Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৯ ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৬ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৯ ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪১ হিজরী # ২৬ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    ইহুদিদের পিঠুনিতে এক ফিলিস্তিনী কিশোর নিহত



    গত ২৫ অক্টোবর পশ্চিম তীরে নাবলুসের উপকণ্ঠে একটি গ্রামে ১৮ বছর বয়সী আমের সানাওয়ার নামে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী এবং একটি মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা ভোরের দিকে ঐ ফিলিস্তিনি কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, কিশোর আমের বাজারে যাবার সময় ইহুদি দখলদার বসতির পাহারাদাররা তার উপর হামলা করে। মারা যাবার আগ পর্যন্ত তার ক্ষতবিক্ষত শরীরে আঘাতের পর আঘাত করা হয়েছিলো।

    এ ঘটনায় আমেরের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার পরিবার জানিয়েছে, আমেরকে ধরে নিয়ে যাবার খবর শুনে আমারা দ্রুত ছুটে আসি। কিন্তু আমাদেরকে কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। এমনি আহত আমারকে কোন প্রকার চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বন্দুকের পিঠ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

    আল মানার টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, আমারের নিহতের ঘটনায় পুরো পশ্চিম তীর ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন এক বিবৃতিতে অমেরের হত্যার ঘটনাকে ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করে ইসরায়েলি সেনাদের আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে প্রতিরোধকামী সবাইকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

    উল্লেখ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সহিংসতা বেড়েই চলেছে।

    সূত্র : মিডলইস্ট আই।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ফ্রান্সের পণ্যবয়কটের আহ্বান জানিয়ে আলেমদের বার্তা


    সূচনাকাল থেকে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি মুসলিম উম্মাহর ভালবাসা ছিল এমন যা বড় বড় কাফেররা দেখে ঈর্ষায় ফেটে যেত। নবীর প্রতি এই ভালোবাসা মুসলিম উম্মাহর অনেক বড় পুঁজি। নবীর প্রতি ভালোবাসার প্রথম দাবি নবীর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা। যেসব সুন্নাহকে কেন্দ্র করে কাফেররা বিদ্রুপ করে সময় এসেছে সে সব সুুন্নাহকে আরো বেশী করে আঁকড়ে তাদের মুখের উপর জবাব দিয়ে দেওয়া, হযরত সালমান ফারসীর ভাষায়-আমি কি আমার প্রিয় নবীর সুন্নত ছেড়ে দেব এসব আহম্মকদের কথায়?

    এই মুহূর্তে নবীর প্রতি ভালোবাসার সর্বনিম্ম একটি দাবি, যারা নবীর শানে বেআদবি করে তাদের সাথে সবধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করা। তাদের সাথে কেনাবেচা লেনদেন আমদানি রফতানি বন্ধ করে দেয়া। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সে পণ্যবয়কট আন্দোলনে অংশ নেয়ারই আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত আলেমগণ।

    জগদ্বিখ্যাত আলেম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি তার এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, দোজাহানের সরদার হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তারপর কি কোনো মুসলমানের পক্ষে এটা সম্ভব যে সে এই দেশের পণ্য কেনাবেচা কিংবা আমদানি রফতানি করবে।এই সম্পদ পূজারিদের তখনই উচিত শিক্ষা হবে যখন ইসলামী বিশ্ব তাদের পণ্য বয়কট করবে। এটা হল সর্বনিম্ম একটি প্রতিক্রিয়া যা আমরা এই মুহূর্তে দেখাতে পারি।

    আরববিশ্বের আলেম ইউসুফ কারযাভী লিখেছেন, মুসলিম উম্মাহর পক্ষে এটি কখনো সম্ভব নয় তারা তাদের নবীর হক আদায়ে গড়িমসি করবে। মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আমাদের সবকিছুর চাইতে প্রিয়। আমি কিভাবে এমন কোনো জাতির পন্য ক্রয় করি যারা আমার নবীকে অপমান করে? কিভাবে আমরা আমাদের সম্পদ তাদেরকে দেই? কিভাবে আমাদের সম্পদে তাদেরকে লাভবান হতে দেই? না কখনো হতে পারে না। আমাদেরকে সে সব পণ্যের বিকল্প ব্যবহার করতে হবে। এসব পণ্যে তাদের মুখাপেক্ষী হওয়া যাবে না।

    আরব বিশ্বের আরেক প্রথিতযশা আলেম বিশিষ্ট হাদীসবেত্তা শায়খ শরীফ হাতেম লিখেছেন, ফ্রান্স সরকার মুসলমানদেরকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে-তাদের একটাই কথা, হয় তুমি তোমার নবীর গালি দেয়াকে মেনে নাও আর নয়তো তুমি সন্ত্রাসী! সত্যি বলতে কি ফ্রান্স সরকার তাদের সেই মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে। তবে এবার খৃস্টধর্মের গীর্জা দিয়ে নয়, ধর্মনিরপেক্ষতা নামক ধর্মের গীর্জা দিয়ে, যার বর্তমান পাদ্রী ম্যক্রো।
    https://twitter.com/Al3uny?ref_src=t...0a6bee0a6b0%2F
    পাকিস্তানের দায়ী আলেম মাওলানা তারিক জামিল তার টুইট বার্তায় লেখেন, রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে বেআদবি করায় সকল মুসলিমের হৃদয় ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। আমি প্রতিটি মুসলিম ভাইকেই বলব, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করে বয়কট আন্দোলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে এই বস্তুপূজারিদের ভোগবিলাসে আপনি একটা আঘাত হলেও করতে পারেন।নিজের সাধ্যের ভিতরে প্রত্যেক মুলমান ফ্রান্সের পণ্য বয়কটকে আবশ্যক করে নিন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সুদান-ইসরায়েল সম্পর্কে রাজি : তাওহীদী জনতার বিক্ষোভ

      সুদানে সরকারিভাবে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে সুদানের মুসলিম জনতা। দেশটির ক্ষুব্ধ মুসলিম জনগণ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

      ইসরায়েল-সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিকে রাজি হয়েছে। নিজেদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব অবসানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দু’জাতি ‘শুক্রবার ইসরায়েল, সুদান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় এমন ঘোষণার পর রাজধানী খার্তুমে বিক্ষোভ করেন সুদানের নাগরিকরা।

      গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা রাজধানী খার্তুমে সমাবেশ করেন এবং সুদানের সার্বভৌম পরিষদের প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহকে সন্ত্রাসী ইসরালের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান।

      খার্তুমের বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সুদানের নাগরিকরা বলেন, দখলদার রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো শান্তি নয়, সমঝোতা নয়, একাত্মতা প্রকাশের প্রশ্নই উঠে না। আমরা কখনো তা মেনে নেবো না। ফিলিন্তিনিদের সঙ্গে সব সময় আছি আমরা।’সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকায় আগুন দেন।

      সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে সুদানের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ।

      যদিও আল জাজিরাকে ফিলিস্তিনী এক ব্যাক্তি বলেছেন, অনেক ফিলিস্তিনী বিশ্বাস করেন, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ নিন্দা জানানো ছাড়া খুব বেশি কিছু করতে পারেনি।

      দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহর থেকে আল জাজিরাকে ঐ ব্যাক্তি বলেন, অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কিন্তু মুক্তির আশা খুব একটা নেই।

      অনেক ফিলিস্তিনী সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, সুদানের নাগরিকদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের আত্মার সম্পর্ক। কিন্তু দেশটির শাসকদের কারণে তারা কিছু করতে পারছেন না।

      সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আকবর কোথায় পুলিশ জানে

        আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে সন্তানের মৃত্যুর ১৫ দিনেও আটক হয়নি মূলহোতা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, যাকে পালাতে সহায়তা করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তেও ধীরগতি। অসহায় মা ছালমা বেগম তাই এলেন রাজপথে, যে পুলিশ ফাঁড়ির নির্যাতনে মৃত্যু হয় রায়হানের, সেটির সামনেই কাফনের কাপড় গায়ে চাপিয়ে জানালেন- অপরাধীরা গ্রেপ্তার না হলে থাকবেন আমরণ অনশনে। যদিও পরে বিকাল ৫টায় সিটি মেয়র ও গণ্যমান্যদের অনুরোধে সেই অনশন তুলে নেন রায়হানের মা।

        ছালমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার সন্তানকে হত্যা করে পুলিশের বড় কর্তাদের সামনে দিয়ে পালিয়ে গেল আকবর। আমাদের প্রশাসন নিশ্চয়ই জানে আকবর কোথায়, কিন্তু ধরছে না। অন্য দোষীদেরও রাখা হয়েছে জামাই আদরে। তাদের একসঙ্গে গ্রেপ্তার না করে একজন একজন করে আদালতে এনে সময় নষ্ট করা হচ্ছে। কয়দিন পর সবাই এ ঘটনা ভুলে যাবে। আমি ডেকেও কাউকে আর পাব না। সন্তানকে পেলাম না, হয়তো সন্তান হত্যার বিচারও দেখে যেতে পারব না। এর চেয়ে রাস্তায় বসে মরে যাওয়াই ভালো।’

        রায়হান উদ্দিন নামের ওই যুবককে বন্দরবাজার থানাপুলিশ গত ১০ অক্টোবর আটক করে। ওইদিন রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। ছেলেকে বাঁচাতে ভোরে তার বাবা টাকা নিয়ে ওই ফাঁড়িতে গেলে জানানো হয় রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে, সকাল ১০টার দিকে আসতে হবে। পরে সকাল ১০টার দিকে গেলে তাকে বলা হয়, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে যেতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার ছেলে মারা গেছে। পুলিশ দাবি করে, ছিনতাইকারী সন্দেহে রায়হানকে জনতা গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও সিটি করপোরেশনের ফুটেজে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মহানগর পুলিশের ওপর ব্যাপক অভিযোগের পর মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

        ঘটনার মূলহোতা আকবর এখন পর্যন্ত ধরা না পড়ার সুযোগ নিচ্ছেন গ্রেপ্তারকৃতরা। কিছুতেই মুখ খুলতে চাইছেন না তারা। নির্যাতনে অংশ নেওয়া কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েও অর্থবহ কিছু উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে পিবিআই। রিমান্ড আদালতে আনা হলে সেখানে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি টিটু। বাধ্য হয়ে তাকে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে আছেন কনস্টেবল হারুনুর রশীদও। পিবিআইয়ের কাছে টিটুর দেওয়া তথ্যের সঙ্গে অনেক গরমিল ঘটনার দিন ফাঁড়িতে অবস্থানকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী তিন কনস্টেবল শামীম, সাইদুর ও দেলোয়ারের বক্তব্যে। আমাদের সময়
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X