Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২২শে জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২২শে জিলহজ, ১৪৪১ হিজরী # ১৩ আগস্ট, ২০২০ঈসায়ী।

    ফিলিস্তিনি মুসলিম পরিবারকে গুহায়ও থাকতে দিচ্ছে না সন্ত্রাসী ইসরাইল

    ফিলিস্তিনি মুসলিম আহমেদ আমারনাহ, বয়স ৩০। পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বহুদিন ধরেই নিজের পরিবারের সঙ্গে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ফারাসিন গ্রামে একটি পাহাড়ি গুহায় বাস করেন তিনি। কিন্তু ইসরাইল এখন বলছে, তাদের এই ঘর অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাই এটা ভেঙে দেয়া হবে। বাড়ি ভেঙে দিতে ইতিমধ্যে একটি নোটিশও জারি করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। তবে ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আহমেদ।

    শুধু আহমেদ আমারনাহের বাড়িই নয়। দখলকৃত পশ্চিম তীরের বহু পরিবারের ঘরবাড়িই ভেঙে দেয়া হয়েছে। আবার অনেককেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার বলছে, এখন থেকে এই অঞ্চলে নতুন কোনো বাড়ি নির্মাণ করতে অবশ্যই ইসরাইলের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া ইাতমধ্যে যেসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোও গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।

    আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ ও নিষিদ্ধ হলেও ইহুদি বসতি স্থাপনের জন্য পুরো এলাকা জবরদখলের চেষ্টা করছে ইসরাইল।

    ইসরাইলের এই দখল দারিত্বের কারণে আহমেদ ও তার মতো অনেকেই ধরেই নিয়েছেন, এরিয়া-সি এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অনুমতি তারা কখনই পাবে না। আর তাই ফারাসিন গ্রামের একপ্রান্তে পাহাড়ি এলাকার একটি প্রাকৃতিক গুহায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন আহমেদ। তিনি মনে করেছিলেন, গুহা যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। তাই ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে না যে, এটা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।

    এছাড়া ওই গুহাটি তার নামেই রেজিস্ট্রি করে দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানেও জোর-জবরদস্তি করে উচ্ছেদ করতে চাইছে ইসরাইলিরা।

    আহমেদ তার গুহাবাড়ির মুখ একটি পাথর দিয়ে আটকে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি কাঠের দরজা সেট করেছেন। এরপর গুহাটিকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন। একটি রান্নাঘর, পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য একটি থাকার ঘর আর নিজের ও স্ত্রীর জন্য একটি আলাদা ঘর বানিয়ে নিয়েছেন। অতিথির জন্য একটি বসার জায়গাও রয়েছে গুহার মধ্যে।

    মা-বাবা আর স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিয়ে গত দেড় বছর ভালোই চলছিল তার সংসার। কিন্তু জুলাই মাসেই তার এই সাজানো-গোছানো গুহাবাড়ি ভেঙে দেয়ার জন্য ইসরাইলের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয়। আহমেদ একা নন, ফারাসিন গ্রামের অন্তত ২০টি পরিবারকে একই নোটিশ দেয়া হয়েছে।

    অধিকৃত পশ্চিম তীরের দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি সামরিক শাখা সিওজিএটি বলেছে, ফারাসিন গ্রামের কয়েকটি বাড়িকে ভেঙে ফেলার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কারণ ওই অবকাঠামোগুলো ‘যথার্থ কর্তৃপক্ষে অনুমতি ও অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।’
    নোটিশের ব্যাপারে আহমেদ বলেছেন, ‘অবৈধভাবে নির্মাণের কথা শুনে তিনি বেশ অবাক হন। তার ভাষায়, ‘ওই গুহা আমি নিজে তৈরি করিনি। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এটা এখানেই ছিল।

    আহমেদ আরও বলেন, ‘আমার ঠিক বোধগম্য নয়, তারা (ইসরাইল) কিভাবে আমাকে এই গুহায় বসবাস করা বাধা দিতে পারে। প্রাণীরাও গুহায় বাস করে আর তাদেরকে কেউই বের করে দিতে পারে না। তাহলে তারাও আমার সঙ্গে প্রাণীর মতোই আচরণ করুক। আমি এই গুহাতেই থাকবো।’
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফিলিস্তিনিদের নিজ বাড়ি নিজেই ভাঙতে বাধ্য করেছে ইহুদীরা,শিশুদের কান্না

    ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কর্তৃক অবৈধভাবে পূর্ব জেরুসালেমের এক ফিলিস্তিনি পরিবারকে তাদের নিজের বাড়ি ভেঙে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে।

    ইসরাইলের আদালত এই জঘন্য রায় প্রদান করে। কুদুস নিউজের বরাতে মিডলইস্ট মনিটর এই খবর নিশ্চিত করেন।

    রায়ে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বাসিন্দা ইবরাহীম আবু সাইবা তার নিজ বাড়ি নিজেই ভেঙে ফেলতে হবে। রায় অমান্য করলে গুনতে হবে মোটা অংকের জরিমানা এবং দিতে হবে বাড়ি ভাঙার খরচও।

    রায় সম্পর্কে আদালত বলছেন, বাড়িটি অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ ওই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পাওয়া অসম্ভব।

    গতো সোমবার যখন আবু সাইবার বাড়িটি ভাঙা হচ্ছিল তখন তার শিশু কন্যা কান্না করছিলো।সে বলছিলো, "আমরা এখন কোথায় যাব।" একজন বয়স্ক মহিলা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন এই বলে যে, “কেঁদোনা, যারা আমাদের বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে আল্লাহ্ তাদের বিচার করবেন।” এরপর ওই শিশু কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমার আল্লাহ্ ওদের বাড়িও ভেঙে দিবেন।”

    উল্লেখ্য, ইসরাইল কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের পুরো অঞ্চলটি ইসরাইলি সামরিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে ‘এরিয়া সি’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। যার ফলস্বরূপ নিয়মিতভাবে এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে অভিশপ্ত ইহুদিরা।

    এবছর ২০২০ সালেই অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের ৩১৩ টি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বানভাসি মানুষের পাশে নেই কথিত জনপ্রতিনিধিরা

      দেশে এখন ভয়াবহ বন্যা চলছে। ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩৩টি জেলার লাখ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কোথাও ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, কোথাও ভাসমান অবস্থায় বসবাস করছেন বানভাসি মানুষ। নদীভাঙনেও বিলীন হয়ে গেছে অনেকের ঘরবাড়ি। জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা ওই সব মানুষের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই এখন দিশেহারা। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের পাশে নেই অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপি কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। হাতেগোনা দু’চারজন জনপ্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেও সাহায্য সহযোগিতার পরিমাণ একেবারেই কম; যা দিয়ে ঠিকমতো দু’বেলা দু’মুঠো আহার জুটছে না। দিনকে দিন পেরিয়ে তাদের জীবন এখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কিভাবে সামনে জীবন চলবে, আর কী দিয়ে নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করবে বা এই বন্যার কবল থেকে কবে তারা মুক্তি পাবেÑ এসব দুশ্চিন্তায় বানভাসি মানুষের মধ্যে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

      দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশের ৩৩টি জেলা এখন বন্যাকবলিত। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ। বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬৫টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা এক হাজার ৮৬টি। পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৩টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৮৬ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জন।

      বন্যাকবলিত এলাকায় ফসলাদি, আসবাবপত্র, গবাদিপশু, ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজসহ নানা জিনিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারো কারো ঋণের টাকায় গড়ে তোলা মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে ওই সব মানুষ লাখ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় আমফানের ভয়াবহ আঘাতে খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলার ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিশেষ করে সাতক্ষীরা জেলার কয়েকটি এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে ডুবে আছে। আমফানের ধকল কাটিয়ে না উঠতেই তারা বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন বন্যায় পানিবন্দী হয়ে থাকলেও জনপ্রতিনিধিদের কোনো দেখা নেই। তারা কী খাচ্ছেন, কোথায় ঘুমাচ্ছেন, কী করবেনÑ এসব নিয়েও তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বানভাসি মানুষের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও অধিকাংশ এলাকায় সেই ত্রাণ না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি নওগাঁর বাসিন্দা আবদুর রাকিবসহ তরুণ যুবকরা সেখানকার বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। আবদুর রাকিব বলেন, গত জুলাই থেকে এলাকায় বন্যা চলছে। বন্যাকবলিত মানুষ অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ পর্যন্ত তাদের সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে দেখিনি। তবে সরকারিভাবে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। এটাও তো পর্যাপ্ত নয়।

      এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, বিভিন্ন কারণে সর্বত্র হতাশা কাজ করছে। বন্যা, করোনা বা চলমান রাজনীতি যেটাই হোক না কেন, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সভার মধ্যে একটি হতাশা কাজ করছে। আমি মনে করি, এই হতাশা থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উৎসাহ উদ্দীপনা তারা হারিয়ে ফেলছে। তিনি বলেন, যারা ব্যবসায়ী কাম রাজনীতিবিদ দেশের এই পরিস্থিতিতে তারা মনে করছে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদরা এখন পুরো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে না। অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে, তারাই পার্লামেন্টে যাচ্ছে; যাদের সাথে মাঠের মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই, অতীতেও জনগণের সাথে এসব মানুষের কোনো সম্পর্ক ছিল না। নয়া দিগন্ত
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        শরিয়ত সম্মত বিয়ে ভেঙে দিলো আওয়ামী প্রশাসন

        কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বংশীপাড়ার এক যুবকের সাথে তারই মামাতো বোন আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা ও নবম শ্রেণির ছাত্রীর বুধবার দুপুরে বরের বাড়িতে হওয়ার কথা ছিলো।

        কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় আছে- এই শঙ্কায় কনেকে একদিন আগেই বরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বুধবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবা খাঁন পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। তখন পালিয়ে যায় বর, কনেসহ বাড়ির সবাই। এভাবেই একের পর এক ইসলামিক বিয়ে ভেঙে দিচ্ছে তাগুত বাহিনী।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          রাজশাহী রেঞ্জের এসপির বিরুদ্ধে এবার চাঁদাবাজির মামলা

          পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

          গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যবসায়ী মামলাটি দায়ের করেছেন। এসপি বেলায়েত হোসেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে কর্মরত।

          আদালতের হাকিম দিদার হোসেন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

          মামলা সূত্রে জানা যায়, নিকটাত্মীয় ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুবছর আগে বেলায়েতের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তার সঙ্গে বাদীর সম্পর্ক ভালো হয়। বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অর্থের প্রতি আসামির কুনজর পড়ে। ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট বাদীর বাবার কাছ থেকে নিয়ে বেলায়েতকে ৫ লাখ টাকা ঋণ দেন। পরে ঋণের টাকা বেলায়েত চেকের মাধ্যমে ফেরত দেন।

          ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল বেলায়েত বাদীর বাবাকে ফোন করে বলেন, ৫ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের (বাদী) অসুবিধা হবে। পরে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার একটি চেক আসামিকে দেন। ১০ এপ্রিল বাদীর বাবা ও সাক্ষী কথা বলে জানতে পারেন, ব্ল্যাকমেইল করে চেকটি আসামি নিয়ে যায়।

          ৮ আগস্ট বেলায়েতসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জন ডিবি নামধারী পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর বাসায় প্রবেশ করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হবে এবং নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে জরিমানাসহ জেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।

          অভিযোগে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় বাদী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং বারবার আসামি বেলায়েতকে বলেন, ‘আপনি আমাদের কাছের লোক, কী বলছেন?’ তখন আসামি বেলায়েত অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং টাকা দিতে না পারায় মারপিট করে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে অন্যায় ও বেআইনিভাবে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বাদীকে ২৫ লাখ টাকা দিতে বলেন। নতুবা ‘ক্রসফায়ার’ অথবা ফেনসিডিলসহ অস্ত্র দিয়ে মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। তখন বাদী সাড়ে তিন লাখ টাকা আসামি বেলায়েতের হাতে তুলে দেন এবং ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা দেন। আসামির সঙ্গে ১৫ লাখ টাকায় রফা-দফা করে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার চেক দিয়ে সমন্বয় করেন। আরও ৬ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে বলেন। তা না হলে বাদীর ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন বেলায়েত।

          এ ব্যাপারে কথা বলতে এসপি বেলায়েত হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। আমাদের সময়
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ইন্নালিল্লাহ....।
            হে আল্লাহ আপনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী ইসরাইলিদের হাত থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
            হে আল্লাহ আপনি বিশ্বের সকল মুসলিম কে কাফেরদের হাত থেকে হিফাজত করুন,আমীন।
            হে আললাহ আপনি বিশ্বের সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন,আমীন।
            হে আল্লাহ আপনি আল ফিরদাউস নিউজ টিমের সকল ভাইদেরকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন,আমীন।
            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

            Comment

            Working...
            X