অমর্ত্য সেনের বিজেপি বিরোধিতা: আমাদের শিক্ষা
হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমদেরকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রগুলোর অন্যতম একটা হলো সিএএ বাস্তবায়ন। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন বলেছে যে, সিএএ বাস্তবায়নে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) উদ্দেশ্য হল প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভারতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তির ভূমিকা বাড়ানো এবং একই পরিমাণে সংখ্যালঘু মুসলিমদের দুর্বল করা।
অমর্ত্য সেন আরও বলেছে যে, বিজেপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সিএএ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভূমিকা হ্রাস করা এবং তাদেরকে গুরুত্বহীন বানিয়ে দেওয়া।
পিটিআই-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন আরও বলেছে যে, ভারত একদিন মুসলমানদের মতো সংখ্যালঘুদের অবহেলা করার জন্য অনুশোচনা করবে।
২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার CAA প্রবর্তন করে। আইনটিতে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে মুসলিম ব্যতীত অন্যান্য অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ এতে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত না করা প্রকাশ্য মুসলিম বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছু নয়। এছাড়া, প্রস্তাবিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) সহ সিএএ ভারতীয় মুসলমানদের দুর্বল করার একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, হিন্দুত্ববাধী সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষকরা বলেছে, “সিএএ অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য করে তোলে। যদি তারা (ক) হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এবং (খ) আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের হয়। এটি শুধুমাত্র অভিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছে।”
এ আইনে অন্যান্য মতবাদের লোকদের কথা উল্লেখ করলেও বাদ দেওয়া হয়েছে মুসলিমদের। ফলে ভারতে যুগ যুগ ধরে বসবাসকারী অনেক মুসলিমও অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে, যাদেরকে বিতারিত করা হবে কিংবা ক্যাম্পে আটকে রাখা হবে।
এ আইনের প্রস্তাব করার সময় থেকেই মুসলিমরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সরকার সে ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ না করে উল্টো আন্দোলনকারীদের উপর দমন নিপীড়ন চালিয়েছে। এখনো অনেক প্রতিবাদকারী হিন্দুত্ববাদীদের কারাগারে বন্দী আছেন।
এখানে একটি কথা মুসলিমদের জেনে রাখা দরকার যে, অমর্ত্য সেনের মতো লোকেরা হঠাৎ হঠাৎ এমন বক্তব্য দেয় যা থেকে সাধারণ ভাবে মনে হতে পারে যে, সে হয়তো মুসলিমদের বন্ধু। কিন্তু বাস্তবতা আসলে ভিন্ন।
অমর্ত্য সেন বিজেপির বিরোধিতা থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছে, মুসলিম বা নির্যাতিত মানুষের পক্ষে নিজের অবস্থান জানানোর জন্য নয়।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, অমর্ত্য সেনকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘ভারত রত্ন’ উপাধি দিয়েছিল এই বিজেপি সরকারই। আবার এই অমর্ত্য সেনই কিছুদিন আগে বলেছে, মমতা ব্যানার্জির যোগ্যতা আছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। এই মমতাই কিন্তু বাংলাদেশকে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম।
শত্রু অনেক সময় ‘সুবিধাবাদী সত্য’ উচ্চারণ করলেই সে বন্ধু হয়ে যায় না।
হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমদেরকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রগুলোর অন্যতম একটা হলো সিএএ বাস্তবায়ন। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন বলেছে যে, সিএএ বাস্তবায়নে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) উদ্দেশ্য হল প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভারতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তির ভূমিকা বাড়ানো এবং একই পরিমাণে সংখ্যালঘু মুসলিমদের দুর্বল করা।
অমর্ত্য সেন আরও বলেছে যে, বিজেপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সিএএ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভূমিকা হ্রাস করা এবং তাদেরকে গুরুত্বহীন বানিয়ে দেওয়া।
পিটিআই-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন আরও বলেছে যে, ভারত একদিন মুসলমানদের মতো সংখ্যালঘুদের অবহেলা করার জন্য অনুশোচনা করবে।
২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার CAA প্রবর্তন করে। আইনটিতে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে মুসলিম ব্যতীত অন্যান্য অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ এতে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত না করা প্রকাশ্য মুসলিম বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছু নয়। এছাড়া, প্রস্তাবিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) সহ সিএএ ভারতীয় মুসলমানদের দুর্বল করার একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে, হিন্দুত্ববাধী সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষকরা বলেছে, “সিএএ অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য করে তোলে। যদি তারা (ক) হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এবং (খ) আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের হয়। এটি শুধুমাত্র অভিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছে।”
এ আইনে অন্যান্য মতবাদের লোকদের কথা উল্লেখ করলেও বাদ দেওয়া হয়েছে মুসলিমদের। ফলে ভারতে যুগ যুগ ধরে বসবাসকারী অনেক মুসলিমও অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে, যাদেরকে বিতারিত করা হবে কিংবা ক্যাম্পে আটকে রাখা হবে।
এ আইনের প্রস্তাব করার সময় থেকেই মুসলিমরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী সরকার সে ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ না করে উল্টো আন্দোলনকারীদের উপর দমন নিপীড়ন চালিয়েছে। এখনো অনেক প্রতিবাদকারী হিন্দুত্ববাদীদের কারাগারে বন্দী আছেন।
এখানে একটি কথা মুসলিমদের জেনে রাখা দরকার যে, অমর্ত্য সেনের মতো লোকেরা হঠাৎ হঠাৎ এমন বক্তব্য দেয় যা থেকে সাধারণ ভাবে মনে হতে পারে যে, সে হয়তো মুসলিমদের বন্ধু। কিন্তু বাস্তবতা আসলে ভিন্ন।
অমর্ত্য সেন বিজেপির বিরোধিতা থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছে, মুসলিম বা নির্যাতিত মানুষের পক্ষে নিজের অবস্থান জানানোর জন্য নয়।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, অমর্ত্য সেনকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘ভারত রত্ন’ উপাধি দিয়েছিল এই বিজেপি সরকারই। আবার এই অমর্ত্য সেনই কিছুদিন আগে বলেছে, মমতা ব্যানার্জির যোগ্যতা আছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। এই মমতাই কিন্তু বাংলাদেশকে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম।
শত্রু অনেক সময় ‘সুবিধাবাদী সত্য’ উচ্চারণ করলেই সে বন্ধু হয়ে যায় না।
লিখেছেন : সাইফুল ইসলাম