Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৪ঠা রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৪ঠা রজব, ১৪৪১ হিজরী # ২৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    ‘কাশ্মীরের মতো করেই ঠাণ্ডা করা হবে দিল্লিকে!’- দিলীপ ঘোষ



    দিলীপ ঘোষ মানেই বিতর্ক। তিনি মানেই এমন কথা বলবেন, যাতে ইন্ধন লাগবে অশান্তিতে। দ্বিতীয় বার সভাপতি হয়ে যেন আরও বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন সন্ত্রাসী দল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সিএএ বিরোধীদের গুলি করে মারার হুমকি দেওয়া থেকে যে নতুন দিলীপ ঘোষকে দেখা যাচ্ছে, তাতে সংযোজন বৃহস্পতিবারের মন্তব্যও। এ দিন দিল্লির হামলা নিয়ে ফের মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। আর যা বললেন, তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কাশ্মীরে স্বাধীনতাকাদের সরকার যেভাবা ঠাণ্ডা করেছিল, দিল্লিতেও সেই রাস্তাই নেওয়া হবে সবাইকে ঠাণ্ডা করতে। আমাদের সরকারই তা করবে।’ খবর- এই সময়

    যদিও দিল্লি হামলা নিয়ে এবারই প্রথম নয়। মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, যারা আন্দোলন করছিল তাদের কি ডেকে চা খাওয়ানো উচিত ছিল? এই ধরণের (দুষ্কৃতীদের) আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া আচরণ করা উচিত।’

    এদিন অবশ্য দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন দিলীপ ঘোষ। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এখনও স্বাভাবিক হয়নি কাশ্মীর। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছে, ‘আমাদের সরকার একদম ঠিকঠাক ব্যবস্থা নিয়েছে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর (উপদ্রবকারীদের) স্বাধীনতাকামীদের ঠান্ডা করেছিল। এবার দিল্লিতেও সবাইকে ঠান্ডা করবে সরকার। কোনও চিন্তা করতে হবে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শান্ত হয়ে যাবে দিল্লি।’


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/29/33749/
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-01-2020, 09:58 AM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে বাংলাদেশি বা পাকিস্তানির তথ্য দিলেই ৫০০০ রুপি পুরস্কার



    ভারতের মহারাষ্ট্রে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের ধরিয়ে দিলে পাঁচ হাজার রুপি পুরস্কারের ঘোষণা।

    সম্প্রতি ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে পোস্টারটির ছবি। পোস্টারটি প্রকাশ করেছে ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’।

    পোস্টারটি মারাঠি ভাষায় লেখা। মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদের দেয়ালে লাগানো ওই পোস্টারে বলা হয়েছে, যারা পাকিস্তানি কিংবা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সঠিক তথ্য দেবে তাদের এই অর্থ প্রদান করা হবে।

    মারাঠি ভাষায় ওই পোস্টারে লেখা-
    पाकिस्तान आणि
    बांग्लादेशी घुसखोरांची
    रोख 5000/ रुपये देण्यात येतील
    महाराष्ट्र नवनिर्माण सेना संभाजीनगर

    যার অর্থ হচ্ছে- পাকিস্তান এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ৫০০০/- রুপি নগদ
    মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সামভাজিনগর।

    এছাড়া সংগঠনটির ছাত্র শাখার নেতা আখিল চিত্রাও অবৈধ পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিলে ৫ হাজার ৫৫৫ রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/29/33752/
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-01-2020, 10:00 AM.
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দিল্লিতে গেরুয়া সন্ত্রাসীদের শাসানি! গুজরাতের মতো দাওয়াই না দিলে চলবে না!



      ‘তোদের নাগরিকত্ব চাই? দিচ্ছি, দাঁড়া!’

      মৌজপুরে মহম্মদ ইব্রাহিমের বাড়ির গেট ভেঙে ঢুকে এক দল গেরুয়া সন্ত্রাসীরা যখন পেট্রল ছড়াচ্ছে, তাদের মুখে একটাই শাসানি। আবার খাজুরি খাসে *মুহাম্মদ আনিসের বাড়িতে তাণ্ডব শুরুর সময় একই সুরে গালিগালাজ— ‘ইধার আ পাকিস্তানি! তুঝে নাগরিকতা দেতে হ্যায়।’ প্রথমে বাড়ির বাইরে গাড়িতে আগুন লাগানো হয়, তার পরে আনিসের বাড়িতে ঢুকে গ্যাস সিলিন্ডার খুলে আগুন ধরিয়ে দেয় হিন্দু সন্ত্রাসীরা, ২০০২ সালে গুজরাতের মতোই। বাবা, কাকা, খুড়তুতো বোনকে নিয়ে কোনও ক্রমে পালান আনিস। তাঁর আর বোনের বিয়ের জন্য টাকা, গয়না রাখা ছিল বাড়িতেই। সব পুড়ে ছাই।

      মৌজপুর-বাবরপুর চক থেকে বাঁ দিকে বাঁক নিলেই সারি সারি দোকানের ধ্বংসস্তূপ কালো ছাই মেখে দাঁড়িয়ে। দোকানের সামনে আবিদ হুসেন বলছিলেন, ‘‘আগুন লাগানোর সময় বাধা দিয়ে বললাম, কী দোষ করেছি? মারতে মারতে বলল, তোদের বড্ড বাড় বেড়েছে। গোটা দেশকে শাহিন বাগ বানাতে চাইছিস!’’

      মঙ্গলবার রাতে ভজনপুরায় পাঁচ যুবককে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। কারখানার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের এক জন, বছর কুড়ির হাবিবের মাথায় ব্যান্ডেজ। মুখ ফেটেছে। হাবিব বলেন, ‘‘উইকেট দিয়ে পেটাচ্ছিল আর বলছিল, তোদের নাকি আজাদি চাই? এই নে আজাদি।’’

      জাফরাবাদের রাস্তার পাশের মাঠে শাহিন বাগের মতোই দু’মাস ধরে সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে ধর্না চলছিল। সীলমপুর থেকে জাফরাবাদ পর্যন্ত দু’কিলোমিটার রাস্তায় বন্ধ দোকানের শাটারে কালো কালিতে লেখা: ‘নো সিএএ, নো এনআরসি’। জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের হলুদ রঙের দেওয়াল, রাস্তার মধ্যে মেট্রো লাইনের স্তম্ভের গায়েও একই স্লোগান। জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের নীচের রাস্তায় ধর্না শুরুর পরেই বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র তিন দিনের মধ্যে রাস্তা খালি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

      একই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে জাফরাবাদ, মৌজপুর, ভজনপুরা, মুস্তফাবাদ, ব্রিজপুরী, গোকুলপুরীতে। গোকুলপুরীর ছাই হয়ে যাওয়া টায়ার মার্কেটের ব্যবসায়ী ইউসুফ হারুন বলেন, ‘‘সোমবার বিকেল থেকে ওরা একের পর এক দোকানে আগুন লাগিয়েছে। আর বলেছে, গোটা দিল্লিটাকে শাহিন বাগ করতে দেব না।’’ ব্যবসাদার জামিল সিদ্দিকির কথায়, ‘‘ওরা বলছিল, তোরা গোটা দেশে সিএএ-এনআরসি নিয়ে অশান্তি পাকাচ্ছিস। গুজরাতের মতো আর একটা দাওয়াই না-দিলে চলবে না।’’ খবর- আনন্দ বাজার

      বধ্যভূমি উত্তর-পূর্ব দিল্লির এ-সব আলাদা ঘটনার একটাই যেন যোগসূত্র— সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা। দিল্লির উদাহরণ দেখিয়ে শাহিন বাগের মতো আন্দোলন আর কোথাও দানা বাঁধার আগেই শেষ করে দেওয়া।

      দিল্লির ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডিজ় অব ডেভেলপিং সোসাইটিজ়’-এর অধ্যাপক হিলাল আহমেদের মন্তব্য, ‘‘বার্তা স্পষ্ট। রাষ্ট্রের ব্যর্থতা নিয়ে মত প্রকাশের অধিকার নেই। বিশেষত আপনি যদি গরিব, চাষি, মহিলা, দলিত, আদিবাসী বা মুসলিম হন।’’


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/29/33754/
      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-01-2020, 10:01 AM.
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘এক মাস সময় দেবেন, একটা মসজিদও ভেঙে ফেলতে ছাড়ব না’



        রণক্ষেত্র অবস্থা দিল্লির। গেরুয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩জনের। আহত প্রায় ৪০০-র কাছাকাছি। আর এই হিংসায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে কপিল মিশ্র সহ-আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয় সন্ত্রাসী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি দিল্লির মালাউন পুলিশ।

        ভারতের এক বিচারপতি বলছেন, “আমি দিল্লি পুলিশের অবস্থান দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি। আমি নিশ্চিত আপনাদের কমিশনারের অফিসে কোনও টিভি নেই। তাই এখানেই আপনারা ভিডিও ক্লিপগুলি দেখুন।”

        একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি নেতা কপিল শর্মা রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন। এই প্ররোচনার জেরেই দিল্লির হিংসা এই রূপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে দিল্লি পুলিশকে হুমকি দিয়ে তিনি বলছেন, “তিনদিনের মধ্যে প্রতীবাদীর রাস্তা খালি না করে দিলে আমরা পুলিশের কথাও শুনব না। ডোনাল্ড ট্রাম্প থাকা পর্যন্ত আমরা শান্তি বজায় রাখব। কিন্তু পুলিশের কথাও শুনব না আমরা। আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।”

        আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতা প্রবেশ ভর্মা শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের খুনি ও ধর্ষক বলে দাবি করেছেন। এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষ শাহিনবাগে রয়েছে। দিল্লির মানুষকে ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওরা আপনাদের ঘরে ঢুকে মেয়ে-বোনেদের ধর্ষণ করবে ও খুন করবে। এখনও সময় রয়েছে। কাল মোদী ও অমিত শাহ আপনাদের বাঁচাতে আসবে না।”

        এখানেই থামেননি তিনি। প্রবেশ দিল্লি নির্বাচনের সময়ে বলেছিলেন, “দিল্লি নির্বাচনে যদি বিজেপি জেতে তাহলে শাহিনবাগে একজনকেও দেখা যাবে না। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমায় এক মাস সময় দেবেন। একটা মসজিদও ভেঙে ফেলতে ছাড়ব না।”

        আর একটি ভিডিওয় বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “গোলি মারো সালো কো। একটি মিছিলে তিনি বলছেন, সমস্ত দেশদ্রোহীদের গুলি করে মারো।

        শেষ চালানো ভিডিওতে বিজেপি নেতা অভয় ভর্মাকে দেখা যাচ্ছে। তিনি একদল লোকজন নিয়ে রাস্তায় একটি মিছিল করছেন। সেই মিছিলে প্ররোচনামূলক স্লোগান তুলতে দেখা যাচ্ছে তাকে। সেখানে অভয় ভর্মা বিক্ষোভকারীদের পুলিশের হত্যাকারী সাজিয়ে বলছেন, “পুলিশের হত্যাকারীদের দেখলেই গুলি করো।”


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/29/33755/
        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-01-2020, 10:02 AM.
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          মালাউন মোদির নতুন আটক ক্যাম্পগুলোতে শেষ হতে পারে লাখ লাখ মানুষের জীবন



          হিমালয়ের কাছে একটি নদী উপত্যকায় পূরবী হাজংকে তার দুই সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতি দিন বিশাল, কাদামাটিতে তৈরী একটি নির্মাণস্থল অতিক্রম করতে হয়। এটি আসলে একটি আটক কেন্দ্র। নতুন নাগরিকত্ব নিয়ম পূরণ করতে না পারা লোকদের এখানে রাখা হবে। পূরবীর ভয়, শিগগিরই তাকেও এখানে থাকতে হতে পারে।

          হাজং বলেন, আমার ভয় হচ্ছে যে কেউ একজন আমার বাড়ি এসে আমাকে এখানে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দেবে। আসাম রাজ্যে তার গ্রামেই বানানো হয়েছে এই কেন্দ্রটি। তিনি বলেন, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে আমার এই ভাগ্য বরণ করতে না হয়। আমার পরিবার ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না।

          ওয়াচ টাওয়ারসহ উঁচু সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করা এই কেন্দ্রে ‘বিদেশী’ ঘোষিত তিন হাজার লোককে রাখা হবে। এই রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ হাতে আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন বিজেপির হাতে। দলটি অন্যান্য রাজ্যেও বিদেশী শনাক্ত করার কাজটি করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।

          এসব আটক কেন্দ্র আসলে ভারতজুড়ে চলমান বিশাল যুদ্ধের রণাঙ্গন। এই যুদ্ধে লাখ লাখ লোকের নাগরিকত্ব বাতিল করা হচ্ছে, দীর্ঘ দিনের জন্য ধর্মীয় উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। একটি ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে সৃষ্ট সাম্প্রতিক বিক্ষোভ মোদির জন্য বড় ধরনের ঝুঁকির কথাই প্রকাশ করছে। উল্লেখ্য, মালাউন মোদি অর্থনীতি সম্প্রসারণ বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদের দিকে নজর দিচ্ছে। আর ভারতের অর্থনীতি ২০০৯ সালের পর এখনই সবচেয়ে মন্থর অবস্থায় রয়েছে। খবর-ব্লুলুমবার্গ

          নতুন আটক কেন্দ্রটি আসামের বৃহত্তম নগরী গৌহাটি থেকে ১৩০ কিলোমিটার (৮০ মাইল) দূরে অবস্থিত। গৌহাটিতে এখন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে।

          ক্যাম্পটি ২.৫ হেক্টর (৬ একর) এলাকাজুড়ে অবস্থিত। এখানে নারী ও পুরুষ উভয় ধরনের বন্দীকেই রাখা হবে।

          এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪৬৫ মিলিয়ন রুপি (৬.৫ মিলিয়ন ডলার)। চা উৎপাদনকারী রাজ্য আসাম হলো ভারতের অন্যতম গরিব রাজ্য। দেশের সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধির রাজ্যের একটি।




          আসামে যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতে ১৯ লাখ লোক বাদ পড়েছে। আটক কেন্দ্রে রাখা তিন হাজার লোক হবে তাদের সামান্য একটি অংশমাত্র।

          উঁচু প্রাচীর ঘেরা ক্যাম্পটিতে লোকজনকে গাদাগাদি করেই থাকতে হবে, তাছাড়া এখানকার ব্যবস্থাগুলো স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

          এদিকে, আসামের নাগরিকত্ব তালিকায় কার্যত ১৯ লাখ লোককে রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে। তবে মূলত কারণিক ভুল ও পরিচিতি ভুলের কারণেই বেশির ভাগ লোক বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। নথিপত্র না থাকা লোকজন হয়রানির শিকার হচ্ছে, তাদেরকে আরো খারাপ পরিস্থিতিতেও পড়তে হতে পারে।

          ভারতে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা সহজ নয়। লোকজনকে কয়েক প্রজন্মের পূর্বপুরুষদের ধারাবাহিকতা প্রমাণ করতে হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে উদ্বাস্তু নিবন্ধন সনদ, জন্ম সনদ, ভূমি ও প্রজাসত্ত্ব নথিপত্র, আদালতের কাগজপত্র।

          বিজেপির জন্য এই প্রক্রিয়াটি কিছু অভাবিত সমস্যার সৃষ্টি করেছে। হিন্দুরাও নাগরিকত্ব আইন থেকে বাদ পড়েছে। পূরবী হাজং এদেরই একজন। এই সমস্যা লাঘব করার জন্য মোদির সরকার গত বছর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করেছে। এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর অমুসলিমেরা নাগরিকত্ব পেতে পারে।

          ভারতজুড়ে এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ হচ্ছে। আসামেও হচ্ছে। তবে হাজং মনে করেন না যে নতুন আইন তার কোনো উপকারে লাগবে। তিনি রাজ্য সরকার কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তিনি এখানেই তার পুরো জীবন কাটিয়েছেন। তিনি বলতে পারেন না যে তার পূর্বপুরুষেরা প্রতিবেশী দেশ থেকে এসেছিলেন।

          তিনি বলেন, আমি ভারতীয়। আমি সব নথিপত্র দিয়েছি। কিভাবে আমার নাম বাদ পড়ল, তা বুঝতে পারছি না।

          ভারতে জনসংখ্যার আদর্শ ৫ ভাগ ভ্রান্তি হার প্রয়োগ করে বলা যায়, এই প্রক্রিয়ায় মৌলিক ভুলের কারণে ভারতজুড়ে ৬৫ মিলিয়ন লোক রাষ্ট্রহীন হয়ে যাবে। অথচ ইতালির মোট জনসংখ্যাও এত নয়। আর এতে ব্যয় হবে ৭০০ বিলিয়ন ডলার, যা স্বাস্থ্য খাতে বার্ষিক বাজেটের সমপরিমাণ।

          তবে নাগরিকদের রাষ্ট্রহীন করার পদ্ধতি হিসেবে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন কেবল ভারতেই করা হয়নি। মিয়ানমারেও করা হয়েছে।

          আসামে নাগরিকত্ব দাবি প্রশ্নে আটক লোকজন হয়রানির শিকার হওয়ার কথা বলেছেন। কোকরাঝাড় আটক কেন্দ্রে চার বছর কাটিয়ে দিয়ে মাস খানেক আগে আগের জীবনে ফিরতে পেরেছেন হালিমা খাতুন। এটি হলো বিদ্যমান ছয় কারাগারের একটি। আসাম পুলিশ যে ৯৭০ জনকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে ‘বিদেশী’ ঘোষণা করেছিল, তিনি তাদের একজন। আটক লোকজনকে গাদাগাদি করে রাখা হতো। ৪০ জনের মতো লোককে রাখা হতো এক কক্ষে। তিনি বলেন, জনাকীর্ণ টয়লেট তাদের ব্যবহার করতে হতো। প্রাইভেসির বালাই ছিল না। তাদের খেতেও দেয়া হতো না ঠিক মতো।

          ৪৬ বছর বয়স্কা হালিমা খাতুন বলেন, পোল্টি ফার্মের মুরগির মতো থাকতে হয় সেখানে। এর চেয়ে মরাও ভালো। তিনি বলেন, আমি জানি না ভাগ্যে কী আছে। আমাদেরকে ভয়ের মধ্যে বাস করতে হচ্ছে।




          কিন্তু নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়া লোকদের শেষ পর্যন্ত কী হবে তা কেউই বলতে পারে না।

          মরিয়ম নেসার বাড়িও আসাম। ১০ বছর কারাভোগের পর তিনি এখন তার জীবন পুনর্গঠন করতে চাচ্ছেন। ক্যাম্পে থাকার সময় তিনি ছিলেন সাত মাসের অন্তসত্ত্বা। তার সন্তানটি মারা গেছে। আর তার মুক্তির দুই মাস আগে তার স্বামীও ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ও তার দুই ছেলেও নাগরিকত্ব তালিকায় স্থান পাননি।

          মরিয়ম নেসা বলেন, কারাগারে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি, দোখজ মনে হয়েছে স্থানটি। তাকে যে অস্থায়ী কুঁড়েঘরে রাখা হয়েছিল, তাতে না ছিল বিদ্যুৎ, না ছিল পানি। তিনি বলেন, এখন আমি আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে দিন কাটাই।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/29/33771/
          Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-01-2020, 10:03 AM.
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আমাদের দেশে ইন্ডিয়ান অনেকগুলো কম্পানি ব্যবসা করে সেগুলোর একটি লিস্ট দেওয়ার বিনীত অনুরোধ করছি।
            ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

            Comment


            • #7
              যুক্তরাষ্ট্রে ৫ জনকে হত্যার পর বন্দুকধারীর আত্মহত্যা



              যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে ৫ জনকে হত্যার পর এক বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ইউএসএ টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

              ৫১ বছরের অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছন মিলওয়াওকি পুলিশ প্রধান আলফাসনো মোরালেস। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

              উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়ই নিজেদের নাগরিক দ্বারা এমন হত্যার ঘটনা ঘটে। আর এবারের হত্যাকাণ্ড তার পুনরাবৃত্তি মাত্র।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/29/33786/
              Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-01-2020, 10:04 AM.
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                জায়েজ বিয়ে করেও দন্ডিত হলেন স্বামী

                বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করায় মামলা দিয়ে স্বামী নিজামুদ্দিন শেখের (৪৭) তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে তাগুত আদালত। তিনি চিতলমারী সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা এমএলএসএস পদে কর্মরত।-খবরঃ কালের কন্ঠের

                গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বাগেরহাটের তাগুত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় দেয়। কুফরি আদালতের রায়ে দণ্ডিত নিজামুদ্দিন শেখ (৪৭) উপজেলার আড়ুয়াবর্নী চরপাড়া গ্রামের মোতালেব শেখের পুত্র।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/29/33785/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদের কে হেফাজত করুন,আমিন।
                  ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                  Comment

                  Working...
                  X