পাক-তালিবানের দুর্দান্ত সব হামলায় গাদ্দার সেনা-প্রশাসনের ১১৩ সদস্য হতাহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান ও ইসলামাবাদ সরকারের গাদ্দার বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। যার ফলে উপজাতীয় এলাকায় গত এক মাসে টিটিপি’র হামলায় ১১৩ এরও বেশি গাদ্দার সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
পাকিস্তানি তালিবান (টিটিপি) এবং গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর, এই অঞ্চলে পারস্পরিক আক্রমণে গতি এসেছে। কেননা দলগুলি একে অপরকে ডি-এস্কেলেশন প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে। যার ফলে টিটিপি প্রতিশোধ বা আত্মরক্ষা মূলক অভিযান শুরুর ঘোষণা করে।
টিটিপি কর্তৃক এই ঘোষণাটি এমন সময় আসে, যখন গাদ্দার পাকি-সেনারা প্রতারণা ও ভুয়া অ্যানকাউন্টারের মাধ্যমে টিটিপি সদস্য ও দায়িত্বশীলদের টার্গেট করটে থাকে। ফলে টিটিপি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঠিক রেখে আত্মরক্ষামূলক অভিযানের ঘোষণা করে। এরপর থেকে গাদ্দার পাকি-সামরিক ইউনিটগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাতে শুরু করে টিটিপি ৷
এর ধারাবাহিকতায় গত অক্টোবর মাসে টিটিপির বীর যোদ্ধারা পাকিস্তান জুড়ে কয়েক ডজন প্রতিরক্ষা মূলক অপারেশন চালান। সম্প্রতি টিটিপি এক প্রতিবেদনে অক্টোবর মাসে তাদের পরিচালিত এসব হামলার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, অক্টোবর মাসে টিটিপির মুজাহিদিরা পাকিস্তানের ১৮টি জেলা জুড়ে ৪৩টি হামলায় অংশ নিয়েছেন। প্রদেশ হিসাবে এসব হামলার ১৪টি পেশোয়ারে, ১৩টো বান্নুতে, ৭টি ডিআই খানে, ৩টি মালাকান্দ প্রদেশে এবং কোহাত ও মারদান প্রদেশে একটি করে আক্রমণ চালানো হয়েছে।
টিটিপি জানিয়েছে যে, মুজাহিদদের এসব হামলায় ৬০ সেনা সদস্য, ৩০ পুলিশ সদস্য, ১৯ সীমান্তরক্ষী এবং ৪ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সহ মোট ১১৩ গাদ্দার নিহত ও আহত হয়েছে। এর মধ্যে নিহত সেনা সংখ্যা ৭০ জন। তবে অভিযানের অনেকগুলোতে হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না যাওয়ায় তা এই প্রতিবেদনে আনা হয় নি।
যাইহোক, টিটিপি তাদের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছে যে, মুজাহিদগণ তাদের এসব বীরত্বপূর্ণ অপারেশনের মাধ্যমে গাদ্দার বাহিনীর ৫টি সামরিক যান এবং ৩টি ভবন ধ্বংস করেছেন। সেই সাথে অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্।
প্রতিবেদনের শেষে এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসব অভিযানের সময় ১০ জন মুজাহিদ সাথীও পাকিস্তানি গাদ্দার বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে অধিক সংখ্যক হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। প্রতিরোধ বাহিনীটি সেপ্টেম্বর মাসে দেশের ১৪টি জেলায় মোট ৩৯টি হামলা চালিয়েছিল। আর তাতে হতাহত হয়েছিল ৮২ গাদ্দার।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান ও ইসলামাবাদ সরকারের গাদ্দার বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। যার ফলে উপজাতীয় এলাকায় গত এক মাসে টিটিপি’র হামলায় ১১৩ এরও বেশি গাদ্দার সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
পাকিস্তানি তালিবান (টিটিপি) এবং গাদ্দার ইসলামাবাদ প্রশাসনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর, এই অঞ্চলে পারস্পরিক আক্রমণে গতি এসেছে। কেননা দলগুলি একে অপরকে ডি-এস্কেলেশন প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে। যার ফলে টিটিপি প্রতিশোধ বা আত্মরক্ষা মূলক অভিযান শুরুর ঘোষণা করে।
টিটিপি কর্তৃক এই ঘোষণাটি এমন সময় আসে, যখন গাদ্দার পাকি-সেনারা প্রতারণা ও ভুয়া অ্যানকাউন্টারের মাধ্যমে টিটিপি সদস্য ও দায়িত্বশীলদের টার্গেট করটে থাকে। ফলে টিটিপি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঠিক রেখে আত্মরক্ষামূলক অভিযানের ঘোষণা করে। এরপর থেকে গাদ্দার পাকি-সামরিক ইউনিটগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাতে শুরু করে টিটিপি ৷
এর ধারাবাহিকতায় গত অক্টোবর মাসে টিটিপির বীর যোদ্ধারা পাকিস্তান জুড়ে কয়েক ডজন প্রতিরক্ষা মূলক অপারেশন চালান। সম্প্রতি টিটিপি এক প্রতিবেদনে অক্টোবর মাসে তাদের পরিচালিত এসব হামলার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, অক্টোবর মাসে টিটিপির মুজাহিদিরা পাকিস্তানের ১৮টি জেলা জুড়ে ৪৩টি হামলায় অংশ নিয়েছেন। প্রদেশ হিসাবে এসব হামলার ১৪টি পেশোয়ারে, ১৩টো বান্নুতে, ৭টি ডিআই খানে, ৩টি মালাকান্দ প্রদেশে এবং কোহাত ও মারদান প্রদেশে একটি করে আক্রমণ চালানো হয়েছে।
টিটিপি জানিয়েছে যে, মুজাহিদদের এসব হামলায় ৬০ সেনা সদস্য, ৩০ পুলিশ সদস্য, ১৯ সীমান্তরক্ষী এবং ৪ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সহ মোট ১১৩ গাদ্দার নিহত ও আহত হয়েছে। এর মধ্যে নিহত সেনা সংখ্যা ৭০ জন। তবে অভিযানের অনেকগুলোতে হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না যাওয়ায় তা এই প্রতিবেদনে আনা হয় নি।
যাইহোক, টিটিপি তাদের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেছে যে, মুজাহিদগণ তাদের এসব বীরত্বপূর্ণ অপারেশনের মাধ্যমে গাদ্দার বাহিনীর ৫টি সামরিক যান এবং ৩টি ভবন ধ্বংস করেছেন। সেই সাথে অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্।
প্রতিবেদনের শেষে এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসব অভিযানের সময় ১০ জন মুজাহিদ সাথীও পাকিস্তানি গাদ্দার বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে অধিক সংখ্যক হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। প্রতিরোধ বাহিনীটি সেপ্টেম্বর মাসে দেশের ১৪টি জেলায় মোট ৩৯টি হামলা চালিয়েছিল। আর তাতে হতাহত হয়েছিল ৮২ গাদ্দার।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান