Announcement

Collapse
No announcement yet.

গাযওয়াতুল হিন্দ!কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে!!তৃতীয় কিস্তি।(১-১৫)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গাযওয়াতুল হিন্দ!কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে!!তৃতীয় কিস্তি।(১-১৫)

    ২. গাযওয়ায়ে মাওঈদাহ বা ভবিষ্যদ্বাণীকৃত গাযওয়াহসমূহঃ

    প্রথম উদাহরণঃ

    عن أبو هريرة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقوم الساعة حتى تقاتلوا الترك صغار الأعين حمر الوجوه ذلف الأنوف كأن وجوههم المجان المطرقة ولا تقوم الساعة حتى تقاتلوا قوما نعالهم الشعر
    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, আল্লাহ্*র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ততদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন তোমরা এমন তুর্ক জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে, যাদের চোখ ছোট, চেহারা লাল, নাক চেপ্*টা এবং মুখমণ্ডল পেটানো চামড়ার ঢালের মত। আর ততদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন না তোমরা এমন এক জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করবে, যাদের জুতা হবে পশমের।

    দ্বিতীয় উদাহরণঃ

    গাযওয়ায়ে মাওইদাহ্ এর আরেকটি উদাহরণ যা কুস্ন্তুন্তুনিয়াহ্ বিজয়ের ভবিষ্যতবাণী বহন করে।
    عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لا تقوم الساعة حتى ينزل الروم بالأعماق أو بدابق فيخرج إليهم جيش من المدينة من خيار أهل الأرض يومئذ فإذا تصافوا قالت الروم خلوا بيننا وبين الذين سبوا منا نقاتلهم ‏.‏ فيقول المسلمون لا والله لا نخلي بينكم وبين إخواننا ‏.‏ فيقاتلونهم فينهزم ثلث لا يتوب الله عليهم أبدا ويقتل ثلثهم أفضل الشهداء عند الله ويفتتح الثلث لا يفتنون أبدا فيفتتحون قسطنطينية فبينما هم يقتسمون الغنائم قد علقوا سيوفهم بالزيتون إذ صاح فيهم الشيطان إن المسيح قد خلفكم في أهليكم ‏.‏ فيخرجون وذلك باطل فإذا جاءوا الشأم خرج فبينما هم يعدون للقتال يسوون الصفوف إذ أقيمت الصلاة فينزل عيسى ابن مريم فأمهم فإذا رآه عدو الله ذاب كما يذوب الملح في الماء فلو تركه لانذاب حتى يهلك ولكن يقتله الله بيده فيريهم دمه في حربته ‏"‏ ‏.‏

    আবূ হুরাইরাহ্* (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ
    রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না রোমীয় (সিরিয়ার অন্তর্গত) সেনাবাহিনী আ‘মাক অথবা দাবিক নহরের কাছে অবতীর্ণ হবে। তখন তাদের মুকাবিলায় মাদীনাহ্* হতে এ দুনিয়ার সর্বোত্তম মানুষেরর এক দল সৈন্য বের হবে। তারপর উভয় দল সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হবার পর রোমীয়গণ বলবে, তোমরা ঐ সমস্ত লোকেদের থেকে পৃথক হয়ে যাও, যারা আমাদের লোকেদেরকে বন্দী করেছে। আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করব। তখন মুসলিমগণ বলবে, আল্লাহর শপথ! আমরা আমাদের ভাইদের থেকে কক্ষনো সম্পর্কচ্ছেদ করব না। পরিশেষে তাদের পরস্পর যুদ্ধ হবে। এ যুদ্ধে মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশ সৈন্য পলায়নপর হবে। আল্লাহ তা‘আলা কক্ষনো তাদের তাওবাহ্* গ্রহণ করবেন না। সৈন্যদের এক তৃতীয়াংশ নিহত হবে এবং তারা হবে আল্লাহর কাছে শহীদানের মাঝে সর্বোত্তম শাহীদ। আর সৈন্যদের অপর তৃতীয়াংশ বিজয়ী হবে। জীবনে আর কক্ষনো তারা ফিত্*নায় আক্রান্ত হবে না। তারাই কুস্তুনতিনিয়া বিজয় করবে। তারা নিজেদের তালোয়ার যাইতুন বৃক্ষে লটকিয়ে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ ভাগ করতে থাকবে। এমতাবস্থায় তদের মধ্যে শাইতান উচ্চৈঃস্বরে বলতে থাকবে, দাজ্জাল তোমাদের পেছনে তোমাদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে চলে এসেছে। এ কথা শুনে মুসলিমরা সেখান থেকে বের হবে। অথচ এ ছিল মিথ্যা সংবাদ। তারা যখন সিরিয়া পৌঁছবে তখন দাজ্জালের আগমন ঘটবে। যখন মুসলিম বাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে এবং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান হতে শুরু করা মাত্র সলাতের সময় হবে। অতঃপর ‘ঈসা (‘আঃ) অবতরণ করবেন এবং সলাতে তাদের ইমামাত করবেন। আল্লাহর শত্রু তাকে দেখামাত্রই বিচলিত হয়ে যাবে যেমন লবণ পাণিতে মিশে যায়। যদি ‘ঈসা (‘আঃ) তাকে এমনিই ছেড়ে দেন তবে সেও নিজে নিজেই বিগলিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। অবশ্য আল্লাহ তা‘আলা ‘ঈসা (‘আঃ)-এর হাতে তাকে হত্যা করবেন এবং তার রক্ত ‘ঈসা (‘আঃ)-এর বর্শাতে তিনি তাদেরকে দেখিয়ে দিবেন।

    সারকারে দো আলাম, সাইইদুল মুরলালিন মুহাম্মাদ সা. এর আদেশ ও নেতৃত্ব কাফেরদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সকল গাযওয়াহ্ সমূহে অংশগ্রহন করার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরামের প্রবল ইচ্ছা এবং জজ্জবা আগ্রহ রাখতেন। এমন শখ আর দৃঢ়চিত্তে প্রবল ইচ্ছা ইমান এরই তাকাযা ও দাবি। এবং প্রকৃত ও বাস্তব হুব্বে নববি-নবি প্রেমের আলামত। কিন্তু নবি সা. এর সন্নিদ্ধে মুবারকময় জামানার শেষ হয়ে যাবার পর যখন রাসুল সা. এর আদেশ ও নেত্রিত্বে জিহাদে অংশ গ্রহন করার মাধ্যমে সৌভাগ্য অর্জন করার কোন সুযোগ বিদ্যমান নেই তখন অনেক সাহাবি ও সালফে সালেহিন এমন জিহাদের খোঁজে থাকতেন যে ব্যাপারে রাসুল সা. এর ভবিষ্যতবাণী রয়েছে। তাঁরা খুজে খুজে সে সকল মা‘রেকা-জিহাদে অংশ গ্রহন করেছেন।
    ইনশঅআল্লাহ আমরা কিছু পরেই এমন কিছু সাহাবি এবং এবং তাবেয়ীগণের নাম উল্লেখ করব যাঁরা এই মোবারকময় গাযওয়ায়ে হিন্দের কাফেলায় শরিক হয়েছেন।
    এ প্রসংগে একটি চমৎকার দিলকাস ঘটনা উল্লেখ কারা যায়। উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ. এর চাচা, সুপ্রসিদ্ধ তাবেয়ি কমান্ডার হজরত মাসলামাহ্ বিন আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান রাহ. এর ব্যাপারে কতক হাদিসের কিতাবে এবং ইতিহাসের কিতাব সমূহে বর্ণিত হয়েছে,
    حدثني عبد الله بن بشر الخشعمي عن ابيه انه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول: «لتفتحن القسطنطينية فلنعم الأمير أميرها ولنعم الجيش ذلك الجيش قال فدعاني مسلمة بن عبد المالك فسالني فحدثته فغزي فلسطين » (روه الإمام أحمد في مسنده).

    “হযরত আব্দুল্লাহ বিন বিসির রহ. নিজের পিতা বিসির রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসুল সা. কে বলতে শুনেছেন তোমরা অবশ্যই কুস্তন্তুনিয়া বিজয় লাভ করবে। সেই মহা বিজয়ের আমির কতই না উত্তম আমির হবে। আর কতইনা উত্তম হবে তার মুজাহিদ বাহিনি।”
    এই হাদিস যখন হযরত মাসলামা বিন আব্দুল মালেক রহ. শুনলেন তখন তিনি রারী আব্দুল্লাহ বিন বিসির কে পুনরায় জিজ্ঞাস করলো। হযরত আবব্দুল্লাহ রহ. বললেন, তার সাথে দেখা করলে, তিনি যখন আমার থেকে হাদিসটি শুনলেন তখনই তিনি কুস্তন্তুনিয়া আক্রমন করার ফায়সালা করলেন।
    গাযওয়াতুল হিন্দএর হাদিস সমূহে ইমাম বাইহাকি আবু হুরাইরা থেকে যে বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন তাতে হযরত ইমাম আবু ইসহাক ফাযারি রহ. এক উক্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যখন তারা এই হাদিস শুনলেন তখন ইবনে দাউদ রাহ. এর কাছে নিজের এই তামান্না প্রকাশ করে বললেন,

    وددت أني شهدت ماربد بكل غزوة غزوتها في بلاد الروم

    হায় ! রোমানদের সাথে জিহাদে অতিবাহিত পুরা জিন্দেগীর বদলায় যদি আমি হিন্দুস্তানে নবীর ভবিষ্যতবাণীকৃত জিহাদে শামিল হতে পারতাম!

    ইমাম আবু ইসহাক ফাযারি রহ. এর এই অশেষ তামান্নার উপর লক্ষ করলে এই যুদ্ধের মহত্ব বুঝে আসে। তাঁর জিবনি বর্ণনায় হযরত ফুযায়ল বিন ইয়ায রহ. এর ঐ স্বপ্নই লেখা যায় যা ইমাম যাহাবি রহ. সিয়ারুল আলামিন নুবালা গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন,তিনি স্বপ্নে দেখলেন,
    “নবি সা এর একটি মাজলিস হচ্ছে। তাঁর সা. এর পাশে একটি বসার স্থান খালি আছে তো আমি ঐ স্থানকে গনিমত করে বসতে চাইলাম। তখন নবি সা. আমাকে এ বলে মানা করলেন যে, এই বসার স্থান খালি নয় বরং তা আবু ইসহাক ফাযারি এর জন্য নির্ধারিত।”

  • #2
    আল্লাহু আকবার, আল্লাহ আমাদেরকে এই য়ুদ্ধে শরিক হওয়ার তাওফিক দান করুন ৷
    মৃত্যু ও বন্দিত্বের ভয় ঝেড়ে ফেলে চলুন ঝাঁপিয়ে পড়ি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে।

    Comment

    Working...
    X