Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২রা জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২রা জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ফটো রিপোর্ট || বাস্তুচ্যুত মজলুম সিরিয়ান শিশুদের শীতের দিনগুলো!


    বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার সিরিয়ার ছোট ছোট বাচ্চারা ইদলিব থেকে পল্লি এলাকাগুলোতে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে নিজেদের মত করে তৈরি করে নেওয়া অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলিতে।

    যেখানে প্রচন্ড শীতের সাথে তাদেরকে লড়াই করে বাচতে হচ্ছে প্রতিটি মহুর্ত। আর এই কনকনে প্রচন্ড শীতকে কিছুটা লাগব করতে আগুন ঝালিয়ে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন তারা।
    এই শিবরগুলোতে বর্তমানে কয়েক লক্ষ মজলুম সিরিয়ান তাদের শীতের দিনগুলো কাটাচ্ছেন। যারা সন্ত্রাসী রাশিয়া ও আসাদের মুরতাদ বাহিনীর হিংস্র বোমা হামলার সাক্ষী হয়ে রয়েছেন।








    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30551/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সিএএ: আসামে বিজেপি মন্ত্রী সন্ত্রাসী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে বিমানবন্দরেই ঘেরাও


    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় একাধিক সংগঠনের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাকে তেজপুর বিমানবন্দরেই ঘেরাও করা হয়েছে।

    আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অসম তথা উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম বিজেপি নেতা৷ তাঁর রাজনৈতিক কুবুদ্ধি কাজে লাগিয়েই একের পর এক রাজ্য দখল করেছে সন্ত্রাসী দল বিজেপি৷ উত্তর পূর্বের সবকটি রাজ্যে দলীয় অবস্থান ধরে রাখতে বিজেপি তৈরি করেছে নেডা (নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)৷ এনডিএ ধাঁচে তৈরি নেডার সর্বভারতীয় আহ্বায়ক হল হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷

    নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রয়োগ রুখতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল যত না সমালোচিত হচ্ছে, ততোধিক জনতার রোষ গিয়ে পড়ছে নেডা আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মার উপরে৷ ফলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পড়ুয়ারা তাঁর ছবিতেই জুতোর মালা পরিয়ে দিলেন৷

    জানা গেছে, তেজপুরের পরিস্থিতি প্রবল উত্তপ্ত। সেখানে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন নতুন করে মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা শুরু করেছে।

    এর মাঝে গুয়াহাটিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে তীব্র বক্তব্য রেখে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তেজপুর যায়। বিমান বন্দরের সামনেই চলছিল প্রতিবাদ সমাবেশ। বিক্ষোভের রোষ গিয়ে পড়ে মন্ত্রীর উপর। তাকে বিমান বন্দরের মধ্যেই আটকে রাখা হয়।

    সিএএ নিয়ে আসামসহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে লাগাতার বিক্ষোভ চলছেই। প্রবল বিক্ষোভে রক্তাক্ত হয়েছে অনেকেই।

    সূত্র: Kolkata 24×7


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30509/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের ধোঁকা দিতে সন্ত্রাসী দল বিজেপির নতুন চক্রান্ত: ‘সম্পর্ক অভিযান’


      নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি ইস্যুতে জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে বিজেপি। কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিজেপিবিরোধী একাধিক দল প্রতিবাদে সরব।

      এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব দেশের মুসলিম সমাজ। এবার তাই এই দুই আইন নিয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলার ভাবনা বিজেপি নেতৃত্বের। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে।

      জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই জাতীয়স্তরে একটি সেমিনার করার ভাবনা বিজেপি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের। তাঁদের এনে একথা বলানো হবে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের জেরে কোনওভাবে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই এদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের, সেমিনারে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের এমনই বার্তা দিতে চায় বিজেপি।

      অথচ, সকলেই জানে এ আইন মুসলিমদের জন্য চরম ক্ষতিকর।

      আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘সম্পর্ক অভিযান’ করার ভাবনা বিজেপির। মুসলিম মন পেতে(বোকা বানাতে) নতুন করে তৎপরতা বিজেপি শিবিরে। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের উপর্যুপরি প্রচারে দেশের মুসলিম সমাজে বিজেপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ। মুখে সরাসরি না বললেও ‘সম্পর্ক অভিযান’ করার ভাবনায় বিজেপির সেই মনোভাবই স্পষ্ট হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করছে বিরোধী সচেতন মহল।

      একইসঙ্গে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে একাধিক মুসলিম সংগঠন। এরই পাশাপাশি কেন্দ্র-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একই ইস্যুতে চলা আন্দোলনে মুসলিম সমাজের আন্দোলনও অন্য মাত্রা পেয়েছে। বিজেপির আশঙ্কা আসন্ন নির্বাচনগুলিতে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রভাব ফেলতে পারে। এবার তাই মুসলিম সমাজকে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের সংশয়ে রেখে ফায়দা হাসিলের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি। রীতিমতো সেমিনার করে কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে পাঠ দেওয়ার ভাবনা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের। কেন্দ্রের এই দুই আইন প্রয়োগে এদেশের কারও স্বার্থে যে আঘাত লাগবে না, সেকথাই তাঁদের বোঝাতে মরিয়া বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30510/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সন্ত্রাসী মোদির গুজরাটে পঙ্গপালের গযব, সহস্রাধিক হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস


        ভারতের হিন্দুত্ববাদি সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাটে পঙ্গপালের হানায় সহস্রাধিক হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে।

        বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ উপদ্রব। কীটনাশক দিয়েও ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের এই উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফসলনাশক এই পতঙ্গ তাড়িয়ে দিতে ঢাক ব্যবহার করছে কৃষকরা।

        উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে পঙ্গপালের হানায় অর্ধডজনের বেশি জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা পুনামচান্দ পারমার এমন দাবি করেছে। সে বলেছে, একটি জেলায়ই বারো হাজার একরের ফসলে বিপর্যয় ঘটেছে।

        গুজরাটের আনন্দ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গতত্ত্ব বিভাগের প্রধান পি. কে. বোরাদ বলেন, গত দুই দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ পঙ্গপাল আক্রমণ। এর আগে ১৯৯৪ এমন ব্যাপক বিধ্বংসী দৃশ্য দেখা গিয়েছিল।

        তবে ইসলামিক চিন্তাবিদগণ মনে করছেন, ভারতে মুসলমানদের উপর মালাউন হিন্দু সন্ত্রাসীদের অব্যাহত জুলুমের কারণেই আল্লাহ তায়ালা হয়তো গযব স্বরুপ পঙ্গপাল পাঠিয়েছেন।

        যেমনিভাবে, ফেরাউন সম্প্রদায়ের ওপর গজব হিসেবে পঙ্গপালের আক্রমণ হয়েছিল।

        আল্লাহ বলেন, فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الطُّوْفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُّفَصَّلاَتٍ –(الأعراف ১৩৩)-‘অতঃপর আমরা তাদের উপরে পাঠিয়ে দিলাম তূফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত প্রভৃতি বহুবিধ নিদর্শন একের পরে এক। তারপরেও তারা অহংকার করতে থাকল। বস্ত্ততঃ তারা ছিল পাপী সম্প্রদায়’ (আ‘রাফ ৭/১৩৩)

        আল্লাহ আরো বলেন, أَخَذْنَا آلَ فِرْعَوْنَ بِالسِّنِيْنَ وَنَقْصٍ مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُوْنَ-(أعراف ১৩০)‘তারপর আমরা পাকড়াও করলাম ফেরাঊনের অনুসারীদেরকে দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে এবং ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে, যাতে তারা উপদেশ হাছিল করে’ (আ‘রাফ ৭/১৩০)

        হযরত মূসা আ: এর অনুসারীদের উপর ফেরাঊনী যুলুম প্রতিরোধে এটা ছিল মযলুমদের সমর্থনে আল্লাহ প্রেরিত প্রথম হুঁশিয়ারী সংকেত। এর ফলে তাদের ক্ষেতের ফসল ও বাগ-বাগিচার উৎপাদন চরমভাবে হ্রাস পেয়েছিল। খাদ্যাভাবে তাদের মধ্যে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30521/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মালাউনরা ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় প্রতি ঘন্টায় লোকসান হচ্ছে ২.৪ কোটি রুপি



          নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের কারণে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য করছে সরকার। এতে প্রতি ঘন্টায় অপারেটরদের লোকসান হচ্ছে ২.৪ কোটি রুপি। শীর্ষ স্থানীয় একটি লবি গ্রুপ শুক্রবার এ কথা বলেছে।

          উল্লেখ্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মুসলিম বাদে অন্য সব ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দিতে ভারত সরকার পার্লামেন্টে পাস করেছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ। এরপর গত প্রায় তিন সপ্তাহ দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিজনেস টুডে।

          সমালোচকরা ওই আইনকে মুসলিম বিরোধী বলে সমালোচনা করছেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভ কিছুতেই থামছে না।

          এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ২৩। বিক্ষোভ দমাতে সরকার মোতায়েন করেছে হাজার হাজার পুলিশ। পাশাপাশি মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর ফলে ইন্সটাগ্রাম, টিকটককের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছে না ভোক্তারা। সরকারের এমন আচরণের কড়া সমালোচনা করেছেন ইন্টারনেট স্বাধীনতা বিষয়ক অধিকারকর্মীরা। শুক্রবার উত্তর প্রদেশের কমপক্ষে ১৮ টি জেলায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়। টেলি যোগাযোগ বিষয়ক একটি সূত্র এ কথা বলেছেন। একটি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো এমন নির্দেশনা দেখতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, রাজধানী নয়া দিল্লির বাইরে ২৮ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা বাসায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা থাকবে না।

          সুইডেনের টেলি যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এরিকসনের মতে, বিশ্বে স্টার্মফোনে সবচেয়ে বেশি ডাটা ব্যবহার করেন ভারতীয়রা। তারা প্রতি মাসে গড়ে ৯.৮ গিগাবাইট ডাটা ব্যবহার করেন। ফেসবুক ও এর ম্যাসেঞ্জার সেবাদানকারী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বড় বাজার হলো ভারত। তাই সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই) বলেছে, এসব বিক্ষোভ দমনের জন্য প্রথম অ্যাকশন হওয়া উচিত নয় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া। সিওএআইয়ের সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় এয়ারটেল, ভোডাফোনে আইডিয়া, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জিও ইনফোকম।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30522/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            নাগরিকত্ব আইনের ফায়দা বোঝাতে গিয়ে গণপিটুনি খেল হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সন্ত্রাসীরা!


            ভারতে মুসলিম বিরোধী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) উপকারিতা বোঝাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের হাতেই মার খেল বিজেপি নেতারা।

            গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের আম্রোহা জেলার লাকাদা মহল্লা অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সে দেশের মানুষ। গত দুই সপ্তাহ ধরে অগ্নিগর্ভ যোগির রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। বিজেপির ‘*বিভাজন–মূলক’ নীতির বিরোধিতায় সরব সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।*

            জানা গেছে, সিএএ এবং এনআরসির উপকারিতা বোঝাতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় হিন্দুত্ববাদী বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সে অনুসারে ওই অঞ্চলে গিয়েছিল জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মুরতাজা আঘা কাজমি। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই বিপাকে পড়ে। নতুন আইনের সুবিধা বোঝানোর চেষ্টা করতেই এলাকার মানুষ ক্ষেপে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির ওই নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গকে। ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় মুরতাজাসহ অন্যরা।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30535/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতে থাকতে হলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে হবে


              ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছে, ভারত মাতা কি জয় যারা বলবেন একমাত্র তাদেরই এদেশে থাকার অধিকার রয়েছে। এদেশে থাকতে হলে ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে।

              পুনেতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ৫৪তম জেলা সম্মেলনে এসে সে আরও বলেছে, ভগত সিং, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের বলিদান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর কে দেশের নাগরিক আর কে নয়, তা নমিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ার কোনও মানে নেই।

              আমরা এই দেশটাকে ধর্মশালা করে ফেলতে চাই না। এদেশে থাকতে হলে ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে।

              পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র আরও বলেছে, অন্য দেশ থেকে এসে এখানে অনেকেই বসবাস শুরু করেছেন।

              এটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। তবে একটা ব্যাপারে আমাদের সবার মত এক হওয়া উচিত। এই দেশে তারাই থাকতে পারবেন যারা ভারত মাতা কি জয় বলবেন!’

              সূত্র: জিনিউজ বাংলা


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30545/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ভারতে গরুর জন্য ১০টি কম্বল দান করলেই পাওয়া যাবে বন্দুকের লাইসেন্স!


                বন্দুকের জন্য লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই গো-ভক্তি থাকতে হবে। এর প্রমাণ হিসেবে গরুর জন্য ১০টি কম্বল দান বা কোনো গো-শালায় ৩ দিনের খাবার সরবরাহ করে।

                ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের হিন্দুত্ববাদী ভূপালের গোয়ালিয়র কর্তৃপক্ষ এ নিয়ম জারি করেছে। গত সপ্তাহে এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়। ১০টি কম্বল দিতে অপারগদের জন্য কিছুটা সহজ নিয়ম হিসেবে চালু করা হয়েছে তিনদিনে গো-শালায় খাবার সরবরাহের বিষয়টি।

                টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহে ১৭০০ কম্বল জমা হয়েছে গোয়ালিয়র কর্তৃপক্ষের কাছে। ১৭০ জন লোক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে।

                গোয়ালিয়রের সংগ্রাহক অনুরাগ চৌধুরী জানিয়েছে, কিছু লোক কম্বল দিতে না পারায় গো-শালায় খাবার দিতে চেয়েছে। আবার কিছু লোক খাবারও দিতে অক্ষম হওয়ায় তারা কয়েকদিন গো-শালায় কাজ করতে চেয়েছে। আবার এমন কয়েকজনও আছেন যারা কিছু খাবার দিয়ে এবং কয়েকদিন গো-শালায় কাজ করে পুষিয়ে দিতে চেয়েছে।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30548/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ২০১৯ সালে ২১০ আমেরিকানের মৃত্যু হলো নিজেদের হাতেই


                  ২০১৯ সালে নির্বিচার হত্যা/গুলিবর্ষণের ৪১টি ঘটনায় অকালে প্রাণ হারিয়েছে ২১০ আমেরিকান। ১৯৭০ সালের পর একক কোন বছরে এমন পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ আর কখনো ঘটেনি।

                  বছর শুরুর ১৯ দিনের মাথায় ওরেগণ রাজ্যে ওকলাহোমা সিটির ৪২ বছর বয়েসী এক ব্যক্তি চায়নিজ কুড়াল দিয়ে তার মা, পিতা, গার্লফ্রেন্ড এবং ৯ মাসের কন্যাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর ৫ মাস পর ভার্জিনিয়ায় কর্মস্থলে নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় মারা যায় ১২ কর্মচারি।

                  গত আগস্টে টেক্সাসের এল পাসোতে ওয়ালমার্টে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হয় ২২ জন। এফবিআই এবং ফেডারেল পুলিশের তথ্য অনুযায়ী কমপক্ষে ৪ জন খুন হয়েছে একটি ঘটনায়-এমন ৪১টি ঘটনা রেকর্ড হয়েছে ২০১৯ সালে।

                  এসব হত্যাযজ্ঞে নিহতদের অধিকাংশই পরস্পরের পরিচিত ছিলেন এবং ঘাতকরাও পরিচিত ছিল।

                  সহকর্মী এবং স্বজনের উপর নানা কারণে ক্ষুব্ধ হবার পর এমন নৃশংসতা চালানো হয়। অধিকাংশ হত্যাযজ্ঞের সময়েই ঘাতককে পুলিশের টার্গেট হতে হয়। তবে বেশ কটি ঘটনায় ঘাতকরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

                  আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত গুলিবর্ষণের ২৯৭টি ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৩৫ আমেরিকান। আহতের সংখ্যা ১২১৯।

                  সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30542/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের মতোই নাজুক


                    ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুমসহ নানা কারণে দেশের মানবা​ধিকার পরিস্থিতি অনেক বছর ধরেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায়​ আসার পর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এমনটা বলেছিলেন। এরপর গত এক বছরে পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হলো? বছর শেষের পরিসংখ্যান বলছে, পরিস্থিতি সেই আগের মতোই নাজুক রয়ে গেছে। বরং তা আগের চেয়ে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

                    বেসরকা​রি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে, চলতি বছর প্রতিদিন গড়ে একজন ব্যক্তি ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। চলতি বছর নতুন করে গুমের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও আটজন। যৌন হয়রানি ও সহিংসতা এবং ধর্ষণের শিকার নারীর সংখ্যাও অনেক। নারী নির্যাতনকারী হিসেবে আওয়ামী দালাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নামও এসেছে অনেকবার। এ ছাড়া সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, মতপ্রকাশে বাধার অভিযোগ ছিল বছরজুড়ে, অব্যাহত ছিল হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিএসএফ দ্বারা সীমান্ত হত্যা।

                    মানবাধিকার ২০১৯: ফিরে দেখা।

                    চলতি বছর প্রতিদিন গড়ে একজন ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন।

                    তবে বিভিন্ন সংগঠনগুলো বলছে, ১৯৯৮ সালে ডিবি হেফাজতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র রুবেল খুন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কথিত আদালত সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা ​দিয়েছিলেন। যার আলোকে হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতন (নিবারণ) আইনও পাস করে কুফরি সংসদ। তারপরও হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। চলতি বছর ঢাকার উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে একজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং আরেকজনকে পায়ে গুলি করে আহত করার অভিযোগ আছে সন্ত্রাসী পুলিশের বিরুদ্ধে।

                    গুম, খুন, হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ

                    আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও হেফাজতে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন ৩৬২ জন। এঁদের মধ্যে ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে বা জিম্মায় থাকাকালীন। এর বাইরে ৯৭ জন র*্যাবের, ৩১ জন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি), ৫৩ জন বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

                    রাজনৈতিক নেতা, মাদ্রাসাশিক্ষক, সাবেক সেনাসদস্যসহ এ বছর গুম হয়েছেন ১৩ জন। গুম হওয়ার পর ফিরে এসেছেন চারজন, পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে একজনকে। বাকি আটজন কোথায়, কেমন আছেন কেউ জানেন না। ফিরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে সবশেষ ব্যক্তি সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান। গুম হওয়ার ৪৬৭ দিন পর তিনি এ বছরের ১৬ মার্চ ফিরে আসেন। মারুফ জামান বা তাঁর আগে যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁরা কেউ আজ পর্যন্ত মুখ খোলেননি।

                    আসকসহ দেশি–বিদে​শি সংগঠনগুলোর হিসাবে, এক দশকে দেশে গুমের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। মা, স্ত্রী, সন্তানসহ স্বজনেরা প্রিয়জনকে ফিরে পেতে প্রতিবছর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান, কাকুতি–মিনতি করেন। কিন্তু তাঁদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না।

                    মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে পিছিয়েছে বাংলাদেশ

                    প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) গত এপ্রিলে সর্বশেষ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক প্রকাশ করেছে। তাতে আগের বছরের তুলনায় চার ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা সন্ত্রাসী সরকারের কঠোর অবস্থানের শিকার হচ্ছেন। আসকের হিসাবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৩৪ জন সাংবাদিক নির্যাতন, হুমকি, হয়রানি ও হামলার শিকার হয়েছেন।

                    বছরের প্রথম দিনেই নির্বাচনের ত্রুটিপূর্ণ ফল ঘোষণার অভিযোগে খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপজেলা প্রশাসন। এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়।

                    নারী, শিশু নির্যাতনে ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশ

                    গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার হন সুবর্ণচরের এক নারী। ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে গণধর্ষণের। এরপর এপ্রিলে সুবর্ণচরেই আরেক নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেন। বছরজুড়ে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা অব্যাহত ছিল।

                    এ বছরের প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের অভিযোগে সারা দেশে মামলা হয়েছে ২ হাজার ৩২১টি।

                    মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

                    এ পরিস্থিতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অবস্থান ছিল নড়বড়ে। মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রীয় এই কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন অনেক। গত ২৮ নভেম্বর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়ে আসক আয়োজিত এক সংলাপে বলা হয়, কমিশনের চেয়ার ও সদস্য নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। কমিশন গঠনে আমলাতন্ত্রের প্রভাব রয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আর সার্বক্ষণিক সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব কামাল উদ্দীন।

                    এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানা যায়নি। তিনি ছেলের অসুস্থতার কারণে কথা বলতে অপারগতা জানান।

                    জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন শর বেশি মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সভা-সেমিনার ও বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সেরেছে।

                    তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগর অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা কেউ প্রকাশ করলেই তাঁকে রাষ্ট্রবিরোধী তকমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার ক্রমশ সংকুচিত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে একজন মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন, এটা খুব উদ্বেগের কথা। কিন্তু এই উদ্বেগ কি যথাস্থানে পৌঁছাচ্ছে?


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30534/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড


                      দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আজ রোববার সকাল নয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এটা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা গত শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

                      তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক এই জেলার মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। উত্তরের হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে দেশের সর্ব উত্তরের এই জনপদের বাসিন্দারা। হিমালয়ের খুব কাছাকাছি জেলা হওয়ায় পঞ্চগড়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের হিম বায়ু প্রবেশ করায় তাপমাত্রা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

                      গত শীত মৌসুমে (২ জানুয়ারি ২০১৯) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। এ ছাড়া গত বছর এই দিনে (২৯ ডিসেম্বর ২০১৮) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

                      তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পঞ্চগড়ে দেখা গেছে সূর্যের মুখ। লোকজনকে দেখা গেছে রোদে বের হয়ে কিছুটা উষ্ণতা নিতে। তবে উত্তরের হিমেল বাতাসের দাপটে সূর্যের এই মিষ্টি রোদ খুব বেশি আরামদায়ক হতে পারছে না।

                      তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

                      আবহাওয়াবিদেরা জানান, তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

                      তেঁতুলিয়ায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে। এ ছাড়া শীতের তীব্রতার কারণে ঠিকমতো কাজও করতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ।

                      জেলার সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের আমলাহার এলাকার নির্মাণশ্রমিক মো. মজনু মিয়া আজ সকালে বলেন, তাঁরা শ্রমিকেরা প্রতিদিন সকালে পঞ্চগড় শহরের সিনেমা রোডে জড়ো হন। সেখান থেকে বিভিন্ন নির্মাণকাজের ঠিকাদার ও হেডমিস্ত্রিরা তাঁদের দিন হাজিরা হিসেবে নিয়ে যান। কিন্তু গত কয়েক দিনের ঠান্ডায় কেউ কাজই করাতে চাইছেন না। তাঁরাও ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে হাত-পা পানিতে সামান্য ভিজলেই জমে আসে।

                      পঞ্চগড় শহরের রিকশাচালক শাজাহান আলী বলেন, ‘সকালে হালকা রোদ দেখে বের হয়েছি। এখন তো ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা কুঁকড়ে যাচ্ছে। ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে (রিকশা) পারছি না। বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে নাক দিয়ে পানি আসে। রাতে সর্দি-কাশি শুরু হয়। তার পরও সংসার চালানের জন্য তো গাড়ি চালাতেই হবে।’

                      তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তেঁতুলিয়া হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমেল বাতাস সরাসরি এখানে আসছে। এতে তেঁতুলিয়ার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলা সূর্যের সঙ্গে রোদের দেখা মিললেও উত্তরের হিম বায়ুতে সেই রোদের উষ্ণতা থাকছে না। তিনি বলেন, আকাশ মেঘমুক্ত হলে দিনে রোদের দেখা মিলছে, আর রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। নতুন বছরে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতে পারে বলে তিনি জানান।

                      আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহ দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মধ্যাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছে। আজ রাতের বেলায় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে কাল সোমবার রাত থেকে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30540/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        হে আল্লাহ মুসলমাদনেকে আপনি হেফাজত করুন,আমিন।
                        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Al-Firdaws News View Post
                          ফটো রিপোর্ট || বাস্তুচ্যুত মজলুম সিরিয়ান শিশুদের শীতের দিনগুলো!


                          বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার সিরিয়ার ছোট ছোট বাচ্চারা ইদলিব থেকে পল্লি এলাকাগুলোতে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে নিজেদের মত করে তৈরি করে নেওয়া অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলিতে।

                          যেখানে প্রচন্ড শীতের সাথে তাদেরকে লড়াই করে বাচতে হচ্ছে প্রতিটি মহুর্ত। আর এই কনকনে প্রচন্ড শীতকে কিছুটা লাগব করতে আগুন ঝালিয়ে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন তারা।
                          এই শিবরগুলোতে বর্তমানে কয়েক লক্ষ মজলুম সিরিয়ান তাদের শীতের দিনগুলো কাটাচ্ছেন। যারা সন্ত্রাসী রাশিয়া ও আসাদের মুরতাদ বাহিনীর হিংস্র বোমা হামলার সাক্ষী হয়ে রয়েছেন।








                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/29/30551/
                          বুকটা ফেটে যাচ্ছে চোখে জল আসছে আর সয্য হচ্ছে না
                          ও আল্লাহ তাদেরকে হেফাজত কর, তাদেরকে সাহায্য কর। আমীন। আল্লাহুম্মা আমীন।
                          আনসারকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
                          নিজে আনসার হব, অন্যকে আনসার বানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

                          Comment

                          Working...
                          X