যৌন হয়রানির শিকার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মকর্তা
গাজীপুরের বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য চাকরিতে যোগদান করা এক নারী কর্মকর্তাকে যৌন হয়রানি করেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী। একই সাথে ওই নারী কর্মকর্তা র্যাগিং এবং নিপীড়নেরও শিকার হয়েছেন।
যৌন হয়রানির এই ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম মো. মুজিবুল হক (৫৯)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নারী নির্যাতন সেলসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন ওই নারী কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার (২৫শে জানুয়ারি) এ অভিযোগপত্র দেওয়া পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ৪ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ওই নারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, সর্বশেষ গত রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় অফিসে আসি। তখন দেখি মুজিবুল স্যার ছাড়া অফিসে কেউ আসেনি। তখন আমি একটু ভয় পেয়ে যাই। তারপরও উনাকে সালাম দিয়ে সকালের নাস্তার কথা বলে নিচে ক্যান্টিনে চলে আসি। ভাবলাম, অফিসের অন্য নারী সহকর্মীরা আসলে রুমে যাবো। কিন্তু তিনি (মুজিবুল) আমাকে এসএমএস করতে শুরু করেন।
“পরবর্তীতে শাখার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বললে, তারা আমাকে এসএসসি প্রোগ্রামে (ভবনের দ্বিতীয় তলায়) শিফট করে দেন। যেটা আমি জানতাম না। ফলে আমি সনদ সেকশনে কাজে যাওয়ার সাথে সাথে তারা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় বকাঝকা শুরু করেন (ওইদিন লাঞ্চের পর ঘটনাটি)। এছাড়াও চট্টগ্রাম-কুমিল্লাতে বদলির হুমকি দেন। এসময় আমাকে দুই ঘণ্টা (দুপুর দেড়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা) র্যাগিং করে।”
তিনি আরও বলেন, “তারা কাজের সময়টাতে সকাল থেকে গান বাজাতেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা বলতেন। তাছাড়া সবাই সবার গায়ে হাতাহাতি করতেন ও মজা করতেন। যা আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগে। তাছাড়াও তারা আমাকে কোথাও একা যেতে ও খেতে দিতেন না।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কর্মজীবী নারীদের ওপর করা এক জরিপে বলা হয়েছে, ৬৫% নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। ঐ বছর কর্মক্ষেত্রে নারীর উপর সহিংসতা বিষয়ক এক সেমিনারে অ্যাকশন এইডের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, ৮০ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক কারখানাতে এবং ১০ শতাংশ নারী পুলিশ কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হন।
তথ্যসূত্র:
১. যোগ দিয়েই যৌন হয়রানির শিকার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মকর্তা – http://tinyurl.com/2j4tnapc
২. ‘১০ শতাংশ নারী পুলিশ কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার’ – http://tinyurl.com/4hbhadvn
৩. ৬৫ শতাংশ নারী কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার – http://tinyurl.com/4xjjauh8
গাজীপুরের বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য চাকরিতে যোগদান করা এক নারী কর্মকর্তাকে যৌন হয়রানি করেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী। একই সাথে ওই নারী কর্মকর্তা র্যাগিং এবং নিপীড়নেরও শিকার হয়েছেন।
যৌন হয়রানির এই ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম মো. মুজিবুল হক (৫৯)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নারী নির্যাতন সেলসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন ওই নারী কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার (২৫শে জানুয়ারি) এ অভিযোগপত্র দেওয়া পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী ৪ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ওই নারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, সর্বশেষ গত রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় অফিসে আসি। তখন দেখি মুজিবুল স্যার ছাড়া অফিসে কেউ আসেনি। তখন আমি একটু ভয় পেয়ে যাই। তারপরও উনাকে সালাম দিয়ে সকালের নাস্তার কথা বলে নিচে ক্যান্টিনে চলে আসি। ভাবলাম, অফিসের অন্য নারী সহকর্মীরা আসলে রুমে যাবো। কিন্তু তিনি (মুজিবুল) আমাকে এসএমএস করতে শুরু করেন।
“পরবর্তীতে শাখার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বললে, তারা আমাকে এসএসসি প্রোগ্রামে (ভবনের দ্বিতীয় তলায়) শিফট করে দেন। যেটা আমি জানতাম না। ফলে আমি সনদ সেকশনে কাজে যাওয়ার সাথে সাথে তারা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় বকাঝকা শুরু করেন (ওইদিন লাঞ্চের পর ঘটনাটি)। এছাড়াও চট্টগ্রাম-কুমিল্লাতে বদলির হুমকি দেন। এসময় আমাকে দুই ঘণ্টা (দুপুর দেড়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা) র্যাগিং করে।”
তিনি আরও বলেন, “তারা কাজের সময়টাতে সকাল থেকে গান বাজাতেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা বলতেন। তাছাড়া সবাই সবার গায়ে হাতাহাতি করতেন ও মজা করতেন। যা আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগে। তাছাড়াও তারা আমাকে কোথাও একা যেতে ও খেতে দিতেন না।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কর্মজীবী নারীদের ওপর করা এক জরিপে বলা হয়েছে, ৬৫% নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। ঐ বছর কর্মক্ষেত্রে নারীর উপর সহিংসতা বিষয়ক এক সেমিনারে অ্যাকশন এইডের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, ৮০ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক কারখানাতে এবং ১০ শতাংশ নারী পুলিশ কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হন।
তথ্যসূত্র:
১. যোগ দিয়েই যৌন হয়রানির শিকার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মকর্তা – http://tinyurl.com/2j4tnapc
২. ‘১০ শতাংশ নারী পুলিশ কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার’ – http://tinyurl.com/4hbhadvn
৩. ৬৫ শতাংশ নারী কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার – http://tinyurl.com/4xjjauh8