আফগানিস্তান: বাড়ছে প্রকল্প, বাড়ছে কর্মসংস্থান
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ন্যাশনাল প্রকিউরমেন্ট কমিশন নতুন করে আরও ২৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর আর্থিক মূল্য প্রায় ৬ বিলিয়ন আফগানি, বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
তালিবান সরকারের অর্থ বিষয়ক উপমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জেনারেল ডিরেক্টরেট, প্রতিরক্ষা, উচ্চশিক্ষা, গণপূর্ত, পল্লী পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন মন্ত্রণালয়সহ ব্যাংক-ই-মিলি আফগান ও কাবুল পৌরসভার অধীনে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে।
ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এই প্রকল্পগুলো দেশের বিভিন্ন প্রদেশে বাস্তবায়ন করা হবে। এগুলো আফগানিস্তানের বেকারত্বের হার কমাতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নাগরিকগণ কাজ পাবে। সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগ পাবে। আর এই প্রকল্পগুলো আফগানিস্তান পুনর্গঠনের পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।”
কুদরুতুল্লাহ নামে কাবুলের এক বাসিন্দা বলেন, “৬ বিলিয়ন আফগানি মূল্যের এই প্রকল্পগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো পদক্ষেপ।”
“আমরা খুবই খুশি। আশা করি এমন প্রকল্প আরও বৃদ্ধি পাবে, যার মাধ্যমে আফগান যুবকরা চাকরি পাবে,” বলেন রুস্তম নামে কাবুলের আরেকজন বাসিন্দা।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রায় ৯০টি প্রকল্প শুরু করার কথা জানিয়েছে। সে প্রকল্পগুলোর আর্থিক মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন আফগানি। এগুলোর আওতাধীন রয়েছে রাস্তা, ব্রিজ ও মহাসড়ক নির্মাণ।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ হাকশেনাস বলেন, ঐ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ১৫ হাজারের অধিক লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চাকরি পাবে।
তিনি বলেন, “গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উন্নয়ন বাজেট থেকে ১.৮ বিলিয়ন আফগানি অর্থমূল্যের ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, বাকি ৩১৬ মিলিয়ন আফগানি মূল্যের আরও ২১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে ১৪০২ সৌরবর্ষের [আফগান ক্যালেন্ডার] সাধারণ বাজেট থেকে।”
ইমারতে ইসলামিয়ার এমন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন আফগানিস্তানের জনগণ। এর মাধ্যমে কাজের সুযোগ মিলবে এবং পরিবারের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তারা।
রফিউল্লাহ নামে এক বাসিন্দা নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন এভাবে, “আফগানিস্তানের জনগণের জন্য এটি খুশির খবর। আফগান যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এবং তাদেরকে বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হলে দেশেই কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত।”
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ১৪০১ সৌরবর্ষে [আফগান ক্যালেন্ডার] ৪২১ মিলিয়ন আফগানি মূল্যের ১২৫টি প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন তারা। এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর দেশজুড়ে স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহন এবং জ্বালানি খাতে ৩,৫০০ এরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলোতে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ নাজারি।
তিনি বলেন, “গত বছর স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবহন এবং জ্বালানি খাতে ১.৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩,৫৭৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এগুলো দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোর উজ্জ্বল ও আশাপ্রদ ভবিষ্যতের পথ দেখায়।”
আগের বছরের তুলনায় এ বছর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, “এই বছর আরও উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা আমাদের বিবেচনায় আছে। রাস্তা, বাঁধ এবং কৃষিসহ অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। গত বছরের তুলনায় আরও বেশি অর্থ ব্যয় করা হবে। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বচ্ছতা থাকবে।”
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমাদ ওয়ালি হাকমাল বলেন, “জাতির জন্য সর্বাধিক কল্যাণকর এবং ফল পাওয়া যাবে—এমন ক্ষেত্রেই উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই নীতির ভিত্তিতেই আমাদের প্রকল্প বাছাই করা হয়েছে এবং এগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
এভাবে আফগানিস্তানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের এমন কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করছেন দেশের জনগণ।
দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের পর আমেরিকা আফগান জনগণের রিজার্ভ আটকে রেখে, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটিকে আরও অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছে। কিন্তু ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সকল বাধা-বিপত্তি ও নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে আফগানিস্তানকে পুনর্গঠনে সাফল্য দেখিয়ে চলেছেন, স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন আফগানিস্তানকে।
বর্তমানে, আফগানিস্তানের মুদ্রা সবচেয়ে স্থিতিশীল মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছে তালিবান প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপগুলো। বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানও আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়ার এসব সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. 25 Projects Worth Around 6 Billion Afs Approved
– https://tinyurl.com/yjc2sew4
2. Ministry: Work on Nearly 90 Projects Begins
– https://tinyurl.com/kkv5su5p
3. Ministry of Economy: Over 3,500 Projects Implemented in Last Year
– https://tinyurl.com/yn9fprw3
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ন্যাশনাল প্রকিউরমেন্ট কমিশন নতুন করে আরও ২৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর আর্থিক মূল্য প্রায় ৬ বিলিয়ন আফগানি, বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
তালিবান সরকারের অর্থ বিষয়ক উপমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জেনারেল ডিরেক্টরেট, প্রতিরক্ষা, উচ্চশিক্ষা, গণপূর্ত, পল্লী পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন মন্ত্রণালয়সহ ব্যাংক-ই-মিলি আফগান ও কাবুল পৌরসভার অধীনে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে।
ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এই প্রকল্পগুলো দেশের বিভিন্ন প্রদেশে বাস্তবায়ন করা হবে। এগুলো আফগানিস্তানের বেকারত্বের হার কমাতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নাগরিকগণ কাজ পাবে। সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগ পাবে। আর এই প্রকল্পগুলো আফগানিস্তান পুনর্গঠনের পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।”
কুদরুতুল্লাহ নামে কাবুলের এক বাসিন্দা বলেন, “৬ বিলিয়ন আফগানি মূল্যের এই প্রকল্পগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো পদক্ষেপ।”
“আমরা খুবই খুশি। আশা করি এমন প্রকল্প আরও বৃদ্ধি পাবে, যার মাধ্যমে আফগান যুবকরা চাকরি পাবে,” বলেন রুস্তম নামে কাবুলের আরেকজন বাসিন্দা।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রায় ৯০টি প্রকল্প শুরু করার কথা জানিয়েছে। সে প্রকল্পগুলোর আর্থিক মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন আফগানি। এগুলোর আওতাধীন রয়েছে রাস্তা, ব্রিজ ও মহাসড়ক নির্মাণ।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ হাকশেনাস বলেন, ঐ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ১৫ হাজারের অধিক লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চাকরি পাবে।
তিনি বলেন, “গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উন্নয়ন বাজেট থেকে ১.৮ বিলিয়ন আফগানি অর্থমূল্যের ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, বাকি ৩১৬ মিলিয়ন আফগানি মূল্যের আরও ২১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে ১৪০২ সৌরবর্ষের [আফগান ক্যালেন্ডার] সাধারণ বাজেট থেকে।”
ইমারতে ইসলামিয়ার এমন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন আফগানিস্তানের জনগণ। এর মাধ্যমে কাজের সুযোগ মিলবে এবং পরিবারের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তারা।
রফিউল্লাহ নামে এক বাসিন্দা নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন এভাবে, “আফগানিস্তানের জনগণের জন্য এটি খুশির খবর। আফগান যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এবং তাদেরকে বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হলে দেশেই কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত।”
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ১৪০১ সৌরবর্ষে [আফগান ক্যালেন্ডার] ৪২১ মিলিয়ন আফগানি মূল্যের ১২৫টি প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন তারা। এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর দেশজুড়ে স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহন এবং জ্বালানি খাতে ৩,৫০০ এরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলোতে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ নাজারি।
তিনি বলেন, “গত বছর স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবহন এবং জ্বালানি খাতে ১.৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩,৫৭৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এগুলো দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোর উজ্জ্বল ও আশাপ্রদ ভবিষ্যতের পথ দেখায়।”
আগের বছরের তুলনায় এ বছর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, “এই বছর আরও উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা আমাদের বিবেচনায় আছে। রাস্তা, বাঁধ এবং কৃষিসহ অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। গত বছরের তুলনায় আরও বেশি অর্থ ব্যয় করা হবে। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বচ্ছতা থাকবে।”
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমাদ ওয়ালি হাকমাল বলেন, “জাতির জন্য সর্বাধিক কল্যাণকর এবং ফল পাওয়া যাবে—এমন ক্ষেত্রেই উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই নীতির ভিত্তিতেই আমাদের প্রকল্প বাছাই করা হয়েছে এবং এগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
এভাবে আফগানিস্তানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে, তেমনি দীর্ঘমেয়াদে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের এমন কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করছেন দেশের জনগণ।
দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের পর আমেরিকা আফগান জনগণের রিজার্ভ আটকে রেখে, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটিকে আরও অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছে। কিন্তু ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সকল বাধা-বিপত্তি ও নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে আফগানিস্তানকে পুনর্গঠনে সাফল্য দেখিয়ে চলেছেন, স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন আফগানিস্তানকে।
বর্তমানে, আফগানিস্তানের মুদ্রা সবচেয়ে স্থিতিশীল মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছে তালিবান প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপগুলো। বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানও আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়ার এসব সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. 25 Projects Worth Around 6 Billion Afs Approved
– https://tinyurl.com/yjc2sew4
2. Ministry: Work on Nearly 90 Projects Begins
– https://tinyurl.com/kkv5su5p
3. Ministry of Economy: Over 3,500 Projects Implemented in Last Year
– https://tinyurl.com/yn9fprw3