Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিজ্ঞাসা ~ "আমি একজন ছাত্র। আমার এখন কী করণীয়?"

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিজ্ঞাসা ~ "আমি একজন ছাত্র। আমার এখন কী করণীয়?"

    আসসালামু আলাইকুম দ্বীনি ভাইয়েরা। একজন ভাই আমার কাছে কিছু নসীহা চাইলেন। তার কথা হুবহু তুলে ধরলাম।

    ''আমি একজন ছাত্র। এ বছর ছাত্রজীবনে্র গুরুত্ববহ একটি সময়ে অবস্থান করছি। তবে ইন্টারনেটে ও এলাকার কিছু উলামাদের বয়ানে বর্তমান সময়ে নানারকম ফিতনা, দাজ্জাল, ইমাম মাহদী বিষয়ে জানতে শুরু করি। ধীরেধীরে জিহাদের গুরুত্ব, এর ফরজে আইন হবার কারণ, বিভিন্ন সংগঠন ইত্যাদির বিষয়েও নেটে ধারণা লাভ করি। ফিতনার সর্বগ্রাসী বিস্তার আমাকে সবসময় খুব বেশি চিন্তিত করে রাখে। তাছাড়া গাজওয়াতুল হিন্দ কতটা কাছাকাছি আমাদের এ বিষয়েও আমি খুব বেশি চিন্তিত। আমার বাবা মা বলছেন আমি পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। আমারও ধারণা তাই। তবে দ্বীনি বিষয়ে ইদানিং বহুকিছু অধ্যয়ন করছি। আমার বাবা মাকে ফিতনা ও জিহাদের বিষয়ে কোনো কিছু বলতে গেলেই তারা আমাকে বলেন লেখাপড়ার খবর নাই এগুলো নিয়ে পড়ে আছি, আদার ব্যাপারি জাহাজের খবর, আগে জীবনে এস্ট্যাবলিশ হলেই দ্বীনের খেদমত সম্ভব ইত্যাদি। এমতাবস্থায় আমার কী করণীয়? সঠিক দিকনির্দেশনা চাচ্ছি।''


    আমি নিজে এ বিষয়ে চিন্তা না করায় তাকে কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি। ফোরামের কোনো ভাই এ বিষয়ে কিছু বলবেন কী?
    উদ্দেশ্য দ্বীন কায়েম ও শাহাদাহ

  • #2
    গ্লোবাল জিহাদে নিজের নিরাপত্তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিঃ এক বয়ানে বলেছেন, নিজেকে দ্বীনের জন্য যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলার জন্য। বিশেষ করে জিহাদী সংগঠনের ভাইদের জন্য দ্বীনের প্রতিটি এক্টরে কাজ করার জন্য যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলা। আমি ও-ই ভাইকে বলব, আপনি আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি জিহাদের মাঠে কোন কাজটি করতে চান???? একজন মুজাহিদ, একজন আনছার,একজন দায়ী। তিনটির কোনটিতে নিজেকে বেশী যোগ্য মনে হয়???? সে অনুযায়ী গড়ে তুলা। ক্লাশের প্রতিটি বিষয়কে সমান গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। বাংলা, অংক, ইংলিশ, সবগুলো বিষয় ভালো করে আয়ত্ত করা। ছাত্রজীবন হচ্ছে প্রশিক্ষণের সময়, শারীরিক প্রশিক্ষণ, ইলমী প্রশিক্ষণ, মানসিক প্রশিক্ষণ। সবগুলো প্রশিক্ষণ সেরে নেওয়া। অহেতুক তর্কবিতর্ক পরিহার করা। জিহাদী/ কাজ শিখার জন্য বিভিন্ন বই পড়ার ফলে যেনো ক্লাশের কিতাবাদী পড়া ছুটে না যায়। একজন ভিজ্ঞ আলিম খুবই প্রয়োজন। সেই সাথে কাজও শিখতে হবে। কাজ শিখার জন্য কিছু কিতাবের নাম বলে দিচ্ছি।
    ১/ তাফসীরে সূরা তাওবাহ( আব্দুল্লাহ আযযম)
    ২/তাওহীদে আমালী( আব্দুল্লাহ আযযম)
    ৩/ দাওয়াতের সঠিক পদ্ধতি, আবু আব্দুল্লাহ)
    ৪/মাজলুম ফরজ।
    ৫/আল্লাহর সাথে সততা।
    ৬/ফোরামে প্রকাশিত মেগাজিন।
    ৭/ মিল্লাতে ইব্রাহিম।
    ৮/ মাআলিমুল আসসাসিয়্যাহ।
    ৯/ আল ওয়ালা, ওয়াল বারা।
    ১০/ কিতাবুল আকায়িদ, আবু আব্দুল্লাহ।
    ১১/ আদাবুল মুয়াশারাত।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।
      অনেক সুন্দর প্রশ্ন করেছেন।
      আল্লাহ আপনার সহায় হোন, আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        ভাই আমার! আমিও আপনার মতোই একসময় দিশেহারা রেলমন্ত্রীর ন্যায় সঠিক পথের সন্ধান করতাম!!
        কিন্তু কে শুনে কার কথা !
        ব্যথিত রিদয়ের(হৃদয়ের) আহ্বানে কেউ সাড়া না দিলে আল্লাহই আমাদের সর্বপ্রথম সাড়া দেন।
        আমি তখন বিচলিত ছিলাম,ছিলাম সত্যিকারের একজন হক অনুসন্ধানী!
        আর আমার সাড়া জাগানো বিষয়ের সকল দলীল তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করলাম, যাতে আমার এ বিষয়ে কোন খটকা না থাকে।
        তাই আমি আপনাকে কেবল একটা কথাই বলব- আপনি যে পথের জন্য সব জলাংজলি করছেন,
        করছেন পিতা-মাতার আদেশের কুরবানী, এই সম্পর্ক আরো জ্ঞান লাভ করুন।
        সাধনার এই পৃথিবীতে অলস ও কর্মবিমুখ মানুষের কোন ঠাঁয় নেই

        Comment


        • #5
          মুহতারাম ভাই, উল্লিখিত পরিস্থিতিতে ঐ ভাইয়ের করণীয় সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হিসেবে সংক্ষেপে কিছু কথা বলার চেষ্টা করছি ইনশাআল্লাহ। আশা করি, ঐ ভাই সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ।

          প্রথমত, আপনি যদি কোনো হক্বপন্থী তানজিমের সদস্য হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলুন ইনশাআল্লাহ। আর, কোনো তানজিমের সদস্য না হয়ে থাকলে নিচের পয়েন্টগুলো পড়ে দেখতে পারেন-

          * লেখাপড়া চালিয়ে যান। তবে, লেখাপড়ার উদ্দেশ্য যেন দুনিয়া অর্জন বা কথিত এস্টাবলিশ হওয়া না হয়।
          * বাবা-মার খেদমত করুন। তাদের মন জয় করার ও তাদেরকে ধীরে ধীরে দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলার চেষ্টা করুন।
          * জিহাদের প্রস্তুতি নিন। এই প্রস্তুতি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন- ইলমী, আধ্যাত্মিক ও শারীরিক প্রস্তুতি।
          > ইলমী প্রস্তুতি- দ্বীনি ইলম অর্জন করার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিন। বিশেষ করে, জিহাদ-ক্বিতাল, তাগুত, আল্লাহর আইন ব্যতীত ভিন্ন আইনে বিচারফায়সালাকারীর হুকুম, মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাফেরদের সাহায্য করার হুকুম, কার বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন? ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে যথেষ্ট ও সুস্পষ্ট জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
          > আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি - ফরজ ইবাদতে কোনো প্রকার গাফলতি করা যাবে না। নফল, সুন্নাত যথাযথ আদায়ের চেষ্টা জারি রাখতে হবে। জিহাদে যোগ দেওয়ার, হিজরতের আকাঙ্ক্ষা সর্বদা দৃঢ় থাকতে হবে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর করতে হবে।
          > শারীরিক প্রস্তুতি - নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। নিজের দেহ-মনকে ফিট রাখতে হবে।
          * যথাসম্ভব নিরাপত্তা বজায় রেখে এলাকায় বিশুদ্ধ তাওহীদ ও ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহর দাওয়াহ কার্যক্রম চালাতে হবে।
          * মুজাহিদীন মিডিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলে, সেখানে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।
          * সর্বোপরি মুজাহিদীন উলামা-উমারাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সামনে আগাতে হবে। আল-কায়েদা উপমহাদেশের আচরণবিধি পড়ে নেওয়া জরুরি। এ সম্পর্কিত অন্যান্য বই-পুস্তকও পড়ে নিতে হবে।

          আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করুন, দ্বীনের উপর দৃঢ় থাকার তৌফিক দান করুন, আমীন।
          Last edited by Masum Shariar; 03-17-2020, 07:18 AM.

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ, সকল ভাইয়েরা অনেক উত্তম মাশওয়ারাহ দিয়েছেন।
            আশা করি মুহতারাম ভাই আমল করতে পারেন, ইনশা আল্লাহ।
            জাযাকুমুল্লাহ
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              সুপ্রিয় পোস্টকারী ভাই,, আপনি কমেন্টগুলো পড়েছেন কি না আমরা কিন্তু জানি না। আপনি একটি কমেন্ট করতে পারেন,জাযাকাল্লাহ।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                কাজ শিখার জন্য কিছু কিতাবের নাম বলে দিচ্ছি।
                .......
                ভাই, আপনি যদি অনুগ্রহ করে ৩,৮,৯,১০ নম্বর কিতাবের পিডিএফ এর লিংক দিতেন তাহলে ইনশাআল্লাহ খুব উপকৃত হতাম।
                ৩/ দাওয়াতের সঠিক পদ্ধতি, আবু আব্দুল্লাহ)
                ৮/ মাআলিমুল আসসাসিয়্যাহ।
                ৯/ আল ওয়ালা, ওয়াল বারা।
                ১০/ কিতাবুল আকায়িদ, আবু আব্দুল্লাহ।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by আহরার মুজাহিদ View Post
                  আসসালামু আলাইকুম দ্বীনি ভাইয়েরা। একজন ভাই আমার কাছে কিছু নসীহা চাইলেন। তার কথা হুবহু তুলে ধরলাম।
                  ......
                  ভাই, আমি নিজে খুব কম জানি, কম বুঝি। তাও দু-একটা কথা বলছি, কাজে লাগতে পারে ইনশাআল্লাহ,
                  ১। ছাত্র ভাইকে বলুন সবর করতে। দ্বীনের পথে, জিহাদের পথে অনেক সবরের প্রয়োজন। এখানে সবরের কোন বিকল্প নেই।
                  ২। দ্বীনের প্রতি আরও নিষ্ঠাবান হওয়া, দ্বীনকে আকড়ে ধরে রাখা পরিস্থিতি যেমনই হোক। আল্লাহর সাথে সততা রক্ষা করা।
                  ৩। দ্বীনি এবং দুনিয়াবি দুই ইলম চর্চায় যত্নশীল হওয়া। দুনিয়াবি ইলম ও আল্লহর সন্তুষ্টির জন্য অর্জন করবেন, ভবিষ্যতে যেন দক্ষ মুজাহিদ হতে পারেন, দ্বীন ও উম্মাহর খিদমাত করতে পারেন।
                  আমার বাবা মাকে ফিতনা ও জিহাদের বিষয়ে কোনো কিছু বলতে গেলেই তারা আমাকে বলেন লেখাপড়ার খবর নাই এগুলো নিয়ে পড়ে আছি,......
                  ৪। ভাই, এরকম হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, এখানে আপনি আপনার অবস্থানে অটল থাকুন, আপনার নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হোন, আপনার বাবা-মা বা অন্য কেউ যেন আপনাকে 'অন্যরকম' হিসেবে মার্ক না করতে পারে, বাবা-মাকে তাদের জন্য সহজ হয় এমন ভাবে দাওয়াহ দিন, শুধু জিহাদ নয় বরং দ্বীনের ছোট-বড় সব বিষয়েই যতটা সম্ভব দাওয়াহ দিন, বাবা-মার সাথে অবশ্যই সম্পর্ক ভালো রাখবেন, তাদের হক্ব আদায় করুন, নিজের জিম্মাদারিগুলো পালন করুন, দ্বীনের বিষয়ে কোন মতবিরোধের কারণে যেন তাদের হক্ব নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখুন।
                  আমার নিজেরই অনেক দুর্বলতা, এসব নাসীহাহ আসলে আমার নিজেরই বেশি দরকার, তাও এখানে প্রিয় ভাইদের জন্য উল্লেখ করলাম।
                  প্রিয় ভাইয়েরা, আপনারা আমার ইসলাহর জন্য দুয়া করবেন।
                  আল্লাহ তাআলা আমাদের হক্বের উপর দৃঢ়পদ রাখুন, আমাদের এমন অবস্থায় মৃত্যু দিন যখন তিনি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট। আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by Bara ibn Malik View Post
                    সুপ্রিয় পোস্টকারী ভাই,, আপনি কমেন্টগুলো পড়েছেন কি না আমরা কিন্তু জানি না। আপনি একটি কমেন্ট করতে পারেন,জাযাকাল্লাহ।
                    কমেন্টগুলো পড়েছি ভাই। আলহামদুলিল্লাহ। অভিজ্ঞ দ্বীনি ভাইয়েরা যথেষ্ট সুন্দর ও বাস্তবসম্মত উপদেশ দিয়েছেন, মাশাআল্লাহ। আমি সেই ভাইয়ের কাছে কথাগুলো নিয়ে গিয়েছি। আশা করি তিনি উপকৃত হবেন। সকলকে জাঝাকাল্লাহ। আল্লাহ দ্বীন কায়েমের জন্য সবার আকাঙ্ক্ষাকে কামিয়াবি দিন। আমিন।
                    উদ্দেশ্য দ্বীন কায়েম ও শাহাদাহ

                    Comment


                    • #11
                      আলহামদু লিল্লাহ ভাইদের নসিহতগুলো সকল ছাত্রের জন্য উত্তম। আল্লাহ আমাদের সরল পথের সন্ধান দিন। আখিরাতের সফলতা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য । আবু জাহেল কে বদর যুদ্ধে যারা (সাহাবি রাঃ) হত্যা করেছিল তারা ছিল ১৪ -১৫ বছরের যুবক।
                      فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                      Comment

                      Working...
                      X