Announcement

Collapse
No announcement yet.

বর্তমানে আমাদের যা করণীয়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বর্তমানে আমাদের যা করণীয়

    বিসমিহি তাআলা

    বর্তমানে আমাদের যা করণীয়

    বর্তমানের অবস্থা ও বিগত দিনের হাল এবং আগামি দিনের টার্গেটই অনাগত দিনের অবস্থা বর্ননা করছে।বিশেষত হিন্দুস্তানের(বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমা র) রাস্তার চলমান শিশুকেও আপনি জিজ্ঞাসা করুন;হিন্দুস্তানে কী হচ্ছে বা হবে?মুসলমানদের উপর কিরুপ নির্যাতন চালানো হচ্ছে?তাহলেও সেও আপনাকে বলে দিবে সেখানে যে কি হচ্ছে।
    যেমনঃ এক কবি তার নিজ কাব্যে বলে গেছে।
    (( ফুলই কেবল জানেনা ,বাগান তো সবই জানে । ))
    যদি আপনি আপনার ইজ্জত-দৌলত,ঘর-বাড়ী,স্ত্রী-সন্তান,দেশ এবং সবচেয়ে বড় আপনার দীন কে বাঁচাতে চান,তাহলে আক্রমন কারী দোশমনের মোকাবেলায় নিজেদের কে প্রস্তুত করুন।আর যদি আপনি আপনার ফুলসজ্জার মহলকে ফালুজা,তালাফার,বাগদাদ এবং রামাদীর পরিনতি বরন করতে দেখতে না চান,তাহলে এখনই হুঁশিয়ার হয়ে যান।অন্যথায় স্মরন রাখবেন,লেখকের কলম সেসব দৃশ্য লেখতে অপারগ হয়ে যাবে।হিন্দুস্তানী মুসলমানদের বিরুদ্বে কাফেরদের ঘৃনা ইরাকী মুসলমানদের চেয়েও বেশী। হ্যাঁ! বসনিয়াবাসী থেকেও বেশী।
    তবে কথা তো অনেক আছে , কিন্তু এখন কাজের সময়।যদি আপনার দেশের প্রতি আপনার ভালবাসা থাকে,আপনার দীনের প্রতি আপনার মহাব্বত থাকে,আপনার ব্যবসা(যা আপনি দিন-রাত মেহনত করে দাঁড় করিয়েছেন)আপনার স্ত্রী-সন্তান(যারা আপনার গোটা যিন্দেগীর মুলধন)তাদের যদি বাঁচাতে চান, তাহলে তাদের হেফাজতের জন্য আপনাকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।
    নিচে কিছু টিপস উল্লেখ করা হয়েছে; এগুলো তাদের জন্য, যারা বাঁচতে চায়।
    আর যারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন,তাদের ব্যাপারে কী আর বলবো? আপনার প্রস্তুতির কারনে আল্লাহ তাআলা ইসলামের দুশমনদের উপর প্রভাব বিস্তার করবেন এবং আপনার সহযোগিতাও করবেন । যদি আপনি প্রস্তুতি না নেন এবং চুপ করে ঘরে স্থীর হয়ে বসে থাকেন,তাহলে আগত অবস্থা চলে যাবেনা ।
    ১/সর্বপ্রথম ঘরের সকল পুরুষ জিহাদী ট্রেনিং আর্জন করুন।সে সময় বেশি দূরে নয় যখন মানুষ এই আশা করবে, হা…য়!!!যদি ঘরে কোনো ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুজাহিদ থাকত।
    ২/যে ধরনের অস্ত্র সম্ভব জমা করুন।ঘরের সকলে এমনকি নারীসহ সেগুলো চালানো এবং খোলা ও লাগানো শিখে রাখুন।
    ৩/গলি মহল্লার ছাদের উপর মানুষ কে তৈরী করুন। যে কোনো হামলা অবস্থায় ঐক্যবদ্ধ কর্মপদ্ধতি তৈরী করুন।প্রথমে কষ্ট হবে,কিন্তু মেহনত ও মনোযোগ সব মুশকিল কে আসান করে দেয়।কঠিন অবস্থায় হা-হুতাশ না করে ধৈর্য ও ধীরতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিন।
    ৪/ঘরের সকল সদস্যকে ক্ষুধা ও পিপাসায় অভ্যস্ত রাখুন।
    ৫/এমন এলাকায় অবস্থান করবেন না, যেখানে দীনের দুশমন থাকে ,তা ছাড়া এমন এলাকায় থাকবেন না ,যেখানে দীনের দুশমনেরা আপনার ব্যপারে জানে।
    ৬/ঘরের খরচ কম করুন ।পয়সা জমিয়ে অস্ত্র ক্রয় করুন।
    ৭/আপনার উপর যে কোনো হামলার সময় ভীরের মধ্যে মিশে যান।এতে আল্লাহ তাআলা আপনার দুশমনদের মধ্যে প্রভাব সৃষ্টি করবেন এবং আপনার বের হওয়ার রাস্তা আসান করে দিবেন।
    ৮/ঘরে আসবাবপত্র কম রাখুন ।এসব যতই কম হবে স্থানান্তর ও নড়াচড়া সহজ হবে । অস্ত্র অবশ্যই নিজের সাথে রাখুন। ভয়ের সময় বাসস্থান পরিবর্তন করে দিন।
    ৯/ঘরে খাদ্য-দ্রব্য বেশি বেশি জমা করে রাখুন।বিশেষ করে ভুনা করা ছোলা,খেজুর,ছাতু,শুকনো রুটি ইত্যাদি।
    ১০/পৃথিবীর কোনো জিনিষকেই নিজের জন্য আবশ্যকীয় বানাবেন না।যেমনঃসুস্বাদু খাবার,এয়ারকন্ডিশন,আরামপ্রীয়তা ইত্যাদি।কেবল নিজের দীন বাঁচানোর ফিকির করুন। আল্লাহ তাআলার সাথে নিজের দিল কে বেঁধে নিন।তারই নিকট কেঁদে কেঁদে নিরাপত্তা এবং দৃঢ়তা চাইতে থাকুন।।
    হে আমার বিলাসত্যাগী দ্বীন প্রিয় মাহবুব ভাই ও বন্ধুগন!
    নিজেকে আগামীর জন্য প্রস্তুত করুন।
    গাফেলতি করবেন না।
    ভোগ-বিলাসে মত্ত হবেন না।
    মুসলমানের মুসলমানিত্ব , খালিদ উমর আবু বকরের ন্যায় হুংকার দিয়ে সকল অলসতা ঝেড়ে ফেলে জেগে উঠুন।
    নির্যাতিত মুসলিমগন দু-হাত বাড়িয়ে ডাকছে তোমায়।
    বীরের ন্যায় সকল বাধা ও বাঁধা পেড়িয়ে এগিয়ে চলুন...
    আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল কে যেন কবুল করে সেই প্রত্যাশা নিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।।
    সকলের নেক দোয়ায় আমাদের স্মরন করবেন ।
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ……

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই
    আল্লহা আপনাকে কবুল করুক সাথে আমাদেরকেও ।এমন একটা যোগোপযোগি পোস্ট করার জন্য।
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার তৌফিক দান করুক।

    Comment


    • #3
      আখি, আপনি খুবি গুরুত্বপূর্ন বিষয় সামনে এনেছেন, যা ভুলে গিয়ে ছিলাম। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন যাতে আমরা শুত্রুর বিরোদ্ধে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে পারি,আমিন। মুমিনের জন্য বিলাসিতা ই হলো বড় ধোকার বস্তু। যেখানে মুসলিমরা না খেয়ে না পড়ে মরছে, আর আমি বিলাসিতাই লিপ্ত। ইসলাম পরিষ্কারের কথা বলেছে বিলাসিতার কথা বলেনি, তাহলে আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করি আমার কয়টা জামা আছে??? আমার জামার কাপড়ের প্রতি গজের মূল্য কত? তাহলে সহজেই ধরা খেয়ে যাবো। এমন কোনো ঈদ আছে যেই ঈদে আমার নতুন জামা নেই। অথচ ভাইয়েরা টাকা অভাবে অস্ত্র নিতে পারছে না। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন,আমিন। আল্লাহ আমাদের হিদায়তের উপর অটল রাখুন,আমিন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment

      Working...
      X