Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৭ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০৩রা জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৭ই জমাদিউল-আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ০৩রা জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    বিগত বছরে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সন্ত্রাসবাদের একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান!


    বছরের পর বছর ধরে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাঈলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরোচিত জুলুম-অত্যাচার। ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই নির্যাতন আজ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। অথচ, জাতিসংঘের মতো কথিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিদার সংগঠনও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ায়নি। ওআইসি নামে মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার জন্য গড়ে উঠা সংগঠনও ফিলিস্তিনীদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। বরং এই সংঘগুলো সবসময়ই দখলদার সন্ত্রাসী ইহুদীদেরকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে। সামনে মানবতার কথা বললেও বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের মূলহোতা তারাই। তাদেরই সমর্থনে আজও ফিলিস্তিন মুমিনের রক্তে রঞ্জিত, ইহুদীরা আজ পূর্বের চেয়েও ভয়ানক হিংস্র হয়ে উঠেছে।
    ল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের তথ্য মতে, ইহুদীবাদী ইসরাঈল শুধু ২০১৯ সালেই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে অবৈধভাবে ৬৪৮টি মুসলিম বাড়ি ও আবাসন ধ্বংস করেছে, ৬৮ হাজার dunums পরিমাণ খাস ভূমি বাজেয়াপ্ত করেছে, ১৫ হাজার জলপাই গাছ উপড়ে ফেলেছে, পশ্চিম তীরে নতুন ৩৪ টি চেকপোস্ট বানিয়ে মোট চেকপোস্টের সংখ্যা ৮৮৮ টি করেছে। প্রকৃত জবরদখলের পরিমাণ আল্লাহই ভালো জানেন।
    এছাড়াও দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা ২০১৯ সালে গাজায় ৫২০টি শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনি শিল্পকারখানা বহুল বাজেয়াপ্তকরণ, সামরিক অভিযান আর ফিলিস্তিনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইহুদীবাদী অভিশপ্ত ইসরাঈলের শয়তানী কাজের অংশে পরিণত হয়েছে। আর তাদের এসকল শয়তানী কার্যক্রমের কারণে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি হুমকির মুখে! হাজার- হাজার লোক কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে দরিদ্রতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
    ৩৫ হাজারেরও অধিক লোক পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে তা ৩ থেকে ৫ হাজারে নেমে এসেছে। তুলা শিল্প আগে ৩০ হাজার গাজাবাসীর কর্মসংস্থান করতো, কিন্তু বর্তমানে তা মাত্র ৩ হাজার লোকের কর্মস্থল।
    অন্যদিকে বিগত ২০১৯ সালে ফিলিস্তিনী সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী ইসরাঈল ৫৯৮টি সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে লাইভ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ, স্টান গ্রেনেড/টিয়ার গ্যাস হামলা, প্রহার ও গ্রেপ্তার, তাদের যন্ত্রসামগ্রী জব্দকরণ এবং তাদেরকে বিদেশ সফরে যেতে বাধা দানের মতো জঘন্য ঘটনা।
    ১৯৬৭ সাল থেকে ইহুদিবাদী ইসরাঈলী দখলদার বাহিনী প্রায় 1 মিলিয়ন ফিলিস্তিনীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুধু গত বছরেই ৫৫০০ এরও অধিক নিরপরাধ ফিলিস্তিনীকে বন্দী করেছে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা। যাদের মাঝে শিশুদের সংখ্যাই হচ্ছে ৮৮৯ এবং মহিলাদের সংখ্যা ২২৮।
    গত ২০১৯ সালে দখলদার ইহুদীরা বর্বরোচিত বিমান হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে ১৯২ এরও অধিক ফিলিস্তিনী মুসলিমকে!
    AQN এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনুসারে শিশু শহীদদের সংখ্যা ৩৩ জনে পৌঁছেছে। মহিলা শহিদদের সংখ্যা ১২ জন। শহিদদের মধ্যে ১১২ জনই হচ্ছেন গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। পশ্চিম তীরে শাহাদতবরণ করেছেন আরো ৩৭ জন ফিলিস্তিনী। যাদের মাঝে ৬৯ জন অভিশপ্ত দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত বোমা হামলার ফলে শাহাদাতবরণ করেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30823/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘ধর্মীয় বিভাজনে বেশি নজর দেয়ায় অর্থনৈতিক দুর্দশায় ভারত, আর্থিক সংস্কারের সদিচ্ছা নেই মালাউন মোদির


    গত ছয় বছরে আর্থিক প্রবৃদ্ধির সর্বনিম্ন রেকর্ড নিয়ে ভারতের অর্থনীতি এই মুহূর্তে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মালাউন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আর্থিক নীতির সমালোচনা করে মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্ক এর কারণ হিসেবে ধর্ম, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টিকেই উল্লেখ করলেন। হ্যাঙ্ক বলেন, ‘মোদি সরকার দুটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে : ঐতিহ্য এবং ধর্ম। যা আসলে ধ্বংসাত্মক ও বিস্ফোরক।’

    তার মতে, কঠিন ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্কারের সদিচ্ছা নেই মোদি সরকারের। এ কারণে ২০২০ সালে জিডিপি বৃদ্ধি ৫ শতাংশে নিয়ে যেতে ভারতকে হিমশিম খেতে হবে। তার অন্যতম কারণ হিসেবে মূলধনের অভাব এবং ঋণ সঙ্কোচনের কথাও বলেছেন হাঙ্ক।

    গত জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশ, যা ছ’বছরে সর্বনিম্ন। এই ফলাফল আসার আগে থেকেই অবশ্য অর্থনীতির ঝিমুনির ইঙ্গিত মিলছিল। গাড়ি শিল্পে সঙ্কট, নতুন শিল্প বিনিয়োগে ভাটা, বেকারত্ব বৃদ্ধি তথা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল ক্রমেই। তিন মাস পরেও সেই পরিস্থিতির খুব একটা রদবদল হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে, এমন ইঙ্গিতও নেই শিল্পমহলে। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, বড় কোনও সংস্কারমুখী দাওয়াই ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দুষ্কর।

    কিন্তু অর্থনীতিবিদ তথা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হ্যাঙ্ক মনে করেন, মোদী সরকারের সেই সদিচ্ছাই নেই। দ্বিতীয়বার বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। সংখ্যার চাপও নেই। কিন্তু তার পরেও সংস্কারমুখী বড় কোনও পদক্ষেপ করেনি মোদী সরকার। হ্যাঙ্কের ব্যাখ্যা, ‘‘তার পরিবর্তে মোদী সরকার দু’টি বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছে: ঐতিহ্য এবং ধর্ম, যা আসলে ধ্বংসাত্মক ও বিস্ফোরক।’’

    জন হপিকন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত হ্যাঙ্কের মতে, ‘‘ভারতে আর্থিক মন্দা ‘ক্রেডিট স্কুইজ’ ঋণ সঙ্কোচনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা আসলে ধারাবাহিক একটি সমস্যা, পরিকাঠামোগত নয়। আর সেই কারণেই ২০২০ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নিয়ে যেতে অনেক লড়াই করতে হবে।’’

    এই ঋণ সঙ্কোচনের অর্থ হল, ব্যাঙ্কগুলি শিল্পক্ষেত্রে ঋণ দিতে চাইছে না, বা দিলেও মাত্রাতিরিক্ত সুদ দিতে হচ্ছে। এমনিতেই নন পারফর্মিং অ্যাসেট বা এনপিএ-র ভারে ন্যুব্জ ব্যাঙ্কগুলি। বিশেষ করে সরকারি ব্যাঙ্কগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। সেই এনপিএ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ব্যাঙ্কগুলি শিল্পপতি-বিনিয়োগকারীদের ঋণ দিতে চাইছে না। ফলে অবিশ্বাস ও ভয়ের বাতাবরণ ব্যাঙ্কিং মহলে। আর ঋণ না পেয়ে মুলধনের অভাবে নতুন শিল্প স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না শিল্পমহলও। তাই অর্থনীতিতে গতি আসছে না।

    ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের শঙ্কা ও অবিশ্বাসের বাতাবরণ কাটাতে সিবিআই তদন্তের দাওয়াই দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। ব্যাঙ্ক কর্তাদের আশ্বস্ত করতে সিবিআই কর্তাদের সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তাদের এক টেবিলে নিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। হাঙ্কের মতে, এই সব পদক্ষেপে কাজ হবে না। দরকার সাহসী ও আমূল সংস্কারমুখী সিদ্ধান্ত। মোদী সরকার সেটাই করছে না বলে তোপ দেগেছেন হ্যাঙ্ক। যদিও এ নিয়ে অর্থমন্ত্রক বা সরকারের অন্য কোনও প্রতিনিধির কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30801/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মালাউনদের জনসংখ্যা রেজিস্ট্রারে বাদ পড়ল ভারতীয় মুসলিমদের উৎসব তালিকা


      ভারতের জনসংখ্যা রেজিস্ট্রার তালিকা বা এনপিআর-এ অন্য ধর্মালম্বীদের উৎসবের নাম থাকলেও বাদ পড়েছে মুসলমানদের ধর্মীদের উৎসবের তালিকা। এনপিআর-এর সদ্য প্রকাশিত ম্যানুয়ালে এই বিস্ময়কর ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়টি নজরে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

      আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, এনপিআর-এ হিন্দু, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের তালিকা রয়েছে। রয়েছে দুর্গাপূজা থেকে বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা থেকে নানক জয়ন্তী, মহর্ষী দয়ানন্দ সরস্বতী জয়ন্তী থেকে ছটপূজা। আছে গান্ধী জয়ন্তী, স্বাধীনতা দিবস বা ইংরেজি নববর্ষের উল্লেখও। কিন্তু কেবল কোথাও নেই মুসলিমদের কোনও ধর্মীয় উৎসবের উল্লেখ।

      ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি অবশ্য বলছে, এক্ষেত্রে বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকার একা কাঠগড়ায় নয়। এর আগে, ২০১১ সালে মনমোহন সিংয়ের আমলে যে এনপিআর ম্যানুয়াল প্রকাশিত হয়েছিল, তাতেও কোনও মুসলিম ধর্মীয় উৎসবের উল্লেখ ছিল না।

      প্রতিবেদনের আরও বলা হয়, ভারতে ধর্মীয় জনসংখ্যার নিরিখে হিন্দুদের পরেই মুসলিমরা। ৩৭ পাতার এনপিআর ম্যানুয়ালের ৩২ নম্বর পাতায় অ্যানেক্সার ৫-এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে হিন্দু ছাড়াও বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-শিখ ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মের উৎসবের সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু জনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুসলিমদের কোনও উৎসব বা স্মরণীয় দিন বা তিথির উল্লেখ নেই।

      এনপিআর ম্যানুয়ালে ধর্মীয় উৎসব বা রীতির উল্লেখ কেন রয়েছে?
      ২০১১ সালের এনপিআর ম্যানুয়ালে তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া ছিল না। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ভারতে এনপিআর-এর জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করতে চায় কেন্দ্র সরকার। সেই তথ্য সংগ্রহের সময় জন্ম তারিখ এবং স্থানের কথা জানাতে হবে এ দেশের বাসিন্দাদের। এবারে ওই তালিকার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে— অনেকেই নিজের জন্মের দিনক্ষণ সঠিক মতো বলতে পারেন না। সে জন্য বড় কোনও ঐতিহাসিক ঘটনা অথবা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উৎসব বা ধর্মীয় রীতির কথা মনে করিয়ে সম্ভাব্য জন্মতথ্য নথিবদ্ধ করার কথা রয়েছে ওই ম্যানুয়ালে। আর প্রশ্নটা উঠছে এখানেই। ভারতে বসবাসকারী কোনও মুসলমান যদি তার জন্মের দিনক্ষণ না জানেন বা ভুলে গিয়ে থাকেন, তাদের উৎসব বা রীতির কথা মনে করিয়ে এনপিআর-এ জন্মতথ্য নথিবব্ধ করার দায় কি নিতে চাইছে না কেন্দ্র? কেউ যদি অন্য ধর্মের উৎসব বা অনুষ্ঠানের কথা মনে করতে না পারেন, তাহলে কি ওই ব্যক্তির বিষয়ে ‘সম্পূর্ণ তথ্য’ থাকবে না এনপিআর-এ? এনপিআরের ম্যানুয়ালে কেন মুসলিম ধর্মের উৎসবের উল্লেখ থাকবে না? অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।’’

      সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা এক জোট হতে শুরু করেছে। সংশোধিত এই আইন ভারতীয় সংবিধানবিরোধী বলেও দাবি করেছেন অনেকে। ‘ধর্মের’ ভিত্তিতে কোনও আইন কার্যকর করা ঠিক নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এবার এনপিআর ম্যানুয়ালে মুসলিমদের উৎসব-রীতি বাদ পড়ায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

      আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) কার্যকর হওয়ার পর প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। গোটা দেশে যদি এনআরসি কার্যকর করে কেন্দ্র, তাহলে অনেকেই ‘নাগরিকত্ব’ হারানোর ভয় পাচ্ছেন। যেহেতু এনআরসি-র প্রাথমিক ধাপ হিসেবে এনপিআরকে ধরে নিচ্ছেন অনেকেই, তাই মুসলমানদের উৎসবের বিষয়টি বাদ যাওয়ায় ওই সম্প্রদায়ের অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। এনপিআর ম্যানুয়ালে মুসলমানদের উৎসব-রীতি বাদ দেওয়ায় বিরোধীরা নতুন করে সরকার বিরোধী ‘অস্ত্র’ পেলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও কংগ্রেসের পক্ষে এই বিষয়ে কিছু বলা বেশ অস্বস্তিদায়ক। কারণ, এই ম্যানুয়ালে মুসলমানদের উৎসব-রীতি বাদ পড়ার শুরু তো তাদের আমলেই।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30800/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আজাদ কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় মালাউন সেনাবাহিনীর


        ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর আজাদ কাশ্মীরে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল মালাউন মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সে বলেছে, পাক অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরে অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, যে কোনো সময় এটি হতে পারে।

        গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সে এ কথা বলেছে। নারাভানে বলেছে, আমরা জম্মু ও কাশ্মীরসহ সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছি। আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজনে সেসব পরিকল্পনা কার্যকর করা যেতে পারে। আমাদের যে কাজটি করতে দেয়া হয়েছে তা সফলভাবে শেষ করব এবং শেষ করব।

        এর আগে গত বুধবার পাকিস্তানকে নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য’ বলে উল্লেখ করেছে ইসলামাবাদ। এরপরই বৃহস্পতিবার এমন বক্তব্য দেয় ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনাপ্রধান।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30802/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতীয় মালাউনদের আটককেন্দ্র নির্মাণে আতঙ্কিত মুসলিমরা


          আসাম রাজ্যের গোয়ালপাড়া জেলায় নির্মিত হচ্ছে ভারতের সর্ববৃহৎ আটককেন্দ্র। দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক তালিকার (এনআরসি) ঘোষণা আর সদ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রেক্ষাপটে বিশাল আয়তনের এই আটককেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপ মুসলিমদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। কেননা আসামের এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মুসলিম। সিএএ-তেও উপেক্ষিত তাদের প্রশ্ন।

          আসামের নির্মানাধীন আটককেন্দ্রে কাজ করছেন ২৫ বছর বয়সী ইলেক্ট্রিশিয়ান আলী। কাজের ফাঁকে সেখানকার হাসপাতাল ব্লকের সামনে বিশ্রাম নিতে বসে তার মাথায় ঘুরছে অন্য চিন্তা। ‘আজ আমি এখানে কাজ করছি। কাল হয়তো এখানেই বন্দি হবে আমার বোন জামাই। বোনের পরিবারটা শেষ হয়ে যাবে’, বলেন তিনি। গত বছর আসামে প্রকাশ হওয়া জাতীয় নাগরিক তালিকায় (এনআরসি) অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি আলীর বোন জামাই। ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ বাসিন্দা। আপাতত ‘অবৈধ অভিবাসী’ হয়ে পড়া এসব বাসিন্দাদের গন্তব্য হবে গোয়ালপাড়ার মতো আটককেন্দ্রগুলো। নয়তো তাদের প্রত্যর্পণ করা হবে।

          আসামের রাজধানী দিসপুর থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়ালপাড়ার মাটিয়া গ্রামে গড়ে তোলা হচ্ছে কেন্দ্রটি। তিন লাখ বর্গফুট (২৮ হাজার বর্গফুট বা ২.৮ হেক্টর) জায়গা জুড়ে নির্মিত এই ভবনের ধারণ ক্ষমতা তিন হাজার মানুষ। গোয়ালপাড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত এই সেন্টারটির তিন দিকে বিস্তৃত খোলা জমি আর বাম দিকের একটি সড়ক রাজ্যের মূল শহর গুয়াহাটির সঙ্গে সংযুক্ত।

          সংযোগ সড়কটির একদিক চলে গেছে ‘ভূত’ পর্বতের মধ্য দিয়ে। জনচলতি বিশ্বাস অনুযায়ী কয়েক শতাব্দী আগে ওই পর্বত এলাকা শাসন করতো ভূতেরা। ফলে কোনও মানুষ তা পাড়ি দিতে পারে না। ‘আমার কাছে এখানেও একই পরিস্থিতি মনে হচ্ছে। যে মানুষ এই আটককেন্দ্রে যাবে সে আর ফিরে আসবে না’, বলেন স্থানীয় বাসিন্দা গুলাম নবী। সেখানকার বড় বড় দেয়ালের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘জনবসতি থেকে, পরিবার থেকে এক জন মানুষকে আলাদা করে ফেলে তাকে এই বিশাল দেয়ালের মধ্যে রেখে দেওয়া কি মানবিক?’যা ‘পুরো কম্পাউন্ডটি দুটি দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। একটি ২০ ফুট উঁচু আর অপরটি ছয় ফুট। ছয়টি টাওয়ার থেকে সেন্টারটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাতে সহায়তা দেবে একশো মিটার উঁচু বিম লাইট।

          নির্মাণস্থলের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেন্টারটি নির্মাণে গত বছরের জুনে বরাদ্দ দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিসেম্বরে কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। রবীন্দ্র দাস বলেন, ‘এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। এপ্রিলের মধ্যে আমাদের পুরো কাজ শেষ করতে হবে’।

          ভারতের অন্য ডিটেনশন সেন্টারগুলো

          ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী এনআরসি করার ঘোষণা দেয়নি। তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি ডিটেনশন সেন্টার। চার দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাভাষী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রত্যক্ষ করা আসাম রাজ্যে ইতোমধ্যে চালু রয়েছে অন্তত ছয়টি ডিটেনশন সেন্টার।

          গত ৩ ডিসেম্বর (২০১৯) ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি পার্লামেন্টে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে জানান, গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন সেন্টারে বর্তমানে ২০১ জন বন্দি রয়েছেন। আর কোকরাঝড়ে ১৪০ জন, শিলচরে ৭১ জন, দিবরুগড়ে ৪০ জন, জোরহাটে ১৯৬ জন ও তেজপুর সেন্টারে রয়েছে ৩২২জন। ২০০৮ সাল থেকে এসব সেন্টারে প্রায় একশো জন মারা গেছেন। এদের অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন।

          গত জুলাইতে আরেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় বলেন, সব রাজ্যকেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তুত করা মডেল ডিটেনশন সেন্টার ম্যানুয়ালের আলোকে ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করতে বলা হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে নিলামঙ্গলাতে অনিবন্ধিত শরণার্থীদের একটি সেন্টার চালু করা হয়েছে। ছয় রুমের একটি সরকারি ভবনে রান্নাঘর ও নিরাপত্তা কক্ষ মিলিয়ে সেন্টারটিতে ২৪ জন বন্দি থাকতে পারবে। সম্প্রতি দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও একটি সীমানা দেওয়াল যোগ করে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

          গত বছরের ২৯ মে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়াতে প্রথমবারের মতো ডিটেনশন সেন্টার চালু করেছে। আর রাজস্থানে কেন্দ্রীয় সরকারের কারাগারের অভ্যন্তরে রয়েছে একটি ডিটেনশন সেন্টার। এই বছরের মে মাসে পাঞ্জাবেও একটি সেন্টার নির্মাণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রাজধানী দিল্লিতে ডিটেনশন সেন্টার চালু রয়েছে ২০০৬ সাল থেকে। বিদেশি নিবন্ধনের আঞ্চলিক কার্যালয় (এফআরআরও) এই সেন্টারটি পরিচালনা করে।

          পশ্চিমাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য মহারাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ের বাইরে ডিটেনশন সেন্টার নির্মাণের জমি বাছাই করে পূর্ববর্তী বিজেপি সরকার। তবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যের মুসলমানদের ভীত না হতে আশ্বস্ত করেছেন। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ কয়েকটি দলকে নিয়ে গঠিত জোট সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া ঠাকরে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তার সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের ডিটেনশন সেন্টার স্থাপনের আদেশ মানবে না।

          ডিটেনশন সেন্টার স্থাপনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারও দুটি স্থান নির্বাচন করেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। এর একটি রাজধানী কলকাতার কাছে আর অপরটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।

          আনুষ্ঠানিক কোনও তথ্য না থাকলেও ভারতের ক্ষমতাধর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এক নির্বাচনি মিছিলে দাবি করেন দেশে প্রায় ৪০ লাখ অনিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছে।

          মুসলমানদের শঙ্কা দেশজুড়ে এনআরসি

          ইউনাইটেড অ্যাগেইনিস্ট হেট গ্রুপের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ বাসিন্দার প্রায় অর্ধেকই মুসলমান। এখন ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের আশঙ্কা দেশব্যাপী এনআরসি প্রক্রিয়া চালু করবে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার। গত মাসে সিএএ পাসের পর ওই ভয় তীব্র হয়েছে। আর তা থেকেই দেশব্যাপী হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন।

          সিএএ অনুযায়ী ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া মুসলমান বাদে ছয়টি ধর্মাবল্বী মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এই আইনটি নাগরিকত্বের শর্ত হিসেবে ধর্ম নির্ধারণ করে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানের লঙ্ঘন করেছে। অন্যদিকে মুসলমানদের আশঙ্কা সিএএ হচ্ছে এনআরসির আগের ধাপ। যাতে করে তাদের নাগরিকত্ব প্রশ্নের মুখে পড়বে।

          বিজেপি’র মুখপাত্র সামবিত পত্র আল জাজিরাকে বলেছে, আটককেন্দ্র স্থাপন আর এনআরসি’র মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। আটককেন্দ্র অবৈধভাবে ভারতে থাকা বিদেশিদের জন্য।’ তবে এতে আশ্বস্ত নন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক তানভির ফজল। তিনি বলেন, ‘খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, অমুসলিমেরা যদি এনআরসি থেকে বাদ পড়ে তাহলে সিএএ তাদের রক্ষা করবে। ফলে আটককেন্দ্রে যাওয়ার বাকি থাকবে শুধুমাত্র মুসলমানেরা।’


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30818/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সিএএ-এনআরসি নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদ


            তীব্র বিরোধে ক্ষতবিক্ষত বছরটির শেষ ভাগ অতল গহ্বরে নিজেকে টেনে নেয়ার প্রেক্ষাপটে সিএএ (সংশোধিত নাগরিক আইন)-বিরোধী ও এনপিআর (জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন)-বিরোধী বিক্ষোভের মাধ্যমে ভারতীয় মুসলিমেরা অবশেষে নীরব থাকতে বা অদৃশ্যমান থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে রাস্তায় বের হয়ে এসেছে।

            তাদের মধ্যে যাদের বয়স কম, তাদের সামাজিক গণমাধ্যমে হাজির হতে কোনো সমস্যা হয়নি। ভারতের মুসলিমেরা বুঝতে পেরেছে যে তাদের আর চুপ করে থাকার অবকাশ নেই, তাদেরকেই লড়াই করতে হবে।

            ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় সাত দশক ধরে দেশটির মুসলিম জনসাধারণ, দাঙ্গার সামান্য কিছু সময় বাদ দিলে, তাদের ক্ষোভ প্রকাশ থেকে বিরতই থেকেছে। তারা তাদের রাজনীতির বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা মুসলিম লিগের বিভিন্ন সংস্করণের মতো রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করেছে।

            কিন্তু বছর শেষের বিক্ষোভে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা আর রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। একইভাবে বলা যায়, ভারতে যে রাজনৈতিক শূন্যতা (বিক্ষোভে আসলে কোনো নেতা থাকে না) দেখা দিয়েছে সে কারণে শিক্ষিত ও তরুণ মুসলিমদের নতুন প্রজন্ম আর কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সাথে থাকার প্রয়োজন দেখছে না।

            এমন ধারা টিকে গেলে তা ভবিষ্যতের জন্য বড় একটি ঘটনা হিসেবে গণ্য হতে পারে। এর মানে এটিও যে সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস ভারতীয় মুসলিমদেরকে মূলধারায় আনতে পারেনি, আর মেরুকরণের শক্তি বিবেচিত সন্ত্রাসী দল বিজেপি নিজস্ব হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের কারণেই একমুখী ধারা সৃষ্টি করতে পেরেছে।

            সূত্র: গালফ নিউজ


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30825/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩


              ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ এ দাঁড়িয়েছে। লেবাক অঞ্চল বাদে বৃহত্তর জাকার্তার মধ্যেই মারা গেছেন ৩৫ জন। হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খবর জাকার্তা পোস্টের।

              সমাজকর্ম মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় জানিয়েছে, পশ্চিম জাকার্তায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বানতেনে আটজন এবং পূর্ব জাকার্তায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

              ২০১৩ সালের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

              ওই বছরের বন্যায় ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

              সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30813/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                বছরের প্রথমদিনেই যুক্তরাষ্ট্রে নিজ গুলিতে আত্মহত্যা ১৩২ জনের


                নতুন বছরের প্রথমদিনেই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের গুলিতে প্রাণ গেছে ১৭৭ জনের। এর মধ্যে ১৩২ জন নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করেছে। ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

                সারা আমেরিকায় বন্দুকের গুলিতে হতাহতদের তথ্য ৬৫ হাজার সোর্স থেকে সংরক্ষণ করে এই ওয়েবসাইট।

                গুলিতে আহতের সংখ্যা মোট ১৩২। হতাহতদের মধ্যে ৩টি ঘটনা রয়েছে যেগুলোকে ‘গণহত্যা’র পর্যায়ে ধরা হয়েছে। গণহত্যায় নিহতদের মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩ শিশু-কিশোরও রয়েছে।

                সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30807/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  বৃষ্টি থাকবে রবিবার পর্যন্ত


                  পৌষের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টিতে ভিজছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত থেকেই শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। যা অব্যাহত রয়েছে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্তও। টানা এই বৃষ্টিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

                  সাপ্তাহিক বন্ধের দিন বলে অফিসগামী মানুষ ঝক্কি থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপদে।

                  আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, রাজধানীতে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সারাদেশে রবিবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।

                  এছাড়া আগামী ১০ জানুয়ারির পরে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

                  আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ৪ ও ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হতে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে থাকবে। গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে পারে।

                  তিনি জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারির পর থেকে দেশের তাপমাত্রা কমতে পারে। ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মাসের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষদিকে আবারও তীব্র শৈত্রপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কনকনে শীত অনুভূত হতে পারে।

                  সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30810/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    নতুন বছরের শুরুতে আবারো দাম বেড়েছে পিয়াজের


                    গত বছরের শেষের দিকে দেশে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে পিয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ছিল অন্যতম। ২০১৯ সালের জুলাই মাসের শুরুতে প্রতি কেজি পিয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হলেও আগস্টের শুরু থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। সেপ্টেম্বর মাসে পিয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পিয়াজের রেকর্ড পরিমাণ দাম বেড়ে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে।

                    এ নিয়ে প্রায় পাঁচ মাস আলোচনা-সমালোচনার পর দাম কমতে শুরু পিয়াজের। গত এক মাসের মধ্যে কেজি প্রতি পিয়াজের দাম ১০০ টাকায় চলে আসে।

                    অন্যদিকে আমদানি করা পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২২০ থেকে কমে চলে আসে ৬০ টাকায়।

                    এছাড়া কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে টিসিবির ট্রাক সেলের পিয়াজও চলে আসে ৩৫ টাকায়। কিন্তু, দাম কমতে না কমতেই সম্প্রতি আবারও বাড়ছে পিয়াজের দাম। বাজারে বর্তমানে আমদানি করা পিয়াজ না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে নতুন বছরের শুরুতেই পুরোনো বছরের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

                    আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

                    বিডি প্রতিদিন থেকে জানা যায়, এসব বাজারে বর্তমানে দেশি পিয়াজ কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও দেশি নতুন পিয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে আমদানি করা পিয়াজ প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে সব বাজারে আমদানি করা পিয়াজ নেই।

                    দীর্ঘদিন পিয়াজের চড়া দামের পর কমে আসতে শুরু করায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি নামতে শুরু করেছিল। কিন্তু, এরই মধ্যে আবারও হঠাৎ পিয়াজের দাম বাড়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মাঝে।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/03/30820/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ মুসলমানদের কে আপনি হেফাজত করুন,আমিন।
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল থেদমতকে কবুল করুন ও মাকবুল করুন এবং উত্তম জাযা দান করুন। আমীন
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment

                        Working...
                        X