Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৯ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১৪ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৯ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    গত পাঁচ বছরে সৌদি সামরিক জোটের হামলায় ইয়ামানের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি



    ইয়ামান যুদ্ধের পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হল। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের হামলায় গত পাঁচ বছরে ইয়ামান বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বহু সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

    ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়ামানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু করে। যুদ্ধবাজ হিসেবে পরিচিত বর্তমান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তখন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এবং তখনও তিনি যুবরাজের পদে অধিষ্ঠিত হননি। পরবর্তী রাজার পদ লাভের আশায় প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ইয়ামানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু করেন। যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে তিনি সৌদি পররাষ্ট্র নীতিকে রক্ষণশীল অবস্থান থেকে সরিয়ে এনে আক্রমণাত্মক অবস্থানে নিয়ে গেছেন যাতে এটা সবার কাছে স্পষ্ট হয় যে রিয়াদের পররাষ্ট্র নীতিতে নয়া অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এর আগে সৌদি সরকার অন্য আরব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করত কিন্তু এবার তারা একটি আরব দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ বাধিয়েছে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই সৌদি নীতিতে এ ধরনের পরিবর্তন এনেছেন এবং অত্যন্ত দরিদ্র একটি আরব দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

    বাহ্যিকভাবে যুবরাজ সালমান সবাইকে এটা দেখানোর চেষ্টা করছেন যে, ইয়ামানের পদত্যাগকারী ও পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ফের ওই দেশটির ক্ষমতায় বসানো তার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু তার আসল উদ্দেশ্যে হচ্ছে ইয়েমেন যুদ্ধ বিজয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবের রাজার পদে বসার জন্য নিজেকে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করা। কিন্তু গত পাঁচ বছরের যুদ্ধে- না লোক দেখানো না প্রকৃত উদ্দেশ্য কোনোটিই অর্জন করতে পারেননি যুবরাজ সালমান। এই পাঁচ বছরে তিনি মানসুর হাদিকে ইয়েমেনের ক্ষমতায় বসাতে তো পারেননি। এমনকি মানসুর হাদির মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এডেন বন্দর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। অর্থাৎ এতে বোঝা যায় ২০১৫ সালে যুদ্ধ শুরুর সময়কালের তুলনায় বর্তমানে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, গত এক বছরে দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ এবং পলাতক প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদির সরকারের মধ্যকার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    ইয়ামান যুদ্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কোনো লক্ষ্যই এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি বরং অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি প্রচণ্ড চাপের মধ্যে পড়েছেন। কারণ এই যুদ্ধ ইয়েমেনে বিরাট মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে যা সাম্প্রতিক দশকে নজিরবিহীন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থেনিও গুতেরেস বহুবার বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক দশকে যুদ্ধের কারণে বিশ্বের মধ্যে ইয়েমেনে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।’

    অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক একটি গবেষণা কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে ইয়েমেন যুদ্ধে সরাসরি প্রায় ১৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে যার মধ্যে ৯ হাজার ৬৮২ জন পুরুষ, ২ হাজার ৪৬২ জন নারী ও ৩ হাজার ৯৩১ জন শিশু রয়েছে।

    এ ছাড়া অসম এ যুদ্ধে সরাসরি আহত হয়েছে ২৫ হাজার ৪০০ ব্যক্তি যার মধ্যে ৪২০০টি শিশু, তিন হাজারের বেশি নারী এবং ১৮ হাজার ১০০এরও বেশি পুরুষ রয়েছে। সরাসরি হতাহতের বাইরেও আরো অনেক ব্যক্তি এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে। বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মোট নিহতের সংখ্যা এক লাখের বেশি। কেননা সৌদি আরবের সরাসরি হামলা ছাড়াও ক্ষুধা ও বিভিন্ন ধরনের রোগে এসব মানুষ মারা গেছে। এ ছাড়া শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া ছাড়াও সৌদি আরব ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে খাদ্য ও ওষুধসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। ক্ষুধা ও বিভিন্ন ধরনের রোগে মৃত্যু এটা বড় কারণ। ইয়েমেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি ও অবরোধের কারণে চিকিৎসার অভাবে বছরে ৫০ হাজার শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। ইয়েমেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তোহা আল মোতাওয়াক্কেল বলেছেন, ‘সেদেশে কয়েক হাজার শিশু রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

    এদিকে, ইয়েমেনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। দেশটির বিমান পরিবহন সংস্থার মহাসচিব মাযেন গানাম জানিয়েছেন, ‘প্রায় ৩২ হাজার রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অপেক্ষা আছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।’ জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়কারী দফতর চলতি বছর ৫ মার্চ এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুদ্ধ পীড়িত ইয়েমেনের দুই কোটি ২ লাখ মানুষের জন্য ত্রাণের প্রয়োজন। এর মধ্যে এক কোটি চার লাখ মানুষের জন্য জরুরিভিত্তিতে সাহায্যের দরকার। যুদ্ধের কারণে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী জীবন যাপন করছে।

    আরব বিশ্বের দরিদ্র এ দেশটিতে সৌদি আরবের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় ঘটিয়েছে। অধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের ১৫টি বিমান বন্দর, ১৪টি সমুদ্র বন্দর, দুই হাজার ৭০০টি মহাসড়ক ও সেতু, ৪৪২টি যোগাযোগ কেন্দ্র, ১৮শ’৩২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, চার লাখ ২৮ হাজার ৮০০টি আবাসিক ভবন, ৯৫৩টি মসজিদ, ৩৪৪টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতাল, ৯১৪টি স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৭৮টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র, ৩৫৫টি কারখানা, ৭৭৪টি খাদ্য বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৩৭০টি তেল পাম্প স্টেশন হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

    পশ্চিম এশিয় অঞ্চলে রেডক্রিসেন্টের মুখপাত্র সারা আল জুগ্বারি কিছুদিন আগে বলেছেন, ‘যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় ইয়েমেনের বিভিন্ন শহরে জনগণের কাছে ত্রাণ সাহায্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দেশটির মাত্র ৫১ শতাংশ হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ছাড়া, খাদ্য, চিকিৎসা ও ওষুধের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিস্তার ঘটছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে এরই মধ্যে অনেক হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে হয়েছে।’

    ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের ফলে শুধু ইয়েমেনের জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি একইসঙ্গে সৌদি আরব ও তার মিত্ররাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৌদি বিভিন্ন সূত্র বলছে, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের তিন কোটির বেশি ডলার ব্যয় হয়েছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ ১৩০ শতাংশ বেড়ে। অস্ত্র আমদানির দিক থেকে ভারতের পর সৌদি আরবের অবস্থান।’

    যাইহোক, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব এ পর্যন্ত বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু এতো প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি দিয়েও তারা আজ পর্যন্ত কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35845/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফ্রান্সে একদিনে ১৪১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড



    ফ্রান্সে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে করোনার মৃত্যু মিছিল। দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাস গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১৪১৭ জনের। ফ্রান্সে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।

    ফ্রান্সে প্রতিদিন মৃত্যু আক্রান্ত যে হিসাব প্রকাশ করা হয়, তা হাসপাতাল ও নার্সিং হোম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।
    রিপোর্টঃ বিডি প্রতিদিন

    এর আগে শুধু হাসপাতালের দেয়া তথ্য প্রকাশ করা হতো। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৬০৭ জন এবং বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে মারা গেছেন ৮১০ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়লো।

    করোনা সংক্রমণ আটকাতে গত ১৭ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল ফরাসি সরকার কিন্তু এ লক ডাউন ও আক্রান্ত বা মৃতের হার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১০৯০৬৯ জন। তাদের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১০৫৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গুরুত্বর অসুস্থ আছেন ৭১৩১ জন । চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯৩৩৭ জন।

    লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সূত্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।

    ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরন সতর্ক করে বলেছেন, আমরা এখনও এই মহামারীর চূড়ায় পৌঁছাইনি। পথটি অনেক দীর্ঘ।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35823/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অমানবিক আচরণ অস্ট্রেলিয়ার, বিপদে ৬ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী



      কেবিনেট সভায় আলোচনার পর গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ঘোষণা করেছেন, করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগময় সময়ে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছাড়া আর কারো দায়িত্ব নেবে না সরকার। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

      স্কট মরিসন বলেছেন, ‘যার জন্ম যে দেশেই হোক না কেন, তিনি যদি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হন তাহলে তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। যারা অস্থায়ী ভিসা নিয়ে এদেশে আছেন তাদের নিজেদের খরচ বহনের সামর্থ্য না থাকলে ফিরে যেতে হবে।’ রিপোর্টঃ ডেইলি স্টার

      প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্যই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’

      প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মুহূর্তে প্রায় প্রায় পাঁচ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী এবং বিশ লাখ ‘হলিডে ওয়ার্কার’ অস্থায়ী ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।

      তবে এদের মধ্যে কয়েকটি সেক্টরের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। যে সব বিদেশি ছাত্রী নার্সিং বিষয়ে পড়ছেন তাদেরকে অস্ট্রেলিয়া না ছাড়তে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ কোভিড-১৯ এর জন্য সরকার ইতোমধ্যেই দেশের সব প্রাইভেট হাসপাতাল এবং বেশ কয়েকটি পাঁচতারকা হোটেল দ্রুত চিকিৎসা সুবিধার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছে। সেখানে প্রচুর নতুন চিকিৎসক ও নার্স প্রয়োজন।

      অন্যদিকে, যারা হলিডে ওয়ার্কিং ভিসায় কেবল ফল ও সবজি বাগানে কাজ করেন তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ দিয়েছে সরকার।

      অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী মাইকেল মাসিকর্মাক বলেছেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে প্রচুর ফল ও সবজি প্রয়োজন, তাই এখন আমরা কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারবো না যে, গাছে ফল পেকে ঝরে যাচ্ছে, না তোলার কারণে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

      বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী অস্থায়ী ভিসায় আছেন। হঠাৎ করে অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই সিদ্ধান্তে এদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

      সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘দ্য কাউন্সিল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অস্ট্রেলিয়া’। সংগঠনটি বলছে, অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর বিরাট ভূমিকা আছে। একজন ছাত্র গড়ে ৪০ হাজার ডলার টিউশন ফি দিয়ে থাকেন। প্রতি বছর ছাত্রদের কাছ থেকে সরকার ৩২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করে।

      তারা আরও বলছে, প্রধানমন্ত্রী বর্ণবাদী বক্তব্য রেখেছেন এবং তিনি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। এখন অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ লকডাউন। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই ঘোষণা রীতিমত অমানবিক।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35860/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শুধু কালোজিরা ও মধু খেয়ে করোনা থেকে সুস্থ হলেন নাইজেরিয়ার গভর্নর!



        নাইজেরিয়ার ওয়ো রাজ্যের গভর্নর সেয়ি মাকিন্দে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত সপ্তাহেই ধরা পড়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু এখন তিনি করোনা মুক্ত। করোনার হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন। পরে সোমবার তিনি জানিয়েছেন, কী করে করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কী ধরনের খাবার তিনি খেয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি আইসোলেশনে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু কালোজিরা আর মধু খেয়েই তিনি করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। করোনার হাত থেকে বাঁচতে শরীরের ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার উপাদান আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে। গভর্নর সেয়ি মাকিন্দে বলেন, ওয়ো রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা বোর্ডের নির্বাহী সচিব ড. মাইদেন ওলাতুনজি আমার হাতে কালোজিরা তুলে দেন। তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে দেন তিনি। আমি সেটা খেয়েছি। আর এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলোই ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে আর করোনাভাইরাস নির্মূল করে। তিনি বলেন, মাইদেন ওলাতুনজি কালোজিরা আর মধুর মিশ্রণটি সকালে একবার ও সন্ধ্যায় একবার খেতে বলেন। আমি সেই উপদেশ মেনে চলেছি। আমি এখন ঠিক আছি। সুস্থ অনুভব করছি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

        কালোজিরা খাওয়ার ব্যাপারে হযরত আয়েশা রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: إِنَّ هٰذِهِ الْحَبَّةَ السَّوْدَاءَ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ مِنْ السَّامِ قُلْتُ وَمَا السَّامُ قَالَ الْمَوْتُ

        অর্থ: এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ। (আয়েশা রা. বলেন) আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু। (বুখারী-৫৬৮৭)।
        মোটকথা এই কালো কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত প্রতিটি রোগেরই ঔষধ। অন্য কোন চিকিৎসা গ্রহণ করতে না পারলেও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে চিকিৎসা দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে সব ধরনের রোগের জন্য উপকারী। অতএব চলমান পরিস্থিতিতে কালোজিরা খাওয়ার এ চিকিৎসা আমরা গ্রহণ করতে পারি। কালোজিরা ছাড়াও আরেকটি মহা ঔষধের নাম হল মধু, যার কথা কুরআন-হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

        আল্লাহ তাআলা বলেন: يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاء لِلنَّاسِ অর্থ: মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের শরাব (মধু) বের হয়, তাতে রয়েছে মানুষের আরোগ্য (ছূরা নাহল-৬৯)।
        এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, মধু পান করা যে কোন রোগের জন্য উপকারী। এছাড়া গরুর দুধ সেবন করা যায়। হযরত ইবনে মাসউদ রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:

        عَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ ، فَإِنَّهَا ترُمُّ مِنْ كُلِّ الشَّجَرِ ، وَهُو شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ

        অর্থ: তোমাদের জন্য গরুর দুধ গ্রহণ করা উচিৎ কেননা তা বিভিন্ন গাছ (ঘাস) থেকে তৈরি আর তা সকল রোগের ঔষধ। (মুসতাদরাকে হাকেম-৮২২৪)
        এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, গরুর দুধের মধ্যে রোগ নিরাময়ের গুণ রয়েছে। সুতরাং রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য গরুর দুধ পান করা যেতে পারে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35827/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনায় জেরে হজ নিবন্ধনের সময় ফের বাড়ল



          করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুদের জন্য হজ নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সীমা আরও একদফা বাড়ানো হয়েছে।

          নিবন্ধনের জন্য নতুন করে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা যুগান্তর।

          এ নিয়ে তৃতীয় দফায় বাড়ানো হল হজ নিবন্ধনের সময়। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে হজ গমনেচ্ছুদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় নিবন্ধনের সময় ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

          করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে ওমরাহযাত্রী প্রেরণ ও সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ আছে। তবে পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২০ সালে হজযাত্রী প্রেরণের লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35822/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কিরগিজিস্তানে করোনায় চিকিৎসকের মৃত্যুতে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা



            করোনাভাইরাসের চিকিৎসা দিতে গিয়ে যদি কোনো চিকিৎসকের মৃত্যু হয় তবে সেই চিকিৎসকের পরিবারকে ১০ মিলিয়ন সম পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কিরগিজিস্তান সরকার। বাংলাদেশ ও কিরগিজিস্তানের মুদ্রার মান সমান হওয়ায় তা এটি ১ কোটি টাকার সমান।

            কিরগিজ সংবাদ কেজিটোয়েন্টিফোরের এক খবরে বলা হয়, বিষয়টি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কিরগিজিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী কুবাটব্যাক বোর্নভ।

            তিনি জানিয়েছেন, করোনায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি কোনো চিকিৎসক মারা যায় তাহলে তার পরিবারকে ১০ মিলিয়ন সম ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা চলাকালীন পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে চিকিৎসক এবং মেডিকেল কর্মীদের ২ লাখ সম পরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

            গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ৩২ জন চিকিৎসাকর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন রাজধানী বিশবেকে, ২০ জন ওশ অঞ্চলে, সাতজন জালালাবাদে এবং একজন বেটকিনের।

            যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, কিরগিজিস্তানে এখন পর্যন্ত ২৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে চারজন।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35834/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              এবার ত্রাণ দেওয়ার নামে দিনমজুরের মেয়েকে ধর্ষণ করলো আওয়ামী মেম্বার!



              বরগুনার তালতলীতে করোনা ভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে খাদ্য সংঙ্কটে পড়ে একটি দিনমজুর পরিবার। আর সেই সুযোগে ঐ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নাম তালিকাভুক্তি করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী ইউপি সদস্য আনোয়ার খান দিনমজুর সোবাহানের মেয়েকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

              ভুক্তভোগি পরিবার সূত্রে বার্তাসংস্থা ‘মানবজমিন’ জানায়, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়ের পূর্ব বাদুরগাছা এলাকার দিনমজুর সোবাহান করোনা ভাইরাসের কারণে কোনো কাজকর্ম না করতে পারায় তার পরিবার খাদ্য সংঙ্কটে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গত ৬ এপ্রিল সোমবার জানালে ঐ আওয়ামী সন্ত্রাসী মেম্বার ঐ দিনমুজুরের মেয়েকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলে। পরেদিন ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ঐ দিনমজুর সোবাহানের বিবাহিত মেয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গেলে এই সুযোগে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আওয়ামী মেম্বার। এ সময় ঐ মেয়ের স্বামী ইসরাফিল ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এই ঘটনা কাউকে বললে খুন করার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী আওয়ামী মেম্বার।পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগি দিনমজুর পরিবারকে থানায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়।

              পরের দিন স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী ইউপি সদস্য। আজ ৮ এপ্রিল বুধবার পর্যন্ত স্বামী ইসরাফিলের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি আর ঐ দিনমজুর পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে জানান তারা। এদিকে ইউপি সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক এলাকাবাসী। বিচারের দাবি করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
              অভিযুক্ত আনোয়ার খান তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
              বাবা সোবাহান বলেন আমি দিনমজুরের কাজ করি। এই করোনা ভাইরাসের কারণে আমি অসহায় দিনযাপন করছি। এর ভিতরে আমার মেয়ে তার স্বামী ইসরাফিল কে নিয়ে বেড়াতে আসেন বাড়িতে। এর ভিতরে আমার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। স্থানীয় মেম্বার আনোয়ার খানের কাছে গেলে সে আমার মেয়েকে তার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে। পরে বিকেলের দিকে তার বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় সে।
              এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল বাশার বাদশা তালুকদার বলে, নিউজ করার দরকার নেই আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে!
              তালতলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি এখনি। আর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
              এভাবে, দেশে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, লকডাউনের কারণে দেশের কোটি কোটি গরীব মানুষ আজ অসহায়, ক্ষুধার্ত; তখন দেশের এই অসহায় জনসাধারণের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। কখনো ত্রাণ দেওয়ার নামে পিকচার তুলে সেই ত্রাণ কেড়ে নিয়ে অসহায়দের সাথে তামাশা করছে, আবার কখনো ত্রাণ দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করছে সন্ত্রাসী আওয়ামী বাহিনী।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35819/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সরকারি উদাসীনতায় আইসোলেশন কক্ষের এ কী হাল!



                ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসোলেশন কক্ষ যেন করোনাভাইরাসের উর্বর ভূমি। সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা নিয়ে কেউ ঢামেক হাসপাতালে এলেই তাকে জরুরি বিভাগের আইসোলেশন কক্ষে রাখা হচ্ছে। চিকিৎসক প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের স্যাম্পল কালেকশন করলেও ফলাফল আসতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ফলে এই পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে।

                আইসোলেশন কক্ষে বসার জন্য বেশ কয়েকটা সিটে থাকলেও বেড রয়েছে দুটি। গরম ও যন্ত্রণায় অনেকে বসার সিটে এবং ফ্লোরে শুয়ে পড়ছেন। এর মধ্যে কারও অবস্থা বেগতিক খারাপ হলে কিংবা করোনা পজেটিভ এলে তাকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

                রবিবার জরুরি বিভাগের আইসোলেশন কক্ষে দেখা গেছে, সেখানে বেড রয়েছে মাত্র দুটি। রোগী ছিলেন ১১ জন। এর মধ্যে ৩ জন করোনা পজেটিভ এবং ৮ জনের নেগেটিভ। ২ জন বেডে শুয়ে আছেন। অন্যরা কেউ বসে বা কেউ ফ্লোরে বা বসার সিটে শুয়ে ছিলেন। এসব রোগীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


                রিপোর্টঃ বিডি প্রতিদিন

                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35830/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সুরক্ষা গ্রহণ ছাড়াই করোনায় আক্রান্ত স্বামীকে খেদমত করা স্ত্রীর করোনা ‘নেগেটিভ’



                  করোনা ভাইরাস পজিটিভ নিয়ে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রংপুরের সেই শ্রমজীবী ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা স্ত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে হাসপাতালে এক সপ্তাহ অবস্থান করেন তার স্ত্রী। সেখানে কোনো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই স্বামীর সেবা করেন তিনি। এর পরও পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসার ঘটনাটিকে মিরাকল বলে অভিহিত করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। খবরঃ আমাদের সময়

                  বগুড়ার একমাত্র আক্রান্ত ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার উপস্থিতির পর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শে তার স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে গত রবিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে নমুনার রেজাল্ট পাওয়া যায়।

                  মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, করোনা রোগীর সংস্পর্শে থাকা তার স্ত্রীর শরীরে করোনার কোনো উপস্থিতি মেলেনি। হাসপাতালে রোগীর সংস্পর্শে আসা আরও একজন তার মেয়েজামাইকে রংপুরের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখায় তার নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, রংপুরের সেই শ্রমজীবী ব্যক্তির করোনা পজিটিভ হলেও শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

                  করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২৯ মার্চ রাতে একটি ট্রাকে চড়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ট্রাকে আরও ১৫ থেকে ২০ জন মানুষ ছিলেন। পথে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে করোনা আক্রান্ত আতঙ্কে ওই ব্যক্তিকে ভোররাতে বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়।

                  দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর একটি রিকশাভ্যানে তাকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুদিন রাখা হয়। পরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35831/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    “আমরা তো করোনায় মরতাম না, তার আগেই না খাইয়া মইরা যামু”



                    নারায়ণগঞ্জে লকডাউনের মধ্যে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছে সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের অভিযোগ—আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দেওয়ার পরও ত্রাণভোগীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাদের নাম ।
                    দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সকাল থেকে ফতুল্লার কাশীপুর ছোট আমবাগান এলাকায় খাদ্য সামগ্রী না পেয়ে লকডাউন ভেঙ্গে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নিম্ন আয়ের বর্তমানে কর্মহীন মানুষ। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই খাদ্য সংকট এখানকার মানুষদের।
                    আয় নেই খাবারও নেই। এর মধ্যে স্থানীয় মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিদের নাম করে তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেওয়া হয়েছে ত্রাণ দেওয়া হবে বলে। বুধবার সকালে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও ত্রাণ দেওয়া হয়নি। তাই বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী।
                    বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া সফুরা বিবি জানান ‘আমাদের তো ঘরে দুদিন ধরে খাবার নেই। খালি শুনি পুরা নারায়ণগঞ্জে নাকি খাবার দিতাসে কিন্তু আমাদের এখানে তো কেউই খাবার দেয়না। কিসের দূরে দূরে থাকমু! আমরা তো করোনায় মরতাম না, তার আগেই না খাইয়া মইরা যামু। আইডি কার্ডের ফটোকপি নিসিলো আজকে আবার দিয়া গেসে কিন্তু খাবার তো দিলোনা।’
                    উল্লেখ্য, দেশজুড়ে যখন লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে, তখনও আওয়ামী গুণ্ডারা তাদের চুরি-ডাকাতি-ধর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে নিপীড়িত এই জনসাধারণের উপর। দেশজুড়ে গরীব মানুষের চাল চুরি করছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, আবার চাল দেওয়ার নামে ধর্ষণও করা হচ্ছে।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/09/35840/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment

                    Working...
                    X