Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১লা জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১লা জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৭শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    খোরাসান | ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর হামলায় 4 শিশুসহ 7জন বেসামরিক মুসলিম নিহত!



    সারা বিশ্বে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা নিয়ে মেতে উঠা ক্রুসেডার আমেরিকা প্রতিনিয়ত হত্যা করছে অগণিত নিরপরাধ বনী আদমকে, যাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা ছোট ছোট নিষ্পাপ বাচ্চারাও।

    ক্রুসেডার আমেরিকার ভয়াবহ সেই হামলার শিকার হলেন এবার আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশের প্রাদেশিক জেলার “বোকা” এলাকার সাধারণ নিরপরাধ বেসামরিক মুসলিমরা। দখলদার ক্রুসেডার মার্কিন সন্ত্রাসীরা এলাকাটিতে বেসামরিক লোকদের বাড়িঘরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়। বিধ্বস্ত একটি বাড়িতেই ৩জন মহিলা ও ৪ শিশু নিহত হয়। আহত হয় আরো অনেক বেসামরিক লোক।

    তাছাড়া শনিবার “আলম খেলো” এলাকায় ক্রুসেডার আমেরিকা ও তাদের গোলাম আফগান মুরতাদ বাহিনী সাধারণ মুসলিমদের বাড়িঘরে প্রবেশ তাদের ঘরে থাকা সকল মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।






    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/27/32084/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফিলিস্তিন | 17 জন মুসলিমকে বন্দী করার পাশাপাশি 4টি বসত-বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইহুদীরা!



    আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার ভোর বেলায় ব্যাপকভাবে মুসলিম যুবকদের উপর ধর-পাকড় অভিযান চালায় দখলদার ইহুদিবাদী ইসলাঈলী সন্ত্রাসী বাহিনী, তারা ১৭ জন মুসলিম যুবককে ভোর বেলায় তাদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়।

    যার মধ্যে জেনিন শহরের একটি শিবির থেকে ইব্রাহিম ইমাদ আল-আমেরকে গ্রেপ্তার করা হয়, এসময় শহরটির 4টি মুসলিম বাড়িকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে তা গুড়িয়ে দেয় দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা।

    এভাবেই ফিলিস্তিনের ৪টি শহরে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭ জন মুসলিম যুবককে বন্দী করে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীরা। শহরগুলো হল- জেনিন, কালামিন, বাইতুল-লাহাম ও আল-খলিল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/27/32094/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসী ইহুদিদের দেওয়া হল হেজায সফরের অনুমতি!



      ইহুদিদের পবিত্র ভূমি মক্কা শরীফ সফরের অনুমতি দিয়ে রোববার একটি নির্দেশনায় সই করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল জারজ রাষ্ট্রটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরিয়া ডেরাই।

      এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে রিয়াদে যেতে পারবে ইসরাইলি ইহুদিরা। এ ঘোষণাকে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরাইলের উষ্ণ সম্পর্কের সর্বশেষ নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, হারিৎস ও মিডিল ইস্ট আইয়ের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

      এখন থেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইসরাইলিরা সৌদি আরবে ৯ দিন পর্যন্ত সফর করতে পারবে। এছাড়া অবৈধ রাষ্ট্রটির ভিসায় হজ ও ওমরাহ পালনেও তাদের সামনে কোনো বাধা থাকলো না।

      এর আগে আরব রাষ্ট্রটির সঙ্গে পরোক্ষ সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকবার বড়াই করতে দেখা গেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে। প্রকাশ্য এই অনুমোদন আসার আগেই বহু ইহুদি সৌদি আরব সফর করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে দেশটিতে যেতে হলে তাদের বিদেশি পাসপোর্ট কিংবা বিশেষ অনুমোদন নিতে হতো।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/27/32053/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        চীনে আল্লাহর গজব করোনাভাইরাসে মৃত বেড়ে ৮০



        করোনাভাইরাসে উদ্বেগ বাড়ছে চীনে। যতই সময় যাচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। গত কয়েকদিনে কয়েক হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের দম ফেলারও সময় নেই। এখন পর্যন্ত সেখানে ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রাণঘাতী নতুন এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

        আজ সোমবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, হুবেই প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৫৬ থেকে বেড়ে ৭৬ এ গিয়ে ঠেকেছে। অন্যান্য প্রদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

        উহান শহরে প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা যাওয়ার পর চীনের অন্যান্য শহরেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তবে সরকার যতটা বলছে তার চেয়েও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে যে সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে প্রায় এক লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে এক চিকিৎসা কর্মী দাবি করেছেন।

        এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ চীনের পক্ষে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না। একাধিক শহরে ঢোকা এবং শহর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হলেও ইতোমধ্যেই অনেক শহরেই এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে।

        যুক্তরাজ্যের এমআরসি সেন্টার ফর গ্লোবাল ইনফেকশাস ডিজিস অ্যানালাইসিসের বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, চীনের ভেতরে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি আটকানো সম্ভব হবে না। কেননা, বিজ্ঞানীদের অনুমান, একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে আড়াইজন মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে।

        এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গরু-ছাগল জাতীয় পশুর ডায়রিয়া, পাখিদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হতে পারে। মানুষের ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষণ জ্বর, শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট। প্রাথমিকভাবে এটি ততটা গুরুতর মনে না হলেও শেষপর্যন্ত প্রাণঘাতী হতে পারে। কারণ এখনও এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।

        ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ছড়িয়ে পড়ার হার ৬০ শতাংশ কমাতে হবে। বিজ্ঞানীদের মতে এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করা সহজ নয়। ভাইরাস সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে এমন রোগীদেরও আলাদা করতে হবে যাদের মধ্যে সাধারণ সর্দিজ্বরের সামান্য লক্ষণও দেখা গেছে।

        প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সবাইকে সতর্ক করেছে চীনা কমিউনিস্ট নাস্তিক প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত শনিবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে সে এই সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, চীন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি।

        এদিকে, ইসলামিক স্কলারগণ বলছেন, চীনা কমিউনিস্ট নাস্তিক সরকারের অব্যাহতভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের উপর জুলুম অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর গজব নাযিল করেছেন। যেমনিভাবে আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী সীমালঙ্গনকারী জাতিকে শাস্তি দিতেন।

        নিচে চীন সরকারের কিছু ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হল:

        ১. চীনের সন্ত্রাসী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুসলিমদের প্রতি ‘বিন্দুমাত্র দয়ামায়া না দেখানোর’ জন্য চীনা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। উইঘুরদের দুর্ভোগের ওপর এটিই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আসা সর্বশেষ তথ্য বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

        ২.উইঘুর নিপীড়ন নিয়ে সক্রিয় মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, উইঘুর মুসলিমদের আটক ও বন্দি রাখতে প্রায় পাঁচশ ক্যাম্প ও কারাগার চালাচ্ছে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কমিউনিষ্ট চীন সরকার। আর এসকল ক্যাম্প-কারাগারে ৩০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রাখার খবর জানাচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

        গত মে মাসে প্রথমবারের মতো ওই সব আটককেন্দ্রে কর্মরতদের একজন অকথ্য নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। একটি আটককেন্দ্রে চাকরি করা সারায়গুল সাউতবে সিএনএনের কাছে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের ভয়াবহতা বর্ণনা করেন। সাউতবে বলেন, তাদের কষ্ট লাঘবে আমার কিছুই করার ছিল না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে একদিন এই সত্য প্রকাশ করব।

        পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা প্রকাশ পেয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ রিপোর্টে। অভিযুক্ত উইঘুর পরিবারের সন্তানদের নিজের পরিবারে বা এলাকায় রাখা হয় না। তাদের ভিন্ন প্রদেশে ‘শিক্ষা’ গ্রহণ করতে পাঠিয়ে দেয় সরকার। যখন তারা নিজের বাড়িতে ফেরে তখন তাদের জানানো হয়, তোমার পরিবারের লোকজন ‘প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠগ্রহণ’ করছে। তাদের সাথে দেখা হবে যখন তাদের শিক্ষা সমাপ্ত হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানদের সেই অপেক্ষার আর অবসান ঘটে না। ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস বলেছে, বন্দীদের কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই আটকে রাখা হচ্ছে এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বন্দীদের ঠিকমতো খেতে দেয়া হয় না। চরম নির্যাতন করা হয়।

        বর্তমানে চীন সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগ এনে শুধু পূর্ব তুর্কিস্তানেরই বিশ লক্ষের অধিক মুসলিমকে বন্দী করে রেখেছে। ‘পুনঃশিক্ষা’ এর নামে কমিউনিস্ট চীনারা মুসলিমদেরকে তাদের ধর্ম ইসলাম পরিত্যাগ করতে বাধ্য করছে।

        ৩. চীনে মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করা হচ্ছে। মুসলিম নারীদেরকে বাধ্য করা হয়েছে চীনা কাফেরদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে। দেশটির বন্দিশিবিরে আটক মুসলিম নারীদের জোর করে গর্ভপাত করানো হচ্ছে। ওই বন্দি শিবিরে একসময় বন্দি হয়ে থাকা অনেক নারী এমন অভিযোগ করেছেন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

        ৪. ২০১৬ সালে ‘মেকিং ফ্যামিলি’ নামের একটি উদ্যোগ চালু করে বেইজিং সরকার। এর মাধ্যমে উইঘুর পরিবারকে প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে পাঁচ দিনের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের অতিথি হিসেবে থাকতে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুসলিমদের সাথে পার্টির ‘সুসম্পর্ক সৃষ্টির’ জন্য নাকি এই উদ্যোগ। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় মুসলিম নারীদের সম্ভ্রমহানির অভিযোগ ওঠে। মানসিকভাবে শিশুদেরও নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে কমিউনিস্ট পার্টির শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে শিশুদের মাতৃভাষার পরিবর্তে ম্যান্ডারিন তথা চীনা ভাষা শেখানো হচ্ছে।

        ৫. মুসলমানদের ধর্মীয়গ্রন্থ পবিত্র কোরআনে সংশোধনী আনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ধর্মগ্রন্থতে যেসব উপাদান মানবরচিত কুফরী সমাজতান্তিক মতাদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়, সেসব বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে। ধর্মগ্রন্থতে সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোন তথ্য থাকবে না। সেই পরিকল্পনা নিয়েই কোরআন নতুন করে লেখার কাজ করছে চীন। দেশটির সমাজতান্তিক মতাদর্শের আদলে ধর্মগ্রস্থগুলো পুনর্লিখনের বিষয়ে গত নভেম্বরে দেশটির জাতিতত্ত্ব বিষয়ক কমিটির এক সভায় এই পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলে ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে।

        এছাড়াও, দেশটিতে এ পর্যন্ত অনেক মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। চীনে উইঘুর মুসলিমদের বছরের পর বছর টিকে থাকা ঐতিহাসিক কবরস্থানগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/27/32050/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চীনে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে 20 লাখ বন্দী মুসলিম



          চীনের রহস্যময় করোনাভাইরাস ইতোমধ্যেই জিংজিয়াংয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এ অঞ্চলে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী ২০ লাখ মুসলিম পড়েছে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে।

          প্রাক্তন বন্দীদের বয়ান অনুসারে, ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো নিতান্তই নোংরা। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিটা বেশি।

          ২০১৮ সালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বন্দী বলেছিলো, একটা রুমে আমরা ৪৫ জন গাদাগাদি করে থাকতাম। দিনে মাত্র দুবার আমাদের প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরা করার অনুমতি ছিল। খাবার ভালো না, পরিবেশ ভালো না।

          ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল এওয়্যাকিং মুভমেন্টের তথ্যানুযায়ী, জিংজিয়াংয়ে ৪৫৪টি বন্দী শিবির রয়েছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/27/32106/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কাশ্মিরে ৬ মাস পর চালু হচ্ছে মাত্র টু-জি ইন্টারনেট



            কাশ্মিরে ৬ মাস ধরে ইন্টারনেট বন্ধ করে রেখেছে মালাউন প্রশাসন। গত শনিবার থেকে ভারত জবরদখলকৃত জম্মু-কাশ্মিরে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালাউন প্রশাসন। সেখানে মাত্র টু-জি সেবা চালু হচ্ছে। তবে কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চলে ইন্টারনেট চালু হলেও কিছু নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল থাকবে। সেখানে কেবল ‘তালিকাভুক্ত’ ওয়েবসাইটগুলোরই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থাকবে। মালাউনরা এখনও সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কাশ্মিরের বাসিন্দাদের জন্য বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

            গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হয় তা। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। আটক করা হয় সেখানকার শীর্ষ রাজনীতিকদের।কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকেই ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন পড়ে রাজ্যটি। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেটের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সম্প্রতি তা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘কাশ্মির টাইমস’ এর নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং কংগ্রেস সদস্য গুলাম নবি আজাদ। কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন তারা। ১০ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত জানায়, ‘এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় না। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।’

            দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে বিজেপির নরেন্দ্র মোদি সরকার ওই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা করে। সেই সময় সরকার খোড়া যুক্তি দিয়েছিল, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫-এ ধারা দুইটা ‘সাংবিধানিকভাবে দুর্বল’ ‘বৈষম্যমূলক’ ছিল। এগুলো জম্মু ও কাশ্মিরের বিকাশকে বাধা দিয়েছে। ওই ঐতিহাসিক অন্যায়মূলক সিদ্ধান্তের সময় থেকেই প্রায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয় গোটা উপত্যকাকে।

            গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পর উপত্যকার শীর্ষ নেতাদের আটক ও গৃহবন্দী করা হয়।

            সূত্র : এনডিটিভি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/27/32087/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের অন্য পাঁচ সীমান্তে হত্যাকান্ড শূন্য





              বাংলাদেশ সীমান্তে বেপরোয়া গুলি করে মানুষ খুন করছে সন্ত্রাসী বিএসএফ। গত (২২ ও২৩ জানুয়ারি) প্রায় ২৪ ঘান্টায় বিএসএফের গুলিতে ৫ বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।অথচ, ভারতের সাথে ৬টি দেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। এ দেশগুলো হল পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। আর ভারতের সমুদ্র সীমান্ত রয়েছে শ্রীলঙ্কার সাথে। এই সবগুলো দেশের সীমান্তেই ভারতের সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী বা বিএসএফ মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশের সীমান্তে হত্যাকান্ড শূণ্য। অথচ ২০১৭ সালের ৯ মার্চ ভারত- নেপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসীদের এসএসবির গুলিতে গোবিন্দ গৌতম নামে (৩২) এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নেপালের জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়া ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তখন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ডর কাছে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। পরে গোবিন্দ গৌতমকে রাস্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।

              এদিকে, মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসেবে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে সীমান্তে ৪৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিতে ৩৭ জন এবং নির্যাতনে ছয় জন। আহত হয়েছেন ৪৮ জন। অপহৃত হয়েছেন ৩৪ জন। ২০১৮ সালে নিহত হয়েছেন ১৪ জন। বেসরকারি হিসাব ধরলে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যা বেড়েছে তিনগুণের বেশি।

              মানবাধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সীমান্তে নাগরিকদের মৃত্যুতে সরকারের পক্ষ থেকে যতটা জোরালো প্রতিবাদ জানানোর রেওয়াজ ছিল, এখন সেটা ততটা জোরালো নয়। অনেকে হয়রানির ভয়ে বিএসএফের নির্যাতনের কথা স্বীকারও করছেন না।
              নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৃত্যুঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার করার কথা থাকলেও উল্টো মরণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। নানা আশ্বাস ও সমঝোতার পরেও সীমান্তে হত্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বন্ধুত্বসূলভ সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। হত্যাকান্ড বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সর্ব মহলে সমালোচনা চলছে।

              বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম ফজলে আকবর (অব.) দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান ও গরু আনা নিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ বন্ধের পাশাপাশি বিএসএফকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

              মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভারতের সাথে ৬টি দেশের সীমান্ত থাকলেও বাংলাদেশ ছাড়া অন্যদেশের সীমান্তে হত্যাকান্ড নেই বললেই চলে। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ বেপরোয়াভাবে মানুষ খুন করে গুলি ও নির্যাতনের মাধ্যমে। এর মূল কারণ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় আমরা দিতে পারছি না। ভারত বার বার সীমান্তে হত্যা বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে কথা দিয়েও কথা রাখছে না। এ জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সীমান্ত হত্যাবন্ধে কঠোর হতে পারছেনা, এ জন্য আমাদের জাতিসংর্ঘে গিয়ে এ ধরনের হত্যা বন্ধে মামলা করার বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

              বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ থেকে ২৬ এপ্রিল ঢাকার পিলখানায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের (লিথ্যাল উইপন) ব্যবহার হবে না বলে জানানো হয়। বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের মতো বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) কে কে শর্মাও একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিভিন্ন সময়ে যতোই ‘নন-লিথ্যাল উইপন’ ব্যবহারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ঘটেছে উল্টোটি।

              গত ২ জানুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবির হিসাবে গতবছর সীমান্ত হত্যার সংখ্যা ৩৫। তবে গত চার বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। তিনি বলেন, আমরা বিএসএফকে এ বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিএসএফ প্রধানও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

              সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে ৪৩ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ৩৯ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ভায়বহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে গত বছরের ২৭ এপ্রিল। ওইদিন নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী রাঙামাটি এলাকায় আজিম উদ্দিন নামে এক যুবককে আটকের পর তার দুই হাতের ১০টি আঙুলের নখ তুলে ফেলে রাইফেলের হাতল ও লাঠি দিয়ে বর্বর নির্যাতন করা হয়।

              আসকের তথ্যে দেখা যায়, ২০১৫ সালে বিএসএফের হাতে ৪৬ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩১ জনে। ২০১৭ সালে ছিল ২৮। একছর পর ২০১৮ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৪ জনে। অথচ একবছরের মাথায় ২০১৯ সালে সীমান্তে হত্যার শিকার হয় ৪৩ বাংলাদেশী। তিনগুণেরও বেশি। এর আগে ২০০৯ সালে বিএসএফের গুলিতে রেকর্ড সংখ্যক ৬৬ জন বাংলাদেশি হত্যার শিকার হয়েছিল।

              বিজিবি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় দাবি করা হতো যে, গরু চোরাচালানে জড়িত থাকার কারণে ৯৫ শতাংশ গুলির ঘটনা ঘটেছে। যদিও গত কয়েক বছরে গরু চোরাচালনের ঘটনা একেবারে কমে গেছে। ২০১৪ সালে ভারত গরু রফতানি বন্ধের পর বাংলাদেশ গরু উৎপাদনে যথেষ্ট। বিজিবির এক তথ্যে দেখা যায়, গরু নিষিদ্ধের আগে ২০১৩ সালে ঈদুল আযহায় ২.৩ মিলিয়ন গরু আসতো। অথচ ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৯২ হাজার।

              আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, গত এক বছরে সীমান্তে হত্যা অনেক বেড়েছে। সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী সীমান্ত পার করছেন এমন কাউকে দেখলেই গুলি করছে। এই প্রবণতা বদলাতে হবে। তিনি বলেন, দুই দেশের সীমান্তে অনেক অভিন্ন পাড়া রয়েছে। যেখানকার মানুষেরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও জীবিকার সন্ধানেও অনেকে সীমান্ত পারাপার হয়। শীফা হাফিজা বলেন, দেখা মাত্রই গুলি করা মারাত্মক ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘন। এমনটি না করে দুদেশের আইন মতে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা উচিত। সীমান্ত হত্যা ঠেকাতে সব কিছু বিবেচনার পাশপাশি ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের কথাও মাথায় রেখে নতুন বছরে কাজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
              সূত্র: ইনকিলাব


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/27/32060/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সীমান্তে সন্ত্রাসী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যায় জাবি শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ



                বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে একাই আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থী।

                প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থীর নাম আদিব আরিফ। গেল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিক থেকে চার দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন চালিয়ে আসছেন তিনি।

                আরিফের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রবিবার অনশনে যোগ দেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) বিবিএ-এর শিক্ষার্থী নাজমুল করিম।

                তাদের দাবিগুলো হল-

                ১.ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সকল হত্যার আন্তর্জাতিক আইনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
                ২.ভারতকে সীমান্ত হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে আর হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
                ৩.সীমান্তে হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে তদন্ত সাপেক্ষে দুই দেশের যৌথভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

                ৪.বাংলাদেশের সংসদে সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ করে নিন্দা জানাতে হবে।

                এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ বলেন, “প্রতিনিয়ত সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে কথিত ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র ভারত। কিন্তু এই মানুষ হত্যার অনুভূতিটা এখন আর আমাদের মাঝে নেই। আমরা প্রতিদিন ধর্ষণ করে হত্যা, নির্যাতনে হত্যা, ক্রসফায়ারে হত্যা, বোমা মেরে হত্যা শুনতে শুনতে একেবারে অনুভূতিহীন হয়ে গেছি। এই অনুভূতিটা আবার জেগে ওঠে যখন নিজের, বাবা, ভাই কিংবা বোন হত্যার শিকার হয়।”

                বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার কিছু পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন আরিফ। তিনি বলেন, “গত দশ বছরে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালে সীমান্তে ভারত ৩০০ মানুষ হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৪৬। আর ২০২০ সালে মাত্র ২৩ দিনেই হত্যা করেছে ১৫ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্তে হত্যা তিনগুণ। আর এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সালে সংখ্যাটা ৪০০ও ছাড়াতে পারে। কিছুদিন আগে নিউজে দেখলাম ১১ বছর আগে বাবাকে মেরেছে বিএসএফ এবার মারলো ছেলেকে। ”

                সবাইকে এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে রাস্তায় এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “একবার চিন্তা করেছেন এই আমরাই ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, ৪ জনের হত্যার প্রতিবাদে পুরো দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে মায়ের ভাষার জন্য লড়াই করেছি। আর সেই আমরাই ২০২০ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এসেও কি রকম চেতনাহীন হয়ে গেছি। ”

                তিনি আরও বলেন, “এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। এভাবে চলতে পারে না। পাশের দেশ নেপাল দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ১ জন মানুষকে মারলেও তার প্রতিবাদ করতে হয়। এবার জেগে ওঠুন, প্রতিবাদ করুন। কত সময় নানা কাজে ব্যয় করেন। দশটা মিনিট দেশের জন্য প্রতিবাদ করুন। রাস্তায় নেমে আসুন। আর শিক্ষার্থী ভাইদের বলি কত সময় আড্ডায়, ফোনে গেম খেলে নষ্ট করেন। এবার একটু বাস্তব জীবনে খেলুন। ভাইয়ের জন্য দাড়াঁন, দেশের জন্য দাড়াঁন। আর কোনও হত্যা নয়, এবার হবে প্রতিবাদ। ”

                সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/28/321...0&preview=true
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত



                  সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার বেলা ১টা ১০ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সময় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৪ দশমিক ২। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে আতঙ্ক তৈরি হয় জনমনে।

                  আতঙ্কে অনেকে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে বের হয়ে আসেন রাস্তায়। তবে ভূমিকম্পে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

                  সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল জানিয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।

                  ভূমিকম্পটি সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অনুভূত হয়েছে। এই প্রথম সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হলো। এই উৎপত্তিস্থলের পাশেই রয়েছে ডাউকি ফল্ট।

                  নতুন এই উৎপত্তিস্থল নিয়ে তত্ত্বানুসন্ধান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ সাঈদ।

                  সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/28/32118/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের কে হেফাজত করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X