Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৩রা জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে জানুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    আগের চেয়েও তীব্র আকার ধারণ করেছে সিরিয়ার চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ!



    সাম্প্রতিক সময় শাম/সিরিয়ার চলমান লড়াই আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী ইদলিব সিটি দখলে নিতে তাদেন পূর্ণ শক্তি ব্যায় করছে। অপরদিকে আল্লাহর কিছু খাস বান্দা তাদের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ে তুলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এক্ষেত্রে আধুনিক অস্ত্র ও বিমান হামলার সামনে মুজাহিদগণ অনেক ক্ষেত্রে পিছু হটতেএ বাধ্য হচ্ছেন, কিন্তু তারা এক্ষেত্রে তাদের চেষ্টায় সামান্যও ত্রুটি করছেননা।

    সিরিয়া থেকে পাওয়া আজকের সংবাদ হচ্ছে, কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী ইদলিব সিটির বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছেন। বর্তমানে ইদলিবের গুরুত্বপূর্ণ শহর “মারআত আন-নোমান” শহরের ভিতরে তীব্র লড়াই শুরু হয়েগেছে, শহরটিরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কুফ্ফার বাহিনী, এরপর তাদের লক্ষ্য ইদলিবের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ শহর “খান-তুমান”।

    কুফ্ফার ও মুরতাদ বাহিনী যুদ্ধের সকল নিয়ম ভঙ্গকরে সকল ধরণেন নিষিদ্ধ ও ভয়াবহ মরণাস্ত্রও ব্যাবহার করতে কুণ্ঠাবোধ করছেনা এই যুদ্ধে। যার ফলে হতাহত হচ্ছেন প্রতিমূহুর্তে অনেক সাধারণ নিরপরাধ বেসামরিক লোক।

    বর্তমানে ইদলিব সিটির সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত হাজার হাজান মুসলিম নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দ্যেশে অজানা গন্তব্যে যাত্রা শুরু করেছেন।




    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32202/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আফগানিস্তানে এক বছরে মার্কিন ক্রুসেডাদের ৭৪২৩টি বোমা বর্ষণ!



    গত ১০ বছরের মধ্যে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি বোমা মেরেছে।যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্সেস সেন্ট্রাল কমান্ড সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ২০১৯ সালে তারা আফগানিস্তানে ৭,৪২৩টি বোমা মেরেছে। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট সন্ত্রাসী বারাক ওবামার আমলে ২০০৯ সালে ৪১৪৭টি বোমা মারা হয়েছিল। সেটি ছিল গত ১০ বছরের মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি বোমা বর্ষণের ঘটনা।

    আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী আফগানিস্তানে বিমান হামলা জোরদার করে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিমান হামলার উপর থেকে সীমাবদ্ধতাও তুলে নেয়া হয়। ফলে, মার্কিন সন্ত্রাসীদের বোমা বর্ষণের কারণে আফগানিস্তানে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32221/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনাভাইরাসে মৃতের সঠিক তথ্য দিচ্ছে না চীন!



      চীনে হঠাৎ করেই নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ‘করোনা’ নামের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দিন দিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নতুন এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

      আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে অন্তত দেড়শতাধিক মানুষ মারা গেছে।

      আর আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি নাগরিক। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক তথ্য দিচ্ছে না চীন। সেখানকার গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেখানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

      এদিকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এই ভাইরাসের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা না গেলেও জনমনে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চীন ছাড়াও এই করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৬টি দেশে ছড়িয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

      এই জটিল ভাইরাসের উৎপত্তি যে দেশে সেই চীনেই আতঙ্কে সময় পার করছেন বসবাসরত বাংলাদেশিরা। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সেই তথ্য জানা না গেলেও বেশির ভাগ বাংলাদেশিই এখন দেশে ফিরতে উদগ্রিব।

      চীনের ইয়াননান প্রদেশের কুনমিং সিটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্ণ সিদ্দিকী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন ভাইরাস নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। এখানে এই ভাইরাসে মৃতের বা আক্রান্তের সঠিক তথ্য কোনো গণমাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে না। চীন সরকার এসব তথ্য প্রকাশ করছে না। এখন পযর্ন্ত চীনে ১০ হাজার মানুষ মারা গেছে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি।

      কুনমিংয়ের ইয়াননান বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ কালচার এবং সাহিত্য নিয়ে অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, খুব অল্প সময়ে চারপাশে খুব ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

      দেশে ফেরার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বর্ণ সিদ্দিকী বলেন, চারপাশে পরিস্থিতি নিয়ে আমিও আতঙ্কিত। অনেক বাংলাদেশিই দেশে ফিরছেন তবে এই মুহূর্তে আমি দেশে ফিরতে আগ্রহী নই। কারণ এখন আমরা যারা এখানে আছি তারা দেশে ফিরলে কারো না কারো শরীরে এই ভাইরাস দেশে চলে যেতে পারে। তাই দেশের কথা ভেবে আপাতত আমাদের এখানেই থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।

      এদিকে বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাসান মাশরুর তানজিল দেশে ফেরার কথা ভাবছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেইজিং থেকে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। আমিই দেরি করে ফেলেছি। শিগগিরই দেশে ফিরবো। টিকেট কেটেছি।

      হাসান মাশরুর বলেন, এখানে ৮০ জন শনাক্ত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে চীনের কোনো গণমাধ্যম এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য বা সহযোগীতা করা হচ্ছে না। তারা তো যোগাযোগ করেই না বরং তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও রেস্পন্স করে না। আজকে একটা মিটিং ছিল তবে এই মিটিং পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আমি জানি না।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32188/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভস্থলে গুলিতে ইমামসহ নিহত ২



        এবার ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলি চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। এতে স্থানীয় মসজিদের ইমামসহ অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

        ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে চলমান বিক্ষোভে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন *দুজন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

        গত ১ ডিসেম্বর আইনে পরিণত হয় ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব বিল। তারপর থেকে দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক আকার নিয়েছিল জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও জেএনইউ-তে।

        ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায় মুর্শিদাবাদে নিহতদের নাম সানারুল বিশ্বাস (৬০) ও সালাউদ্দিন শেখ (১৭)।আহত হয়েছেন তিনজন।

        স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বুধবার সকালে ওই এলাকাটিতে সিএএ বাতিল ও এনআরসির বিরুদ্ধে ‘নবজাগরণ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বরাতে বলা হয়েছে, ওই সংগঠনে বিভিন্ন রাজনৈতির দলের কর্মীরা থাকলেও তারা মূলত অরাজনৈতিক একটি আন্দোলন তৈরির চেষ্টা করেছিলেন।

        ইমদাদুল হক নামে অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান উপস্থিত ছিলেন। তাদের নির্দেশেই সঙ্গে থাকা তৃণমূলের লোকজন বাজারে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে বোমা মারতে থাকে। পরে স্থানীয়রা প্রতিরোধ করতেই চলে যাওয়ার পথে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে দুইজন মারা যান ও তিনজন গুরুতর জখম হন।

        নিহত সানারুল বিশ্বাসের ছেলে সাহারুল জানান, তার বাবা প্রতিদিন মসজিদে নামাজ পড়তেন। সেখান থেকে ফিরে আসার সময়ই কয়েকটি মারুতি ভ্যান এসে গুলি চালাতে শুরু করে। সেই গুলিতেই তার বাবা মারা যান। পুলিশ তাকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টাই করেনি বলেও অভিযোগ করেন সাহারুল।

        মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল শুরু থেকেই এনআরসি, সিএএ ও বিরোধী আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু তাদের লোকেরাই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে।

        স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এলোপাথারি গুলিতে কয়েকজন আহত হলে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা হলেন- আনারুল বিশ্বাস (৬৫) ও সালাউদ্দিন শেখ (১৭)। আনারুল স্থানীয় মসজিদের ইমাম।

        স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস কোনোভাবে জানতে পারে বুধবার জলঙ্গিতে যে মিছিল ও বনধ পালন করা হবে তার নেপথ্যে রয়েছে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল মজলিস-ই-মুত্তেহাদিন মুসলিমিন (মিম)। এতে সায় ছিল না তৃণমূলের। তারা চাইছিল এ রাজ্যে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন ও বিক্ষোভ হবে শুধু তাদের নেতৃত্বে।

        তৃণমূলের নিষেধ না শুনে বুধবার সকালে সাহেবনগরে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ ও মিছিল শুরু হয়, পথ অবরোধ করা হয়। আর তাতেই তারা খেপে যায় তৃণমূল।

        হতাহতদের পরিবারের দাবি করেছে, তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তাহলে কেন তৃণমূল গুলি চালালো। আসলে সিএএ বাস্তবায়ন হোক তৃণমূল তা চায় বলেও মন্তব্য তাদের।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32224/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বের ভূমিকা আজও পালন করুক’ দেওবন্দ মজলিসে শূরার প্রতি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি



          সম্প্রতি ভারতের দারুল দেওবন্দের মজলিসে শূরা ও প্রশাসনের নামে লেখা দীর্ঘ ৮ পৃষ্ঠার একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। চিঠিটি দেওবন্দ শিক্ষার্থীদের বলে দাবি করা হয়েছে।

          ভাইরাল হওয়া চিঠি নিয়ে ইতোমধ্যেই দারুল উলুম দেওবন্দে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে কোনও শিক্ষার্থী, ইন্সটিটিউট বা সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়নি চিঠিতে। -খবর মিল্লাত টাইমসের।

          ভাইরাল হওয়া ওই চিঠিতে দারুল উলুমে মজলিসে শূরা বরাবর আবেদন করা হয়েছে, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে দেওবন্দ যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আজও সেই ভূমিকা পালন করুক। দেওবন্দ আবারও একজন শাইখুল হিন্দ জন্ম দিক।’

          মিল্লাত টাইমসের খবরে বলা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আবনায়ে দেওবন্দ নামে একটি ফেসবুক পেজে চিঠিটি পোস্ট করা হলে দ্রুতই তা দেওবন্দ ও আশপাশের মাদরাসা ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।

          চিঠিতে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতাদের মিশন এবং প্রতিষ্ঠাতার উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সাথে সাথে বর্তমানে দেওবন্দের ইলমী, আমলি কার্যক্রম ও তার সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

          চিঠিতে বলা হয়, হজরত কাসেম নানুতুবী, শাইখুল হিন্দ ও শাইখুল ইসলামের তালিম তারবিয়াতের সু-খ্যাতির সাথে সাথে জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে যোগ্য শাগরেদ তৈরি করতেন। অথচ বর্তমান অবস্থা সংকটপূর্ণ ও পূর্বের বিপরীত।

          দেওবন্দের তালিম, তারবিয়াত ও সামাজিকতার উপর ভিত্তি করে চিঠির শেষে বেশকিছু প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে এবং দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার ভিত্তিমূল হজরত নানুতুবী, হজরত গাঙ্গুহী, হজরত শাইখুল হিন্দের আদর্শের উপর বহাল রেখে নববী ইলমের ওয়ারিশদের সঠিক পথে পরিচালনার দাবি করা হয়েছে।

          দেওবন্দের বর্তমান কার্যক্রম নববী মিশন ও আকাবির হজরতের আদর্শের বিপরীত বলেও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।

          চিঠিতে আরও বলা হয়, হজরত নানুতুবী ও শাইখুল হিন্দ যেভাবে ছাত্রদের ইলমি ও আমলি তারবিয়াত দিতেন সেই গাম্ভীর্যতার সাথে আবারো তালিম, তারবিয়াত শুরু করা হোক। যেই তারবিয়াতে নামাজ রোজা-পালনের সাথে সাথে সমাজ, রাজনীতিতে ভূমিকা রাখার সাথে সাথে মানুষের আধ্যাত্মিক রাহনুমায়ির প্রতিও খেয়াল রাখা হবে।

          দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে দ্রুতই কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে তা সমাধান করার দাবি জানানো হয় চিঠিতে। এসব কার্যক্রমে সরাসরি দারুল উলুমের উস্তাদদের তত্ত্বাবধায়নেরও কথা বলা হয় চিঠিতে।

          যেভাবে তত্ত্বাবধায়ন করতেন শাইখুল হিন্দ, শাইখুল হাদিস, আল্লামা শিব্বীর আহমদ উসমানী রহ. প্রমুখ। প্রয়োজনে এর জন্য আলাদা প্লাটফর্ম তৈরি করা হোক অথবা এই প্লাটফর্মের অধীনেই তা কার্যকর করা হোক।

          শিক্ষার্থীদের এই চিঠির ব্যাপারে দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই চিঠির লেখক সম্পর্কেও এখনো কিছুই জানা যায়নি।

          উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দেওবন্দ শিক্ষার্থীরা ভারত সরকারের অবৈধ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমে দুই ঘন্টার জন্য পুরো শহর অবরুদ্ধ করে রাখেন। যে কারণে পুলিশ প্রশাসনের সাথে সাথে দেওবন্দ প্রশাসনও কঠোর পদক্ষেপ নেয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ অজ্ঞাত নামা ২৫০ জনের নামে মামলা করে।

          এরপর দেওবন্দ প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে মজলিসে শূরার বৈঠকের ডাক দেয় এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। (সূত্র: মিল্লাত টাইমস)

          নিচে মূল চিঠিটি তুলে ধরা হল:

          *طلبۂ دارالعلوم دیوبند کی جانب سے ارباب دارالعلوم کے نام کھلا خط.*

          *مؤقر اراکین شوری، محترم مہتمم صاحب اور اساتذۂ عظام، دارالعلوم دیوبند!!*

          السلام علیکم ورحمۃاللہ وبرکاتہ
          امید ہے مزاج عالی بخیر ہونگے!!
          ہم طلبۂ دارالعلوم اپنے بڑوں کی خدمت میں ان معروضات کے ذریعے ، دارالعلوم کے داخلی امور تعلیم و تربیت ، اور ملک کے موجودہ حالات کے تناظر میں چند ناگزیر سوالات کو مرکز توجہ بنانا چاہتے ہیں –
          اس وقت ملک میں اسلام اور مسلمانوں کو جس شدید ترین بحران کا سامناہے ، آزاد ہندوستان میں اس سے قبل اس قسم کی زہرناک صورت حال کا نہ تو کوئی وجود تھا اور نہ ہی کوئی تصور کرسکتا تھا –
          پہلے گائے کے نام پر دن دہاڑے تشدد و بربریت ، موب لنچنگ ، سپریم کورٹ کی جانب سے بابری مسجد پر انتہائی غیر منصفانہ فیصلہ ، تین طلاق پر قانون بناکر براہ راست شریعت میں مداخلت، دفعہ 370 اور 35A کی جبری منسوخی ، اور پھر اس کے بعد شہریت ترمیمی بل کا شوشہ چھوڑنا، اور صرف شوشہ ہی نہیں بلکہ اسے دونوں ایوانوں سے پاس کرواکے CAA کے نام سے باقاعدہ قانون کی شکل دے ڈالنا، اس کے بعد NRC کا اعلان کرکے تمام باشندگان ہند کی شہریت پر سوالیہ نشان کھڑا کر دینا، NPR کے مندرجات میں اضافہ کرکے بے تکے مطالبات کرنا ، اور اب فیملی پلاننگ اور دو بچوں کے قانون ، پرسنل لا کے خاتمے ( طلاق ثلاثہ قانون کو تھوپ کر اس کی جانب ایک قدم بڑھایا بھی جاچکا ہے ) اور یکساں سول کوڈ کے نفاذ کا عندیہ دینا ؛ اور ان سب غیر انسانی اقدامات پر ہٹ دھرمی کا مظاہرہ کرتے ہوئے ڈٹ جانا ؛ یہ تمام جد و جہد آئین ہند کو کالعدم کردینے اور جمہوریت کی روح کو کچل دینے کی انتہائی منظم اور آخری کوششیں ہیں ، جو مکمل تسلسل اور بے پناہ کد و کاوش کے ساتھ پچھلی ایک صدی سے جاری و ساری ہیں ؛ اور اب یہ بات پوری شفافیت کے ساتھ منظر عام پر آچکی ہے کہ ہندو مہاسبھا اور اس کے بعد آر ایس ایس کے قیام کے روز اول ہی سے بھگواداریوں کا اصل ہدف ، اسلام اور اہل اسلام کے وجود و بقاء کو چیلنج کرنا ، اپنے مشن میں حائل لوگوں کو شکست و ریخت سے دوچار کرنا اور بالآخر صدیوں پرانا ذات پات پر مبنی انسانیت سوز برہمنی نظام قائم کرنا ہے ؛ اور موجودہ حالات میں یہ اس وقت تک ممکن نہیں جب تک کہ سیکولر اور جمہوری آئین کو کالعدم کرنے کا خواب شرمندۂ تعبیر نہ کرلیاجائے ، لہذا اس نازک ترین وقت میں بھی اگر ہم نے برادران وطن کے ساتھ مل کر شدید مزاحمت نہ کی تو ہندو راشٹر کا قیام اب کوئی دور کی چیز نظر نہیں آتی ؛ چوں کہ حکومت اور ہندوتو کے وفادار آج اس مقام پر ہیں کہ جمہوریت کے چاروں ستون : عدلیہ ، مقننہ ، انتظامیہ اور صحافت پر انہیں مکمل کنٹرول حاصل ہے ، اور ان چاروں ذرائع کو اپنے مقاصد کی تکمیل کےلئے من چاہے انداز میں استعمال کررہے ہیں –
          مگر خوش آئند بات یہ ہے کہ طاقت کے نشے میں چور بدطینت حکومت کے غیر قانونی فیصلے جب حد سے تجاوز کرگئے تو اس کے خلاف ملک کے دو تاریخی مراکز جامعہ ملیہ اسلامیہ اور علی گڑھ مسلم یونیورسٹی سے بیک وقت تحریکیں اٹھیں، دیکھتے ہی دیکھتے جس نے ملک گیر صورت اختیار کرلی اور آج نوبت یہ ہے کہ مسلمانوں کے ساتھ سیکولر برادران وطن بھی آئین کے تحفظ کےلیے غیر آئینی اقدامات کرنے والی فاشسٹ مقتدرہ کے اعلان جنگ پر لبیک کہتے ہوئے میدان جنگ میں کود چکے ہیں!
          لیکن!!!
          سب سے بڑا سوال یہ ہے کہ ایسے نازک موڑ پر ، اس قدر فیصلہ کن وقت میں ہماری مذہبی قیادت اور اس کی اقتداء میں مذہبی طبقے کی اکثریت کہاں کھڑی ہے اور کیا کر رہی ہے؟؟
          اور اس کا حقیقی کردار کیا ہونا چاہیے؟؟
          آئیے ان سوالات کے جوابات تلاش کرتے ہیں!
          پہلا سوال : ہمارا مذہبی طبقہ کہاں کھڑا ہے اور کیا کر رہا ہے؟؟
          اس کا مختصر جواب یہ ہے کہ دیوار کے پیچھے کھڑا ہے اور تماشا دیکھ رہا ہے!!
          دوسرا سوال : ہمارا حقیقی کردار کیا ہونا چاہیے؟؟
          اس کا جواب جاننے سے پہلے ضروری ہے کہ ہم اپنی حیثیت کا تعین کریں تاکہ اسی میزان پر اپنے کردار کو تول سکیں ۔
          یوں تو دنیا میں تمام ہی اقوام اور جماعتوں کی بہت ساری حیثیتیں ہواکرتی ہیں ، لیکن موجودہ تناظر میں ہم عرض گزاران کی نظر میں ہماری سب سے اہم حیثیتیں دو ہیں ۔
          (١) وارثین انبیاء.
          (٢) جانشین نانوتوی و شیخ الہند.
          جب یہ طے ہوگیا ہے کہ ہماری یہ دو اہم حیثیتیں ہیں تو یہ سمجھنا ضروری ہے کہ یہ دونوں حیثیتیں ہمارے اوپر کیا ذمہ داریاں عائد کرتی ہیں؟؟
          سیدھے سادے الفاظ میں وراثت نبوی کا مطلب رسول الله صلی الله علیه وسلم کی ہمہ گیر تعلیمات کو سیکھنا ، اس کا عملی مظہر بننا اور عامۃ المسلمین کو سکھانے کے لیے کوشاں رہنا اور اس پر عمل کے لیے ابھارناہے ۔
          اب ذرا سوچیے!!
          کیا مسلمانوں کے وجود پر اور آنے والی نسلوں میں اسلام کی بقاء پرمسلسل حملوں کے بعد ہندوستان میں اسلام اور مسلمانوں کے وجود و بقا کے لئے اٹھ کھڑے ہونا، ہرممکن مزاحمت کرنا، ایک ہدف مقرر کرکے نتیجہ خیز تدریجی منصوبہ بندی کرنا اور اس پر پوری تندہی کے ساتھ عمل پیرا ہوجانا، وراثت نبوی کے زمرے میں آتا ہے یا نہیں؟؟
          اگر ہاں! تو آپ لوگوں کی جانب سے بحیثیت وارثین انبیاء ، ملت اسلامیہ اور مذہب اسلام کے دفاع کے لیے اور درپیش خطرات کے مقابلے کے لیے کیا منصوبہ بندی کی گئی ہے؟؟
          اور اگر ان تمام چیزوں کو وارثین انبیاء کی ذمہ داریوں میں نہیں سمجھتے تو کھل کر اپنا موقف ظاہر فرمائیں!
          ہماری دوسری حیثیت حضرت نانوتوی اور حضرت شیخ الہند کے جانشین کی ہے!
          سیدنا الامام الکبیر محمد قاسم نانوتوی رحمه اللّٰه قصر دیوبندیت کے مؤسس اعظم ہیں ، اور آپ کی قائم کی ہوئی بنیادوں پر آپ کے تخیلاتی محل کو تعمیر کرکے حقیقت کا روپ دینے والے آپ کے سب سے اکمل و ارشد جانشین ، شیخ الہند محمود الحسن دیوبندی رحمه اللّٰه اس کے معمار اعظم ہیں!
          آئیے! انہی کی زبانی سنتے ہیں کہ دیوبندیت کا نہج اور مقصد کیا ہے؟؟
          حضرت شیخ الہند فرماتے ہیں:
          حضرت الاستاذ ( مولانا قاسم نانوتوی ) نے اس مدرسے کو کیا درس و تدریس اور تعلیم و تعلم کے لیے قائم کیا تھا؟
          مدرسہ میرے سامنے قائم ہوا جہاں تک میں جانتا ہوں ١٨٥٧ کے ہنگامے کی ناکامی کے بعد یہ ارادہ کیا گیا کہ کوئی ایسا مرکز قائم کیا جائے جس کے زیر اثر لوگوں کو تیار کیا جائے تاکہ ١٨٥٧ کی ناکامی کی تلافی کی جائے!
          پھر اس کے بعد فرماتے ہیں:
          تعلیم و تعلم اور درس و تدریس جن کا مقصد اور نصب العین ہے میں ان کی راہ میں مزاحم نہیں ہوں لیکن خود اپنے لیے تو اسی راہ کا میں نے انتخاب کیا ہے جس کے لئے دارالعلوم کا یہ نظام میرے نزدیک حضرت الاستاذ نے قائم کیا تھا!
          ( احاطۂ دارالعلوم میں بیتے ہوئے دن ص ١٧٠/١٧١ ، بعینه یہی عبارت سوانح قاسمی ج ٢ ص ٢٢٦ پر موجود ہے)
          اب ذرا اندازہ لگائیے کہ تعلیم وتعلم سے علیحدہ وہ کیا مقصد ہے جو مؤسس اعظم کے پیش نظر تھا جسکو آپکے سچے روحانی فرزند حضرت شیخ الہند نے آپ کی جانب منسوب فرماکر بیان کیا اور خود بھی اسی پر قائم رہنے کا فیصلہ کیا، اور اسے ٥٧ کی تلافی سے تعبیر کیا،
          ٥٧ کا ہنگامہ کیا تھا اور کیوں تھا؟ اور اس کی تلافی کیوں کر ممکن ہے؟؟
          غدر ستاون مسلمانوں کے تشخص کی حفاظت کیلئے ایک مزاحمتی تحریک تھی جس کا مقصد اسلامیان ہند کو برٹش ایمپائر کی ذہنی و فکری یلغار سے چھٹکارا دلانا تھا مگر بمشیت ایزدی جب وہ منصوبہ کامیاب نہ ہو سکا تو اس کی تلافی کے لیے دارالعلوم دیوبند کی شکل میں ایک مرکز قائم کیا گیا تاکہ اس میں ایسے افراد تیار ہوں جو ملت اسلامیہ کو غلامی کے اس خطرناک بھنور سے نکالیں ، نیز قیام دارالعلوم کے وقت حضرت نانوتوی کی نقل وحرکت اور دوڑ دھوپ بھی صراحت کے ساتھ آپ کی حقیقی فکر و نظر بیان کرنے کے لیے کافی ہے ، سوانح قاسمی از : مولانا مناظر احسن گیلانی اور تاریخ دارالعلوم دیوبند از : محبوب رضوی کی عبارتیں اور اقتباسات اس پر وضاحت کے ساتھ دال ہیں، طوالت کے خوف سے ہم یہاں نقل کرنے سے قاصر ہیں –
          سردست حضرت شیخ الہند رحمہ اللہ کا درج بالا اقتباس تحریک دیوبندیت کی مقصدیت کو واضح کرنے کے لیے کافی ہے ۔
          نیز علی گڑھ کے خطبۂ صدارت میں موجود آپ کی بعض عبارتیں بھی نہایت حیران کن اور موجودہ حالات میں بڑی معنی خیز ہیں ۔
          ملاحظہ فرمائیں! ” میں نے اس پیرانہ سالی اور علالت و نقاہت کی حالت میں آپ کی اس دعوت پر اس لیے لبیک کہا کیوں کہ میں اپنی ایک گمشدہ متاع کو یہاں پانے کا امیدوار ہوں، بہت سے نیک بندے ہیں جن کے چہروں پر نماز کا نور، ذکر الله کی روشنی جھلک رہی ہے، لیکن جب ان سے کہا جاتا ہے کہ خدارا جلد اٹھو اور اس امت مرحومہ کو کفار کے نرغے سے بچاؤ تو ان کے دلوں پر خوف و ہراس طاری ہوجاتا ہے ، خدا کا نہیں بلکہ چند ناپاک ہستیوں کا اور انکے سامان حرب و ضرب کا!
          پھر چند سطور کے بعد فرماتے ہیں!
          اے نونہالان وطن!!
          جب میں نے دیکھا کہ میرے اس درد کے غم خوار جس میں میری ہڈیاں پگھلی جارہی ہیں مدرسوں اور خانقاہوں میں کم اور سکولوں اور کالجوں میں زیادہ ہیں، تو میں نے اورچند مخلص احباب نے ایک قدم علیگڑھ کی طرف بڑھایا اور اس طرح ہم نے ہندوستان کے دو تاریخی مقاموں دیوبند اور علی گڑھ کا رشتہ جوڑا۔
          (نقش حیات ج ٢ صفحہ ٥٥٦ ، مطبع دارالاشاعت کراچی)
          اور جمعیت علمائے ہند کے دوسرے اجلاس عام کے خطبۂ صدارت میں میں آپنے فرمایا: جو لوگ کشمکش زمانہ سے پہلو تہی کرتے ہیں اور مدرسوں اور مسجدوں کے حجروں میں بیٹھے رہنے کو اسلام کی خدمت کے لیے کافی سمجھتے ہیں وہ اسلام کے پاک صاف دامن پر داغ ہیں.
          مذکورہ اقتباسات سے مزید کھل کر یہ بات سامنے آجاتی ہے کہ حضرت شیخ الہند رسمی تعلیم و تعلم اور نرے درس وتدریس کو کس نگاہ سے دیکھتے ہیں، اور اسی کو سب کچھ سمجھنے والے علماء سے کس قدر مایوس و بدظن ہیں۔
          اس کے علاوہ دارالعلوم کے قدیم دستور اساسی میں قیام دارالعلوم کے جو پانچ مقاصد بیان کیے گئے ہیں ان میں سے بھی کچھ درج ذیل ہیں:
          اعمال اور اخلاق اسلامیہ کی تربیت اور طلبہ کے اندر اسلامی روح بیدار کرنا.
          اسلام کی تبلیغ و اشاعت اور دین کا تحفظ و دفاع.
          حکومت کے اثرات سے اجتناب و احتراز اور علم و فکر کی آزادی کو برقرار رکھنا.
          تاریخ دارالعلوم ج ١ ص ١٤٢
          نیز حکیم الاسلام حضرت مولانا قاری محمد طیب صاحب رحمۃ اللہ علیہ نے دارالعلوم دیوبند کے نصب العین کی تشریح کرتے ہوئے جو پانچ نکات بیان فرمائے ہیں ان میں سے بھی چند ہم یہاں ملحق کرتے ہیں۔
          اول : مذہبیت ، دارالعلوم دیوبند مذہبی قوت کا سرچشمہ اور اول سے آخر تک اسلام کے دستور و آئین کا پابند ، یہاں ہر شخص اسلام کا نمونۂ کامل ہے۔
          دوم: آزادی، جس کے معنی ہیں کہ دارالعلوم دیوبند مکمل طور پر بیرونی غلامی کے خلاف ہے، اس کا نظام تعلیم و تربیت ،اس کا نظام مالیات اور اس کا نظام اجتماعی سرتاسر آزاد ہے ۔
          تاریخ دارالعلوم ج 1 ص 144
          سطور بالا میں کل پانچ نکات موجود ہیں، جن میں سے دو نکات کو ہم نے طوالت کے خوف سے اور موضوع سے خارج ہونے کی بناپر مکمل نقل نہیں کیا ہے!
          ہم پانچ پوائنٹس کا نچوڑ سامنے رکھ کر بات آگے بڑھاتے ہیں!
          (١) دینی تعلیم و تربیت اور رجال سازی
          (٢) اسلام کی اشاعت ، تحفظ اور دفاع.
          (٣) کسی بھی حکومت ، ادارے یا فرد کے اثرات سے کامل آزادی تاکہ کسی بھی مرحلے پر بے لاگ موقف قائم کرتے ہوے کسی بھی قسم کا دباؤ اور باک نہ ہو.
          (٤) اسلام کے دستور و آئین کی مکمل پابندی.
          * (١) دینی تعلیم و تربیت اور رجال سازی*
          مدارس اسلامیہ کا بنیادی مقصد یقینا تعلیم و تربیت ہے لیکن مسئلہ یہ ہے کہ فراغت کے بعد میدان عمل میں فضلاء کرام کو جن مخاطبین سے سامنا ہوتا ہے ، ان میں تمام شعبہ ہائے زندگی کے افراد شامل ہیں جن کی علمی و عملی استعداد اور ذہنی و فکری کیفیات مختلف و متنوع ہوتی ہیں –
          لہذا ابلاغ کا حق صحیح طور پر انجام دینے کے لئے عصری تقاضوں اور متعلقہ افراد و اشخاص کی نفسیات سے آگاہی نہایت ضروری ہے – اور یہی سنت الٰہی بھی ہے کہ وہ ہمیشہ نبیوں اور رسولوں کو انہی کی قوموں کی طرف مبعوث فرماتا رہاہے تاکہ داعی و مدعو دونوں ایک دوسرے کے انداز و اطوار اور زبان و بیان سے واقف ہوں اور مانوس فضا میں ابلاغ کا فریضہ انجام پذیر ہو –
          اب سوال یہ ہے کہ کیا ہمارے فضلاء میں اتنی استعداد و اہلیت پیدا کرنے کی کوشش کی جاتی ہے کہ وہ ملحدانہ و متشککانہ پس منظر رکھنے والے ادباء و مفکرین اور عصری تعلیم یافتہ حضرات کو قائل و مطمئن کرنے والے انداز میں مخاطب بناسکیں، اور دیگر مذاھب کے لوگوں کو اسلام کی حقانیت کا یقین دلا پائیں؟
          ہمارا مدعا یہ بالکل نہیں ہے کہ سائنس و ریاضی جیسے فنون کو داخل نصاب کیا جائے ، فقط اتنی التجاء ہے کہ سائنس دانوں، انجینیروں اور دیگر تعلیم یافتہ حضرات کی ذہنی و فکری ساخت اور موجودہ زمانے کے گمراہ کن نظریات سے اتنی واقفیت ہر طالب علم میں پیدا کرنے کی حتی الامکان سعی کی جائے جس کی بنیاد پر فراغت کے بعد وہ اپنے آپ کو کمتر اور اجنبی محسوس نہ کرے اور تمام باطل و گمراہ کن علوم و فنون کے مقابلے میں علم الہی کی برتری کو مبرہن و مدلل کرسکے اور یہی وجہ ہے کہ صدیوں پہلے ہمارے اسلاف نے حکمت و منطق اور فلسفہ و کلام کو داخل نصاب کیا تھا تاکہ گمراہ لوگوں کے طریقہ واردات کا ادراک کرتے ہوتے انہیں کے ہتھیاروں سے انہیں شکست دی جاسکے ۔
          چوں کہ یہ حقیقت ہے کہ گزشتہ چار پانچ صدیوں سے فلسفہ و سائنس اور سماجیات و سیاسیات پر مغرب کے تسلط کی وجہ سے الحاد و تشکیک اور مادیت کے زہریلے جراثیم ان میں سمودئے گئے ہیں جو غیر شعوری طور پر مگر پوری شدت کے ساتھ انسانی ذہن و فکر پر حاوی ہونے کی کوشش کرتے ہیں اور یہ سب اتنے دلچسپ و پرکشش انداز میں کیا جاتا ہے کہ مغرب پچانوے فیصد اپنے مقصد میں کامیاب و بامراد ہے – لہذا ان زہریلے جراثیم اور ان کی بنت و ساخت سے واقفیت اور ان کا کامیاب توڑ کئے بغیر یہ کیسے ممکن ہے کہ حاملین علوم نبوت موجودہ دور کے مخاطبین تک ابلاغ کا فریضہ مطلوب شکل میں انجام دے سکیں ۔
          جہاں تک دینی و اسلامی تربیت کی بات ہے تو ظاہر ہے کہ یہ صرف وضع قطع اور نماز و روزہ کی تربیت تک محدود نہیں ہے ؛ چوں کہ یہ چیز تو ایک مکتب میں بھی حاصل کی جاسکتی ہے اور جماعت دعوت و تبلیغ سالوں سے اس کام کو بحسن و خوبی ایک مشن کے طور پر انجام دے رہی ہے ، لہذا دارالعلوم دیوبند جیسے مرکزی و سرکردہ ادارہ میں اسلامی تربیت کتنی ہمہ گیر اور بامعنی ہونی چاہئے اس کا اندازہ لگانا اس شخص کے لئے ذرا بھی دشوار نہیں جو دارالعلوم دیوبند کی تاریخ اور اس کے بانیان و اکابر قدس سرہم کے علمی و عملی کارناموں سے بہ خوبی واقف ہے – بہت زیادہ تفصیل میں نہ جاتے ہوئے ہم یہاں صرف چند باحوالہ امور ذکر کرنے پر اکتفا کریں گے تاکہ بات واضح ہوسکے –
          حضرات شیخ الہند ، شیخ الاسلام و دیگر اکابر رحمہم اللہ کی تادم حیات یہ کوشش رہی ہے کہ طلبہ دارالعلوم میں حالات و سیاسیات حاضرہ کا اس قدر شعور اور ان کے تقاضوں سے اتنی ہمدردی ہمہ وقت ہونی چاہئے کہ ملک و ملت کے تئیں اپنی ذمہ داریوں سے وہ بہ خوبی عہدہ بر آ ہوسکیں اور اپنے آپ کو صرف منبر و محراب تک محدود نہ سمجھیں ، بلکہ ہر محاذ پر اپنی فعال موجودگی درج کراتے ہوئے وارثین انبیاء کا حق ادا کریں –
          یہی وجہ ہے کہ ١٣٦١ھ میں جب برٹش حکومت کے ہاتھوں حضرت شیخ الاسلام کی گرفتاری ہوئی تو بزم سجاد ( انجمن اصلاح البیان) کے تحت طلبہ دارالعلوم نے اپنا سالانہ اجلاس منسوخ کرکے ایک زبردست احتجاجی جلسہ منعقد کرایا ، جب جیل سے رہائی کے بعد یکم ربیع الاول ١٣٦٤ھ کو حضرت مدنی بنفس نفیس بزم سجاد کے معائنہ کے لئے تشریف لائے تو اس موقع پر طلبہ نے ایک عام جلسے کا انعقاد کیا جس میں طلبہ کے پیش کردہ پروگرام کے بعد حضرت مدنی کا صدارتی خطاب ہوا ، جس کے چند اقتباسات یہ ہیں:
          (١) آپ حضرات کی عزت افزائی کا شکریہ ، لیکن اس کے ساتھ مجھے آپ سے کچھ شکایتیں ہیں ، گرفتاری کے بعد آپ لوگوں نے بہت سی غلطیاں کی ہیں ، حقیقت یہ ہے کہ اتنا کرنے کی ضرورت نہ تھی ، صرف دو ایک جلسے پر اکتفا کرتے اور آپ صبر و سکون سے اپنے کام میں لگے رہتے ، اور اپنے دشمن پر یہ ظاہر کرتے کہ اگر تم نے ہمارے ایک خادم کو گرفتار کرلیا تو ہمیں کچھ پرواہ نہیں ہم میں بہت سے ایسے ہیں جو اس کی قائم مقامی کر سکتے ہیں اگر آپ کا ایک خادم آپ سے جدا ہو گیا تھا تو آپ اس کی جگہ دوسرے کو کھڑا کرتے اور اپنے فرائض انجام دیتے ، اگر فوج کا جنرل مارا جائے تو فوج کو بد دل ہوکر بیٹھ رہنا نہیں چاہیے –
          (٢) میری غیر حاضری پر آپ لوگوں نے انجمن کو معطل کردیا اور کام چھوڑ کر دل برداشتہ ہو کر بیٹھے رہے ، ایسا ہرگز نہیں کرنا چاہیے تھا-
          (٣) آپ کے لئے جس قدر تعلیم ضروری ہے اسی قدر تقریروتحریر میں مہارت حاصل کرنا بھی ضروری ہے اگر آپ دونوں میں سے ایک سے بھی غافل ہوئے تو آپ کامیاب نہیں ہو سکتے ، آپ کو سیاسی معلومات حاصل کرنے چاہیے تاکہ آپ اپنے وطن کو غلامی سے نجات دلا سکیں –
          *دارالعلوم دیوبند میں طلباء کی تربیت عملی طورپر کس طرح ہوتی تھی اس کا ایک اور نمونہ دیکھنے کیلئے تاریخ دارالعلوم از محبوب رضوی صفحہ ٢٦١ تا ٢٦٥ ملاحظہ فرمائیں ! جس کا خلاصہ یہ ہے کہ ١٣٤١ اور ١٣٤٢ میں جب ایک طرف سوامی شردھانند نے مسلمانوں کی شدھی کا کام شروع کیا اور دوسری طرف ڈاکٹر مونجے نے ایک سنگھٹن قائم کی جو خالص ہندؤوں کی جماعت تھی ، اور دارالعلوم میں خطوط و اخبارات کے ذریعے پے در پے آریہ سماج کی ناگوار فرقہ وارانہ سرگرمیوں اور مسلمانوں کے ارتداد کی خبریں موصول ہوئیں تو اس نازک ترین موقع پر دارالعلوم دیوبند نے وہی فریضہ انجام دیا جو اس کے شایان شان تھا ، یعنی ١٢ جمادی الاخری کو دارالعلوم دیوبند سے مبلغین کا ایک وفد روانہ کیا گیا ، وفد کی رپورٹ سے معلوم ہوا کہ آریہ سماج کی تحریک نہایت منظم اور وسیع پیمانے پر پھیلی ہوئی ہے ، جس کے ازالے کیلئے مزید اور کافی مبلغین کی سخت ضرورت ہے ، اس پر دارالعلوم کے اساتذہ اور طلباء کے پے در پے متعدد وفد روانہ کئے گئے آگرہ کو تبلیغی کاموں کا مرکز قرار دے کر علمائے دیوبند کا دفتر کھولا گیا ، مولانا میرک شاہ صاحب مدرس دار العلوم دفتر کے نگراں بنائے گئے ، موصوف جہاں ضرورت ہوتی مبلغین کو بھیجتے، بحمد للہ مبلغین کی انتھک مساعی کا نتیجہ یہ نکلا کہ بے شمار مرتدین تائب ہو کر اسلام میں واپس لوٹے –
          **اس کے برعکس ان دنوں طلباء سے یہ کہا جاتا ہے کہ دارالعلوم کا مقصد صرف دینی تعلیم و تربیت ہے اور اس تعلیم و تربیت کو صرف درس نظامی کی تکمیل ، وضع قطع اور نماز و روزہ تک محدود کردیا جاتا ہے ،
          *جب کہ بنیاد گزاران دارالعلوم جس طرح کی تربیت کو مطلوب و مقصود اور ہدف اصلی گردانتے تھے ، اس میں اسلام اور مسلمانوں کے وجود و بقا کو لاحق ہر قسم کے خطرات سے مقابلہ آرائی کی تربیت شامل تھی ، اور سب سے بنیادی بات یہ ہے کہ تربیت اپنی اساس میں عملی بنیادوں پر قائم ہوتی ہے نہ کہ علمی ، اور فطری طور پر ایک طالب علم اپنے اساتذہ و مربیین کی شخصیت و کردار کو خود میں جذب کرنا اور ان کے اصول زندگانی کو اپنانا چاہتا ہے لہذا طلباء کو داعی بنانے کیلئے ضروری ہے کہ ان کے مربی اور اساتذہ بھی داعی ہوں ، انہیں رجال ساز مدرس بنانے کے لئے ضروری ہے کہ ان کے اساتذہ بھی رجال ساز ہوں ، انہیں اصلاح کار اور بہترین سیاستدان بنانے کے لئے ضروری ہے کہ ان کے اساتذہ بھی قوم و ملت کی سیاسی ابتری اور وجودی خطرات سے نمٹنے والے قائد و رہبر ہوں –
          اگر حضرت قاسم نانوتوی اور رشید احمد گنگوھی خود مجاہدین آزادی اور رجال ساز نہ ہوتے تو کیا شیخ الہند جیسا مجاہد آزادی اور رجال ساز فرد امت کو نصیب ہوسکتا تھا ؟ اور شیخ الہند میدان کار نہ ہوکر صرف درس و تدریس تک محدود رہتے تو شیخ الاسلام، عبیداللہ سندھی، شبیر احمد عثمانی جیسے نبض شناس اور قوم و ملت کی نیا پار لگانے والے نا خدا ہمیں مل سکتے تھے ؟ ظاہر ہے ، ہر گز نہیں –
          اس لئے ہمارا مطالبہ یہ نہیں ہے کہ طلباء کو درس و تدریس سے فارغ کرکے مستقل سیاسی شورش کی نذر کردیا جائے اور اس طرح ان کی شخصیت فکر و نظر کے اعتبار سے ادھوری اور نا پختہ رہ جائے، بلکہ ہم یہ چاہتے ہیں کہ ہمارے اساتذہ کرام و قائدین عظام حضرات نانوتوی و گنگوہی ، شیخ الہند و شیخ الاسلام قدس سرہم جیسے سرپرستان و معماران دارالعلوم کے نقش قدم کی پیروی کرتے ہوئے خود بھی درس و تدریس کے ساتھ میدان عمل میں نکلیں ، خصوصا موجودہ ہندوستان میں امت مسلمہ کے وجود کو جس بے باکی و سفاکی کے ساتھ چیلنج کیا جارہاہے، اور بڑے پیمانے پر ارتداد و کفر کی یلغار کا سامنا ہے ، اس کے پیش نظر نہایت منظم و دور رس اثرات کی حامل جد و جہد فرمائیں اور طلباء میں بھی وہ بلندئ فکر و نظر پیدا کرنے کی کوشش ہو جس کے لئے دارالعلوم کا قیام عمل میں آیا تھا نہ کہ حالات حاضرہ اور سماجیات و سیاسیات سے پہلو تہی برتتے ہوئے طلباء کو صرف منبر و محراب تک محدود کردیا جائے اور وہ بھی ناقص شکل میں ؛ چوں کہ وہ شخص آخر کس بنیاد پر امام و خطیب کے فرائض کما حقہ انجام دے سکتا ہے جو نہ تو امت کے حالات سے باخبر ہو اور نہ ہی ان کی نفسیات و ضروریات سے واقف ہو ؟؟
          * (٢) اسلام کی اشاعت تحفظ اور دفاع.*
          موجودہ حکومت پوری طاقت کے ساتھ مسلمانوں کو مذہب کی بنیاد پر دوسرے درجے کا شہری بنانے کے لیے پرعزم ہے ، جس کی وجہ سے ارتداد کی لہر چلنے کا قوی امکان ہے ، یہ اندیشہ بہت سے مسلم تجزیہ نگار بھی ظاہر کرچکے ہیں. کیا ہندوستان میں اسلام اور مسلمانوں کے وجود و بقا کا تحفظ و دفاع مذکورہ شق میں داخل نہیں ہے؟؟ پھر اس سلسلے میں ابھی تک کیا پیش رفت ہوئی ہے یا آگے کیا حکمت عملی بنانے کا ارادہ ہے!
          * (٣) کسی بھی حکومت ادارے یا فرد سے کامل معاشی، تعلیمی ،انتظامی آزادی تاکہ کسی بھی موقع پر کوئی بھی موقف قائم کرتے ہوئے کسی قسم کا دباؤ اور باک نہ ہو.*
          دارالعلوم دیوبند تاایں دم ہر طرح کے بیرونی اثرات سے مکمل آزاد ہے فلله الحمد.
          لیکن پھر بھی آخر کیوں حکومت کا اتنا دباؤ اور خوف ہے کہ موجودہ صورتحال میں ابھی تک کوئی نتیجہ خیز مثبت قدم نہیں اٹھایا گیا؟ بلکہ معذرت خواہانہ رویہ اور دفاعی انداز اپناتے ہوے حکومت سے یہ گزارش کی جارہی ہے کہ آپ ہمیں اپنے رسمی تعلیم وتعلم کو براہ کرم جاری رکھنے کا موقع دے دیں ! اس کے علاوہ ہم کوئی قدم آپ کے مفادات کے خلاف نہیں اٹھائیں گے، کیا آپ کو اندازہ نہیں ہے کہ اگر آپ نے اپنے بانیان کے طرز سے انحراف کرتے ہوئے صرف تعلیم و تعلم پر کفایت کربھی لی تب بھی آپ کا ادارہ اور آپ کی محفوظیت زیادہ دنوں تک برسر اقتدار طاقتوں کی زد سے نہیں بچ سکے گی، کیونکہ جب آئین ہند کو تہ و بالا کرکے قوم مسلم کے بنیادی حقوق پر ڈاکہ ڈالا جائے گا تو کوئی امکان نہیں کہ ان کے آزاد تاریخی مراکز اور اداروں کو علی حاله قائم رہنے دیا جائے!
          * (٤) اسلام کے دستور و آئین کی مکمل پابندی*
          یعنی ہر آن دل و جان سے اسلام کے ہر مطالبے پر لبیک کہنے کے لئے تیار رہنا!
          جب ملت اسلامیہ پر شدید قسم کا چو طرفہ دباؤ ہو اسلامیان ہند کو کچلنے اور مسلنے کے لئے تیار کی گئی پلاننگ ٩٥ سالہ جدوجہد کے بعد اپنے آخری مرحلے میں داخل ہو چکی ہو تب قرآن و سنت کا اس سے بڑا مطالبہ کیا ہوسکتا ہے کہ امت مسلمہ کے وجود و تشخص کی حفاظت کے لیے اپنے آپ کو تج دیاجائے؟
          *گرامی قدر مخاطبین!*
          اب تک کی تحریر میں آپ کے سامنے مو جودہ حالات کی نزاکت ، برسر اقتدار جماعت کے عزائم اور ان کو سامنے رکھتے ہوئے نبوی وراثت کے تقاضے، اکابر دیوبند حضرت نانوتوی، شیخ الہند ، شیخ الاسلام تغمدھم اللّٰه بغفرانه کی فکر و نہج اور اس کی معنویت ، قیام دارالعلوم کے بنیادی اہداف و مقاصد اور اس کی روشن تاریخ ، یہ سب کچھ بہت مختصر طور پر لیکن خاصی وضاحت کے ساتھ بیان کردیا گیاہے۔
          اب اس کے بعد اس وضاحت کی ضرورت نہیں بچتی کہ وراثت نبوی کے دعوے پر ہم کس قدر کھرے اترتے ہیں؟
          اپنے اسلاف کی فکر و عمل کے کس قدر امین ہیں؟
          قیام دارالعلوم کے نصب العین کے کس درجہ پاسدار ہیں؟
          یہ حقیقت ہے کہ دارالعلوم دیوبند تحریکی اور انقلابی سرگرمیوں میں براہ راست بلاواسطہ شریک نہیں رہا،
          لیکن اس سے بڑی حقیقت یہ ہے کہ دارالعلوم ہی کی فراہم کردہ فکرو نظر اور تربیت کی وجہ سے اس کے فضلاء مسلمانوں اور اسلام پر آنے والے خطرات سے مقابلہ کے لیے ، اسلام دشمن طاقتوں کے خلاف ہمہ جہت طریقے پر سرگرم عمل رہے ہیں, اور ان تمام سرگرمیوں اور تحریکات کا تعلق بالواسطہ اپنے مرکز سے رہا ہے، نیز اساتذۂ دارالعلوم نے بارہا دارالعلوم کو براہ راست آنچ سے بچانے کے لیے علیحدہ پلیٹ فارمز بھی قائم کیے ہیں اور ان کے ذریعے معاصر امت مسلمہ کو پیش آمدہ خطرات سے محفوظ رکھنے کے لئے ہرممکن جدو جہد کی ہیں ، اور اس طرح کی تمام سرگرمیاں دارالعلوم ہی کی تاریخ کا روشن حصہ ہیں، اس کی سب سے واضح نظیر انجمن ثمرۃ التربیت اور جمعیت الانصار کا قیام ہے جس کے روح رواں حضرت شیخ الہند تھے اور جس کے فعال کارکن اس وقت کے ابنائے قدیم تھے، ان دونوں تحریکوں کو ظاہری عنوان چاہے جس چیز کا دیا جائے ، مگر حقیقی منشا جاننے والے جانتے ہیں اور لکھنے والوں نے بہت کچھ لکھا بھی ہے!
          تفصیل کے لیے شیخ الہند حیات و کارنامے ، ص ١٣٦ تا ١٤٨ دیکھ سکتے ہیں!
          اسی تنظیمی اور انجمنی سلسلے کی کچھ کڑیاں ابھی تک موجود ہیں مگر انکی بھی حالیہ کارکردگی محتاج تبصرہ نہیں ہے ، خصوصاََ فی الوقت کی پر خطر صورت حال میں ان کی منصوبہ بندیوں اور عملی اقدامات کی حقیقت جگ آشکارا ہوچکی ہے.

          *مسؤولین عظام!!*
          متذکرہ بالا معروضات کی بنیاد ہم طلبۂ دارالعلوم دیوبند چند مطالبات کو ارباب بست و کشاد کے سامنے رکھنا شریعت اور دارالعلوم کی مقصدیت کی رو سے اپنا فریضہ سمجھتے ہیں!
          (١) دارالعلوم دیوبند کو اس کے بانیان و معماران حضرت نانوتوی ، حضرت گنگوہی، حضرت شیخ الہند، حضرت شیخ الاسلام کے نہج پر بہ حال کیا جائے، اور وراثت نبوی کا حق صحیح طور پر انجام دیا جائے.
          واضح رہے کہ موجودہ نہج، نبوی مشن اور حضرات اکابر کے نہج سے ١٨٠ ڈگری مخالف ہے.
          (٢) فکری اور عملی تربیت کو اسی ہمہ گیریت کے ساتھ شروع کیاجائے جس طرح حضرت نانوتوی نے اپنے تلامذہ اور پھر اسی نقش قدم پر چلتے ہوے حضرت شیخ الہند نے اپنے شاگردوں کی کی تھی؛ جس تربیت میں وضع ،قطع اور صوم و صلاۃ کی پابندی کے علاوہ سیاسی و سماجی مسائل کی تشخیص و علاج سے واقفیت اور معاصر ذہنی و فکری سطح کو مد نظر رکھتے ہوئے کلامی تیاری شامل ہے.
          (٣) ملک کے موجودہ منظرنامے کی ابتری و ہولناکیت کے پیش نظر فی الفور مؤثر اقدامات کیے جائیں، اور قرآن وسنت کی بنیاد پر ، ملکی آئین کے تحت ، نہایت مستحکم منصوبہ بندی کی جائے ، اس پر فوری عمل درآمد کیا جائے, اور ان سب میں اساتذۂ دارالعلوم فعال کردار ادا کریں ، جیسے حضرت شیخ الہند ، حضرت شیخ الاسلام، علامہ شبیر احمد عثمانی رحمھم الله نے مسند تدریس پر فائز رہتے ہوے ہرطرح کی سرگرمیوں میں بڑھ چڑھ کر حصہ لیا، خواہ ان سب چیزوں کے لیے الگ سے پلیٹ فارمز قائم کریں یا موجودہ پلیٹ فارمز ، جن کی سرگرمیاں بے جان پڑ چکی ہیں ، انہیں میں جان ڈالیں!
          ہمیں امید ہے آپ حضرات مذہب و ملت کے تئیں ہمارے ان ہمدردانہ مطالبات پر جلد از جلد غور فرماکر عملی میدان میں اتریں گے ۔
          ہمیں اکابر کی اس امانت سے حددرجہ محبت اور لگاؤ ہے، اور اس امانت کی حفاظت ہمارے ایمان کا حصہ ہے ، لہذا آپ حضرات نے اگر بہت جلد مؤثر اور سنجیدہ کوششیں نہیں کیں تو ہمیں مجبوراً وراثت نبوی کی حفاظت اور امانت اکابر کی صیانت کی خاطر اگلے اقدامات اٹھانے پڑیں گے ، جو کہ عملی ہوں گے اور اس کے لیے ہر طرح کی قربانی دینے کو تیار ہیں۔
          والسلام.
          من جانب: طلبۂ دارالعلوم دیوبند.


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32193/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ইন্নালিল্লাহ... সিরিয়া'র নিউজটি পড়ে খুব খারাপ লাগছে। আল্লাহ সুবঃ মুজাহিদ ভাইদের সাহায্য করুন,আমীন। আমাদের সকলের জন্য মুজাহিদ ভাইদের জন্য দোয়া করে আবশ্যক।
            বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
            কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আপনি মুসলিমদের সাহায্য করুন আমীন।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                ‘ফাঁকা করুন, নাহলে মরতে হবে’ শাহিনবাগের বিক্ষোভস্থলে পিস্তল হাতে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী যুবক!



                মাস পেরিয়ে গেছে, এখনও রাতজেগে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মহিলা ও শিশুরা। বিজেপি নেতাদের কার্যত চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন এই প্রতিবাদীরা। কেউ বলছেন, ‘গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত’, আবার কারও কথায়, ‘দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে একঘণ্টায় ফাঁকা করে দেব শাহিনবাগ’! কেউ ভয় দেখাচ্ছে, শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা ঘরে ঢুকে মহিলাদের ধর্ষণ করবে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হঠাতই পিস্তল হাতে শাহিনবাগের বিক্ষোভ স্থলে ঢুকে পড়ে এক যুবক।
                প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এদিন বিকেলে দুই ব্যক্তি শাহিনবাগের প্রতিবাদস্থলে হাজির হয়ে হুমকি দিতে শুরু করেন, ‘রাস্তা ফাঁকা করুন, নাহলে মরতে হবে!’

                সাইদ তাসির আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘ওই ব্যক্তি দুপুর তিনটে নাগাদ বিক্ষোভস্থলে এসে হুমকি দিতে শুরু করে। স্টেজেও উঠে পড়ে। নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওই ব্যক্তি যুক্ত বলেও দাবি করছিল।’ যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতাই ওই ব্যক্তিকে প্রতিবাদস্থলের বাইরে নিয়ে যায় এবং তার থেকে পিস্তল কেড়ে নেয়। গোটা ঘটনার ভিডিয়োও করেন কয়েকজন। সেই ভিডিয়োই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।




                শাহিনবাগ বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আশঙ্কা করছি কোনও হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী হামলা চালাতে পারে। সবাইকে এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আবেদন করছি। এতে এই ধরনের হামলা বন্ধ হবে।
                উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে শাহিনবাগের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া JNU-এর গবেষক শারজিল ইমাম ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার এদিনই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে শারজিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

                সংবাদসংস্থা ANI জানিয়েছে, শাহিনবাগ বিক্ষোভের কো-অর্ডিনেটর তথা JNU ছাত্রের ভাইকে মঙ্গলবার সকালে আটক করে বিহারের জাহানাবাদ পুলিশ। সেখানেই তাঁকে জেরা করা হয়। এরপর দুপুরে বিহার থেকেই গ্রেফতার হন শারজিল। সোমবারই দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছিল JNU-এর গবেষক শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় অসমকে বাকি দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে আহ্বান জানান তিনি।

                সেই ঘটনা নিয়ে চারিদিকে বিতর্কের আবহেই এবার শাহিনবাগে বন্দুকবাজের আগমনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

                সূত্র: এই সময়


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32194/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সন্ত্রাসী বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের



                  বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সীমান্তে অনবরত বাংলাদেশিদের বিএসএফ কর্তৃক হত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

                  শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে সন্ত্রাসী বিএসএফ সীমান্তবর্তী বাংলাদেশিদের জন্য এক আতঙ্কের নাম। কেননা তাদের গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে সীমান্তবর্তী মানুষদের। প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হচ্ছে। বাংলাদেশ ভারত যৌথচুক্তি অনুসারে বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশ থেকে কেউ ভারতে গেলে সে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিচার হবে। কিন্তু বিএসএফ নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। আর একজন বাংলাদেশিও নিহত হওয়ার আগে আমরা এর সুরাহা চাই। সীমান্তে হত্যা বন্ধ চাই।

                  বক্তারা আরো বলেন, সীমান্তে নিহত হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না। এমনকি ভারত থেকেও কোন দুঃখ প্রকাশ করছে না। যাদের পরিবারের কেউ সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান বক্তারা।

                  বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোর্শেদুল ইসলামের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ দৌলা, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রানা প্রমুখ।

                  সূত্রঃ কালের কন্ঠ


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32184/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে ফের অবরোধ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের



                    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দুই পক্ষ মারামারি করার পর একপক্ষ ফের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডেকেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়িতে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়ায়।

                    সিক্সটি নাইন ও রেড সিগন্যাল-আরএস নামের সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এই দুই উপগ্রুপ চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে রেড সিগন্যালের নেতা চবি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সাবেক উপবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনারের এই ঘোষণা দেন। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি
                    শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী চবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষ মারামারি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাকে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে তা স্থগিত করেন তারা।

                    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ব ঘটনার জেরে দুপুরে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়িতে রেড সিগন্যাল-আরএস গ্রুপের দুই কর্মী ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মোহাম্মদ আরমান ও এমরান আশিককে মারধর করেন শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা।

                    এ ঘটনায় বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরগামী শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশনে পৌঁছলে হোস পাইপ কেটে দেয় আরএস গ্রুপের অনুসারীরা। এতে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বিকাল ৫টায় হামলাকারীদের শাস্তি ও ঘটনার দায়ভার গ্রহণ করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন আরএস গ্রুপের নেতা রকিবুল হাসান দিনার। তিনি বলেন, দুই দফা দাবিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর পদত্যাগ, ছাত্রলীগকর্মী ও এলাকাবাসীর ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে অবরোধ চলবে।

                    চবি প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করে আসছি। তবে তারা আমাদের কথা শুনছে না। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেওয়া দুঃখজনক।

                    সূত্রঃ আমাদের সময়


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32170/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      ইয়াবাসহ ধরা খেলো ইউপি সদস্য



                      চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ফয়েজ আহমেদ নামে সাবেক ইউপি সদস্য ধরা খেয়েছে।

                      সোমবার রাত আড়াইটার দিকে পশ্চিম পুটিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ধরা হয় তাকে।

                      এসময় তার দেহ তল্লাশি করে ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আরও ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

                      আটক ফয়েজ আহমেদ মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি পশ্চিম পুটিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল রবের ছেলে।

                      সূত্রঃ সমকাল


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32169/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        বছরজুড়ে ঢাকায় তৈরি হবে প্রায় ১০ হাজার টন পোস্টার বর্জ্য



                        ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রচার শুরুর প্রায় ১২ দিনের মধ্যেই ২ হাজার ৪৭২ টন লেমিনেটেড প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। পুরো নির্বাচনে পোস্টার থেকে বর্জ্য জমবে আড়াই হাজার টন। এগুলোসহ সব মিলিয়ে বছরজুড়ে ঢাকা শহরে প্রায় ১০ হাজার টন লেমিনেটেড পোস্টার বর্জ্য তৈরি হবে।

                        গত মঙ্গলবার দুপুরে লালমাটিয়ায় নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (এসডো)। বাংলাদেশে লেমিনেটেড পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে ‘থার্মাল লেমিনেশন ফিল্মস : অ্যান ইনসিজিং হেল্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট হ্যাভক অব ঢাকা সিটি’ শীর্ষক সংস্থাটির একটি গবেষণায় ওই তথ্য উঠে এসেছে।

                        এসডোর গবেষণা মতে, ঢাকা শহরে ২০১৯ সালে ৭ হাজার ১৪৫ দশমিক ২ টন লেমিনেটেড প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। চলতি ২০২০ সালে আনুমানিক ১০ হাজার ৪৩৮ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হবে, যেগুলো পূর্ণ প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্ভব নয়। এগুলো মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

                        সংবাদ সম্মেলনে এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, এসডো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী প্রচারে লেমিনেটেড পোস্টার এবং অন্যান্য ‘প্লাস্টিক কোটেড’ পণ্য ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে গবেষণা শুরু করে। তিনি বলেন, উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উৎপাদিত ও বিলি করা লেমিনেটেড পোস্টারের বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিয়েছেন। এসডো আশাবাদী, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এ ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

                        এসডো ঢাকা শহরের সম্ভাব্য লেমিনেটেড প্লাস্টিক বর্জের প্রধান ছয়টি উৎস ধরে গবেষণাটি চালায়। এর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, খবরের কাগজের সঙ্গে বিলি করা প্রচারপত্র, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যলো, অমর একুশে বইমেলা, অন্যান্য বড় পরিসরের মেলা বা প্রদর্শনী, রেস্তোরাঁ, বিউটি পার্লার ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে বিতরণ করা লিফলেট।

                        এ বছর সিটি নির্বাচনে পদপ্রার্থীরা প্রচারের উদ্দেশ্যে আনুমানিক ৩০৪ মিলিয়ন প্লাস্টিক লেমিনেটেড পোস্টার ছেপেছেন। এছাড়া প্রচারে ব্যবহৃত স্টিকার, সাধারণ কার্ড, স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয়পত্র তৈরিতেও লেমিনেটেড প্লাস্টিকের ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

                        গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, খবরের কাগজগুলোর সঙ্গে থাকা বিজ্ঞাপনী প্রচারপত্র থেকেই বছরে প্রায় ২২৭ টন বর্জ উৎপন্ন হয়। গবেষণাটিতে ১১টি প্রধান বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্র বিবেচনা করা হয়।

                        সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন এসডোর প্রধান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর অধ্যাপক আবু জাফর মাহমুদ, নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা, নির্বাহী বিভাগীয় সদস্য শাহনাজ মনিরসহ এসডোর অন্য গবেষণা সদস্যরা।

                        সূত্র: আমাদের সময়


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32172/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          শেয়ারবাজারে আবার দরপতন



                          দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকে আবার পতন হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এ পতন হয়। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

                          বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট রয়েছে। এ জন্য বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। তারা বলছেন, শেয়ারবাজারের তারল্য সংকট সমাধানে ঋণ সহায়তার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বর্তমান অবস্থায় শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কিছুটা তারল্য সরবরাহ করা প্রয়োজন। এ জন্য একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের কথা বলা হয়েছে।

                          বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল দিনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়।

                          দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৫৫টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দাম। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়া সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

                          পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৭৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস।

                          অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।

                          সূত্রঃ আমাদের সময়


                          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32173/
                          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে লাগে ৩-৫ হাজার টাকা!



                            টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় তিনি মির্জাপুর থানা দুর্নীতিবাজ পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

                            ভাইস চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদেশগামীদের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবশ্যক। এজন্য প্রত্যেককে সোনালী ব্যাংকে ৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফ করে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। পরে আবেদনের কপি থানায় জমা দিতে হয়। তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে থানা পুলিশ মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। পরে দেন-দরবার করে তা সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

                            সূত্রঃ কালের কন্ঠ


                            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32181/
                            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                            Comment


                            • #15
                              ব্যক্তিগত তথ্য অরক্ষিত হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে



                              সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের তথ্য শেয়ার করে ৩৬.৭০% মানুষ। গ্রাহকদের সংবেদনশীল তথ্য বেহাত করার অভিযোগ উঠেছে দেশের অন্যতম রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাওয়ের বিরুদ্ধে। গ্রাহকের স্মার্টফোনে থাকা তথ্য অনুমতি ছাড়াই ব্যবহারের অভিযোগে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পাঠাও বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। শুধু রাইড শেয়ারিং অ্যাপই নয়, গ্রাহকের তথ্য অনুমতি ছাড়াই অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। এমন কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ অবৈধ বলছেন তথ্য-প্রযুক্তি এবং সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এভাবে তথ্য বেহাত হলে একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে। এর ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন গ্রাহক। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের তথ্য বেহাত হলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এমন বাস্তবতায় মঙ্গলবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা দিবস (ডাটা প্রাইভেসি ডে)।

                              সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, স্মার্টফোনের কল্যাণে দেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ১০ কোটি। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের নামে নেওয়া হচ্ছে তথ্য। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করলেও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নিয়ে নিচ্ছে নানা তথ্য। দেশে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষায় শক্তিশালী আইনের অনুপস্থিতিতে দেশি-বিদেশি অনেক কম্পানি তাদের ব্যবহারকারী ও ক্রেতাদের ব্যক্তিগত আচরণ পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাচ্ছে। ভোক্তাদের এসব তথ্য কোনো কোনো কম্পানি বিক্রিও করে দিচ্ছে।

                              সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে জানেন ৭৮.৫০ শতাংশ মানুষ। অপরিচিতদের থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলে গ্রহণ করেন ২৪.১০ শতাংশ মানুষ। মোবাইল অ্যাপগুলো কোন তথ্য নিচ্ছে এবং তার সুরক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত নন ৫৯.৫০ শতাংশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের শারীরিক সুস্থতা-অসুস্থতা, বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া ও ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কিত তথ্য পাবলিকলি শেয়ার করেন (এটি মূলত অনুচিত) ৩৬.৭০ শতাংশ, কোনো পোস্ট শেয়ার দেওয়ার আগে সেটির সত্যতা যাচাই করেন ৮৭.৩০ শতাংশ, অনলাইনে প্রাইভেসি সেটিংসের বিষয়ে ধারণা ভালো ৪৪.৩ শতাংশ, মোটামুটি ৫০.৬ শতাংশ, বাকিদের কোনো ধারণাই নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন কম্পানি গ্রাহকের ব্যক্তিগত যেসব তথ্য নিচ্ছে সেগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে জবাবদিহি চান ৮১ শতাংশ এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ আইন বা নীতিমালা করার পক্ষে শতভাগ মানুষ।

                              সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যেসব ডিজিটাল সেবা দেওয়া হচ্ছে তাতে নানা তথ্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তথ্যটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। ভোক্তাদের বোঝা প্রয়োজন, তাঁদের তথ্যের সঠিক মূল্য আসলে কতটা এবং কিভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তা শেয়ার করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্যের ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করা জানতে হবে।’

                              সূত্র: কালের কণ্ঠ


                              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/01/29/32185/
                              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                              Comment

                              Working...
                              X