সন্ত্রাসী মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমদের থাকতেও দেবে না, পালাতেও দেবে না
মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের আগ্রাসনে আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলিমরা যুগ যুগ ধরেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। একেতো রাষ্ট্রীয় অধিকার ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত, অন্যদিকে হত্যা, ধর্ষণ ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের চাপে কোন রকম চতুষ্পদ জন্তুর মতো বেঁচে আছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা।
মিয়ানমারের সন্ত্রাসী বাহিনীর আগ্রাসনে অসংখ্য রোহিঙ্গা মুসলিম নিজেদের বাঁচাতে ও উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত এসব প্রতিবেশী দেশে যাবার চেষ্টা করেন। অবৈধভাবে প্রতিবেশী দেশে যাওয়ার জন্য তারা সাধারণত মানব পাচারকারীদের সহায়তা নিয়ে থাকেন।
তবে অনেকেরই শেষ রক্ষা হয় না। অবৈধ ভাবে দেশ থেকে পালানোর সময় মিয়ানমার পুলিশের কাছে গ্রফতার হয়েছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের ভোগান্তি আর শেষ হয় না। গ্রেপ্তার হলে পুলিশি নির্যাতন, কারাগারে নির্যাতন তো রয়েছেই। এই বর্বরতা থেকে বাদ পড়েনা দুর্বল নারী ও শিশুরাও।
অবৈধ ভাবে দেশ থেকে পালাতে গিয়ে চলতি মাসে ইয়াংগুন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৭১ জন রোহিঙ্গা মুসলিম। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তাদের সবাইকে কারাগারে প্রেরণ করেছে জান্তা বাহিনী।
ধারণা করা হচ্ছে তাদের সবাইকেই নূন্যতম ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত জেল দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী মিয়ানমার কোন আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে থাকে। এটা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আশংকার বিষয় হচ্ছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৩০০ এর বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে।
একদিকে গণহত্যা, আরেকদিকে জেল। রোহিঙ্গা মুসলিমদের কোন নিরাপদ জায়গা নেই। এতো বর্বরতার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, রোহিঙ্গা মুসলিমদের পক্ষে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না মানবাধিকারের ঠিকাদার জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেন ইস্যুতে ঠিকই শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।
সার্বিক পরিস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের মানবাধিকারের স্লোগান লোক দেখানো ও প্রহসন মাত্র। তারা সুস্পষ্ট ভাবেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে এবং কাফেরদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের কার্যক্রমই তার প্রমাণ। তবুও আজকের মুসলিম সমাজ রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচারের জন্য ইসলামী সমাধান ছেড়ে পশ্চিমা বিশ্বের দিকেই চেয়ে আছে।
প্রতিবেদক : মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
তথ্যসূত্র :
-----------
1. 117 Rohingya — 78 males & 39 females, including minors — were arrested from a house in Ayeyarwaddy Street, 10th Ward in Yangon Region’s Dagon Myo Thit (East) Township on Oct 20th. 4 Burmese believed to be human traffickers were also arrested
– https://tinyurl.com/3k62k866
2. 54 Rohingya Arrested
– https://tinyurl.com/22perk6y
3. The Myanmar junta arrested 31 Rohingya who are escaping genocide on 17th sept & 42 Rohingya on 18th sept. Since the coup over 1300 Rohingya have been arrested by the junta
– https://tinyurl.com/bdf4adjt
4. Rohingya Arrested
– https://tinyurl.com/3mz4deuv
– https://tinyurl.com/5xjsv6a6
– https://tinyurl.com/yc7tzunj
– https://tinyurl.com/mrxet46v
– https://tinyurl.com/n2vpbsb4
5. 150,000 Rohingya people are confined to de-facto internment camps in Rakhine
– https://tinyurl.com/yn2t25zv
মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের আগ্রাসনে আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলিমরা যুগ যুগ ধরেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। একেতো রাষ্ট্রীয় অধিকার ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত, অন্যদিকে হত্যা, ধর্ষণ ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের চাপে কোন রকম চতুষ্পদ জন্তুর মতো বেঁচে আছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা।
মিয়ানমারের সন্ত্রাসী বাহিনীর আগ্রাসনে অসংখ্য রোহিঙ্গা মুসলিম নিজেদের বাঁচাতে ও উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত এসব প্রতিবেশী দেশে যাবার চেষ্টা করেন। অবৈধভাবে প্রতিবেশী দেশে যাওয়ার জন্য তারা সাধারণত মানব পাচারকারীদের সহায়তা নিয়ে থাকেন।
তবে অনেকেরই শেষ রক্ষা হয় না। অবৈধ ভাবে দেশ থেকে পালানোর সময় মিয়ানমার পুলিশের কাছে গ্রফতার হয়েছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের ভোগান্তি আর শেষ হয় না। গ্রেপ্তার হলে পুলিশি নির্যাতন, কারাগারে নির্যাতন তো রয়েছেই। এই বর্বরতা থেকে বাদ পড়েনা দুর্বল নারী ও শিশুরাও।
অবৈধ ভাবে দেশ থেকে পালাতে গিয়ে চলতি মাসে ইয়াংগুন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৭১ জন রোহিঙ্গা মুসলিম। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তাদের সবাইকে কারাগারে প্রেরণ করেছে জান্তা বাহিনী।
ধারণা করা হচ্ছে তাদের সবাইকেই নূন্যতম ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত জেল দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী মিয়ানমার কোন আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে থাকে। এটা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আশংকার বিষয় হচ্ছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৩০০ এর বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে।
একদিকে গণহত্যা, আরেকদিকে জেল। রোহিঙ্গা মুসলিমদের কোন নিরাপদ জায়গা নেই। এতো বর্বরতার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, রোহিঙ্গা মুসলিমদের পক্ষে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না মানবাধিকারের ঠিকাদার জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেন ইস্যুতে ঠিকই শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।
সার্বিক পরিস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের মানবাধিকারের স্লোগান লোক দেখানো ও প্রহসন মাত্র। তারা সুস্পষ্ট ভাবেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে এবং কাফেরদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের কার্যক্রমই তার প্রমাণ। তবুও আজকের মুসলিম সমাজ রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচারের জন্য ইসলামী সমাধান ছেড়ে পশ্চিমা বিশ্বের দিকেই চেয়ে আছে।
প্রতিবেদক : মুহাম্মাদ ইব্রাহীম
তথ্যসূত্র :
-----------
1. 117 Rohingya — 78 males & 39 females, including minors — were arrested from a house in Ayeyarwaddy Street, 10th Ward in Yangon Region’s Dagon Myo Thit (East) Township on Oct 20th. 4 Burmese believed to be human traffickers were also arrested
– https://tinyurl.com/3k62k866
2. 54 Rohingya Arrested
– https://tinyurl.com/22perk6y
3. The Myanmar junta arrested 31 Rohingya who are escaping genocide on 17th sept & 42 Rohingya on 18th sept. Since the coup over 1300 Rohingya have been arrested by the junta
– https://tinyurl.com/bdf4adjt
4. Rohingya Arrested
– https://tinyurl.com/3mz4deuv
– https://tinyurl.com/5xjsv6a6
– https://tinyurl.com/yc7tzunj
– https://tinyurl.com/mrxet46v
– https://tinyurl.com/n2vpbsb4
5. 150,000 Rohingya people are confined to de-facto internment camps in Rakhine
– https://tinyurl.com/yn2t25zv