কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কের পর সরকারি কলেজ ছেড়েছে ৫০% মুসলিম শিক্ষার্থী
সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের কর্ণাটক প্রদেশ সরকার। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদ হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন এই ইসলাম বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। এর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর এক জরিপে দেখায় যে, হিজাব বিতর্কের পর প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী সরকারী কলেজ থেকে বেসরকারি কলেজে চলে গেছে। ২০২১-২২ সালে ৩৮৮ জন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে নথিভুক্ত হলেও ২০২২-২৩ সালে সংখ্যাটি ১৮৬ তে নেমে এসেছে।
জরিপ অনুসারে, এই শিক্ষাবর্ষে মাত্র ৯১ জন মুসলিম ছাত্রী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে, যেখানে ২০২১-২২ সালের শিক্ষাবর্ষে তাদের সংখ্যা ছিল ১৭৮ জন। আর মুসলিম ছাত্রদের ভর্তির সংখ্যা ২১০ থেকে ১০০ তে নেমে এসেছে।
এদিকে, সেখানকার প্রাইভেট প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলিতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তি বেড়েছে। ২০২১-২২ সালের ৬৬২ জনের বিপরীতে ২০২২-২৩ সালে ৯২৭ জন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী অনুদানবিহীন কলেজগুলিতে নথিভুক্ত হয়েছে।
মুসলিম ছাত্রদের ভর্তির সংখ্যা ৩৩৪ থেকে ৪৪০ এ এবং মুসলিম মেয়েদের ভর্তির ৩২৮ থেকে ৪৮৭ তে উন্নীত হয়েছে।উদুপির সালিহাত পিইউ কলেজেও একই বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২১-২২ সালে ৩০ জন মুসলিম ছাত্রী একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়ন করছিল, ২০২২-২৩ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৫৭ তে দাঁড়িয়েছে।
কর্ণাটক হিজাব বিদ্বেষ
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী গুণ্ডারা সরকারি কলেজে হিজাব পরিহিত ছাত্রীদেরকে তাদের মাথার স্কার্ফ সরিয়ে কলেজ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।
কর্ণাটক থেকে হিজাব বিতর্ক শুরু হলেও ধীরে ধীরে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলিম মহিলাদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের বৈষম্যের বহু ঘটনা সামনে এসেছে।
অমুসলিমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে, পক্ষান্তরে মুসলিম নারীরা আল্লাহর দেয়া বিধান পর্দা পালনের জন্য শালীন পোষাক হিজাব পড়লেই তাদের বিদ্বেষ ফুটে উঠে।
কর্ণাটক সরকার গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি একটি আদেশ জারি করে ঘোষণা করে যে, যেখানে নীতি আছে সেখানে ইউনিফর্ম পরতে হবে এবং হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম করা যাবে না। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা ব্যবহার করে এবং হেডস্কার্ফ পরা মুসলিম মেয়েদের প্রবেশে বাধা দেয়।
এর এক মাস পর মার্চ মাসে ভারতের হিন্দুত্ববাদী কর্ণাটক আদালত রায় দিয়েছে যে, হিজাব ইসলামের অবশ্য পালনীয় কোন বিধান নয়।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Karnataka: 50% Muslim students dropped out of government colleges due to hijab controversy
– https://tinyurl.com/bpa7uavz
সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারতের কর্ণাটক প্রদেশ সরকার। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদ হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন এই ইসলাম বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। এর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর এক জরিপে দেখায় যে, হিজাব বিতর্কের পর প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী সরকারী কলেজ থেকে বেসরকারি কলেজে চলে গেছে। ২০২১-২২ সালে ৩৮৮ জন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে নথিভুক্ত হলেও ২০২২-২৩ সালে সংখ্যাটি ১৮৬ তে নেমে এসেছে।
জরিপ অনুসারে, এই শিক্ষাবর্ষে মাত্র ৯১ জন মুসলিম ছাত্রী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে, যেখানে ২০২১-২২ সালের শিক্ষাবর্ষে তাদের সংখ্যা ছিল ১৭৮ জন। আর মুসলিম ছাত্রদের ভর্তির সংখ্যা ২১০ থেকে ১০০ তে নেমে এসেছে।
এদিকে, সেখানকার প্রাইভেট প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলিতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তি বেড়েছে। ২০২১-২২ সালের ৬৬২ জনের বিপরীতে ২০২২-২৩ সালে ৯২৭ জন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী অনুদানবিহীন কলেজগুলিতে নথিভুক্ত হয়েছে।
মুসলিম ছাত্রদের ভর্তির সংখ্যা ৩৩৪ থেকে ৪৪০ এ এবং মুসলিম মেয়েদের ভর্তির ৩২৮ থেকে ৪৮৭ তে উন্নীত হয়েছে।উদুপির সালিহাত পিইউ কলেজেও একই বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২১-২২ সালে ৩০ জন মুসলিম ছাত্রী একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়ন করছিল, ২০২২-২৩ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৫৭ তে দাঁড়িয়েছে।
কর্ণাটক হিজাব বিদ্বেষ
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী গুণ্ডারা সরকারি কলেজে হিজাব পরিহিত ছাত্রীদেরকে তাদের মাথার স্কার্ফ সরিয়ে কলেজ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।
কর্ণাটক থেকে হিজাব বিতর্ক শুরু হলেও ধীরে ধীরে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলিম মহিলাদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের বৈষম্যের বহু ঘটনা সামনে এসেছে।
অমুসলিমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে, পক্ষান্তরে মুসলিম নারীরা আল্লাহর দেয়া বিধান পর্দা পালনের জন্য শালীন পোষাক হিজাব পড়লেই তাদের বিদ্বেষ ফুটে উঠে।
কর্ণাটক সরকার গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি একটি আদেশ জারি করে ঘোষণা করে যে, যেখানে নীতি আছে সেখানে ইউনিফর্ম পরতে হবে এবং হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যতিক্রম করা যাবে না। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা ব্যবহার করে এবং হেডস্কার্ফ পরা মুসলিম মেয়েদের প্রবেশে বাধা দেয়।
এর এক মাস পর মার্চ মাসে ভারতের হিন্দুত্ববাদী কর্ণাটক আদালত রায় দিয়েছে যে, হিজাব ইসলামের অবশ্য পালনীয় কোন বিধান নয়।
তথ্যসূত্র:
——-
1. Karnataka: 50% Muslim students dropped out of government colleges due to hijab controversy
– https://tinyurl.com/bpa7uavz