ভূমিকা রেখেছিল।
সম্প্রতি ২০১০ সালে সিআইএ-এর কিছু নথিপত্র প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘উইকিলিকস'(১)। ঐ প্রতিবেদনে উঠে আসে সিআইএ-এর পরামর্শে তৈরি করা ‘নারীদের উপর তালিবানদের নিপীড়নের’ বিষয়ে বানোয়াট খবরের তথ্য। আর এসব বানোয়াট প্রতিবেদন প্রচারের জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো সিআইএ-এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে পালিত এজেন্ট-এর মতো কাজ করে।
উইকিলিস কর্তৃক প্রকাশিত ২০১০ সালের ঐ নথিতে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ১১ মার্চ ২০১০ তারিখের কিছু গোপন চিঠিপত্র ছিল।
নথিতে ‘তালিবান নারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে’ – এমন খবর জাল করার সুপারিশ করে সিআইএ। আর এই জাল খবর ছড়ানোর লক্ষ্য ছিলো আফগান যুদ্ধকে বৈধতা দেওয়া। এবং আফগানিস্তানে মার্কিনীদের যুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করা, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর জনমত তৈরি করা।
১১ বছর বছর পূর্বের এই নথিটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে আবারও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কেননা কিছু সংবাদ মাধ্যম প্রচার শুরু করেছিল যে, তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এলে মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করবে। আর এমন প্রচারণাটা এমন সময়ে শুরু হয়েছে, যখন আফগানিস্তান থেকে দখলদকর মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
উইকিলিকস দ্বারা প্রকাশিত নথি অনুসারে, ১১ মার্চ ২০১০ -এ, “সমস্যা সমাধানের জন্য রেড রুম” নামক সিআইএ-এর উপ-কাঠামো আফগানিস্তান যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা ও বিশ্ব জনমতের সমর্থনের ভিত্তিতে একটি প্রচারণা কৌশল অবলম্বন করে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়া আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আর এই কৌশলটি এমন সময় শুরু করা হয়েছিল, যখন আফগান যুদ্ধে তালিবানদের কাছে দুর্বল হয়ে পড়েছিল মার্কিন জোট ও তাদের গোলাম সরকার। একই সাথে তখন আফগান যুদ্ধের বৈধতাও হারাতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আর তখনই সিআইএ-এর পক্ষ থেকে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, তারা যেন “তালিবান কর্তৃক আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে”- এ বিষয়ে ভয়ঙ্কর সব মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প তৈরি করে।
একই সাথে সিআইএ-এর পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর দ্বারা জনগণের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা যেনো বিশ্বকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়। এবিষয়েও সুপারিশ করা হয় যে, সংবাদ মাধ্যমগুলো যেনো যুদ্ধের পরিস্থিতি বর্ণনা না করে। বরং তারা যেনো “আফগান জনগণ বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনী খুব ভালো আচরণ করছে” এমনটাই প্রমোট করে।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের সময়, এই আগ্রাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে মহিলাদের ইস্যুতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়। আর মিডিয়াগুলোও পশ্চিমাদের নির্দেশে “তালিবানরা নারীদের নির্যাতন করেছিল” বলে সংবাদ কভার করতে থাকে।
অনুরূপভাবে বর্তমানে সোমালিয়া, মালি ও বুর্কিনা ফাসোসহ যেসকল দেশে মুজাহিদগণ দখলদার ও গাদ্দার সরকারগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, সেসব স্থানেও এখনো এসব কৌশল অবলম্বন করছে দখলদার শক্তিগুলি। আর সাধারণ মানুষও মিডিয়ার এসব মিথ্যা প্রচারণাগুলোকে সত্য ভেবে গিলতে থাকে।
তবে অন্ধকার চিঁরে আলো যেমন বের হয়ে আসে, মিথ্যার এই আঁধার ফেরেও হক্ক ও সত্য তেমনিভাবে সামনে চলে আসে। মিথ্যা সাময়িকভাবে সত্যের উপর সাময়িক আবরণ ফেলতে পারলেও সময়ের সাথে সাথে তা ফিকে হয়ে যায়; আর উজ্জল আলোর মতো দিগন্ত উদ্ভাসিত করে প্রকাশ ঘটে সত্যের।
দ্বীন আল ইসলাম ও এর বাহকদের সত্যতা ও আমানতদারিতার উপরেও কথিত সুপার পাওয়ার অ্যামেরিকার কথিত শক্তিশালী গোয়েন্দা বাহিনী সিআইএ-এর প্রচারিত ঐ মিথ্যাও তেমনিভাবে আজ ফিকে হয়ে গেছে, খসে পরছে তাঁদের বানোয়াট নির্জলা মিথ্যার আবরণ। আর যে তালিবান বীর মুজাহিদদের উপর তারা এই মিথ্যা প্রচারের প্রলেপ দিয়ে বদনাম করতে চেয়েছিল, তাঁদের সততা, দ্বীনদারিতা ও দুনিয়া-বিমুখতার উপমাও আজ বিশ্ব দেখছে নিজ চোখে। মানুষ আজ দেখছে তালিবান উমারাগন আজ বরফের মাঝে পায়ে হেঁটে অফিসে যাচ্ছেন কোন গার্ড ছাড়াই।
বিশ্লেষকরা তাই বলছেন, তলিবানদের এই উত্থান ও দ্বীন-এ-হক্কের বিজয় অ্যামেরিকা ও সিআইএ’র মিথ্যাকে ধ্বংসের পাশাপাশি, মিথ্যার উপর দাড়িয়ে থেকা সন্ত্রাসী অ্যামেরিকারও পতন ডেকে এনেছে। খুব শীঘ্রই হয়তো এই অহংকারী মিথ্যুক অ্যামেরিকা ও এর দোসরদের পতন হবে, আর বিশ্বজুড়ে পতপত করে উড়বে সত্য দ্বীন ইসলামের বিজয়ের পতাকা।
১ নোট:
উইকিলিকস কি?
উইকিলিকস একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। যা বেনামী সূত্রের উপর ভিত্তি করে সংবেদনশীল নথি প্রকাশ করে থাকে। সংস্থাটি ২০০৬-২০১৬-এর মধ্যে ১০ বছরের মধ্যে কয়েক লক্ষাধিক নথি প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপক হলেন অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারনেট কর্মী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৮ সাল থেকে ক্রিস্টিন হাফনসন প্রধান সম্পাদক।
২৯ নভেম্বর ২০১০-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক নথিগুলির উইকিলিকসের প্রকাশ্যের ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
উইকিলিকস আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন এবং গুয়ানতানামো বন্দীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত অনেক গোপন নথিও প্রকাশ করেছে।
উইকিলিকস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এই কার্যকলাপগুলির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়৷ ২০১২ সালে গ্রেপ্তার এড়াতে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের ব্রিটিশ দূতাবাসে আশ্রয় নিয়। পরে মার্কিন চাপের মুখে ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জের উপর সুরক্ষা তুলে নেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে আটক করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান
বর্তমান বিশ্বে সংবাদ মাধ্যমগুলো একচেটিয়াভাবে ঐসব সংবাদই প্রচার করছে যা পশ্চিমারা চায়। আর ক্রুসেডারদের এমন প্রচারোনা আফগান যুদ্ধেও দখলদার শক্তির পক্ষে বড় ভূমিকা রেখেছিল।
সম্প্রতি ২০১০ সালে সিআইএ-এর কিছু নথিপত্র প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘উইকিলিকস'(১)। ঐ প্রতিবেদনে উঠে আসে সিআইএ-এর পরামর্শে তৈরি করা ‘নারীদের উপর তালিবানদের নিপীড়নের’ বিষয়ে বানোয়াট খবরের তথ্য। আর এসব বানোয়াট প্রতিবেদন প্রচারের জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো সিআইএ-এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে পালিত এজেন্ট-এর মতো কাজ করে।
উইকিলিস কর্তৃক প্রকাশিত ২০১০ সালের ঐ নথিতে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ১১ মার্চ ২০১০ তারিখের কিছু গোপন চিঠিপত্র ছিল।
নথিতে ‘তালিবান নারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে’ – এমন খবর জাল করার সুপারিশ করে সিআইএ। আর এই জাল খবর ছড়ানোর লক্ষ্য ছিলো আফগান যুদ্ধকে বৈধতা দেওয়া। এবং আফগানিস্তানে মার্কিনীদের যুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করা, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর জনমত তৈরি করা।
১১ বছর বছর পূর্বের এই নথিটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে আবারও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। কেননা কিছু সংবাদ মাধ্যম প্রচার শুরু করেছিল যে, তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এলে মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করবে। আর এমন প্রচারণাটা এমন সময়ে শুরু হয়েছে, যখন আফগানিস্তান থেকে দখলদকর মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
উইকিলিকস দ্বারা প্রকাশিত নথি অনুসারে, ১১ মার্চ ২০১০ -এ, “সমস্যা সমাধানের জন্য রেড রুম” নামক সিআইএ-এর উপ-কাঠামো আফগানিস্তান যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা ও বিশ্ব জনমতের সমর্থনের ভিত্তিতে একটি প্রচারণা কৌশল অবলম্বন করে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়া আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আর এই কৌশলটি এমন সময় শুরু করা হয়েছিল, যখন আফগান যুদ্ধে তালিবানদের কাছে দুর্বল হয়ে পড়েছিল মার্কিন জোট ও তাদের গোলাম সরকার। একই সাথে তখন আফগান যুদ্ধের বৈধতাও হারাতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আর তখনই সিআইএ-এর পক্ষ থেকে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, তারা যেন “তালিবান কর্তৃক আফগানিস্তানে নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে”- এ বিষয়ে ভয়ঙ্কর সব মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প তৈরি করে।
একই সাথে সিআইএ-এর পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর দ্বারা জনগণের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা যেনো বিশ্বকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়। এবিষয়েও সুপারিশ করা হয় যে, সংবাদ মাধ্যমগুলো যেনো যুদ্ধের পরিস্থিতি বর্ণনা না করে। বরং তারা যেনো “আফগান জনগণ বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনী খুব ভালো আচরণ করছে” এমনটাই প্রমোট করে।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের সময়, এই আগ্রাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে মহিলাদের ইস্যুতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়। আর মিডিয়াগুলোও পশ্চিমাদের নির্দেশে “তালিবানরা নারীদের নির্যাতন করেছিল” বলে সংবাদ কভার করতে থাকে।
অনুরূপভাবে বর্তমানে সোমালিয়া, মালি ও বুর্কিনা ফাসোসহ যেসকল দেশে মুজাহিদগণ দখলদার ও গাদ্দার সরকারগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, সেসব স্থানেও এখনো এসব কৌশল অবলম্বন করছে দখলদার শক্তিগুলি। আর সাধারণ মানুষও মিডিয়ার এসব মিথ্যা প্রচারণাগুলোকে সত্য ভেবে গিলতে থাকে।
তবে অন্ধকার চিঁরে আলো যেমন বের হয়ে আসে, মিথ্যার এই আঁধার ফেরেও হক্ক ও সত্য তেমনিভাবে সামনে চলে আসে। মিথ্যা সাময়িকভাবে সত্যের উপর সাময়িক আবরণ ফেলতে পারলেও সময়ের সাথে সাথে তা ফিকে হয়ে যায়; আর উজ্জল আলোর মতো দিগন্ত উদ্ভাসিত করে প্রকাশ ঘটে সত্যের।
দ্বীন আল ইসলাম ও এর বাহকদের সত্যতা ও আমানতদারিতার উপরেও কথিত সুপার পাওয়ার অ্যামেরিকার কথিত শক্তিশালী গোয়েন্দা বাহিনী সিআইএ-এর প্রচারিত ঐ মিথ্যাও তেমনিভাবে আজ ফিকে হয়ে গেছে, খসে পরছে তাঁদের বানোয়াট নির্জলা মিথ্যার আবরণ। আর যে তালিবান বীর মুজাহিদদের উপর তারা এই মিথ্যা প্রচারের প্রলেপ দিয়ে বদনাম করতে চেয়েছিল, তাঁদের সততা, দ্বীনদারিতা ও দুনিয়া-বিমুখতার উপমাও আজ বিশ্ব দেখছে নিজ চোখে। মানুষ আজ দেখছে তালিবান উমারাগন আজ বরফের মাঝে পায়ে হেঁটে অফিসে যাচ্ছেন কোন গার্ড ছাড়াই।
বিশ্লেষকরা তাই বলছেন, তলিবানদের এই উত্থান ও দ্বীন-এ-হক্কের বিজয় অ্যামেরিকা ও সিআইএ’র মিথ্যাকে ধ্বংসের পাশাপাশি, মিথ্যার উপর দাড়িয়ে থেকা সন্ত্রাসী অ্যামেরিকারও পতন ডেকে এনেছে। খুব শীঘ্রই হয়তো এই অহংকারী মিথ্যুক অ্যামেরিকা ও এর দোসরদের পতন হবে, আর বিশ্বজুড়ে পতপত করে উড়বে সত্য দ্বীন ইসলামের বিজয়ের পতাকা।
১ নোট:
উইকিলিকস কি?
উইকিলিকস একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। যা বেনামী সূত্রের উপর ভিত্তি করে সংবেদনশীল নথি প্রকাশ করে থাকে। সংস্থাটি ২০০৬-২০১৬-এর মধ্যে ১০ বছরের মধ্যে কয়েক লক্ষাধিক নথি প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপক হলেন অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারনেট কর্মী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৮ সাল থেকে ক্রিস্টিন হাফনসন প্রধান সম্পাদক।
২৯ নভেম্বর ২০১০-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক নথিগুলির উইকিলিকসের প্রকাশ্যের ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
উইকিলিকস আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন এবং গুয়ানতানামো বন্দীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত অনেক গোপন নথিও প্রকাশ করেছে।
উইকিলিকস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এই কার্যকলাপগুলির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়৷ ২০১২ সালে গ্রেপ্তার এড়াতে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের ব্রিটিশ দূতাবাসে আশ্রয় নিয়। পরে মার্কিন চাপের মুখে ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জের উপর সুরক্ষা তুলে নেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে আটক করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে।
লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান