মুসলিমদের উপর বেড়েছে উগ্র হিন্দুদের বর্বর হামলা: দুজনকে ছুরিকাঘাত, একজনকে পিটিয়ে জখম
ভারতে উগ্র হিন্দুরা দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে মুসলিমদের হত্যা করছে, এবং এ ব্যাপারে তাদের কোন বিচার কিংবা কৈফিয়তও দিতে হচ্ছেনা। ফলে দিনকে দিন মুসলিমদের উপর হামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মুসলিম নির্যাতনকে বৈধকরণে তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরছে। যেগুলোর সবই মিথ্যা, বানোয়াট।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার ১৭ বছর বয়সী মুসলিম যুবক সাহিল সিদ্দিকীকে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে ৭ আগস্ট বজরং দলের সন্ত্রাসীরা মারধর করে গুরুতর আহত করে। তারা অভিযোগ তুলে মুসলিম ছেলেটি ইনস্টাগ্রামে একটি মেয়ের ভিডিও পোস্ট করেছে।
সাহিলের বাবা আব্দুর রউফের মতে, তার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বজরং দলের সন্ত্রাসীরা মারধর করেছে। তার ছেলে এমন কোন ভিডিও সম্পর্কে জানত না। এব্যাপারে সাহিলের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে থানা থেকে জানানো হয়।
আব্দুর রউফ বলেন, “মামলার বিষয়ে কথা বলতে আমি যখন সাহিলকে নিয়ে থানায় যাচ্ছিলাম, তখন বজরং দলের সন্ত্রাসীরা আমাদের পথ আটকায়। তারা থানার বাইরে বিষয়টি মিমাংসা করার নামে চাঁদা দাবি করে। আমরা যখন তাদের কাছে জানতে চাইলাম ব্যাপারটা কী? তারা আমাদের জানায় যে, সাহিল একটি মেয়ের ভিডিও করেছে এবং মেয়েটির পরিবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
”ঘটনাস্থলে থাকা সাহিলের চাচা জনাব সালমান সাহেব বলেছেন, “বজরং দলের কর্মীরা আমাদের ঘিরে ধরেছিল যে আমরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই বলে দিতে অস্বীকার করেছিলাম যে, আমরা কোন অন্যায় করি নি। সাহিল কোন মেয়ের ভিডিও করে নি।
কিন্তু তারা আমাদের কোন কথাই শোনেনি।…টাকা না পেয়ে ততক্ষণে ছেলে আদেশ চৌহান নামের এক সন্ত্রাসী সাহিলকে মারধর শুরু করে। তখন অন্যান্যরাও সাহিলকে আক্রমণ করে যা ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তাকে এতটাই মারধর করা হয় যে তার পাঁজরের হাড় ও নাকের হাড় ভেঙ্গে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়ে যায়।
আমরা অনেক কষ্ট করে কোনোরকমে সাহিলকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় পৌঁছাই।… ঘটনাস্থলে আমরা না থাকলে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা সাহিলকে সেখানেই খুন করত।”
এদিকে কর্ণাটক রাজ্যে গত ৯ আগস্ট তৌসিফ (২৩) এবং মুস্তাক (২৪) নামে দুই মুসলিম যুবককে হিন্দুত্ববাদী শ্রী রাম সেনা (এসআরএস) সদস্যরা নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করেছে। গুরুতর আহত হওয়ায় তৌসিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার কারণ হিসেবে জানা গেছে, শ্রী রাম সেনার হিন্দুত্ববাদী সোমেশ গুড়ি হট্টগোল থামানো ঠুনকো অজুহাতে তৌসিফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে অন্যান্য উগ্র হিন্দুরাও তাদের উপর হামলা চালায়।
যুগ যুগ ধরে হিন্দুত্ববাদীদের সমান অধিকারের ফাঁকা বুলির আশ্বাস, তাসের ঘরের ন্যায় ভেঙ্গে পড়ছে। যা মুসলিমদের মন মগজে শক্ত প্রাচীর গড়ে তুলেছিল। যার জন্য মুসলিমরা ইসলামের বিধি বিধানেও কাট ছাট করতো। এই মরীচিকার পিছনে ছুটে ইসলামের শরীয়াহ ব্যবস্থা ভুুলে এগুলোকেই সমাধান হিসেবে নিয়েছে। সময় আজ বুঝিয়ে দিচ্ছে এগুলো মুসলিমদের জন্য নয়, বরং অপরাধীদের রক্ষাকবচ। এবিষয়ে ইসলামি বিশ্লেষকগণ অনেক আগে থেকেই গণতন্ত্রপন্থীদের কপটতা সম্পর্কে উম্মাহকে সতর্ক করছেন।
ভারতে উগ্র হিন্দুরা দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে মুসলিমদের হত্যা করছে, এবং এ ব্যাপারে তাদের কোন বিচার কিংবা কৈফিয়তও দিতে হচ্ছেনা। ফলে দিনকে দিন মুসলিমদের উপর হামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মুসলিম নির্যাতনকে বৈধকরণে তুচ্ছ তুচ্ছ বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরছে। যেগুলোর সবই মিথ্যা, বানোয়াট।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার ১৭ বছর বয়সী মুসলিম যুবক সাহিল সিদ্দিকীকে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে ৭ আগস্ট বজরং দলের সন্ত্রাসীরা মারধর করে গুরুতর আহত করে। তারা অভিযোগ তুলে মুসলিম ছেলেটি ইনস্টাগ্রামে একটি মেয়ের ভিডিও পোস্ট করেছে।
সাহিলের বাবা আব্দুর রউফের মতে, তার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বজরং দলের সন্ত্রাসীরা মারধর করেছে। তার ছেলে এমন কোন ভিডিও সম্পর্কে জানত না। এব্যাপারে সাহিলের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে থানা থেকে জানানো হয়।
আব্দুর রউফ বলেন, “মামলার বিষয়ে কথা বলতে আমি যখন সাহিলকে নিয়ে থানায় যাচ্ছিলাম, তখন বজরং দলের সন্ত্রাসীরা আমাদের পথ আটকায়। তারা থানার বাইরে বিষয়টি মিমাংসা করার নামে চাঁদা দাবি করে। আমরা যখন তাদের কাছে জানতে চাইলাম ব্যাপারটা কী? তারা আমাদের জানায় যে, সাহিল একটি মেয়ের ভিডিও করেছে এবং মেয়েটির পরিবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
”ঘটনাস্থলে থাকা সাহিলের চাচা জনাব সালমান সাহেব বলেছেন, “বজরং দলের কর্মীরা আমাদের ঘিরে ধরেছিল যে আমরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই বলে দিতে অস্বীকার করেছিলাম যে, আমরা কোন অন্যায় করি নি। সাহিল কোন মেয়ের ভিডিও করে নি।
কিন্তু তারা আমাদের কোন কথাই শোনেনি।…টাকা না পেয়ে ততক্ষণে ছেলে আদেশ চৌহান নামের এক সন্ত্রাসী সাহিলকে মারধর শুরু করে। তখন অন্যান্যরাও সাহিলকে আক্রমণ করে যা ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তাকে এতটাই মারধর করা হয় যে তার পাঁজরের হাড় ও নাকের হাড় ভেঙ্গে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়ে যায়।
আমরা অনেক কষ্ট করে কোনোরকমে সাহিলকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় পৌঁছাই।… ঘটনাস্থলে আমরা না থাকলে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা সাহিলকে সেখানেই খুন করত।”
এদিকে কর্ণাটক রাজ্যে গত ৯ আগস্ট তৌসিফ (২৩) এবং মুস্তাক (২৪) নামে দুই মুসলিম যুবককে হিন্দুত্ববাদী শ্রী রাম সেনা (এসআরএস) সদস্যরা নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করেছে। গুরুতর আহত হওয়ায় তৌসিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার কারণ হিসেবে জানা গেছে, শ্রী রাম সেনার হিন্দুত্ববাদী সোমেশ গুড়ি হট্টগোল থামানো ঠুনকো অজুহাতে তৌসিফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে অন্যান্য উগ্র হিন্দুরাও তাদের উপর হামলা চালায়।
যুগ যুগ ধরে হিন্দুত্ববাদীদের সমান অধিকারের ফাঁকা বুলির আশ্বাস, তাসের ঘরের ন্যায় ভেঙ্গে পড়ছে। যা মুসলিমদের মন মগজে শক্ত প্রাচীর গড়ে তুলেছিল। যার জন্য মুসলিমরা ইসলামের বিধি বিধানেও কাট ছাট করতো। এই মরীচিকার পিছনে ছুটে ইসলামের শরীয়াহ ব্যবস্থা ভুুলে এগুলোকেই সমাধান হিসেবে নিয়েছে। সময় আজ বুঝিয়ে দিচ্ছে এগুলো মুসলিমদের জন্য নয়, বরং অপরাধীদের রক্ষাকবচ। এবিষয়ে ইসলামি বিশ্লেষকগণ অনেক আগে থেকেই গণতন্ত্রপন্থীদের কপটতা সম্পর্কে উম্মাহকে সতর্ক করছেন।
প্রতিবেদক : উসামা মাহমুদ
তথ্যসূত্র:
———-
1. ClarionIndia : Muslim Boy Brutally Beaten up by Bajrang Dal Mob in Bulandshahr
– https://tinyurl.com/9w277ve7
2. Sri Rama Sene members stab two Muslim Youths in Karnataka
– https://tinyurl.com/36vwu34b
———-
1. ClarionIndia : Muslim Boy Brutally Beaten up by Bajrang Dal Mob in Bulandshahr
– https://tinyurl.com/9w277ve7
2. Sri Rama Sene members stab two Muslim Youths in Karnataka
– https://tinyurl.com/36vwu34b