১১ হাজারের বেশি শিশু নিহত, ইয়েমেন যুদ্ধে…
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ১১ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত কিংবা পঙ্গু হয়েছে। গতকাল ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক এই মানবিক সংকটে শিশুদের হতাহতের বিষয়ে ইউনিসেফ বলছে, ‘প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।’ এছাড়াও দুর্ভিক্ষের ফলে অনাহারে আরও হাজার হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।
ইয়েমেনে ২০১৪ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দ্রুত রাজধানী সানা দখল করে নেয় ইরান সমর্থিত শিয়া সন্ত্রাসী হুথিগোষ্ঠী। ক্ষমতাচ্যুত দালাল সরকারকে ফেরাতে পরের বছরই হস্তক্ষেপ করে মার্কিন মদদপুষ্ট সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জোট বাহিনী।
একদিকে হুতিদের আক্রমণ, অন্যদিকে সৌদি আরবের বর্বরোচিত বিমান হামলা; এর সঙ্গে আবার যুক্ত রয়েছে সৌদি জোটের অবরোধ। পাশাপাশি আমেরিকা, রাশিয়া, ইরান, চীন ও সৌদি আরব নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে- কেউ কেউ দালাল ইয়েমেনের সরকার ও কেউ কেউ সন্ত্রাসী শিয়া হুতিগোষ্ঠীকে সহায়তা দিচ্ছে।
ফলে ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ চরম বিপর্যয়ে মুখে পতিত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেব মতে এ যুদ্ধের কারণে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এবং ৪৬ লাখ ইয়েমেনি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়াও ১ কোটি ৬২ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই ৫০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী শিশু ও নারীরা।
ইয়েমেনে সন্ত্রাসী শিয়া হুথিগোষ্ঠী ও গাদ্দার সৌদি জোটের আগ্রাসনে এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্বেও কথিত বিশ্ব-সম্প্রদায় বা জাতিসংঘ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। মাঝে মধ্যে দু’একটি বিবৃতি দিয়েই তাদের দায় সেরেছে।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, দালাল জাতিসংঘ মুসলিম যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোতে সমস্যা সমাধানের জন্য কখনোই কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশগুলোতে শিশু ও নারীদের পুষ্টিহীনতার অযুহাতে টিকা প্রয়োগকে একমাত্র সমধান হিসেবে প্রচার করছে। অবস্থা এমন যেন টিকা দিলেই ইয়েমেনের শিশু ও নারীদের সব সমাধান হয়ে গেল। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার বিষয়ে কোন পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।
তবে ইয়েমেনে চলমান আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সেখানকার আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আনসারুশ শরিয়াহর মুজাহিদরা প্রতিরোধ জিহাদ শুরু করেছেন। এবং গাদ্দার সৌদি জোটের ভাড়াটে বাহিনী ও সন্ত্রাসী শিয়া হুথিগোষ্ঠীর উপযুক্ত পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ্। তাদের মাধ্যমে জাযিরাতুল আরব কেন্দ্রিক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যৎবাণীর হাদিসসমূহ বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করছেন অনেক মুসলিম।
আর, তাদের মাধ্যমে হয়তো আল্লাহ্ তাআলা ইয়েমেনের বঞ্চিত শিশুদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জীবনে ফিরিয়ে আনবেন ইনশাআল্লাহ্।
তথ্যসূত্র:
1. Yemen war has killed or maimed over 11,000 children: UN
– https://tinyurl.com/22y68r3y
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ১১ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত কিংবা পঙ্গু হয়েছে। গতকাল ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক এই মানবিক সংকটে শিশুদের হতাহতের বিষয়ে ইউনিসেফ বলছে, ‘প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।’ এছাড়াও দুর্ভিক্ষের ফলে অনাহারে আরও হাজার হাজার শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।
ইয়েমেনে ২০১৪ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দ্রুত রাজধানী সানা দখল করে নেয় ইরান সমর্থিত শিয়া সন্ত্রাসী হুথিগোষ্ঠী। ক্ষমতাচ্যুত দালাল সরকারকে ফেরাতে পরের বছরই হস্তক্ষেপ করে মার্কিন মদদপুষ্ট সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জোট বাহিনী।
একদিকে হুতিদের আক্রমণ, অন্যদিকে সৌদি আরবের বর্বরোচিত বিমান হামলা; এর সঙ্গে আবার যুক্ত রয়েছে সৌদি জোটের অবরোধ। পাশাপাশি আমেরিকা, রাশিয়া, ইরান, চীন ও সৌদি আরব নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে- কেউ কেউ দালাল ইয়েমেনের সরকার ও কেউ কেউ সন্ত্রাসী শিয়া হুতিগোষ্ঠীকে সহায়তা দিচ্ছে।
ফলে ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ চরম বিপর্যয়ে মুখে পতিত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেব মতে এ যুদ্ধের কারণে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এবং ৪৬ লাখ ইয়েমেনি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়াও ১ কোটি ৬২ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই ৫০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী শিশু ও নারীরা।
ইয়েমেনে সন্ত্রাসী শিয়া হুথিগোষ্ঠী ও গাদ্দার সৌদি জোটের আগ্রাসনে এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্বেও কথিত বিশ্ব-সম্প্রদায় বা জাতিসংঘ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। মাঝে মধ্যে দু’একটি বিবৃতি দিয়েই তাদের দায় সেরেছে।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, দালাল জাতিসংঘ মুসলিম যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোতে সমস্যা সমাধানের জন্য কখনোই কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশগুলোতে শিশু ও নারীদের পুষ্টিহীনতার অযুহাতে টিকা প্রয়োগকে একমাত্র সমধান হিসেবে প্রচার করছে। অবস্থা এমন যেন টিকা দিলেই ইয়েমেনের শিশু ও নারীদের সব সমাধান হয়ে গেল। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার বিষয়ে কোন পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই।
তবে ইয়েমেনে চলমান আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই সেখানকার আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট আনসারুশ শরিয়াহর মুজাহিদরা প্রতিরোধ জিহাদ শুরু করেছেন। এবং গাদ্দার সৌদি জোটের ভাড়াটে বাহিনী ও সন্ত্রাসী শিয়া হুথিগোষ্ঠীর উপযুক্ত পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ্। তাদের মাধ্যমে জাযিরাতুল আরব কেন্দ্রিক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যৎবাণীর হাদিসসমূহ বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করছেন অনেক মুসলিম।
আর, তাদের মাধ্যমে হয়তো আল্লাহ্ তাআলা ইয়েমেনের বঞ্চিত শিশুদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জীবনে ফিরিয়ে আনবেন ইনশাআল্লাহ্।
প্রতিবেদক : ইউসুফ আল-হাসান
তথ্যসূত্র:
1. Yemen war has killed or maimed over 11,000 children: UN
– https://tinyurl.com/22y68r3y