কেমন আছেন ভারতের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা || পর্ব-৬ || অন্তহীন অপেক্ষা
ডিটেনশন সেন্টারে বন্দী রোহিঙ্গারা মাঝে মাঝে তাদের আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পান। তবে এই অনুমতি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে বিদেশি নিবন্ধন কার্যালয়ের (FRRO) কর্মকর্তাদের খেয়াল-খুশির উপর। এ তথ্য জানিয়েছেন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করা বন্দীদের পরিবার।
আত্মীয়দের বর্ণনানুযায়ী, বন্দীদের সাথে দেখা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। প্রায়ই দেখা যায়, কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করা সত্ত্বেও সাক্ষাতের অনুমতি মেলে না।
এমনকি শিশুদেরকেও অনেক সময় বন্দী মায়ের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয় না। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বন্দীদের জন্য কিছু ফলমূল সেখানে রেখে আসার অনুমতি আছে। তবে এর আগে কঠোর ও অপমানজনকভাবে চেক করা হয় তাদের।
সাক্ষাতের সময় তাদের কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করা হয়। আর কেবল হিন্দি ভাষায় কথা বলার অনুমতি দেয়া হয় বলে জানিয়েছে বন্দীদের পরিবারগুলো।
অনেক বন্দীর দিল্লিতে কোনো নিকটাত্মীয় নেই; বিশেষ করে মহিলাদের। এ কারণে বাধ্য হয়েই তাদেরকে দীর্ঘ সময় বন্দী থাকতে হয়। কারণ তাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই, তাদের মুক্ত করার কোনো উকিল নেই।
এমনকি অনেক রোহিঙ্গা নারীকে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে যৌনকর্মী ও চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক হিসেবে, কিংবা বিবাহের জন্য। আল-জাজিরায় ২০১৯ সালের ৮ই মে এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশ কখনও কখনও এই নারীদের খুঁজে পায়। তবে তাদের উদ্ধার ও রক্ষা করা এবং পাচারকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা পুলিশের দায়িত্ব হলেও, তা না করে পুলিশ উলটো সেই অসহায় নারীদেরকে ছুঁড়ে ফেলে ডিটেনশন সেন্টারে, আরও নির্যাতনের মুখোমুখি হতে। ইন্ডিয়াস্পেন্ড এর ১৯ এপ্রিল ২০২২ সালের রিপোর্টে উঠে এসেছে এ তথ্য।
[চলবে ইনশাআল্লাহ…]
অনুবাদ: সাইফুল ইসলাম
তথ্যসূত্রঃ
১। Rohingya Refugees Recall Desperate Conditions With No Legal Recourse In Delhi Detention Centre – https://tinyurl.com/yvxps73w
ডিটেনশন সেন্টারে বন্দী রোহিঙ্গারা মাঝে মাঝে তাদের আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পান। তবে এই অনুমতি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে বিদেশি নিবন্ধন কার্যালয়ের (FRRO) কর্মকর্তাদের খেয়াল-খুশির উপর। এ তথ্য জানিয়েছেন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করা বন্দীদের পরিবার।
আত্মীয়দের বর্ণনানুযায়ী, বন্দীদের সাথে দেখা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। প্রায়ই দেখা যায়, কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করা সত্ত্বেও সাক্ষাতের অনুমতি মেলে না।
এমনকি শিশুদেরকেও অনেক সময় বন্দী মায়ের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয় না। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বন্দীদের জন্য কিছু ফলমূল সেখানে রেখে আসার অনুমতি আছে। তবে এর আগে কঠোর ও অপমানজনকভাবে চেক করা হয় তাদের।
সাক্ষাতের সময় তাদের কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করা হয়। আর কেবল হিন্দি ভাষায় কথা বলার অনুমতি দেয়া হয় বলে জানিয়েছে বন্দীদের পরিবারগুলো।
অনেক বন্দীর দিল্লিতে কোনো নিকটাত্মীয় নেই; বিশেষ করে মহিলাদের। এ কারণে বাধ্য হয়েই তাদেরকে দীর্ঘ সময় বন্দী থাকতে হয়। কারণ তাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই, তাদের মুক্ত করার কোনো উকিল নেই।
এমনকি অনেক রোহিঙ্গা নারীকে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে যৌনকর্মী ও চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক হিসেবে, কিংবা বিবাহের জন্য। আল-জাজিরায় ২০১৯ সালের ৮ই মে এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশ কখনও কখনও এই নারীদের খুঁজে পায়। তবে তাদের উদ্ধার ও রক্ষা করা এবং পাচারকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা পুলিশের দায়িত্ব হলেও, তা না করে পুলিশ উলটো সেই অসহায় নারীদেরকে ছুঁড়ে ফেলে ডিটেনশন সেন্টারে, আরও নির্যাতনের মুখোমুখি হতে। ইন্ডিয়াস্পেন্ড এর ১৯ এপ্রিল ২০২২ সালের রিপোর্টে উঠে এসেছে এ তথ্য।
[চলবে ইনশাআল্লাহ…]
অনুবাদ: সাইফুল ইসলাম
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হালাত নিয়ে তৈরি “Rohingya Refugees Recall Desperate Conditions With No Legal Recourse In Delhi Detention Centre” এই শিরোনামে article14 এ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমরা ধারাবাহিক ভাবে বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করছি।
তথ্যসূত্রঃ
১। Rohingya Refugees Recall Desperate Conditions With No Legal Recourse In Delhi Detention Centre – https://tinyurl.com/yvxps73w