Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ৩০শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    মালাউন সন্ত্রাসী শাসকদের কারণে ভারতের পর্যটন শিল্পে মারাত্মক ধস!


    মালাউন সন্ত্রাসীদের করা কথিত মুসলিম বিরোধী নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ আর অস্থিরতায় ভারতের পর্যটন শিল্পে মারাত্মক ধস নেমেছে। চলতি মাসের এই বিক্ষোভে অন্তত ১০টি রাজ্যের বেশ কিছু শহর অশান্ত হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যে পুলিশি নিষ্ঠুরতায় ২৬ জন প্রাণ হারান। এছাড়া ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে অন্তত সাতটি দেশ।

    ভারতের বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব আইন সংসদে উত্থাপন হওয়ার সময় থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়, সে বিক্ষোভ এখনো চলছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বিক্ষোভের কারণে দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ২ লাখ পর্যটক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় পর্যটন স্থাপত্য তাজমহল ভ্রমণ বাতিল কিংবা স্থগিত করেছেন।

    তাজমহল ট্যুরিস্ট পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক দীনেশ কুমার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এবার তাজমহলে পর্যটক কমেছে ৬০ শতাংশ। দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আমাদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও না আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।’

    সপ্তদশ শতাব্দীতে মারবেল পাথরে নির্মিত বিশ্বের আশ্চর্য স্থাপনা তাজমহল ভারতের উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। ডিসেম্বর মাসজুড়ে ভারতে বিক্ষোভেও সবচেয়ে বেশি উত্তাল ছিল দেশটির সর্ববৃহৎ এই রাজ্য। এছাড়া বিক্ষোভে নিহত মোট ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনই উত্তরপ্রদেশের। এদিকে এখনো সেখানে বিক্ষোভ চলছেই।

    প্রতিবছর উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহরে অবস্থিত তাজমহল পরিদর্শন করে ৬৫ লাখ পর্যটক। তাতে প্রবেশ ফি হিসেবে ভারত সরকার আয় করে কম করে হলেও ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাজমহলে একজন বিদেশি পর্যটকের প্রবেশ ফি ১১০০ রুপি। তবে দেশি ও প্রতিবেশী দেশের পর্যটকদের জন্য তাতে কিছুটা ছাড় রয়েছে।

    তাজমহলের আশপাশের বিলাশবহুল হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোর ম্যানেজাররা বলছেন, এমনিতেই দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৪.৫ শতাংশে নেমেছে, তার ওপর উৎসবের এই মৌসুমে শেষ মুহূর্তে এসে অনেকে তাদের বুকিং বাতিল করছেন। এতে করে আমাদের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

    বিক্ষোভ দমনে সরকার আগ্রার ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে। আড়াই শতাধিক ট্যুর অপারেটর, হোটেল ও গাইড নিয়ে গঠিত আগ্রা পর্যটন উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সন্দ্বীপ আরোরা বলছেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার কারণে আগ্রার ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

    এদিকে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইসরায়েল, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও তাইওয়ান ভারতে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। ভারতে ভ্রমণের ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় দূতাবাসে খোঁজ নেয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশগুলো।

    আসাম পর্যটন উন্নয়ন করপোরশের প্রধান জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া বলেন, প্রতি ডিসেম্বরে আসামে দেশি-বিদেশি মিলে পর্যটক আসে গড়ে ৫ লাখ। কিন্তু বেশ কিছু দেশ আসাম ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে রেখেছে। তাতে করে এই বছরের ডিসেম্বরে পর্যটক কমেছে ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি।

    মুসলিম স্থাপনা সমৃদ্ধ দেশ ভারত। পর্যটন খাতে মুসলিম স্থাপনা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় দেশটি। বিভিন্ন সময়ে মুসলিম রাজা বাদশাহরা এ সব স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর এসব স্থাপনা দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় ভারতে।

    সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন মুসলিম স্থাপনা নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর। যার ফলশ্রুতিতে ৪০০ বছরেরও পুরনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরও ৩২ হাজার মুসলিম স্থাপনা ভেঙে সেখানে মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদসহ কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো।

    অথচ ভারত তাদের পর্যটন খাতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় মুসলিম স্থাপনাগুলো থেকে। দেশটির অফিসিয়াল হিসেবে দেখা যায়, প্রথম সারির রাজস্ব উৎপাদনকারী প্রাচীন নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম ৫টি হলো মুসলিম শাসকদের হাতে নির্মিত স্থাপনা। আর সেগুলো হলো- আগ্রার দুর্গ : মোঘল সম্রাটদের দ্বারা তৈরি আগ্রার দুর্গ।

    কুতুব মিনার : ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত সুউচ্চ স্তম্ভ হলো কুতুব মিনার। এটি ভারতের প্রথম মুসলিম শাসক সুলতান কুতুব উদ্দিন আইবেকের আমলে তারই নির্দেশে নির্মাণ করা হয়। ১১ ৯৩ খ্রিস্টাব্দে কাজ শুরু হলেও তা ১৩৮৬ সালে ফিরোজশাহ তুগলকের আমলে শেষ হয়। মিনারটির উচ্চতা ২৩৮ ফুট। মিনারটির পাদদেশের বেড় ৪৭ ফুট।

    তাজমহল : ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধিসৌধ হলো তাজমহল। মোঘল সম্রাট শাহজাহান এ মহল তৈরি করেন। তাজমহলের সৌন্দর্য অবলোকনে সারাবিশ্ব থেকে মানুষ আগ্রায় আসে। আর তাতে ভারত সরকার এ তাজমহল থেকেই অনেক রাজস্ব পেয়ে থাকে।

    লালকেল্লা : ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত প্রাচীর বেষ্টিত দুর্গ লালকেল্লা নামে পরিচিত। এটিও মোঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত একটি দুর্গ। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এ দুর্গটি ছিল মোঘল সম্রাটদের রাজধানী। কিলা-ই-মুবারক’ বা ‘আশীর্বাদ ধন্য দুর্গ’ হিসেবে এটি পরিচিত ছিল। কারণ এ দুর্গেই সম্রাটের পরিবারবর্গ বসবাস করতেন।

    ফতেহপুর সিকরি : ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রা জেলায় ফতেহপুর সিকরি অবস্থিত। ১৫৬৯ সম্রাট আকবরের ছেলে বাদশাহ জাহাঙ্গীর এ ফতেহপুর সিকরিতে জন্ম নেয়। ১৫৭১-১৫৮৫ পর্যন্ত মোঘল সম্রাজ্যের রাজধানী ছিল ফতেহপুর সিকরি। ১৫৭৩ সালে এ দুর্গটির নাম হয় ফতেহপুর সিকরি।

    উল্লেখ্য যে, ভারতের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই পাঁচটি প্রাচীন নিদর্শন থেকে ভারত সরকারের আয় হয়েছে ১৪৬.০৫ কোটি রুপি, যা ভারতের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনাবলীর মোট আয়ের (২৭১.৮ কোটি) অর্ধেকের চেয়েও বেশি।

    শুধু তাজমহল থেকেই আয় হয় ৫৬.৮৩ কোটি রুপি। বছরটিতে ৬৪.৫৮ লাখ দেশী-বিদেশী দর্শনার্থী এ স্থাপনাটি ঘুরে দেখেন।

    আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে আগ্রার দূর্গ। যার বার্ষিক আয় ৩০.৫৫ কোটি রুপি। এ দুর্গ দেখতে দেশি দর্শনার্থীদের ৩০ রুপি পরিশোধ করতে হয় আর বিদেশিদের পরিশোধ করতে হয় ৫০০ রুপি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30560/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    উত্তরপ্রদেশে সন্ত্রাসী যোগির পদত্যাগের দাবিতে মিছিল


    ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) বিরোধিতায় সারা ভারতে বহু মানুষ রাস্তায় নেমেছে। যোগির রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে মারাও গেছেন অনেকে।

    সেই ঘটনায় যোগির বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছে ভারতের ছাত্রসমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আজ রবিবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে কলকাতার বাঘাযতিন মোড় থেকে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত মিছিল করে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। মিছিল শেষে যোগি আদিত্যনাথের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। লিবারেশন নেতাদের অভিযোগ, লালবাজারে আগাম জানানোর পরেও পুলিশ সন্ত্রাসী জ্বলন্ত কুশপুতুলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে এবং শেষে বিক্ষোভস্থল থেকে কুশপুতুলটি নিয়ে চলে যায়।

    লিবারেশন নেতাদের কথায়, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের এ ধরনের আচরণে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সারা ভারতে যখন মোদি, অমিত শাহ ও যোগির কুশপুতুল পুড়ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের এই ধরণের আচরণকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি।

    সোমবার উত্তরপ্রদেশ ভবনের সামনে বিকেল ৩ টায় লিবারেশনের পক্ষ থেকে আবারো বিক্ষোভ দেখানো হবে এবং সন্ত্রাসী যোগি আদিত্যনাথের কুশপুতুল দাহ করা হবে বলে জানা গেছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30565/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      নমোর অপশাসনে ভারতের অর্থনীতি এখন বেহাল দশা:-রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া


      মোদি আমলে গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার আগেই সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে আর গত ছয় বছরে আর্থিক প্রবৃদ্ধির সর্বনিম্ন রেকর্ড নিয়ে ভারতের অর্থনীতির দশা এখন বেহাল। এমন অবস্থায় আগামী বছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অশনিসঙ্কেত দিলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া)।

      গত শনিবার রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, অর্থনীতির করুণ দশার ফলে দেশে ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের বোঝা আগামী এক বছরে বাড়তে পারে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছবে। একই সাথে দেশটির ব্যাংকের ঋণ বৃদ্ধির হার গত ৫৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে তলানিতে ঠেকেছে বলে জানিয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নকারী একটি সংস্থা।

      করুণ এই অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, অর্থনীতির এই দৈন্যদশা থেকে মানুষের নজর অন্য দিকে সরিয়ে দিতে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) নিয়ে এসেছে বিজেপি সরকার।

      দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কবার্তাকে বেশ কিছু দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, দেশটির রাজস্ব আয়ের পরিমাণ হ্রাসের পাশাপাশি নভেম্বর পর্যন্ত বাজেট ব্যয় (আর্থিক ঘাটতি) ১০৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় এই ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখার অন্যতম চালিকাশক্তি বেসরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে বাজারে চাহিদাও কমেছে; যার ধাক্কা লেগেছে প্রবৃদ্ধিতে।

      দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নকারী একটি সংস্থা বলছে, চলতি অর্থবছরে ভারতে ব্যাংকের ঋণ বৃদ্ধির হার সাড়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে আটকে থাকতে পারে। গত বছর যা ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির এই হারের পূর্বাভাস যদি সত্যি হয় তাহলে ১৯৬২ সালের পর ভারতে ঋণ বৃদ্ধির হার এই প্রথম এত নিচে নামতে যাচ্ছে। ওই বছর ঋণের বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

      রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বলছে, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর অবস্থা ভালো নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির হার আরো কমেছে, যা মাত্র ৮ দশকি ৭ শতাংশ।

      আনন্দবাজার বলছে, দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ভারতের ভেঙে পড়া অর্থনীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রীর যে কাজ, সেটা সে করতে পারছে না। কেউ কিছু কিনছেন না, কলকারখানা বন্ধ, বাজারে মন্দা, প্রবৃদ্ধি তলানিতে। অর্থনীতি কঠিন বিষয় নয়। আগে প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ ছিল, এখন ৪ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে।

      সূত্র : এনডিটিভি ও আনন্দবাজার।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30568/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        মালাউনদের মিথ্যা দাবিকৃত‘গোমাতা’-র দেশ ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় গো-মাংস রফতানিকারক


        গোটা ভারত জুড়ে গোরক্ষার নামে মালাউন হিন্দু সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের হত্যা করে চলছে। অথচ, বিশ্বে গরুর গোশত রফতানির দিক থেকে ভারতের অবস্থান দুই নম্বর ৷ ২০১৭ সালে ভারত ১.৮ মিলিয়ন টন গরুর গোশত রফতানি করেছিল ৷ তার তুলনায় ২০১৯ সালে সেই রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৬ মিলিয়ন টন ৷ এই তালিকার এক নম্বর দেশ ব্রাজিল ৷ তারা ২.২ মিলিয়ন টন গোশত রফতানি করেছে ৷ ২০১৭ সালেও ভারতই বিফ রফতানিতে দ্বিতীয় ছিল৷

        তবে ২০১৭-র পর বিফ রফতানির পরিমাণ বাড়িয়েছে ব্রাজিল ৷ গরুর গোশত রফতানিতে ভারতের পিছনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো ৷

        এদিকে দিন কয়েক আগে ভারত থেকে গরুর গোশত আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে চীন ৷ তাদের মতে গরুর গায়ের চামড়ায় বিশেষ ধরণের অসুখের কারণ দেখিয়ে তারা ভারতীয় গরুর গোশত নিতে চাইছে না ৷ গরুর বাকি কোনো ধরণের প্রজাক্টেও না করে দিয়েছে তারা ৷ ভারত থেকে গরুর গোশত কিংবা গরুর অন্য কোনো প্রডাক্ট নিয়ে যে বিমান ও জাহাজ আসছে তাদের গতিও আটকে দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ করেছে ৷

        এমনকি যদি ঘুরপথে বা অবৈধভাবে কোনো পণ্য ঢোকে তাহলে যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তারাও কঠোর শাস্তি পাবে বলে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৷

        মার্কিন সংস্থার পক্ষ থেকে বিফ এক্সপোর্টের রিপোর্টে জানানো হয়েছে তাবড় পশ্চিম দেশকে টেক্কা দিয় গরুর গোশত থেকে প্রচুর পরিমাণে রফতানিনি করে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা উপার্জন করে ৷
        সূত্র : নিউজ ১৮


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30571/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ‘উত্তরপ্রদেশে বেছে বেছে মুসলিম পরিবারে হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসী পুলিশ’


          ভারতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার নাম করে মুসলিমদেরই বেছে বেছে আক্রমণ করছে দেশটির উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনই অভিযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের মানবাধিকার কর্মীরা।

          মানবাধাকির কর্মীদের দাবি, রাজ্যজুড়ে যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ বেড়ে উঠছে, তার বহিঃপ্রকাশ বেশিরভাগ সময়েই হিংসাত্মক নয়। কিন্তু মুসলিমদের ওপর এই অত্যাচারের কারণেই এত হিংসার ঘটনা ঘটছে।

          এই দাবির সপক্ষে বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও-ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তারা। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, কবিতা কৃষ্ণ টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সশস্ত্র দল এবং ব়্যাফ রীতিমতো পোশাক পরে দাঙ্গা বাধিয়েছে। মুসলিমদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। মুসলিমদের দেশের বাইরে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে চিৎকার করে।

          কবিতা কৃষ্ণ ও জন দয়ালদের আরও অভিযোগ, কোনও কোনও মুসলিম মহল্লা কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। কারণ যেকোনও সময়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে আশঙ্কায় এদিক ওদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। তার মধ্যেই হামলা চালাচ্ছে পুলিশ।

          শুধু তাই নয়, যখন তখন শুনতে হচ্ছে, ‘পাকিস্তানে চলে যাও।’


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30574/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মুসলিম আলেমকে নগ্ন করে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশের নির্মম নির্যাতন


            ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সী মাওলানা আসাদ রাজা হোসেনি ঘুমের মধ্যে কেবল কাঁদেন।

            তার পরিবার বলছে, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশ তাকে নিয়ে নগ্ন করে নির্যাতন করেছে। সেই অপমান থেকে এখনও আত্মীয়-স্বজনকেও নিজের মুখ দেখাতে চান না তিনি।

            পুলিশ মুজাফফরনগর শহরে এতিম শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সাদাত হোস্টেল থেকে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে গেছে। এরা সকলেই মাওলানা আসাদ হোসেনের শিক্ষার্থী।

            স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও সাবেক এমপি সাইদুজ্জামান সাঈদের ছেলে সালমান সাঈদ বলেন, আটককৃত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয়েছে। তাদেরকে টয়লেটে যেতে দেওয়া হয়নি।

            মারের চোটে অনেকের রক্তপায়খানাও হয়েছে বলে জানান তিনি।

            মাওলানা আসাদ এই সাদাত মাদ্রাসায় পড়ান। তিনি ওই এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক। তাকেও পুলিশ ব্যাটন দিয়ে পিটিয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভারতের মুসলিম বিরোধী নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে তাকে এতিমখানা থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী পুলিশ। তিনি নিজের পরিবারকে বলেছেন যে, অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তাকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে তীব্র ঠান্ডায় তাকে নগ্ন করে পেটানো হয়েছে। ভীষণ শীতে ওভাবেই তিনি রাত কাটিয়েছেন।

            পাশের প্রকোষ্ঠে ১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও নির্যাতন করা হয়েছে। রাতভর তাদের পেটানো হয়েছে। তাদের ছেড়ে দেওয়ার পর তাদের সঙ্গে যেসব প্রতিবেশী কথা বলেছেন, তাদের বরাতে এ খবর দিয়েছে টেলিগ্রাফ।

            সাঈদ বলেন, অনেক শিক্ষার্থীকে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতেও বাধ্য করা হয়েছে। মাওলানা আসাদকে পশ্চিম উত্তর প্রদেশে অনেকেই চেনেন। ২১ ডিসেম্বর স্থানীয় নেতাদের চাপে তাকে ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসী পুলিশ। তার এক আত্মীয় বলেন, ‘শনিবার রাতে এক পুলিশ আমাদের ফোন করে জানান যে, মাওলানাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, আমরা যেন তার জন্য কাপড়চোপড় নিয়ে যাই। আমরা এ কথা শুনে অবাক হয়ে যাই! কাপড় কেন লাগবে! তবুও তার কথা শুনে কুর্তা আর পায়জামা নিয়ে যাই। আধাঘণ্টা পর তাকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে পুলিশ স্টেশন থেকে বের হতে দেখি। তাকে দু’ জন পুলিশ সদস্য কাঁধে করে ধরে আনছিল। নিজের মাথাটা পর্যন্ত তিনি উঁচু করতে পারছিলেন না। আমরা তাকে রীতিমতো পাঁজাকোলা করে গাড়িতে ঢুকিয়েছি।’

            মাওলানা আসাদের হাত-পা সহ সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই আত্মীয় বলেন, মানসিকভাবে তিনি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছেন। সন্ত্রাসী পুলিশ তাকে এত মেরেছে তার মনে হয়েছে মৃত্যুই ভালো ছিল। তাকে এত অপমান করা হয়েছে যে, এখন তিনি আত্মীয়-স্বজনের কাছে নিজের চেহারা দেখাতে চাচ্ছেন না। ঘুমের মধ্যেও ঢুঁকরে কেঁদে ওঠেন।

            সূত্র: ইনসাফ২৪


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30598/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ


              ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক কভারেজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

              রোববার রাতে বিটিআরসির নির্দেশনার পর এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে দেশের সবকটি অপারেটর।

              একটি অপারেটরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, এ নির্দেশনার ফলে চার অপারেটরের প্রায় দুই হাজার বিটিএস বন্ধ করা হয়েছে। সব অপারেটরই ইতিমধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার প্রায় কোটি গ্রাহক মোবাইল ফোন ব্যবহারে সমস্যায় পড়বে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

              রোববার রাতে গ্রামীণফোন, টেলিটক, রবি এবং বাংলালিংক বরাবর পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক কভারেজ বন্ধ রাখতে হবে।

              নির্দেশনার কারণ জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি ‘সাময়িক’ বলেও জানান তিনি।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30592/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সরকারের অবহেলায় সুনামগঞ্জে সড়কপথের বেহাল দশাঃ দুর্ভোগ চরমে


                সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলা সদরের একটি বেহাল সড়ককে ঘিরে এখন দুর্ভোগে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। সড়কটির বেশির ভাগ জায়গাজুড়ে ছোট ছোট ইটের সুরকি ও পাথর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। রয়েছে ছোট ছোট কয়েকটি গর্ত। এ ছাড়া সড়কটিতে থাকা একমাত্র বক্স কালভার্টের ওপরের অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এর ওপর দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

                দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটির প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ ঝুলে আছে। মেরামত হচ্ছে না হলিদাকান্দা গ্রামের পশ্চিমে থাকা কালভার্টটিও। এতে উপজেলার সেলবরষ, পাইকুরাটি, ধরমপাশা, জয়শ্রী ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রামবাসী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

                প্রথম আলোর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের আবদুল হেকিম চৌধুরী চত্বরের সামনে থেকে হলিদাকান্দা গ্রামের সামনের সড়ক পর্যন্ত সড়কটির দূরত্ব এক কিলোমিটার। উপজেলা সদর বাজারের ভেতরে থাকা প্রধান সড়কটি সরু হওয়ায় সব সময়ই দুই পাশে মানুষের জটলা লেগে থাকে। ফলে বিকল্প সড়ক হিসেবে ২০০২ সালে এই সড়কটি পাকাকরণের কাজ করে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

                এরপর ৮–১০ বছর ধরে সড়কটির কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে সড়কটির বেশির ভাগ জায়গার কার্পেটিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। ফলে দিন দিন সড়কটির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে ধরমপাশা উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত, আর নেত্রকোনা জেলার সঙ্গে ধরমপাশার যোগাযোগ সহজ—এই যুক্তি দেখিয়ে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট এ উপজেলার সওজ কর্তৃপক্ষের যাবতীয় কার্যক্রম নেত্রকোনা জেলা সওজের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

                পরবর্তী সময়ে নেত্রকোনা সওজের কার্যালয়ের উদ্যোগে প্রায় আট মাস আগে সড়কের এবড়োখেবড়ো অংশগুলো ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এতে মানুষ ও যান চলাচলের জন্য সড়কটি কোনোরকমে উপযোগী হলেও মাস তিনেক না যেতেই সড়কের ছোট ছোট ইটের সুরকি ও পাথর সড়কের ওপরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। সৃষ্টি হয় ছোট ছোট গর্তের। এ ছাড়া ওই সড়কের বক্স কালভার্টটির ওপরের অংশ ভেঙে গিয়ে সৃষ্টি হয় গর্ত। সড়কের শয়তানখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটির সংযোগ সড়কের দুই পাশে নেই পর্যাপ্ত মাটি। সড়কটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন রিকশা, ট্রাক, লেগুনা, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ গড়ে চার শতাধিক যানবাহন চলাচল করে।

                ধরমপাশা সরকারি কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রবি মিয়া বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি না থাকায় সড়কটি ব্যবহার অযোগ্য হতে খুব বেশি দিন সময় লাগবে না। ধুলাবালির কারণে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে ইচ্ছে করে না। যারা চলাচল করে, তাদের নিরুপায় হয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। দ্রুত এটি সংস্কার ও মেরামত করা প্রয়োজন।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30579/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  জনগনের অর্জিত টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে খেল সরকারি কর্মকর্তারা


                  ব্যাংকে জমা রাখা টাকা কোষাগারে না দিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে দেয়া হয়েছিল। সেই টাকা ব্যাংকে জমা রাখে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।

                  ১৯ ডিসেম্বর ব্যাংক থেকে টাকাগুলো উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা হয়।

                  রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে পাওয়া শিক্ষা ও মেধা বৃত্তির ২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংকের গ্রেটার রোড শাখায় রাখা হয়।

                  কিন্তু সেই টাকার কিছু অংশ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

                  শিক্ষা বোর্ডের অডিট শাখা থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান ৩৫ হাজার, সচিব ৩০ হাজার, বৃত্তি শাখায় কর্মরত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ২৪ হাজার ৮০০, সহকারী ২১ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছেন। এভাবে চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের মাঝে এই টাকা ভাগ করা হয়েছে।

                  সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30582/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    জনগনের সম্পত্তি হরন করল সরকারি কৃষি কর্মকর্তা


                    হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মালিকাধীন নার্সারি থেকে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

                    জানা যায়, আজমিরীগঞ্জের গোসাইপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মালিকাধীন নার্সারিতে বনজ, ফলদ ও ওষুধিসহ নানা প্রজাতির গাছ রয়েছে। নার্সারি এলাকায় ওই অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বসবাস করেন।

                    এ সুযোগে তিনি শুক্রবার সকাল ৯ টায় ওই নার্সারি থেকে একটি বড় শিলকড়ই গাছ কেটে নেন।
                    সরেজমিনে গেলে গাছ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানায়, উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা ওই গাছ কেটেছেন।

                    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাঈমা খন্দকার জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন, তবে বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন।

                    সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30584/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      সন্ত্রাসী হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজিঃ প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করলেন সাধারণ জনগন


                      পাবনার মাধপুর সন্ত্রাসী হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি, মারধর ও হয়রানির প্রতিবাদে আজ সোমবার পাবনার বেড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে সিএনজি চালকরা। বেড়া সিএন্ডবি ব্রিজের পশ্চিম পাশের মহাসড়কে সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত পাবনা-ঢাকা সড়ক অবরোধ করলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

                      বেড়া সিএনজি চালক সমিতির সভাপতি মিন্টু মিয়া জানান, মাধপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ ও একজন এসআই বেড়া সাঁথিয়ার সিএনজি চালকদেরকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য করে।

                      জাতীয় মহাসড়কের আমাইকোলা নামক স্থানে সিএনজি গ্যাস স্টেশন অবস্থিত হওয়ায় সিএনজি চালকরা গ্যাস নিতে জাতীয় মহাসড়কে কিছুটা পথ অতিক্রম করতে হয়।

                      যাত্রী ছাড়া খালি সিএনজি নিয়ে গ্যাস ভরতে গেলেও পাবনার মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে টাকা আদায় করে। টাকা দিতে না চাইলে চালকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করে, টাকা না দিলে সিএনজি জব্দ করে নিয়ে যায়।

                      সম্প্রতি এক দরিদ্র সিএনজি চালকের সিএনজি জব্দ করায় দুশ্চিন্তায় চালক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যায়।

                      সিএনজি চালক সমিতির নেতা মিন্টু মিয়া আরও বলেন, ‘বেড়া-সাঁথিয়ার সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধে ও মানবিক কারণে আমরা সড়ক অবরোধ তুলে নিলাম। পাবনার মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ আবারও চাঁদাবাজি করলে বা কোনভাবে সিএনজি চালকদের হয়রানি করলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দেব’।

                      সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30586/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        সরকারি ছত্রছায়ায় হাত বাড়ালেই মাদক


                        সন্ধ্যা হলেই দোকানিদের সামনে সাজানো টেবিলে দেশি-বিদেশি মদের বোতল। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বসে মদের আসর। এ যেন এক মদের রাজ্য। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান। চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্রসৈকত এখন মাদক সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। সেখানে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য। ইচ্ছে হলেই পাওয়া যাচ্ছে নামিদামি ব্রান্ডের বিদেশি মদ, বিয়ার ও ইয়াবা। ঝাউগাছের আড়ালে গড়ে উঠেছে মাদক স্পট। মদের নেশায় বুঁদ হওয়া যুবক ও তরুণদের খিস্তি-খেউড় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।

                        স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আসা নানাবয়সী মাদকসেবী সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকায় মদ-বিয়ার সেবন করে পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও জানায় ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। সৈকতের মাদক কারবারি নাছিম ও তার ভাইয়ের দোকান থেকে মদ খেয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ঘুরতে আসা পাঁচ পর্যটকের মধ্যে দুজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

                        সোমবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে ও বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সমুদ্রসৈকতের দোকানে বসে সহজে সেবন করা যায় মদ, বিয়ার ও ইয়াবা। আবার অনেকেই মদ বিয়ার ইয়াবা লাগবে কি-না এমনটা ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করে। তেমনি বেলা সাড়ে ১১টায় সৈকতের উত্তর পাশের এক ব্যক্তি মাদক কারবারি নাছিমের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করে ‘ভাই আপনাদের কিছু লাগবে কি-না’। কি লাগবে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ভদকা, বিয়ার আছে। লাগলে নিতে পারেন। দাম পড়বে ৯ শ টাকা। ভেজাল নিলে ৮ শ টাকা।

                        বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, সৈকতে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করার নিয়ম নেই। যারা এসব মদ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এসব মদ খেয়ে অনেক যুবক প্রাণ হারাচ্ছে ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

                        ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফাঁড়ি পুলিশ টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ আলম সুমন অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পুলিশ টাকা নেয় না। যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

                        সুত্রঃ কালের কন্ঠ


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30589/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          বেসামাল বাজারঃ নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্য


                          নিত্যপণ্যের বাজার ক্রেতা সাধারণের অনুকূলে আসছেই না। এমনিতেই গত সাড়ে তিন মাস ধরে বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা; এর অতিরিক্ত হিসেবে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।

                          গত এক মাস ধরে ভোজ্যতেলের দাম ভোক্তার সামর্থ্যরে বাইরে চলে গেছে আর চলতি অর্থবছরে বাজেটে কর বাড়ানোর অজুহাতে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে সাত-আট টাকা। টিসিবি বলছে, গত এক মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ আর খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা একাধিক ভোক্তা যুগান্তরকে বলেছেন, একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে, সরকারি ছত্রছায়ায় ব্যবসায়ীরা ছক করে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। তারা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার কোটি টাকা, অথচ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে মাথাব্যথা নেই।

                          বস্তুত, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের নাগরিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাব বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে এদেশে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না। আসলে পুরোটাই কারসাজি। এ কারসাজির মাধ্যমে সরকারের পৃষ্টপোষকতায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অতি মুনাফা করছে।

                          পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া মূল্যের কারণে ভোক্তারা ভুগেছে মাসের পর মাস। এখন যদি অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্যও অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে, তাহলে স্বল্প আয়ের মানুষদের ভোগান্তির সীমা থাকবে না। সমাজের একটি বড় অংশ হল নিচু আয়ের মানুষ। নিত্যপণ্যের মূল্য যখন বাড়ে, তখন কিন্তু তাদের আয় বাড়ে না। স্বল্প আয় দিয়েই তাদের মোকাবেলা করতে হয় পরিস্থিতি এবং তা করতে গিয়ে তাদেরকে পড়তে হয় অসহনীয় বিড়ম্বনায়।


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/30/30595/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের খেদমতকে কবুল করুন এবং আপনাদের কাজে ভরপুর বারাকাহ দান করুন। আমীন
                            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                            Comment


                            • #15
                              যাজাকুমুল্লাহ,সম্মানিত ভাইয়েরা এখানে যে ছবিটা দেয়া হয়েছে ছবিটি মনে হয় জাইনা, .................................................. ..............................................
                              .................................................. ..............................................। , মুসলিম আলেমকে নগ্ন করে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী পুলিশের নির্মম নির্যাতন


                              ভারতের উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সী মাওলানা আসাদ রাজা হোসেনি ঘুমের মধ্যে কেবল কাঁদেন।

                              Comment

                              Working...
                              X