ইনফোগ্রাফি: নভেম্বরে ২৩ জেলায় ২০৭ অভিযান টিটিপির
পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদিনরা, গত নভেম্বর মাসে দেশটির ২৩টি জেলা জুড়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০৭টি অভিযান পরিচালনা করছেন।
সম্প্রতি টিটিপির অফিসিয়াল উমর মিডিয়া ২০২৪-এর নভেম্বরে পাকিস্তান জুড়ে দলটির মুজাহিদদের পরিচালিত অপারেশনের একটি ইনফোগ্রাফি রিপোর্টে প্রকাশ করেছে। এতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, মুজাহিদিনরা পাকিস্তানের ১০ প্রদেশের ২৩টি জেলায় পশ্চিমা সমর্থিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০৭টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের ১৭টি জেলাতেই মুজাহিদিনরা ১৯৮টি অভিযান পরিচালনা করেছেন। ফলে মুজাহিদিনরা তাদের সর্বমোট অভিযানের দুই-তৃতীয়াংশই পরিচালনা করছেন দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, উত্তর ওয়াজিরিস্তান এবং খাইবারে।
ইনফোগ্রাফি তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদদের এসকল অভিযানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত আড়াই শতাধিক সদস্য হতাহত হয়েছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ১৩৪ জন এবং আহত হয়েছে ১১২ জন। এছাড়াও মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়েছে সামরিক বাহিনীর আরও ৬ সদস্য। আর মুজাহিদদের হামলায় সামরিক বাহিনীতে হতাহত এই সদস্যদের মধ্যে সেনা সদস্য রয়েছে ৯৩ জন, পুলিশ ও সিটিডি সদস্য রয়েছে ৮১ জন, এফসি সদস্য রয়েছে ৬৯ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থা সদস্য রয়েছে ৭ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, টিটিপি কর্তৃক নভেম্বরে পাকিস্তান জুড়ে সবচাইতে বেশি হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ডিআই-খান প্রদেশে, অঞ্চলটিতে মুজাহিদিনরা সর্বোচ্চ ৯৫টি হামলা চালিয়েছেন। এক্ষেত্রে ৪৬টি হামলার মাধ্যমে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বান্নু প্রদেশ আর ৩৪ হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পেশোয়ার প্রদেশ।
সূত্র অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা ৮৮টি স্থানে তাদের এই অপারেশনগুলোতে সর্বাধিক ব্যবহার করেছেন স্নাইপার ও লেজারগান অস্ত্র। মুজাহিদদের হামলার ধরনের মধ্যে আরও রয়েছে ৪১টি গেরিলা আক্রমণ, ৩১টি অতর্কিত আক্রমণ, ১৮টি গ্রেনেড ও বোমা বিস্ফোরণ, ১৫টি পাল্টা আক্রমণ, ১০টি প্রতিরক্ষামূলক অভিযান এবং ৪টি টার্গেট কিলিং অপারেশন।
মুজাহিদিনরা এসকল অভিযান শেষে শত্রু বাহিনী থেকে গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন ৫টি পিস্তল, ৬টি ক্লাশিনকোভ, ১৫টি রকেট, ১টি রকেট লঞ্চার এবং ১টি স্নাইপার অস্ত্র। এছাড়াও মুজাহিদিনরা ধ্বংস করেছেন শত্রু বাহিনীর ২টি ট্যাংক, ৩০টি সামরিক গাড়ি, ৪৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ৪টি সামরিক পোস্ট এবং ৬টি নজরদারি ড্রোন।